নজর অর্থ দৃষ্টি। আর বদনজর মানে হলো, কুদৃষ্টি বা মন্দচাহনি। হিংসার নিকৃষ্ট স্বভাব-মিশ্রিত বিষাক্ত দৃষ্টিপাতের প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর মাঝে যে ক্ষতি দেখা যায় তাকে বদনজর বলা হয়। বদনজর দুইভাবে হয়-মানুষের বদনজর ও জিনের বদনজর। যুগে যুগে বদনজরের সমস্যা ও সমধান ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা বদনজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। কেননা বদনজর সত্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮) বদনজরের প্রভাব বেশি পড়ে ছোট বাচ্চাদের ওপর। এ থেকে মুক্তি পেতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা করতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে এটি সুস্থতার নিয়ামত লাভ ও নিরাপদণ্ডসাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
বদনজরের লক্ষণ
বদনজরের আক্রান্ত ছোট বাচ্চাদের বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে উঠে। যেমন-শিশুরা মায়ের বুকের দুধ বা খাবার খেতে না চাওয়া, অনর্থক ভয় পাওয়া, অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
বদনজর থেকে বাঁচার আমল
বদনজরের রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা প্রধানত দুই পদ্ধতিতে করা যায়। এক. কোরআনের আয়াত বা হাদিসে বর্ণিত দোয়া লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং গদাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি ওয়া আই ইয়াহদরুন’-এই দোয়াটি পড়ে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর তার উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৯৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৮)
দুই. বিশেষ দোয়া বা সুরা পাঠ করে ঝাঁড়ফুক করা।
এই প্রসঙ্গে সহজ ও সংক্ষিপ্ত চারটি আমল এই :
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি এই-‘বিসমিল্লা হিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউং ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামিউল আলীম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৮)
দুই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল- সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়া পাঠ করবে সে প্রত্যেক সৃষ্টবস্তুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সাপ বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে রেহাই পাবে। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং শাররি মা খলাক।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৩২)
তিন. রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে এই দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন আর বলতেন তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে (তাঁর সন্তানদের) ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং কুল্লি শাইতানিন ওয়াহাম্মাহ ওয়ামিং কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৩২)
চার. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করবে। সবকিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫)
বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল
হাদিসে যে কারণে শীতকাল গুরুত্বপূর্ণ
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
আইরিশদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
খেলাধুলা ডেস্ক: তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। আগের দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর সুযোগ ছিলো আজ। তবে সেটি করতে ব্যর্থ হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে সফরকারীদের ১২৪ রানের টার্গেট দেয় টাইগ্রেসরা। জবাবে ১ বল আগেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আইরিশ নারীরা।
নির্ধারিত রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুর্দান্ত সূচনা পায় সফরকারীরা। দুই ওপেনার হান্টার-লুইস মিলে গড়েন অর্ধশতক রানের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৫৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে তাদের।
প্রথম উইকেট পতনের পর কিছুটা খেই হারায় আইরিশরা। দলীয় স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ করতেই একে একে বিদায় নেয় আরও ৩ ব্যাটার। তবে ম্যাচের শেষ ওভারের তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে টানা তিনটি চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন আইরিশ ব্যাটার লরা ডেলানি।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন রাবেয়া খান। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান নাহিদা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শারমিন আক্তার ও শোভনা মোস্তারীর ৭১ রানের জুটিতে ভর করে ১২৩ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে শোভনার ব্যাটে।
