Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

চলতি বছর সৌদিতে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২০৬জন দেখেছেন

Image


ডিজিটাল ডেস্ক:


সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামে বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা গেছেন। তিনি ১৫ মে মদিনায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) ভোর ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


জানা যায়, মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন মো. আসাদুজ্জামান। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।

মো. আসাদুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামে।


হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

ঢাকা হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন।

এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।


আরও খবর



নতুন বছরে বড় অগ্রাধিকার হবে কর্মসংস্থান বাড়ানো

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  চলতি বছরটা নানা বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেছে। বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অবশ্য বছরের প্রথম ছয় মাস যতটা খারাপ হবে ভেবেছিলাম, ততটা হয়নি। যদিও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়ে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতির পরিবর্তনও প্রয়োজন ছিল। বছরের শেষ নাগাদ সেই অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে।


এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় কর্মসংস্থান। এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। এখন বিগত সরকার-ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীর কারখানা বন্ধ হওয়ায় নতুন করে চাকরি হারাচ্ছেন অনেকে। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। সুতরাং পরবর্তী বছরের বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত কর্মসংস্থান বাড়ানো। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের সব বাধা দূর করতে হবে।


আমরা এখনো ব্যবসা অনুকূল দেশ হতে পারিনি। ব্যবসায়ের অনুমতি নেওয়া, নিবন্ধন বা ঋণ-সব ক্ষেত্রেই বড় বাধা রয়েছে। কত দিক থেকে ব্যবসায় বাধা দেওয়া যায়, অনেকের মধ্যে এমন একটা মনোভাব রয়েছে। ফলে ব্যবসা সহজীকরণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুধু বড় কোম্পানি নয়; ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যও এটা সহজ করতে হবে। কারণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় অবদান রাখছে।


পাশাপাশি দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে কোনো কাজই সময়মতো করা সম্ভব হচ্ছে না। ফাইল বিভিন্ন ডেস্কে ঘুরছে, কিন্তু সিদ্ধান্ত আসছে না। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করতে সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। সার্বিকভাবে আমরা এখনো একটা ঝুলন্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে নতুন বছরে সব গুছিয়ে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।


আরও খবর



মেলান্দহে জাতীয় নাগরিক কমিটি অনুমোদন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের মেলান্দহে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধির নিয়োগ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। কমিটিতে নূরনবীকে প্রধান এবং এড. শাহ মোহাম্মদ কবিরকে সহকারি প্রতিনিধি করে ৪৯ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।

৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, অলিক মৃ এবং সদস্য সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এই প্রতিনিধিরা আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।#


আরও খবর



কলাপাড়ায় মাছ বোঝাই পিকআপের চাঁপায় শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কলাপাড়ায়-কুয়াকাটা মহাসড়কে বরিশালগামী মাছ বোঝাই পিকআপের চাঁপায় মো.ইউসুফ হাওলাদার (৬৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইউসুফ উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নীলগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পিকআপ চালক মো.সবুজ কাজীকে পুলিশ আটক করেছে।

তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এতে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। পথিমধ্যে লেবুখালী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। ইউসুফ হাওলাদার কলাপাড়া সদর রোড এলাকার সত্তার মোল্লার মুদি দোকানের কর্মচারী। 

কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, চালককে আটক করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আরও খবর



সাত বছর পর মায়ের বুকে ছেলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টা বেজে ১৫ মিনিট। হিথ্রো এয়ারপোর্ট এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ১ ডিগ্রি, সঙ্গে ঝরছে কিছুটা বৃষ্টি। ঠিক এমন সময়ে রানওয়ে স্পর্শ করল বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজ। ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণে কোটি মানুষের মোনাজাত আর এক মাতৃস্নেহ বঞ্চিত সন্তানের অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। দীর্ঘ সাত বছর পর অবশেষে সাক্ষাৎ হলো মা ও ছেলের।


ভিড়ের মধ্যে হঠাৎই মাকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। বেগম জিয়া প্রথমে ঠাহর করতে পারেননি! কাঁধে মুখ ডোবানো তারেক রহমানের মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝে নেন- এ যে সাত রাজার ধন বুকের মানিকের স্পর্শ! দেশনেত্রী পরিচয় কিছু সময়ের জন্য পেছনে ফেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হয়ে ওঠেন মমতাময়ী মা। ছেলেকে জড়িয়ে ধরার আনন্দে বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হেসে ওঠেন! এমন প্রাণখোলা হাসি বেগম জিয়া কবে শেষ হেসেছেন সেটা খুঁজতে ঘাঁটতে হবে হাজার ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ!


বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিথ্রো পৌঁছলে সেখানকার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে ভিআইপি প্রটোকল দেয়। বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ।


বিমানবন্দরে মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখেই কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন আপ্লুত তারেক রহমান। মা-ছেলের এই মধুর আবেগময় সাক্ষাৎ-মুহূর্ত এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে। দীর্ঘ সাত বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা হবে, সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় তারেক রহমান ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাকে কাছে পেলেন তিনি। মা ও ছেলের সাক্ষাৎ কত আকাক্সক্ষার সেটি না দেখলে বোঝা যাবে না। এ সময় তিনি পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানকে কাছে পেয়ে কথোপকথন সেরে নেন। এই সাক্ষাতের উষ্ণতা এতই তীব্র যে, মাইনাস তাপমাত্রার তুষারাবৃত লন্ডন যেন উষ্ণ হয়ে উঠল!


