Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

চারঘাটে সমমানের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২১৮জন দেখেছেন

Image

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এসএসসি,ভোকেশনাল ও দাখিল সমমানের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে এসএসসি ২ হাজার ১২জন, দাখিল ২শ ৪৪ জন, ভোকেশনাল ও দাখিল ৮ শ ১৩ জন বাংলা প্রথমপত্রে মোট ৩ হাজার ৬৯ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। 

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন প্রতিটিি কেন্দ্রে পরিদর্শন করে জানান, সুষ্ঠু,সুন্দর ও নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 



আরও খবর

কৃষিতে স্বাবলম্বী পাবনার রাকিব

সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩




কবজি ব্যথা: কারণ ও করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

কবজির ব্যথা নিয়ে অনেককেই চিকিৎসকের কাছে আসতে দেখা যায়। এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে এই ব্যথা হয়। রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অস্থিরতায় ঘুম ভেঙে যায়। কবজির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিসের মধ্যে অন্যতম।

আমাদের কবজি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন থাকে, সেখানে যখন প্রদাহ হয়, তখন এটিকে ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিস বলা হয়। সাধারণত মধ্য বয়স্ক নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এটি  বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন- আঘাতজনিত কারণ, হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, একটানা লেখালেখি করা, দাঁ, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করা, ড্রিল মেশনি ব্যবহার করা।

রোগ নির্ণয় : সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এই রোগটি নির্ণয় করতে পারেন। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের কবজির এক্সরে ও রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি  ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়াও লাগতে পারে।

সতর্কতা : এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। হাতের কবজির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

করণীয় : হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো যাবে না। কাপড়চোপড় চিপা যাবে না। টিউবওয়েল চাপা যাবে না। একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি না করা। দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি না করা। ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা। কাজ করার সময় বিশেষ ধরনের ব্যান্ড ব্যবহার করা।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে। প্রায় এক বছর এ কারিকুলাম চলার পর এবার অ্যাপসের মাধ্যমে এই সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য ও পদ্ধতি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য শিক্ষকদের সামষ্টিক মূল্যায়নের দিকনির্দেশনা দেওয়া থাকবে। শিক্ষার্থীর শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন সহজ এবং ত্রুটিমুক্ত করতে এবার উন্মুক্ত করা হচ্ছে অ্যাপ। আর এই অ্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নৈপুণ্য’।

শনিবার (৪ নভেম্বর) এ অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা ‘অতীব জরুরি’ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের সুবিধার্থে এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘নৈপুণ্য’ নামে একটি অ্যাপ উন্নয়ন করেছে।

অ্যাপটি আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে উন্মুক্ত করা হবে। এরই মধ্যে নৈপুণ্য অ্যাপের ওয়েব ভার্সন ব্যবহারসংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগামী ৪-৮ নভেম্বরের মধ্যে নৈপুণ্য অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

জরুরি এ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সংযুক্ত পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনে নৈপুণ্য অ্যাপের ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো লগইন, শাখা, শিফট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নির্ধারিত বিষয়ের শিক্ষক নির্বাচন করবেন; তা উল্লেখ রয়েছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেন : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করব সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।’

‘প্রায় দশ হাজারের মতো ক্লিনিক আমরা নির্মাণ করি, এর মধ্যে ৪০০০ চালু করি। এক বছরের মধ্যে এর সাফল্য প্রায় ৭০ ভাগ। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কারণ, বিনা পয়সায় সেখানো ওষুধ দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া, সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি, জনগণের সেবার সুযোগ পাই। তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টা এদেশের মানুষকে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এটা জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটা জীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগ নির্মূল  করা যে সম্ভব এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করব। আমরা যে কী কী কাজ করেছি সেগুলো প্রচারে সুযোগ পাচ্ছি। প্রথমবার যখন আমরা সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্য সেবার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৯৬ সালের সরকারে এসে বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট আমরা প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি।’


আরও খবর

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




পবিত্র কোরআনের বর্ণনায় রহমত ও আজাবের বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

ইসলাসিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআনে বাতাসের আরবি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে রিহুন (একবচন) আর ব্যবহার করা হয়েছে রিয়াহুন (বহুবচন)। দুটি শব্দের অর্থই বাতাস। দুটি শব্দের ব্যবহার এ জন্য যে বাতাস শব্দটি কোরআনে যখন একবচনে ব্যবহার হবে তখন সেটি আজাবের অর্থ দেবে আর যখন বহুবচন হিসেবে ব্যবহার হবে তখন সেটি রহমত অর্থ বোঝাবে।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাতাসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. রহমতের বাতাস ও ২. আজাবের বাতাস।

রহমতের বাতাস চার প্রকার

১. মুবাশশিরাত : বৃষ্টির আগে যে ঠাণ্ডা ও প্রশান্তিময় বাতাস বৃষ্টির আগাম সুসংবাদ জানান দেয় তাকে মুবাশশিরাত বাতাস বলা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ণ মেঘমালা বয়ে আনে তখন আমি এই মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দিই।

অতঃপর এই মেঘ থেকে বৃষ্টিধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনিভাবে মৃতদের বের করব, যাতে তোমরা চিন্তা করো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫৭)