আইরিশদের পক্ষে ১৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন অরলা প্রেন্ডারগাস্ট।
৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
টানা ব্যর্থতায় আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ
নিজেস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি। যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।
আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।
জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ বিকেলে যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
‘পুষ্পা ২’-এর প্রযোজককে দেয়া হলো মারার হুমকি
বিনোদন ডেস্ক : একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে পুষ্পা ২: দ্য রুল। মাত্র চার দিনেই আটশো কোটি টাকার বেশি আয় করে ফেলেছে সিনেমাটি। তাও আবার দ্রুততম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে। আলোচিত এই সিনেমাটি একদিকে যেমন বক্স অফিসের পাচ্ছে তুমুল সাফল্য, অন্যদিকে নানা রকম বিতর্কও নিচ্ছে পিছু। গত কয়েকদিন আগেই ‘পুষ্পা-২’ র প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছে শিশুসহ এক নারী। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এছাড়া প্রেক্ষাগৃহে বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানো, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে এ ছবি নিয়ে। এদিকে এবার নতুন বিপদ ক্ষত্রিয় প্রতিবাদ। ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসরে নামতে চলেছেন রাজপুত নেতা ‘রাজ শেখাওয়াত’। ছবিতে ‘শেখাওয়াত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাতেই নাকি খেপেছে রাজপুত কুল। তাদের দাবি—অপমান করা হয়েছে রাজপুত ক্ষত্রিয়দের। অভিযোগকারীদের হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন রাজ শেখাওয়াত। এক্সে এক ভিডিওবার্তায় তিনি হুমকি দিয়েছেন— শেখাওয়াত উপাধিকে নেতিবাচকভাবে ‘পুষ্পা ২’-তে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি ক্ষত্রিয়দের অপমান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শব্দটি ছবিতে একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। শিগগিরই সরিয়ে না ফেললে প্রযোজককে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এখানেই শেষ নয়; রাজ শেখাওয়াত উসকেছেন করণী সেনাদেরও। তিনি বলেন, বিনোদনের উপকরণ হিসেবে আরও একবার ক্ষত্রিয়রা অপমানিত। খুব দুর্বলভাবে ‘শেখাওয়াত’দের দেখানো হয়েছে। আপনারা তৈরি থাকুন। আমাদের নির্দেশ না মানলে যে কোনো সময় প্রযোজককে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। প্রয়োজনে প্রযোজকের বাড়ির ভেতরে ঢুকে মারধর করারও হুমকি দিয়েছেন রাজ শেখাওয়াত। প্রসঙ্গত, পরিচালক সুকুমারের ‘পুষ্পা ২’ ছবিতে এসপি ‘বনওয়ার সিংহ শেখাওয়াত’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফহাদ ফাসিল।
আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
তানজিকা বলেছিলেন প্রেম করে বিয়ে করবেন, শেষ পর্যন্ত কি করেছেন...
তিন বছর আগে তানজিকা আমিন প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে বলেছিলেন, প্রেম করে বিয়ে করবেন। খোঁজাখুঁজিও চলছে। কারণ, বরের সঙ্গে একটা জানাশোনা তো লাগবেই। তিন বছর পর এসে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জানালেন, তিনি বিয়ে করেছেন। পাত্র ৬ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচিত। ঢাকার বেইলি রোডের বাসায় একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের কাজটি শেষ করেন তিনি।
২০০৪ সালের লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ তানজিকা আমিন। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে এখন আগের চেয়ে তিনি অনেক বেশি সিরিয়াস। আগে বয়সও ছিল কম। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।
এক যুগ আগে তানজিকা আমিন বিয়ে করেছিলেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরকে। তাঁদের সেই দাম্পত্য সম্পর্ক কয়েক বছর টিকেছিল। তবে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত মোটেও ভুল ছিল বলে মনে করেন না তিনি।
প্রথম আলোকে তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা অভ্যাস, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেটা যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে বলি যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার বিয়ের ডিসিশন পারফেক্ট ছিল, ডিভোর্স আনফরচুনেটলি হয়ে গেছে। সুন্দর সময় কেটেছে। আমার সময়টা আমি উপভোগ করেছি। এসব নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই।’
