Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীঃআওয়ামী লীগ সন্দেহে তল্লাশি, কালো পোশাক দেখলেই জেরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১৩৩জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে ছাত্র-জনতা ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ধানমন্ডি-৩২ ও আশেপাশের এলাকা দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্ররা। 


আওয়ামী লীগ সন্দেহে করা হচ্ছে তল্লাশি, মোবাইল চেক করে খোঁজা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট কিনা। কালো পোশাক দেখলেই জেরা করা হচ্ছে। 


বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। এ সময় ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের রাস্তা তারকাটা দিয়ে আটকানো ছিল, ঢুকতে দেওয়া হয়নি কাউকে।


 মেট্রো শপিং মল গলির মুখে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।

 

দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এখন সুনসান নীরবতা। সকাল থেকে ওই এলাকার আশপাশে অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি ঘিরে ধানমন্ডি ৩২ সামনে ও লেক পড়ের আশেপাশের এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে আছেন।



এসময় কালো পোশাকে বা কেউ ভিডিও/ছবি তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়তে দেখা যায়। ছাত্ররা তল্লাশি করে, মোবাইল চেক করে দেখছে, আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পেলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করছেন ছাত্ররা।


আটকে রাখাদের পুলিশ ও আর্মিদের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে মাইক দিয়ে। আক্রমণকারীদের যেন মাথায় আঘাত না করা হয় সে জন্য বার বার মাইক দিয়ে ঘোষণা দিতেও দেখা যায়। 


 

এসময় একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছাত্র-জনতা যখন এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেওয়া শুরু করছে, তখন তাদের আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর, দালালরা নিজেরা আসতে না পেরে নারীদের ব্যবহার শুরু করছে। 


তারা একজন একজন নারী পাঠাচ্ছিল, যাদের ব্যাগে ফুল ছিল, ব্যাগের মধ্যে বিভিন্ন নেতার নম্বর ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নারীদের চলে যেতে বলেছি। তারা আমাদের কথা মেনে চলে গেছে।’


এদিকে অন্য শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘আমরা সকাল থেকে এখানে আছি। কেউ যদি আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায় আমরা রুখে দেব।’


ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে চলে যান। 


এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আলু, পেঁয়াজ ও ডিমে শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় কৃষিপণ্য ও পোলট্রিশিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদন। এ অবস্থায় বন্যা-পরবর্তী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে ডিম ও আলু আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে দেশে বছরে ৬-৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডিম ও আলু আমদানি তেমন হয় না বললেই চলে। বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫২-৬০ টাকা, ডিমের হালি ৫০-৫৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পণ্য তিনটির শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। সুপারিশে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। এসব শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিতে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে আসবে। এজন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে তিনটি পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোক্তা উপকৃত হবে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। তবে শুল্ক কমানো হলে ভোক্তার চেয়ে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন বেশি। তবে দেশে ডিম আমদানি হলে ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের দাম কমাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। এসব খাবার বড় কোম্পানি আমদানি করছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে শুল্ক কমানো হলেও রপ্তানিকারক দেশে দাম বাড়লে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে দাম বাড়িয়ে দিলে দেশের বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আলু আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আলু আমদানি হলে তা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পড়বে। খুচরা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব।


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সালমান শাহর হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন মা নীলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৮২জন দেখেছেন

Image

ক্ষণজন্মা ছিলেন চলচ্চিত্র তারকা সালমান শাহ। ক্যারিয়ার যখন শুরু। মাত্র ২৭ টি ছবি দিয়ে যখন ভক্তদের প্রিয় হয়ে উঠছেন। তখনই খবর আছে বিদায় নিয়েছেন এই তারকা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের রূপালী পর্দার নব্বইয়ের দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুদর্শন অভিনেতা বলা হয় তাকে। সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আসেন তিনি। প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। সালমান শাহ মাত্র ২৫ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের শুরু হয়। শুক্রবার ছিলো তার মৃত্যু দিন। বেঁচে থাকলে তার বয়স হতো ৫৩ বছর। মারা যাওয়ার ২৮ বছরেও হয়নি তার মৃত্যুর রহস্যর সমাধান। হয়নি বিচারও। কিছুদিন আগে সাবেক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দেশের একটি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতার মা নীলা চৌধুরী মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, ভারত থেকে এজেন্ট এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরীর ভাষ্য, ‘তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে।  সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা। সুকুমার রঞ্জন সে সময় সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। নীলা চৌধুরী বলেন, ‘আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।’ সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানীং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।’


আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image

পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার  বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট দেড় মাসের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় আনা হয় খালেদা জিয়াকে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গত ২৩ জুন তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।উন্নত চিকিৎসার জন্য যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্য নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর

গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ সদস্যের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

আত্মহত্যা করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দায়িত্বপালনের সময় নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে আহত্মহত্যা করেন তিনি।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনই।

নিহত ওই বিএসএফ সদস্যের নাম বি অরুণ দিলীপ (৪০)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরার ধলাই জেলার কামালপুরে টহল দেওয়ার সময় নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে নিজেকে গুলি করে সোমবার অরুণ দিলীপ নামে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্য মারা গেছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএসএফ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তিনি আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে দুবার গুলি করেন, একবার পেটে এবং একবার কাঁধে। পরে তাকে উদ্ধার করে কামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সেখান থেকে আগরতলার জিবি পান্ত হাসপাতালে রেফার করা হয়।’

তবে জিবি পন্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অরুণ দিলীপকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।


আরও খবর

পেজারের পর ওয়াকিটকি ল্যাপটপ বিস্ফোরণ লেবাননে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইসলামে যেভাবে পর্দা পালনের নির্দেশনা দেয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: ‘পর্দা’ শব্দটি মূলত ফারসি। যার আরবি প্রতিশব্দ ‘হিজাব’। পর্দা বা হিজাবের বাংলা অর্থ আবৃত করা, ঢেকে রাখা, আবরণ, আড়াল, অন্তরায়, আচ্ছাদন, বস্ত্রাদি দ্বারা সৌন্দর্য ঢেকে নেওয়া, গোপন করা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায়, নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা অর্জনের নিমিত্তে উভয়ের মধ্যে ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত যে আড়াল বা আবরণ রয়েছে তাকে পর্দা বলা হয়। কেউ কেউ বলেন, নারী তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রূপলাবণ্য ও সৌর্ন্দয পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখার যে বিশেষ ব্যবস্থা ইসলাম প্রণয়ন করেছে তাকে পর্দা বলা হয়। মূলত হিজাব বা পর্দা অর্থ শুধু পোশাকের আবরণই নয়, বরং সামগ্রিক একটি সমাজব্যবস্থা, যাতে নারী-পুরুষের মধ্যে অপবিত্র ও অবৈধ সম্পর্ক এবং নারীর প্রতি পুরুষের অত্যাচারী আচরণ রোধের বিভিন্ন ব্যবস্থা আছে। পর্দার বিধান পর্দা ইসলামের সার্বক্ষণিক পালনীয় অপরিহার্য বিধান। কোরআন-সুন্নাহর অকাট্য দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি বিধানের মতো সুস্পষ্ট এক ফরজ বিধান। পর্দা নারী-পুরষ উভয়ের জন্যই ফরজ। পর্দার বিধান সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের জিলবাবের একাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৯) হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। (তিরমিজি, হাদিস : ১১৭৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের  স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট তারাই, যারা পর্দাহীনভাবে চলাফেরা করে।’ (বায়হাকি, হাদিস : ১৩২৫৬) হঠাৎ দৃষ্টি পড়লে জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে গেলে করণীয় কী-জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি আমাকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে আদেশ করলেন। (মুসলিম, হাদিস : ২১৫৯)

পর্দা পালনের পদ্ধতি পর্দা পালনের তিনটি পর্যায় আছে-

১. গৃহে অবস্থানকালীন পর্দা

২. বাইরে গমনকালীন পর্দা এবং

৩. বৃদ্ধা অবস্থায় পর্দা।

গৃহে অবস্থানকালীন পর্দা : নারীর প্রধান আবাসস্থল হলো তার গৃহ। গৃহে কিভাবে পর্দা রক্ষা করে চলবে তার নির্দেশনা আল্লাহ তাআলা বলে দিচ্ছেন-‘যখন তোমরা তাদের (নবীপত্নীদের) কাছে কিছু চাইবে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ।’

(সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৩) এ আয়াতে বিশেষভাবে নবীপত্নীদের কথা উল্লেখ থাকলেও এ বিধান সমগ্র উম্মতের জন্য ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য। এ বিধানের সারমর্ম-নারীদের কাছ থেকে ভিন্ন পুরুষদের কোনো ব্যাবহারিক বস্তু, পাত্র, বস্ত্র ইত্যাদি নেওয়া জরুরি হলে সামনে এসে নেবে না, বরং পর্দার আড়াল থেকে চেয়ে নেবে।