২. নাশিরাত : সব ধরনের ভারী মেঘকে তার নিজ নিজ স্তরে বহন কারী বাতাসকে নাশিরাত বলা হয়।

কোরআনে এসেছে, ‘তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যে ভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা পৌঁছান, তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৮)

৩. মুরসালাত : তথা প্রেরিত, মহান রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত কল্যাণময় ও প্রশান্তিদায়ক বাতাসকে মুরসালাত বলে।

রাসুল (সা.)-এর দান শীলতার উদাহরণে তাঁকে রিহুল মুলসাল বা প্রেরিত বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘কল্যাণের জন্য প্রেরিত বায়ুর শপথ।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ১)

৪. জারিয়াত : জারিয়াত বলা হয় ধুলিকণা বিশিষ্ট ঝঞ্ঝা

বায়ুকে। আল্লাহ বলেন, ‘কসম ঝঞ্ঝাবায়ুর।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১)

আজাবের বাতাস চার প্রকার

১. আকিম : যে বাতাসে কোনো কল্যাণ নেই, যা কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর চরম পরিণতি ও ধ্বংস নিয়ে আসে। যেমন আদ সম্প্রদায়ের ওপর এই বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল। আল্লাহ বলেন, ‘এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনিতে, যখন আমি তাদের ওপর অশুভ বায়ু প্রেরণ করেছিলাম।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৪১)

২. ছরছর : অত্যধিক শৈত্যসম্পন্ন প্রচণ্ড বাতাসকে ‘ছরছর’ বলে। কোরআনের ভাষায়, ‘এবং আদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবায়ুর মাধ্যমে, যা তিনি প্রবাহিত করেছিলেন তাদের ওপর সাত রাত্রি ও আট দিবস পর্যন্ত অবিরাম। আপনি তাদের দেখতেন যে তারা অসার খর্জুর কাণ্ডের মতো ভূপাতিত হয়ে আছে।’ (সুরা : হাকক্বাহ, আয়াত : ৬-৭)

৩. আসিফ : এ বাতাস সমুদ্রে প্রবাহিত হয়ে তার তরঙ্গমালা উত্তাল করে তোলে। যার ফলে জাহাজডুবিসহ অনেক প্রতীক‚ লতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি তোমাদের ভ্রমণ করান স্থল ও সাগরে। এমনকি যখন তোমরা নৌকা সমূহে আরোহণ করলে আর তা লোকজনকে অনুকূল হাওয়ায় বয়ে নিয়ে চলল এবং তাতে তারা আনন্দিত হলো। নৌকা গুলোর ওপর এলো তীব্র বাতাস আর সর্বদিক থেকে সেগুলোর ওপর ঢেউ আসতে লাগল এবং তারা জানতে পারল যে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তখন আল্লাহকে তার ইবাদতে নিস্বার্থ হয়ে ডাকতে লাগল, যদি তুমি আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে তোলো তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ২২)

৪. কসিফ : এই ধরনের বাতাস অত্যন্ত শক্তিশালী। যাকে সাধারণত আমরা টর্নেডো, সাইক্লোন বা হারিকেন ইত্যাদি বলে চিনে থাকি। কোরআনের ভাষায়, ‘অথবা তোমরা কি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে তিনি তোমাদের আরেকবার সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না, অতঃপর তোমাদের জন্য মহা ঝটিকা প্রেরণ করবেন না, অতঃপর অকৃতজ্ঞতার শাস্তি স্বরূপ তোমাদের নিমজ্জিত করবেন না? তখন তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে সাহায্য কারী কাউকে পাবে না।’ (সুরা : ইসরাঈল, আয়াত : ৬৯)

পরিশেষে আমরা যেকোনো ধরনের বাতাসের সময় রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া পাঠ করব। তা হলো- 

‘আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খইরিহা, ওয়া খয়রি মা ফিহা, ওয়া খয়রি মা উরসিলাত বিহ। ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহ।’

(অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি এ বাতাসের মঙ্গল, এর মধ্যে নিহিত মঙ্গল এবং যে মঙ্গলসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা প্রার্থনা করি, আর এর ক্ষতিকর দিক, এর মাঝে নিহিত ক্ষতি এবং যে ক্ষতিসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।) (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪৯)


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, ব্যাখ্যা চায় ইউজিসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে পাকিস্তানি এক নাগরিক। সে বিষয়ে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২২ নভেম্বর ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক চিঠি আইআইইউসির রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়। ইউজিসির কাছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ইউজিসি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিন ধরনের তথ্য জানতে চেয়েছে। এক. মোহাম্মদ আমিন নদভীকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে (সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বাছাই কমিটির সুপারিশ, সিন্ডিকেট ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভার কার্যবিবরণীসহ)। দুই. যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সেসব পদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত জনবল কাঠামোর (অর্গানোগ্রাম) অন্তর্ভুক্ত কি না। অনুমোদিত জনবল কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে প্রমাণ (বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী)। তিন. ওই ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত, নিয়োগপত্র, নিয়োগের শর্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নাগরিকত্ব (জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট), ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি), ভিসা ইত্যাদির সত্যায়িত কপি।

জানা যায়, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে বেড়াতে এসে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমিন নদভী। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের জুন মাস থেকে শিক্ষকতা করছেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছু পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় একটি ইংরেজি গণমাধ্যমের অনলাইনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।


আরও খবর