তবে সংসারজীবন নিয়ে ভাবনাচিন্তা ছিল। বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছিলেন। এ প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবা নাতি-নাতনির মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। আমি তো তাঁদের একমাত্র সন্তান, আমার প্রতি তাঁদের একটা প্রত্যাশাও আছে। আমারও তো জীবনে একজন সঙ্গী দরকার। সবকিছু মিলে আই নিড আ সংসার।’ তানজিকার সেই সংসার গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে লেগে যায় তিন বছর। আজ ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৬ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে স্বামীর সম্পর্কে রূপ দিলেন তানজিকা।
বিয়ের প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আর্ট মাধ্যমে আমরা যারা কাজ করি, তাদের জীবনধারণটাই একটু আলাদা। প্রথম বিয়েতে একটা ধাক্কা খাওয়াতে পরেরটা বুঝেশুনে করতে চাই। যেটাই হোক না কেন, এমন একটা মানুষকে বেছে নিতে চাই, যার সঙ্গে আগামীর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারি।’
নির্ঝরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তানজিকা আমিন বিরতিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে পরিচয় হয় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী সাইফ বাসুনিয়ার সঙ্গে। আস্তে আস্তে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তানজিকার মায়েরও পছন্দ হয় সাইফকে। বিয়ে প্রসঙ্গে তানজিকা আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমাদের আকদ হয়েছে, একেবারে পারিবারিকভাবে। আত্মীয়স্বজনেরা ছিলেন। সাইফকে আমি ২০১৮ সাল থেকে চিনলেও কখনো তাঁকে বিয়ে করব, এমনটা ভাবিনি। তবে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। সেটা যে প্রেম বা বিয়েতে গড়াবে, তা ভাবিনি। অবশেষে তা হয়ে গেল।’
কবে থেকে ভাবলেন, এই বন্ধুকে বিয়ে করা যায়? ‘দুই মাস আগে ভাবলাম, এর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ভাবা যায়। তবে বিষয়টা পুরোপুরি পরিবারের মধ্যে ছিল। সাইফকে আমার মায়ের খুব ভালো লাগত। ভীষণ পছন্দ করতেন, আগে থেকে চিনতেনও।
পারিবারিকভাবে বিয়ে নিয়ে আমার ওপর চাপও ছিল। একটা সময় এসে পারিবারিক চাপ মেনে নিতে হয়েছে। এটাও ঠিক যে আমারও তাকে ভালো লাগত। আমি জানতাম, সে খুব ভালো একজন মানুষ। মানবিক মানুষ। মনে হয়েছে, সে–ই আমার জন্য সবচেয়ে সঠিক মানুষ, যাকে জীবনসঙ্গী করা যায়।’ বলেন তানজিকা আমিন।
আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দুর্নীতিতে যুক্ত নেতানিয়াহু , জানালেন ইসরাইলি তদন্ত কর্মকর্তা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিতে দোষী বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা। এলি আসায়াগ নামে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী দোষী।
পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়া আসায়াগ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০২১ সালের মার্চে দীর্ঘ ৩৬ বছরের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন।
এলি আসায়াগ বুধবার ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর পুলিশে কাজ করার পর ৫৮ বছর বয়সে অবসর নিয়েছি। আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে আর পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে, আমি এ ধরনের সংবেদনশীল মামলাগুলো পরিচালনা করেছি’।
নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসায়াগ বলেন, তিনি এখনও মামলার সাক্ষী হতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রধানমন্ত্রী কখনও কখনও ‘রাগান্বিত হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন’।
এই মামলার তদন্তকে তিনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দক্ষ এবং পেশাদার তদন্তগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছেন।
আসায়াগ বলেন, ‘নয় মাসেরও কম সময়ে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করি এবং প্রতিবেদনটি স্টেট প্রসিকিউটরের দপ্তরে পাঠাই’। একই সঙ্গে তিনি একে ‘সাদা পোশাকধারী অপরাধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত তদন্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নেতানিয়াহুকে দোষী মনে করেন কি না? জবাবে আসায়াগ নিশ্চিতভাবে বলেন, ‘আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, তবে অভিযোগগঠনের সুপারিশ করতাম না’।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুর্নীতির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।
নেতানিয়াহু আগামী মঙ্গলবার তেলআবিব জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা এসব দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাক্ষ্য দেবেন।
নেতানিয়াহুর বিচার ২০২০ সালে জেরুজালেম জেলা আদালতে শুরু হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