Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১০৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে আজ।


নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে বুধবারই অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে বলে জানা গেছে। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সদস্যের দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের পর এ কথা জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। 


নাহিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরবর্তী করণীয় ড. ইউনূসই ঠিক করবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থাকা সদস্যদের চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ থেকে ১৫ সদস্যের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। 



মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। 


পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।


রাষ্ট্রপতি বলেন, ‌‘দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি।’ 


এ সময় উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ারও পরামর্শ দেন। 


গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। তবে কোটা সংস্কার ঘিরে জুন মাসে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুর দিকে ব্যাপক সরকারবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয়। 


তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে গত সোমবার তিনি পদত্যাগ করেন। 


শুধুই তাই নয়, পদত্যাগের পর ৭৬ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। 


ধারণা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ প্রধান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আফ্রিদিকে হুমকি দিতেন ডিবি হারুন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭১জন দেখেছেন

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংহতি জানিয়ে সরব থাকতে দেখা গেছে দেশের কিছু প্রথম সারির কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবারদের। তাসরিফ খান, সালমান মুক্তাদিরসহ অনেকেই ছাত্রদের পক্ষে শুরু থেকেই সংহতি জানিয়ে এসেছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ হয়েও কথা বলতে দেখা গেছে কিংবা নিরব থাকতে দেখা গেছে কিছু ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের। তাদের মধ্যে একজন আলোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি।তৌহিদ আফ্রিদির নীরব ভূমিকা পালন করায় অনেকদিন ধরেই তার ওপর চড়াও ছিলেন নেটিজেনরা। রীতিমতো বয়কটের ডাক ওঠে নেটিজেনদের, করা হয় ব্যাপক ট্রল। অবশেষে আন্দোলনে নীরবতা নিয়ে মুখ খুললেন আলোচিত এই ইউটিউবার। মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন আফ্রিদি। যদিও সেই পোস্টটি তার কিছুক্ষণ পর সরিয়ে দেন আফ্রিদি।

সেই পোস্টটি পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরা হল-


আসলে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে আমি কখনোই কিছু বলতে চাইনি। কারণ, আমি কিছু বলতে গেলে সেখানে আরও অনেকের নাম যুক্ত হবে। তাই আমি কাউকে দোষ না দিয়ে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। যতদূর জানি বোবার নাকি কোনো শত্রু থাকেনা। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে শত্রু বেড়েই চলছে, সাথে বেড়েই চলছে আমাকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট গল্পের সংখ্যা।

বাংলাদেশের যখন কোটা আন্দোলন শুরু হয় তখন আমি দুবাইতে ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি তখন খুব খারাপ পর্যায়ে। আর তখনই আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করি যে আমি দেশে আসছি এবং কোটা আন্দোলনকারী ভাইদের পাশে দাঁড়াবো। এই পোস্ট করার পরও আমি তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। আমি যখন শহিদ আবু সাঈদ ভাইয়ের ছবি আমার সকল আইডিতে পোস্ট করি, কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার থেকে জিয়াউল আহসান কল দিয়ে বলে “তোমাকে একটা জিনিস জানাতে চাই তুমি যে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টগুলো দিয়েছো এগুলো এক্ষুনি তোমাকে সরাতে করতে হবে। তোমার সাথে কে কে যুক্ত এগুলোতে?”

এইটা শোনার পর আমি সাথে সাথে ফোন কেটে দিই। কিছুক্ষণ পরেই আমাকে ডিবি হারুন কলে বলে “এই তুমি কার কল কাটছো? তুমি জানো? তুমি, তোমার বাবা, তোমাদের টেলিভিশন, সব শেষ করে দিবে। এখনি উনাকে কল ব্যাক করো, যা বলে শুনো।” আমি ভয়ে পোস্ট ডিলিট করে দিই। আমার এখনো মনে আছে আমি সেদিন ভয়ে আমার পরিচিত কারোরই ফোন ধরিনি। কিন্তু ডিবি হারুন আমাকে ফোন দিয়েই যাচ্ছিলো।

