Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

গাজীপুর জেলা কারাগারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি:

হঠাৎ করেই গাজীপুর জেলা কারাগারে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এই গোলাগুলি শুরু হয়; যা এখনও চলছে বলে জানা গেছে।


গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, কারাগারে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এনআইডি সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ



দুই দফা দাবি আদায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ)-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারাদেশে এনআইডি সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।


মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে এক বৈঠক থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইডিইএ-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।



তারা জানান,এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে ইসিতে রাখা এবং আইডিইএ-২ প্রকল্পের নবম গ্রেড থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা কার্যক্রম।


দাবি না মানা পর্যন্ত সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস কর্মরতদের ঢাকায় এসে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়।



আইডিইএ প্রজেক্টের দুই হাজার ২৬০ জন লোকবল রয়েছে। এদের মাধ্যমেই এনআইডি’র যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।




আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশের এই টেস্ট দলকে সেরা বলে মনে করছেন হার্শা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ২১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ–ভারত সিরিজ নিয়ে আগ্রহ–উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগে থেকেই। প্রতিদিনই দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করায় এবার সাকিব–মুশফিকরা ভারতীয়দের কাছ থেকে বাড়তি সমীহ পাচ্ছেন।সমীহ করাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশিদের কাছেও পরিচিত নাম। বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রায়ই তিনি প্রশংসা করে থাকেন।

এবার রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেছেন হার্শা। ভারতকে ফেবারিট মানলেও নাজমুলের দল দারুণ লড়াই করে সিরিজ জমিয়ে তুলবে বলে আশা তাঁর।

গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো তারা (বাংলাদেশ) এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাদের কিছু পুরোনো সফরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে এবং ডারউইনে (ও কেয়ার্নসে) খেলা হয়েছিল অসময়ে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালের সেই সফরেও তিনটি টি–টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতলেও এরপর হেরেছে সব ম্যাচ। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি। মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সেই দল দুই টেস্টেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।

তবে এবারের বাংলাদেশ দলকে আগের চেয়ে অনেক ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে হার্শার। সে কারণেই তাঁর আশা সাকিব–মুশফিকরা সিরিজটা জমিয়ে তুলতে পারেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’

ভারতে এবার বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হার্শার বিশ্লেষণ, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক। তবে প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে।’



আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গাজীপুরের শ্রীপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

কামাল পাশা , শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি :

গাজীপুরের শ্রীপুর প্রেসক্লাবের  কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার শ্রীপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কর্মরত উপজেলা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।



সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ শ্রীপুর প্রেসক্লাব সভায় (২০২৩-২০২৪) সালের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ওই কমিটি বিলুপ্ত করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।



দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি এসএম ফারুক সভাপতি  ও দৈনিক নাগরিক ভাবনা প্রতিনিধি টিপু সুলতান  সাধারণ সম্পাদক  করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।


কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- এনামুল হক আকন্দ, আব্দুল হান্নান (সোহাগ প্রধান), রুহুল আমিন সুজন,  রেজাউল করিম, সুমন প্রধান,আবুল কালাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সেলিম মিয়া, নুরুল ইসলাম,আশরাফুল  আলম সরকার, মোবাশ্বির হোসেন হৃদয়, রফিকুল ইসলাম,  আল মাসুদ রানা,  মনসুর আহমেদ মাসুম, আবু বক্কর সিদ্দিক মোড়ল, ওসমান, মোঃ জহির, নুরুল ইসলাম, কামাল পাসা, হাবিবুর রহমান মানিক, নাজিমুদ্দিন, শামসুল আলম প্রধান, মোঃরতন প্রধান, জহির খান, সামী, বাবুল মিয়া, মোঃ বোরহান উদ্দিন,  নূর মোহাম্মদ নূর, মেহেদী হাসান, তুহিন রানা, কবির হোসেন, মহসিন মিয়া শাহীন, মোঃ ওমর ফারুক, মোজাম্মেল সরকার, রুবিয়া বেগম, বাবুল মিয়া, কামাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল কাদির উপস্থিত সকলের সামনে কমিটি ঘোষণা করা হয়


আরও খবর

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১১৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের টেলিকমখাতের বিটিএসগুলোতে (বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং ও ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম আজ ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক/ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।


এই চুক্তির আওতায় ওয়ালটন আগামী সাত মাসের (সম্ভাব্য)  মধ্যে টেলিকম লিথিয়াম ব্যাটারি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮০ হাজার ব্যাটারি উৎপাদনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রোডাকশন লাইন তৈরি করার পাশাপাশি সারা দেশে এই ব্যাটারির বিক্রয় ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পরিচালনা করবে। লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, ডিজাইনের নির্দেশনা, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে হুয়াওয়ে।


