Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত দিনের মধ্যে বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যবস্থা ও এর আগে দেওয়া নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।



পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০১৯ সালে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে শহর ও তার আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেন। পরে এ বিষয় নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত নয় দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।


নির্দেশনাগুলো হলো- ১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা। ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা। ৩. সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো। ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা। ৫. কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা। ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়ার সময়সীমার পরে ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা। ৮. পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা। ৯. মার্কেট/দোকানগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা ও অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।


আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের এমন নির্দেশনা থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ অতিসামান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এবং অধিকাংশ নির্দেশনা পালন না করায় সম্প্রতি ঢাকা শহর বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা কমে এবং পরে নির্দেশনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঢাকা শহর আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।


প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। শুনানিতে আদালত বর্তমানের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন যে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিবাদীরা বায়ুদূষণ বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়িত করে আগামী ২৬ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।


আরও খবর



ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ২৭১টি ভুয়া তথ্য প্রচারিত: রিউমার স্ক্যানার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫১জন দেখেছেন

Image
তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের ২৭১টি প্রমাণ মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। ক্যাটাগরিভিত্তিক ভুল তথ্য শনাক্ত ছাড়াও বিদায়ী মাসে দুইটি পরিসংখ্যান এবং একটি ফ্যাক্ট ফাইলও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৪টি ভুল তথ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। যা মোট ভুল তথ্যের ৪২ শতাংশ। এছাড়াও জাতীয় বিষয়ে ৬৭টি, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২৯টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১৮টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে ১৫টি, শিক্ষা বিষয়ে নয়টি, প্রতারণা বিষয়ে ছয়টি, খেলাধুলা বিষয়ে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত হয় ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি ঘটনাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানারের  অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, প্লাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। যা সংখ্যার হিসেবে ২২৫টি। এছাড়াও এক্সে ৫৬টি, টিকটকে ৪৪টি, ইউটিউবে ৪২টি, ইন্সটাগ্রামে ১৯টি, থ্রেডসে অন্তত একটি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ১৬টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমার স্ক্যানার।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল জানুয়ারিতে এই ধারাবাহিকতা দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। সংস্থাটি জানায়, গত মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাতটি ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। নয়টি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে। জানুয়ারিতে এমন ৩২টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর মধ্যে ২৫টি ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রিউমার স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গেল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরন বুঝতে এগুলোকে রিউমার স্ক্যানার দুইটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে। 

সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখেছে, ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ রেখেছে। জানুয়ারিতে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ড. আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাহিদ ইসলাম ও আ ফ ম খালিদ হোসেনকে জড়িয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার গেল মাসের ফ্যাক্টচেকগুলো বিশ্লেষণে দেখেছে, এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভুল তথ্যের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে দলটির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। এই সময়ে দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে প্রচার হওয়া ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) জড়িয়ে ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এই সময়ে দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে গত মাসে অপতথ্য শনাক্ত করেছে। তবে এসব অপতথ্য  তাদের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে বলে রিউমার স্ক্যানার শনাক্ত করেছে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, ভুল তথ্যের রোষাণল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। গেল মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে দুইটিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ১২টি ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটনের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে জড়িয়ে একটিসহ পুলিশের বিষয়ে ছড়ানো চারটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর বাইরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জড়িয়ে দুইটি ভুয়া তথ্যের প্রচার ছিল জানুয়ারিতে।

কোটা আন্দোলন থেকে সরকার পতনের সময়কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এ সংগঠনকে ও নেতাদের জড়িয়ে নিয়মিতই ভুয়া তথ্যের প্রচার শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। গত মাসে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৩৩টি ঘটনায় দেশি ও বিদেশি ২০টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৩৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব প্রচার মিথ্যা ও ভুল তথ্যের বলে সনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।


সূত্র: বাসস


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জাবিতে ছাত্রী হলের কক্ষ থেকে বহিরাগত যুবক আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে একজন বহিরাগত যুবককে আটক করেছে হল কর্তৃপক্ষ। শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক যাযাবর পারভেজের (৩১) বাড়ি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানায়। তিনি ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কপালে টিপ, প্লাজু ও মুখে ঘোমটা দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় পোশাক ও হাটা দেখে আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সন্দেহ হয়। পরে তারা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে গিয়ে অভিযুক্ত পারভেজসহ একসঙ্গে দেখতে পান। এরপর পারভেজকে আটক করে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পুলিশে দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে আটক পারভেজকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেয় হলের ক্ষুব্ধ নারী আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

আটকের পর ঘটনা স্বীকার করে পারভেজ বলেন, আমরা দুইজন ভালো বন্ধু। সাত বছরের বন্ধুত্ব। দুজনেই লালন ভক্ত। তাকে আমি বিয়ে দিয়েছি। আমি হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। হলে আসার সময় আমি কপালে টিপ পড়ে মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি।

তবে অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা উভয়েই ভাল বন্ধু। হিম উৎসবে সে এসেছিল। রাতে থাকার জায়গা না থাকায় তাকে হলে নিয়ে এসেছি। আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হয়েছি। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, হল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠাই। এরপর আটক ছেলেকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হলের অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।


আরও খবর



দ্বার খুললো অমর একুশে বইমেলার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে এসেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের সাথে জড়িয়ে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেককিছু। প্রতিবারের মতো এবারও সেই ভাষার মাসে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা।

এবারের মেলা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। বরকত সালাম রফিক জব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গিকার মাখা ছিলো তাতে ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহাবিস্ফোরক শক্তি। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, দেশের সংস্কৃতি উন্নয়নে বাংলা একাডেমির সংস্কার প্রয়োজন। বাংলা একাডেমিকে চলমান সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল তৈরিতে কাজ করবে সংস্কার কমিশন। পরে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি; মোট ইউনিট ১০৮৪টি। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সুনামগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: সুনামগঞ্জ, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫(বাসস) : জেলায় আজ ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিবুল আলম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেফাউর রহমান, সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।

এর আগে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্ত মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। পরে অতিথিরদের নিয়ে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।

মেলায় ৮টি স্টল বসেছে। এগুলো হচ্ছে, শস্য বিন্নাস পরিবর্তন স্টল, সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ, ভাসমান বেডে সবজি চাষ, বস্তায় আদা ও সবজি চাষ,  মিশ্র ও একত্র ফল বাগান, নিরাপদ ফসল চাষ, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি। তিনদিন ব্যাপী এ মেলা চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।


সূত্র: বাসস


আরও খবর

সিলেটের চা বাগান গুলো প্রুনিং পদ্ধতি শুরু

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পটভূমি ও সাম্প্রতিক ঘটনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনি জাগরণ জোটের মুখপাত্র চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রুলে বলা হয়েছে, চিন্ময় দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন চিন্ময় দাস। তার নেতৃত্বে ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বিএনপি নেতা ফিরোজ খান রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় চিন্ময়সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

তবে মামলার কিছুদিন পরই বিএনপি থেকে ফিরোজ খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় এবং ২৬ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম।

চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তার অনুসারী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন এবং ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হন।

জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে চিন্ময় দাস পুনরায় উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সাইফুল ইসলাম তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে তার জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

সরকারের জবাব পাওয়ার পর হাইকোর্টের বেঞ্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার গুরুত্ব তুলে ধরে জামিন না দেওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে, চিন্ময়ের পক্ষ থেকে জামিনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হবে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নিয়ে আগামী দিনে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।


আরও খবর