বাইরে পর্দা : নারীদের জন্য গৃহের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ইসলাম প্রয়োজনে নারীকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর স্ত্রী সাওদা (রা.)কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘প্রয়োজনে তোমাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৭৯৫) বাইরে কিভাবে পর্দা করবে তার স্পষ্ট বর্ণনা আল্লাহ তাআলা দিচ্ছেন-‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন (প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সময়) তাদের (পরিহিত) জিলবাবের একাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে; ফলে তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৯) ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, জিলবাব হলো নারীর এমন পোশাক, যা দিয়ে তারা পুরো দেহ ঢেকে রাখে। অর্থাৎ বাইরে গমনের সময় দেহের সাধারণ পোশাক-জামা, পাজামা, ওড়না ইত্যাদির ওপর আলাদা যে পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে নারীর আপাদমস্তক আবৃত করা যায় তাকে জিলবাব বলা হয়। আমাদের দেশে যা বোরকা নামে পরিচিত। এ থেকে বোঝা যায় যে বাইরে গমনের সময় বোরকা অথবা এমন কোনো পোশাক, যার মাধ্যমে পর্দা করা যায় তা পরিধান করে আপাদমস্তক আবৃত করে বের হওয়া আবশ্যক। আর আয়াতে জিলবাবের একাংশ নিজেদের ওপর টেনে দেওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মাথা ও মুখমণ্ডল ঢেকে নেওয়া। যা সাহাবি, তাবেঈ ও নির্ভরযোগ্য মুফাসসিরদের তাফসির থেকে প্রতিভাত হয়। নারীর সতর সতর হলো যা খোলা যায় না বা কেউ দেখতে পারে না। এতটুকু ঢেকে রাখা ফরজ। নারীর সতরের ক্ষেত্রে অবস্থাভেদে পরিবর্ত হয়। নামাজের সময় নারীর সতর হলো মুখমণ্ডল, হাতের কবজি, পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ছাড়া পরিপূর্ণ শরীর। পরিপূর্ণ শরীর ঢেকে নামাজ পড়তে হবে। মাহরাম পুরুষের সামনে নারী মাথা, দুই বাহু, হাত, পা ও মুখ খোলা রাখতে পারবে। গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে নারীর সতর বা পর্দা হলো পরিপূর্ণ শরীর। তাদের সামনে পরিপূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হবে। অন্য নারীদের সঙ্গে নারীর সতর হলো হাত, মুখ, পা, মাথা, পেট ও পিঠ ছাড়া বাকিগুলো। নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত হলো অন্য নারীর জন্য সতর। স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর কোনো সতর নেই। তেমনি স্ত্রীর জন্য স্বামীর কোনো সতর নেই, সব দেখতে পারবে। তবে গোপনাঙ্গ না দেখার বিষয়ে হাদিসে নির্দেশনা এসেছে। সুতরাং স্বামী-স্ত্রী গোপনাঙ্গ না দেখা উত্তম

পুরুষের সতর : নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। বৃদ্ধা অবস্থায় পর্দা এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতিশয় বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য অপরাধ নেই, যদি তারা তাদের সৌর্ন্দয প্রদর্শন না করে তাদের অতিরিক্ত বস্ত্র খুলে রাখে। তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা : নুর, আয়াত : ৬০) আয়াতের নির্দেশনা হলো যে বৃদ্ধা নারীর প্রতি কেউ আকর্ষণ বোধ করে না এবং সে বিবাহেরও যোগ্য নয় তার জন্য পর্দার বিধান শিথিল করা হয়েছে। গায়রে মাহরাম ব্যক্তিও তার কাছে মাহরামের মতো হয়ে যায়। মাহরামদের কাছে যেসব অঙ্গ আবৃত করা জরুরি নয়, বৃদ্ধা নারীদের জন্য গায়রে মাহরাম পুরুষদের কাছেও সেগুলো আবৃত করা জরুরি নয়। এরূপ বৃদ্ধা নারীর জন্য বলা হয়েছে, মাহরাম পুরুষদের সামনে যেসব অঙ্গ খুলতে পারবে, গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনেও সেগুলো খুলতে পারবে। (তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন : খ- ৬, পৃষ্ঠা-৪৩৯)

ইসলামী পর্দার কয়েকটি শর্ত

১. মাথা থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শরীর আবৃত করে নেওয়া। বোরকা বা অন্য কোনো পন্থায় গোটা শরীর ঢেকে রাখা জরুরি।

২. পরিহিত বোরকা ফ্যাশনমূলক না হওয়া।

৩. বোরকার কাপড় মোটা হওয়া, যাতে শরীরের আকৃতি অনুধাবন করা না যায়।

৪. বোরকা ঢিলেঢালা হওয়া। (আবু দাউদ : ২/৫৬৭, মুসলিম : ২/২০৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৮/২৮, তিরমিজি : ২/১০৭)।


আরও খবর

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলেমদের মতামত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