বহু বছর ধরে বিটিএস টাওয়ার ব্যাকআপ পাওয়ারের উৎসের জন্য লেড-এসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরশীল। এই ব্যাটারিগুলো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো পরিবেশবান্ধব নয়। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে লেড ব্যাটারি ৫০% বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। এছাড়া এগুলো বায়ু ও মাটির দূষণের জন্যও দায়ী। অন্যদিকে লেড-এসিড ব্যাটারির সক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কম। এর কার্যকারিতা মাত্র ৮০-৮৫%। পাশাপাশি স্থায়ীত্ব ও ব্যাটারি এনার্জি ডেনসিটিও কম। বিটিএস-এ এগুলোর জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়।


অপরদিকে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কার্যকারিতা প্রায় ১০০%। এই ব্যাটারি যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমন এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনও কম। পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি পরিবেশবান্ধব। এই কারণে বিটিএস টাওয়ারের ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে লিথিয়াম ব্যাটারি টেলিকমখাতে ইতোমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।


 তবে বাংলাদেশের বাজারে এখনো নিম্ন মানের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এইসব নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কম এবং রক্ষণাবেক্ষণও বেশ জটিল। এছাড়া এনএমএস (নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর মাধ্যমে এসব ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এই ধরনের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি কোনো সাইট থেকে চুরি হলে টেলিকম অপারেটররা সময়মতো চুরির ঘটনা সনাক্ত করতে পারে না। ফলে সেই সাইটে ব্যাকআপ পাওয়ার থাকে না এবং অনেক সময় সাইটটি বন্ধও হয়ে যায়। এই কারণে সেই এলাকার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হন।


 হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি এবং আগামীতে উৎপাদিত উচ্চমানের ইন্টেলিজেন্ট ব্যাটারি টেলিকম শিল্পে খরচ সাশ্রয়, পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। এছাড়া এর ব্যবহার বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।


 বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বর্তমানে সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তি মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রপ্তানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে।”


 ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে, উদ্ভাবনই অগ্রগতির চাবিকাঠি। এটি আমাদের প্রতিটি পণ্য, সল্যুশন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পিছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ হলো একটি অত্যাধুনিক লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা স্থাপন। এটি বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে বর্তমানে ব্যবহৃত লেড অ্যাসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, যার ফলে সামগ্রিকভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পাবে। এই প্রকল্পটি শুধুই একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়। সবুজ পৃথিবী রক্ষার যে অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়ালটন কাজ করে, এই চুক্তিটি সেই লক্ষ্যের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ। হুয়াওয়ের বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তির সাহায্যে লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে আমরা একটি সবুজ দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবো। 


হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারি ১৭০টির বেশি দেশে ৩৪০টিরও বেশি অপারেটর ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, বিশ্বের টেলিকম খাতে ব্যবহৃত শক্তির এক-তৃতীয়াংশের জন্য এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের শেয়ার ৩৫ শতাংশ। অপরদিকে, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বাধুনিক বহুজাতিক ব্র্যান্ড, যা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষভাবে দক্ষ। বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ওয়ালটনের সাথে আমাদের একটি কৌশলগত চুক্তি হয়েছে।


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাতিল হচ্ছে শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১৩০জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 


এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। দুই-একদিনের মধ্যেই পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে ইস্যু করা লাল পাসপোর্ট বাতিল করতে আদেশ জারি করা হচ্ছে। 


লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই কেবল মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট।



গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে তার সরকারের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে সরকার পতনের আগেই বিদেশে পাড়ি দেন।


ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। 


গত ৫ আগস্ট ভারত যান তিনি। ভারতের আইন অনুযায়ী আর ২৯ দিন দেশটিতে থাকতে পারবেন শেখ হাসিনা। যদি না এর মধ্যে সেই পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হয়। তাই বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত, ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজনও নেই। 


অন্যদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী। ফলে তিনি ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন। এই সুবিধায় তিনি যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারবেন।


পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ নতুন সরকার গঠন হলে মন্ত্রী-এমপিরা সংসদের মেয়াদকাল অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) পেয়ে থাকেন। সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায়। 


তবে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিলের আদেশ এলে সাধারণত বাতিল করা হয়। এরপর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ রঙের) পাওয়ার অধিকার রাখেন। 


তবে কারও নামে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে তবে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকলেই কেবল তিনি সাধারণ পাসপোর্ট প্রাপ্ত হবেন।


সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেই পাসপোর্ট সারেন্ডার করে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন। সূত্র: আমাদের সময়



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