পর দিন আবার ডিবি হারুন আমাকে ফোন দেয়। বলে “তোমার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে, দেশে আসলেই কিন্তু তুমি এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার হবা।” তখন আমি বলি, “চাচা আমি তো পোস্ট ডিলেট করে দিয়েছি।” আমি আরও বলি “চাচা পোস্ট তো আমি করি নাই। আমার এডমিন করছে।” যদিও পোস্টটা আমি করেছিলাম কিন্তু তখন ভয়ে আমি তাকে এই মিথ্যাটা বলি। এটা শোনার পর উনি আমাকে বলে “তোমার ওইসব অ্যাডমিন সরাও।” এরপর উনি আমাকে একটা অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক দিয়ে বলে “ওরে অ্যাকসেস দাও”। ডিবি হারুন আমাকে আরও বলে, “আফ্রিদি দেশে আইসাই তুমি আগে আমার সাথে দেখা করবা, তোমার নামে কিন্তু জঙ্গি মামলা হইছে।”

এরপর আমি আমার বাবার সাথে সব শেয়ার করি। তখন বাবা আমাকে বলে যে “তুমি দেশে আসো। ফেসবুকে পোস্ট করা লাগবেনা তুমি রাস্তায় নামো, তাহলে তো সমস্যা নাই। ঠিক এরপর দিন থেকেই পুরো বাংলাদেশ শাটডাউন থাকে। যে কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকে। যখন শাটডাউন শেষ হয় আমি বাংলাদেশে আসি। বাংলাদেশে আসার পর আমি আর ডিবি হারুনের সাথে যোগাযোগ করিনি। কিন্তু পরের দিনই আমাকে আবার NTMC থেকে কল দিয়ে ডাকা হয়। তারপর ওইখানে আমি যাই। গিয়ে দেখি ওরা হলিউড মুভির কেইস বোর্ডের মতো করে আমি সহ আরো কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সাদের ছবি টানিয়ে রেখেছে। আমার এখনো মনে আছে, ওদের কাজ দেখে আমি আতঙ্কে একই জায়গায় ৩০ মিনিটের বেশী সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওরা আমাকে বুঝিয়ে দিলো, কথার বাইরে গেলে সব শেষ আমার।

পরে একটা এজেন্সি আমাকে জরুরি তলব করে। আমি এরপর সেখানে যাই। যাওয়ার একটাই কারণ, এর আগেও আমরা সব ইনফ্লুয়েন্সাররা ওদের সাথে কাজ করেছিলাম। এজেন্সি আমাকে বলে “শুনো আফ্রিদি তুমি কার পক্ষে থাকবা বা বিপক্ষে থাকবা সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। তোমাকে ডাকার প্রধান কারণ হলো এই আন্দোলনে আমাদের দেশের যে ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে, যেমন ধরো মেট্রোরেল, সরকারি ভবনে ভাঙচুর ও আগুন এসব তো আর ছাত্রদের কাজ না। এগুলো তো সাধারণ মানুষেরই টাকাই বানানো। আর সরকার যদি ভুল করে সেটা নিয়ে অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজ করা যাবেনা। আর যারা যারা মারা গিয়েছে তাদের সুষ্ঠু বিচার চাইতে হবে।

আমাদের মোটিভ হচ্ছে দেশের এই অবস্থায় সোশাল অ্যাওয়ার্নেস তৈরি করা। সো তুমি এবং তোমার পরিচিত যেসব ইনফ্লুয়েন্সার আছে তাদেরকে নিয়ে এই অ্যাওয়ার্নেসটা সোশালি ক্রিয়েট করতে হবে। আমি এসব শুনে উনাকে ডিরেক্ট বললাম, ভাইয়া আমি তো এটা করতে পারবোই না আর যারা আছে তাদেরকে যদি ৫গুন টাকা বেশিও দেওয়া হয়, তাও তারা করবেনা। এটা বিবেক আর ক্যারিয়ারের ব্যাপার। তখন এজেন্সি আমাকে বলে “ আরে ভাই আমরা তো স্টুডেন্ট এর বিপক্ষে পোস্ট দিচ্ছিনা, আচ্ছা তুমি একটা মিটিং ফিক্সড করে দাও, বাকিটা আমি ওদেরকে বুঝিয়ে দিবো। এরপর আমি ওদের সাথে তাল মিলিয়ে হ্যাঁ-ওকে বলে ব্যাপারটা সেখানে শেষ করি।

