Logo
আজঃ রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুরে বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী, কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা, চক্রবর্তী, গাজীপুর সদরের শিরিরচালা এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে জিরানি পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলন নিরসনে দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।


আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, কারখানাটিতে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক আছে। ইতোপূর্বে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কারখানার আয়রন ম্যান মো. আরমানকে মারধর করে মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নেয়। শ্রমিকদের সন্দেহ দাবি উপস্থাপন করায় কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের লোকজন দিয়ে আরমানকে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে অপরদিকে, গাজীপুরের টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সিজন ড্রেস নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে এবং ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।


শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন ড্রেস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার ৫ থেকে ৬শ শ্রমিক কাজ করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বকেয়া বেতন ভাতা ও অন্যান্য দাবিতে কর্মবিরতি করে আন্দোলনে নামেন তারা। এসময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অপরদিকে, গাজীপুরের সদর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকার বেতন বৃদ্ধিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তাসমিয়া হারবাল লিমিটেডের শ্রমিকর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে তারা কারখানার ভেতরে হইচই শুরু করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করছে শিল্প পুলিশ।

এদিকে, বৈষম্য বিরোধী শ্রমিক আন্দোলন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন ভেরিতাস ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের শ্রমিকরা।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিজন ড্রেস কারখানার শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া বেতন ভাতা পরিশোধে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।





আরও খবর



কলাপাড়ায় জেলা পর্যায়ের শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড মূল্যায়ন-২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড জেলা পর্যায়ের মূল্যায়ন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র সমন্বয়কারী এবং মূল্যায়ন পরিচালনা করেন কলাপাড়া স্কাউটস সাধারণ সম্পাদক এবং খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো.নুরুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা স্কাউট কমিশনার মো.সুলতান আহম্মেদ, উপ-পরিচালক পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা সাকিলা ইয়াসমিন, জেলা স্কাউট লিডার সাইয়েদুল হক আজাদ, জেলা কাব-স্কাউট লিডার মো.কাইউম ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্কাউট লিডার শাহানাজ পারভীন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্কাউটস সহ-সভাপতি ও কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস, উপজেলা স্কাউটস কমিশনার ও খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো.আবদুর রহিম, উপজেলা স্কাউটস লিডার মো.নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি ইকবাল বাসার খান, সহ- কমিশনার ও মঙ্গলসুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুজ শাকিব কনা, মো.মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মামানৈ, সদস্য মো.মোয়াজ্জেম হোসেন, সঞ্জয় সিকদার ও শাহ-আলম প্রমুখ।

কলাপাড়ার মাধ্যমিক স্তরের প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড্#৩৯;র জন্য ৩৪ জন স্কাউট শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬১ জন কাব স্কাউট শিক্ষার্থী এ মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ৪০ মিনিট লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং প্রাকটিকাল (সাঁতার) কার্যক্রমের মাধ্যমে মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ, রাঙামাটিতে পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের শুরুতেই তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন নিহত, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবিতে গতকাল শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠন। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও (ইউপিডিএফ) অবরোধে সমর্থন জানায়।
এদিকে রাঙামাটিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি। গতকাল  রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা। গতকাল রাতে এক জরুরি সভায় তাঁরা এ ঘোষণা দেন।
অবরোধে সকাল থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম যাত্রাপথে চলাচলকারী শান্তি পরিবহনের বাস চলছে না। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেনের মোড়ের কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা হয়নি। কাউন্টারে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী ফেরত যান। একইভাবে একই রুটে চলাচলরত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাসও সকালে কোনো প্রান্ত থেকে ছাড়েনি। আন্ত–উপজেলায় চলাচলকারী জিপ বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলছে না।
জিপ মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান বলেন, ‘কোনো গাড়ি আজ থেকে চলবে না। বিভিন্ন উপজেলা এবং সাজেকে চলাচল করে আমাদের গাড়িগুলো। অবরোধের জন্য তা বন্ধ রয়েছে।’
একইভাবে রাঙামাটি ও বান্দরবানের সঙ্গেও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটিতে চলাচলকারীপাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও বান্দরবানের পূরবী ও পূর্বাণী বাস চলছে না। এ ছাড়া ঢাকায় চলাচলকারী বাসও ছাড়েনি। তিন জেলার সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ট্রাক ও পিকআপ গাড়ি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
রাঙামাটির ভেদভেদী এলাকায় দেখা যায়, শহরের স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাও বন্ধ রয়েছে। অবরোধে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।  

গত বুধবার খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালি সংঘাতের রেশ গতকাল পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য এই দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবারের সংঘাত, অগ্নিসংযোগ ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে। দুই জেলায় সেনা, পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্রে করে গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক বাঙালি যুবককে হত্যা করার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই দিন সেখানকার পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বাঙালিদের অভিযোগ, মিছিলটি বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, আগুনে দীঘিনালা বাসস্টেশন ও লারমা স্কয়ার এলাকায় ১০২টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে পাহাড়িদের ৭৮টি ও বাঙালির সম্প্রদায়ের ২৪টি দোকান রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলায় সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০)।

আগের দিনের ঘটনার জেরে গতকাল খাগড়াছড়ির পাশাপাশি রাঙামাটিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ির মৃত্যু ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে রাঙামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন পাহাড়িরা। মিছিলে ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি সাধন বিকাশ চাকমার মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৩০টি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ৫৫ জন। নিহত ব্যক্তির নাম অনিক কুমার চাকমা। তিনি কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের দুই জেলা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