তারেক রহমান মায়ের হুইল চেয়ার ঠেলে বের হয়ে এলেন ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে। তুলে নিলেন নিজের গাড়িতে। সামনে পাশে বসা স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, পেছনে মা খালেদা জিয়া। গাড়ি নিয়ে বের হতেই নিষেধ অমান্য করে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হওয়া শত শত নেতা-কর্মীর ভিড়! তারা সেসব নেতা-কর্মী, যারা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে, বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে হাজার হাজার মাইল দূরের এই দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আগের দিন নেতা-কর্মীদের এয়ারপোর্টে ভিড় না জমানোর কঠোর নির্দেশনা দেওয়া তারেক রহমানও রাত জেগে অপেক্ষায় থাকা নেতা-কর্মীদের ভালোবাসার কাছে হার মানেন! গাড়ি থামাতে বাধ্য হন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পশ্চিম লন্ডনের আকাশ। বেগম জিয়া আপ্লুত হয়ে হাত নাড়েন। কর্মীদের তবুও মন ভরে না। যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু বলেন, শত শত নেতা-কর্মী সারা রাত দোয়া-দরুদ পড়েছেন হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় দেশনেত্রীর ফ্লাইট নিরাপদে নামার জন্য। ভোরের আলো ফুটতেই আমরা সবাই এখানে এসেছি গণতন্ত্রের নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য। লন্ডন সময় বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে লন্ডন ক্লিনিকে পৌঁছায় তারেক রহমানের গাড়ি। বেগম জিয়াকে নিয়ে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন।


সেখানেও হাজির ছিলেন নেতা-কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষায় থাকা বেগম জিয়ার গাড়িবহর থেকে নামানো হয় লাগেজ, ওষুধের কার্টন। একই সঙ্গে নেমে আসেন বাংলাদেশ থেকে আসা ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমানও। প্রবেশ করলেন হাসপাতালে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক চেকআপের পর পূর্র্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লন্ডন হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। ফলে আপাতত যাওয়া হচ্ছে না ছেলে তারেক রহমানের বাসায়। যে হাসপাতালে বেগম জিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে সেই ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’। অভিজাত এই প্রাইভেট হাসপাতালটি অবস্থিত সেন্ট্রাল লন্ডনের মারলিবর্ন রোডের ডেভনশায়ার প্লেইসে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯৩২ সালে স্থাপিত হয়। এ হাসপাতালটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট হাসপাতাল। এমন অভিজাত প্রাইভেট একটি হাসপাতাল যেখানে বিশ্বের বড় বড় রাজনীতিবিদ, বিখ্যাত ব্যক্তিরা চিকিৎসা করিয়ে থাকেন। এ হাসপাতালের নিয়মিত রোগীদের তালিকায় আছেন রাজা তৃতীয় চার্লস, যার প্রস্টেট চিকিৎসা ২০২৪ সালে এই হাসপাতালে হয়েছে, রাজার পূত্রবধূ ও রাজপুত্র উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন, রাজা তৃতীয় চার্লসের বাবা প্রিন্স ফিলিপ, রাজা তৃতীয় চার্লসের বোন প্রিন্সেস মার্গারেট, ডিউক অব উইন্ডসর প্রিন্স এডওয়ার্ড, বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলর, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিসহ আরও অনেকে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ১৯৬৬ সালের ৯ অক্টোবর এই হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।


মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর দোহায় স্বল্প সময়ের যাত্রাবিরতি করে বুধবার সকালে লন্ডনে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান ২০০৭ সাল থেকে লন্ডনে রয়েছেন।


বেগম জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্সরা আছেন। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্যও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা হলেন- প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ড. এফ এম সিদ্দিক, নূরুদ্দিন আহমেদ, জাফর ইকবাল, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা তাঁকে বিদায় জানান।


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




নিজ গ্রাম নিয়ে উৎকণ্ঠায় শরিফুল

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: নিজ এলাকায় মাদকের থাবা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের পেসার শরিফুল ইসলাম। শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও নির্মল পরিবেশ ধরে রাখা নিয়ে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত আটটায় মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার মৌমারি গ্রামে মাদকের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম ,যেখানে আমার শৈশব-কৈশর কেটেছে, সেটির প্রতি এক অদ্ভুত টান অনুভব করি। এখানে ফিরলেই স্মৃতিরা যেন নতুন করে বেঁচে ওঠে, আর মন ভরে যায় আবেগে। কিন্তু ইদানিং এই আবেগের জায়গায় শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা জায়গা নিচ্ছে। এত দূর্গম ও শান্ত গ্রামেও মাদকাসক্তির কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই শেকড় কি আর আগের মতো নিরাপদ, নির্মল পরিবেশ ধরে রাখতে পারবে? নাকি দিন দিন ভয় আর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে হারিয়ে যাবে? এই প্রশ্নগুলো আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়।’

শরিফুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মৌমারি গ্রামে।


আরও খবর