আপনারাই একবার চিন্তা করে দেখুন এই অবস্থায় কেউ কি স্টুডেন্ট এর পক্ষে ছাড়া ভিডিও বা পোস্ট করবে, পেমেন্ট যতই হোক? যাইহোক এরপর কয়েকজন ছোট ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে নিয়ে আমি ওদের সাথে মিটিং করিয়ে দিই। মিটিংয়ে এজেন্সি সবাইকে সবকিছু এক্সপ্লেন করে। মিটিংয়ে সবাই পোস্ট এবং ভিডিও করার আশ্বাস দিলেও মিটিং শেষে কেউ ভিডিও দিতে আর রাজী ছিলোনা। এমনকি অনেকেই টাকা নিয়েছে কিন্তু ভিডিও দেয়নি। এরপর এজেন্সি থেকে আমাকে সবার ভিডিওর জন্য আবার ফোন দেওয়া হলে, আমি ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে আবার যোগাযোগ করি। সবাই আমাকে জানায় এমন পরিস্থিতিতে কেউ ভিডিও বা পোস্ট দিতে পারবেনা। একটা সময় এজেন্সি যখন দেখলো আমার এবং বাকি ইনফ্লুয়েন্সারদের কেউ কিছু করতে রাজী হচ্ছেনা তখন তারা বলে অ্যাটলিস্ট “সরকার যদি ভুল করে সেটা নিয়ে অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজ করা যাবেনা” এই পোস্টটা করো, ভিডিও করার দরকার নাই। একদিকে এতো এতো ছাত্র আর মানুষ মারা যাচ্ছিলো আর অন্যদিকে এজেন্সি আমার সাথে বারবার কন্টাক্ট করার চেষ্টা করছিলো, তখন আমি ডিরেক্ট ওদের সাথে কন্টাক্ট অফ করে দিই।

ছাত্রদের বিপক্ষে যাওয়া, কোন ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে হুমকি দিয়ে পোস্ট বা ভিডিও করা এবং ছাত্রবিরোধী কোনো ক্যাম্পেইনের সাথে থাকা, এসবে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আপনারা যেটা হুমকি দিয়ে ছাত্রদের বিপক্ষে ক্যাম্পেইনের কথা বলছেন সেই ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে আমার জিরো পার্সেন্ট আইডিয়াও নেই। আমার মিটিংটা ছিলো শুধু কয়েকজন ছোট ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কথা বলিয়ে দেওয়া।

এসব ঝামেলার মধ্যে হঠাৎ ডিবি হারুন আমাকে আবার কল দিয়ে বলে “তোমাকে দেখা করতে বলছিলাম, তুমি দেশে আইসা আমার সাথে দেখা করলানা কেন? তোমার নামে যে মামলা হয়েছে এটার একটা ব্যবস্থা তো করতে হবে তাই না?” সে এসব কথা বলে আমাকে আবার তার অফিসে ডাকে। যাওয়ার পর সে আমার সাথে আমার মামলা নিয়ে একটা কথাও বললো না। আমাকে সে বলে তার এক ভিডিও নাকি ভাইরাল হয়েছে, মানুষ নাকি তার ফেইস চেঞ্জ করে ভাইরাল করছে। আমি তখন তার কাছ থেকে ভিডিওটা দেখতে চাই। আমি তখনও জানতাম না তার কি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও দেখে আমি বুঝতে পারি যে এটা তারই ভিডিও, তারপর সে বলে তার ভিডিও অনলাইন থেকে রিমুভ করে দিতে হবে। আমি তখন তাকে বলি “চাচা আপনি সাইবার সিকিউরিটির সাথে কথা বলেন ওরাই পারবে”। কিন্তু সে বারবার আমাকে ফোর্স করে ভিডিওটা রিমুভ করে দিতে। পরে আমি তাকে বলি এইটা তো রিমুভ করা যাবেনা। এটা বলার সাথে সাথে সে এবার আমার মামলা নিয়ে কথা বলা শুরু করে। আমাকে বলে তোমার নামে তো জঙ্গি মামলা হয়েছে, তোমাকে কিন্তু এই মুহূর্তে অ্যারেস্ট করা যায়। আমাকে সে ইনডাইরেক্টলি হুমকি দেয়। তারপর তাকে দেখানোর জন্য আমি কয়েকজনকে ফোন দিই, তার ভিডিওটা রিমুভ করা যাবে কিনা। কিন্তু সবাই না বলে। এরপর তাকে আমি বলি যে আমি বাসায় গিয়ে একটা ব্যবস্থা করছি।