আরও খবর



কম শুল্কে আমদানি পেয়াঁজ, হিলি বন্দরে কমেনি দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। গত দুই দিনের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়েই আমদানি হচ্ছে। তবুও কমেনি পেঁয়াজের দাম। বরং আগের চেয়েও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা।হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে এই বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। বর্তমান কম শুল্কের পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। 

হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে ভারত থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক আর ৫৫০ ডলারে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি হতো। তখনও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। কিন্তু ২০% শুল্ক কমে এবং ১৪৫ টাকা ডলার দাম কমে গত বুধবার ভারত থেকে এই বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। ডলারের দাম এবং শুল্ক কমলেও, আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আমদানিকারকরা।   

হিলি বাজারের পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আজও ওই একই দামে বিক্রি করছি, বরং আগের চেয়ে আরও দাম বেশি চাচ্ছে আমদানিকারকরা। আমরা আশা করেছিলাম কম শুল্কের পেঁয়াজ এলে দাম অনেক কমে যাবে। আজ আমরা আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৮২ টাকা করে প্রতি কেজি ক্রয় করে, তা ৮৫ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করছি।


আরও খবর



অক্টোবরে আর্জেন্টিনার দুটি ম্যাচ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আগামী মাসে ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ১০ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে খেলবে আলবিসেলেস্তেরা। পরের ম্যাচ খেলবে বলিভিয়ার বিপক্ষে, ১৫ অক্টোবর।

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এখনও পর্যন্ত টেবিলের শীর্ষে আছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৮ ম্যাচে ৬টিতে জিতে তাদের পয়েন্ট ১৮, বাকি দুই ম্যাচে তারা হেরেছে। ভেনেজুয়েলা আছে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। ৮ ম্যাচ খেলে তাদের জয় মাত্র দুটিতে, দুই ম্যাচে হার এবং বাকি চার ম্যাচে তারা ড্র করেছে।

অন্যদিকে বলিভিয়ার অবস্থান ৮ নম্বরে। ৮ ম্যাচ খেলে ৩ জয় ও ৫ হারে তাদের পয়েন্ট ৯। নয় নম্বরে আছে চিলি, তাদের পয়েন্ট মাত্র ৫। ৮ ম্যাচে তারা জিতেছে মাত্র ১টিতে। ৫ ম্যাচে হার ও দুই ম্যাচে ড্র করেছে চিলি। গ্রুপের তলানিতে আছে পেরু। এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা যায়নি এই দল। ৮ ম্যাচে ড্র করেছে ৩টি, বাকি ৫ ম্যাচেই হেরেছে।

এখনও পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলার ১৪ বারের দেখায় ১০ বারই জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে এবং বাকি দুটি জিতেছে ভেনেজুয়েলা। সবশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০২২ সালে। সেবার ৩-০ গোলে জিতেছিল স্ক্যালোনির শীষ্যরা।

এ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়া মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৬ বার। তার মধ্যে ১১ ম্যাচেই জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। ৩ ম্যাচ ড্র ও বাকি দুটিতে জিতেছে বলিভিয়া। দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।


আরও খবর



নামাজ না পড়ার ভয়াবহ শাস্তি

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। মহানবী (সা.) ইন্তেকালের আগে সর্বশেষ যে ব্যাপারে অসিয়ত করেছেন, সেটি হলো নামাজ। আনাস (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইন্তেকালের আগে নামাজের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া এবং অধীনদের প্রতি সহনশীল হওয়ার অসিয়ত করেছেন। আবু উমামা বাহিলি (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিদায় হজের ভাষণে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘তোমরা নিজ প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করো, তোমাদের রমজানে রোজা রাখো, তোমাদের সম্পদের জাকাত আদায় করো এবং (নীতিবান) আমিরের আনুগত্য করো, তাহলেই তোমরা স্বীয় রবের তৈরি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৬১৬)

নামাজের গুরুত্ব
ঈমানের পর ইসলামের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হলো নামাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো দ্বিনের স্তম্ভ।’ সুতরাং বড় বড় মজবুত অট্টালিকা নির্মাণ করতে গেলে যেমন মূল ফাউন্ডেশনের দিকে লক্ষ রাখা অতি জরুরি, তেমনি নিজের দ্বিন ও ঈমানকে মজবুত রাখতে হলে নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া আরো বেশি জরুরি। সব নবী-রাসুলের শরিয়তে নামাজ আদায় করা আবশ্যক ছিল। (শরহু মায়ানিল আসার, হাদিস : ৯৬২) নামাজ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা কখনো ছেড়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো। যদি দাঁড়াতে সক্ষম না হও, তাহলে বসে আদায় করো। তাতেও যদি সক্ষম না হও, তবে শুয়ে আদায় করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১১৭)
বেনামাজির শাস্তি
নামাজ না পড়া জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, জান্নাতের অধিবাসীরা (জান্নাতে যাওয়ার পর) জাহান্নামিদের জিজ্ঞেস করবে, ‘কোন জিনিস তোমাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করল? তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না...।’ (সুরা মুদ্দাচ্ছির, আয়াত : ৪২-৪৩) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘এবং যে আমার স্মরণ (নামাজ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’ (সুরা : ত্ব-হা, আয়াত : ১২৪) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন মুসলমান আর শিরক-কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ।’ অর্থাৎ বেনামাজি আর মুশরিকের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮২) এ ছাড়া মহানবী (সা.) বেনামাজির শাস্তি সম্পর্কে বলেন, ‘জাহান্নামে তাদের মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৪৩) নামাজের ব্যাপারে তাই সব ধরনের অলসতা দূর করে অত্যধিক যত্নশীল হওয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়াও একান্ত আদবের সঙ্গে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৩৮)



আরও খবর

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