আপনারা যে কোন সেলিব্রেটিকেই জিজ্ঞাসা করুন, তারাই বলবে, ডিবি হারুনের কাছে যে একবার সাহায্যের জন্য গিয়েছে তাদেরকে সে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। তার ফেমাস হওয়ার একটা নেশা ছিল, সেটা তার পেইজের ভিডিও দেখলেই আপনারা বুঝবেন। যারাই তার কাছে যায়, তাদেরকে ভাত খাইয়ে সেটার ভিডিও করে সে ছেড়ে দেয়।

সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার এতো বাজেভাবে করতো যে, আমি এবং আমার এক ইউটিউবার বন্ধুকে দিয়ে সে তার রিসোর্টের প্রমোশনে যেতে বাধ্য করেছিলো। তার রিসোর্টের প্রমোশনে আমরা এতোটাই হেল্পলেস ছিলাম যে, পেমেন্ট পাওয়া তো দূরের কথা, নিজে খরচে, তার দেওয়া তারিখের মধ্যেই নো মেটার হোয়াট শুট করে, তার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই পোস্ট করতে হয়েছিলো। ইভেন প্রায়ই সে আমাকে তার অফিসে ডেকে ভ্লগু করতে বলতো।

আর আল্লাহর রহমতে ছোটবেলা থেকেই যে পরিমাণ টাকা দেখে বড় হইছি আমার টাকার প্রতি কোনো লোভ নাই । উপরে মহান আল্লাহ তায়ালা আছেন, উনি দেখছেন, উনি সাক্ষী আছেন, আমি কি করছি। আল্লাহ যদি মনে করেন আমি কোনো ভুল করছি তাহলে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিবেন। ভয়ে চুপ ছিলাম এটাই আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল । আর সেটার শাস্তি আল্লাহ আমাকে দিচ্ছেন। সেটার জন্য আমি আপনাদের কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি ।

আমার শুভাকাঙ্ক্ষী জানে এবং বিশ্বাস করে আমি কেমন। আপনি পাব্লিকলি যখন কিছু করবেন তখন আপনার পক্ষে বিপক্ষে অনেক মানুষ কথা বলবে। কিন্তু বিপক্ষের মানুষগুলো ভালো কাজে চুপ থাকে , আর যখনই কোনো অজুহাত পায় সেটাকেই তিলকে তাল বানিয়ে ফেলে। কথা আগেও হতো, এখনও হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে, কিন্তু তাই বলে আমি কখনো থামিনি এবং থামবোও না ইনশাহআল্লাহ। সেটার একমাত্র কারণ হলো আমার ওয়েলওইশারদের সমর্থন, এর আগেও থেমে যেতাম কিন্তু তারা আমাকে থামতে দেয়নি এবং আজকেও দিচ্ছেনা।

একটা ব্যাপার বলতেই হয়, নিউজ করেন ঠিক আছে, দেশটা স্বাধীন হয়েছে সবারই কথা বলার অধিকার আছে কিন্তু যাদের আমি চিনিই না তাদের সাথে দয়া করে আমাকে ইনভলড করবেন না । মানুষ আমার ব্যাপারে যা ইচ্ছা তাই বলে বেড়াচ্ছে। আর আমি চাইলে তো অনেকের ব্যাপারে প্রমাণসহ বলতে পারি । কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি `এভরিওয়ান ডিজার্ভস অ্যা সেকেন্ড চান্স।’



আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




খুন, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ১৩ মামলায় অভিযুক্ত বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৫জন দেখেছেন

Image

গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় অগ্নিসংযোগ ও হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালাসি সুমন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব  জানায় বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‍্যাব নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, চাঁদাবাজ, হত্যাকারী, বিভিন্ন থানা হতে লুট হওয়া
অস্ত্র ও বিভিন্ন সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‍্যাব নোয়াখালীতে, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার  নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকায় হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তারের 
লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজী, ডাকাতি, চুরি, মাদক ও হত্যা 
মামলাসহ সর্বমোট ১৩ টি মামলায় অভিযুক্ত ও ০১ টি অস্ত্র মামলায় ১৭(সতের) বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত 
ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আমজাদ হোসেন সুমন ওরপে খালাসি সুমন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে।
 বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মৃত লুৎফল হক লাতু মিয়ার ছেলে। 

 অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা কর্তৃক 
নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানায় আক্রমণ, ভাংচুরসহ অগ্নি সংযোগ,  লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটে। লুটপাটের একপর্যায়ে 
দুর্বৃত্তরা থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় বর্ণিত
আসামীসহ অপরাপর আসামীর বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়
যার মামলা নং ৪/১৩৮। গ্রেপ্তারকৃত আসামি খালাসি সুমন (৩৫) পেশায় একজন অস্ত্রধারী শীর্ষ 
সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অপহরণ, খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন  অপরাধের সাথে জড়িত। এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ 
থাকে। পরিবর্তি পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ করে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে
সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মর্মে অভিযোগ আছে। এলাকার লোকজন তাদের এরূপ 
কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করতো না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন 
মারধর সহ নিযার্তন করতো বলে র‍্যাব জানায়।
এই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর চৌকস আভিযানিক দল শীর্ষ সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন 
খালাসি সুমনকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর
আভিযানিক দল ০৬/০৯/২০২৪ ইং তারিখ মধ্য রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ওই 
সন্ত্রাসীকে গ্র্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী 
থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী মোঃ গোলাম মোর্শেদ
সহকারী পুলিশ সুপার
কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত)


আরও খবর

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে নতুন মুখ জাকের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭৭জন দেখেছেন

Image

ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে চোটের কারণে বাদ পড়েছেন শরীফুল ইসলাম। কুঁচকির চোট থেকে এখনো সেরে ওঠেননি এই বাঁহাতি পেসার। ভারত সিরিজের দলে প্রথমবার টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী।

টেস্টে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা জাকের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৪৯টি। ৪ সেঞ্চুরিতে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৮৬২। গত মাসে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাকের।পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টের পরই কুঁচকিতে অস্বস্তিবোধের কথা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছিলেন শরীফুল। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে বাঁহাতি এই পেসারের চোট ধরা পড়ে। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম তাঁর চোট নিয়ে তখন বলেছিলেন, ‘এসব চোটে সেরে উঠতে সাধারণত ১০ দিন লাগে, সে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শুরু করেছে।’ সে হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সুস্থ হওয়ার কথা ছিল শরীফুলের, তবে সেটি আর হয়নি। তাতে গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে দলের অন্যতম সেরা পেসারের বোলিং মিস করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

শরীফুলের পরিবর্তে একজন ব্যাটসম্যান নেওয়ায় টেস্ট দলে এখন পেসার থাকছেন ৪ জন। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। স্পিন বিভাগে যথারীতি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে থাকছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে যাচ্ছেন নাঈম হাসান। পাকিস্তান সফরেও তাঁরাই ছিলেন। ব্যাটিং বিভাগেও কোনো পরিবর্তন নেই। চোটের কারণে পাকিস্তান সফরে ম্যাচ খেলতে না পারা ওপেনার মাহমুদুল হাসান ভারত সফরের দলে আছেন।

শরীফুলের পরিবর্তে একজন ব্যাটসম্যান নেওয়ায় টেস্ট দলে এখন পেসার থাকছেন ৪ জন। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। স্পিন বিভাগে যথারীতি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে থাকছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে যাচ্ছেন নাঈম হাসান। পাকিস্তান সফরেও তাঁরাই ছিলেন। ব্যাটিং বিভাগেও কোনো পরিবর্তন নেই। চোটের কারণে পাকিস্তান সফরে ম্যাচ খেলতে না পারা ওপেনার মাহমুদুল হাসান ভারত সফরের দলে আছেন।

শরীফুলের পরিবর্তে একজন ব্যাটসম্যান নেওয়ায় টেস্ট দলে এখন পেসার থাকছেন ৪ জন। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। স্পিন বিভাগে যথারীতি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে থাকছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে যাচ্ছেন নাঈম হাসান। পাকিস্তান সফরেও তাঁরাই ছিলেন। ব্যাটিং বিভাগেও কোনো পরিবর্তন নেই। চোটের কারণে পাকিস্তান সফরে ম্যাচ খেলতে না পারা ওপেনার মাহমুদুল হাসান ভারত সফরের দলে আছেন।শরীফুলের পরিবর্তে একজন ব্যাটসম্যান নেওয়ায় টেস্ট দলে এখন পেসার থাকছেন ৪ জন। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। স্পিন বিভাগে যথারীতি সাকিব আল হাসানের সঙ্গে থাকছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে যাচ্ছেন নাঈম হাসান। পাকিস্তান সফরেও তাঁরাই ছিলেন। ব্যাটিং বিভাগেও কোনো পরিবর্তন নেই। চোটের কারণে পাকিস্তান সফরে ম্যাচ খেলতে না পারা ওপেনার মাহমুদুল হাসান ভারত সফরের দলে আছেন।দুর্দান্ত ছন্দ নিয়েই বাংলাদেশ দল ভারত সফরে যাবে। সর্বশেষ সফরে পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে জিতেছিল ৬ উইকেটে।

১৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। নাজমুল হোসেনের দল সেখানে দুটি টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দুটি সিরিজ খেলবে। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ আগস্ট।








আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




খালেদা জিয়ার বায়োপিক সিনেমা ‘আপসহীন’, অভিনয় করেছেন নিপুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি শেখ সেলিমের সাথে সম্পর্ক নিয়ে এফডিসির প্রভাবশালী নেত্রী, শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেত্রী নিপুনকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। যে সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর প্রকাশ্যে এসেছিলো কিভাবে নিপুন প্রভাব খাঁটিয়ে হেরে গিয়েও চলচিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদটি দখলে রেখেছিলেন।

তবে এবার নিপুন আলোচনায় এসেছেন খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করে। জানা গেছে, দীর্ঘ ১১ বছর পর আলোর মুখ দেখতে চলেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক ‘আপসহীন’। প্রয়াত পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার নির্মাণ করেছিলেন এ সিনেমা। একপ্রকার গোপনেই তিনি শেষ করেছিলেন ছবিটির কাজ।

সিনেমাটির মুক্তি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা হেলাল খান। এ সিনেমায় তিনি জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান।

হেলাল খান বললেন, ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, কএকদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত অস্থিরতার দিকে ধাবিত হলে এই চলচ্চিত্রের বিষয়টি গোপন রাখা হয়।

২০২২ সালে মারা যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সিনেমাটি নিয়ে প্রয়াত পরিচালক মাজহারুল আনোয়ারের অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানান তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) আগে ছবিটি সারাদেশে মুক্তি দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হেলাল খান জেলে থাকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার সিনেমাটি মুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।


আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ত্রাণের অপেক্ষায় বানভাসী মানুষ, খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য হাহাকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


কেউ বুক পানিতে, কেউ বা হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে  ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন একটু সাহায্যের আশায়। বানের তোড়ে জীবনের ঝুঁকিতে থাকা ঘরহারা বন্যার্তদের চোখে মুখে নিদারুণ আকুতি, শঙ্কা আর অজানা আতঙ্ক। 


হেলিকপ্টারে দুগর্ম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছে বিমান বাহিনী। ত্রাণের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।


দৃষ্টিসীমা যতদূর যায় তত দূরই বিস্তৃত ঢলের পানি। গ্রাম, লোকালয়, শহর, হাট-গঞ্জ আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। যে বাড়ির উঠান ভর্তি ছিল শিশুর হাসি, পরিবারের কর্মমুখরতা, যে ফসলি মাঠে ছিল কৃষকের সোনাঝরা ফসল সেখানে এখন হানা দিয়েছে থৈ থৈ পানি।



আকাশের ওপর থেকে দেখা যায় নীচে দাঁড়িয়ে সারি সারি অসহায় মুখগুলো। দুঃসহ আতঙ্কে কেউ হয়তো ঘুমায়নি গেল দু’ রাত। কারো ঘর ডুবেছে, কারো বা হারিয়েছে স্বজন। অভুক্ত শিশু নিয়ে কোনো মা হয়তো দাঁড়িয়ে আছেন বুক সমান পানিতে। সবারই অপেক্ষা যদি কেউ আসে। যদি মেলে দুমুঠো খাবার।


থৈ থৈ পানিতে যাওয়ার জায়গাও নেই মানুষের। ফেনীর ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, সোনাগাজী এলাকার সবখানেই থৈ থৈ পানি। ঢলের ঢেউ এসব মানুষের এক জীবনের সঞ্চয় কেড়ে নিয়েছে।


বাংলাদেশ বিমানবাহীনির পক্ষ থেকে দুগর্ম স্থানে দুগর্ত বানভাসিদের মাঝে বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয় গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট)। ত্রাণ পেতে ছুটে আসে দুর্গত মানুষ। অসহায় মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রী এখনো অপর্যাপ্ত। 


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান হেলিকপ্টারে ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও দেওয়া হয় ত্রাণসামগ্রী।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