Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১২৭জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ


কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।


মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।


এর আগে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।


এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষই অবস্থান করছে। 



সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার রাতেও ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।


এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাতেই ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতে ভিসির বাসভবনের সামনেই অতর্কিত হামলার শিকার হন তারা।


ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের শুরু গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। 



এ ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আহত ও শহীদদের জন্য গঠিত এ ফান্ডে অনুদান দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মীর মাহফুজুর রহমানের (মুগ্ধ) ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তারা। একইসাথে এসময় সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকার চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এসময় দেশবাসী ও বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আপনাদের অনুদান আমাদের কাছে জরুরি। যারা আহত তাদের চিকিৎসার জন্য এবং নিহতদের পরিবারের সহায়তার জন্য আমরা এ অনুদান সংগ্রহ শুরু করেছি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই- আগস্টের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের কাছাকাছি আহত রয়েছেন। নিহত প্রায় ৮০০ জন। সরকারের কাছ থেকে একশ’ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। এখন এ ফান্ডে অনুদান দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জরুরি আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। যারা হাসপাতালে ভর্তি এবং আর্থিক সংকটে ভুগছেন এমন শহীদ পরিবারকে সহায়তা করা হবে।

তিনি আরও জানান, প্রথমে শহীদ পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে এককালিন আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এরপর দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। একইসাথে মানসিক হেল্থ কাউন্সিলের মাধ্যমে সেবা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৪৭জন দেখেছেন

Image

এক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে কলকাতার পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড। গত কয়েক বছরে একাধিক অভিনেত্রী অবশ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করে এসেছেন পরিচালক। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরিন্দমের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তা হতে হয়েছে তাকেও। অরিন্দমের বিরুদ্ধে যে অভিনেত্রী মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাকে প্রথমেই অভিবাদন জানিয়েছেন সুদীপ্তা।

পাশাপাশি অরিন্দমের সঙ্গে একাধিক কাজ করলেও কখনও তার সঙ্গে হেনস্তার অভিজ্ঞতা ঘটেনি বলেই জানান তিনি। যদিও বহু বছর ধরে অন্য নারীদের অভিযোগের কথা যে কানে এসেছে, সে কথা জানালেন সুদীপ্তা। ভারতীয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘অরিন্দমদার সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। আমার সরাসরি তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু প্রচুর মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা শুনেছি। এটা আমার ভুল যে এর বিরুদ্ধে সরব হইনি। তবে ওই মেয়েটিকে অভিবাদন জানায়, যিনি মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছেন।’অরিন্দম নিজের ভুল স্বীকার করেছেন জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা জেনে ভাল লেগেছে যে, অরিন্দমদা নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটাও সাধুবাদ জানানোর মতো। অভিনন্দন জানাব ওই মেয়েটিকে। অন্য মেয়েদের বলব কাজ হারানো টাকা না পাওয়ার ভয় কাটিয়ে প্রকাশ্যে আসতে এবং তারা সেটা করছেন। এগুলো নিয়ে যে কথা হচ্ছে, সেটা খুব ভালো বিষয়।’

অভিনেত্রীর কথায়, ‘একজন মেয়েকে অশালীন ভাবে ছোঁয়ার বিষয় নয়। এখানে মেয়েদের শরীর নিয়ে কথা বলা হয়। মহিলাদের হেয় করা হয়। নোংরা গালাগালি দেওয়া হয়। শুনি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই গালিগালাজ করাটাই প্রথা। কত ছোট ছোট মেয়েরা কাজ করে, তাদের অভিভাবকরা এসব দেখে ভয় পেয়ে যান! এবার এই কালচারটা বন্ধ হওয়ার সময় এসেছে।’


আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাফলার বিলে সাদা শাপলার সমারোহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের রনচন্ডী ইউনিয়নে অবস্থিত বাফলা গ্রাম। ১৩ কিলোমিটারের ৩৫০ বিঘা খাস জমির ওপর এই বিল।

এ বিলের নাম গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছে ‘বাফলার বিল’।  

বর্তমানে এই বিলের পানিতে ফুটেছে অসংখ্য সাদা শাপলা ফুল। দৃষ্টিনন্দন এই শাপলার সমারোহ দেখতে প্রতিদিন বিলপাড়ে ভিড় করছেন মানুষ।  

বাফলার বিলের এই সাদা শাপলা মানুষকে মুগ্ধ করছে। বেড়াতে আসা লোকজন সেলফি তুলছেন। গ্রামীণ জনপদে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিলটি নিয়ে কিছু করা যায় কিনা ভাবছে।এলাকার সাংবাদিক শামীম হোসেন জানান, এ বিলে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন কয়েকশ মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ বাফলার বিল শীত মৌসুমে অতিথি পাখিতে ভরে যায়। আবার গ্রীষ্ম মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে স্থানীয়রা বোরো আবাদ করেন।  

তিনি বলেন, পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় সরকারি সহায়তা পেলে বিলটি পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে উঠবে।  

বিলের পাড়ে ঘুরতে আসা নীলফামারীর কলেজ ছাত্রী আনজুমান আরা বলেন, কিশোরগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এসে শুনলাম বাফলার বিলে অনেক সাদা শাপলা ফুল ফুটেছে। তাই এসেছি এখানে। মনোরম পরিবেশ। ভালোই লাগছে।  

সৈয়দপুর থেকে আসা নওশাদ আনসারী বলেন, দারুণ একটি জায়গা। প্রকৃতির সান্নিধ্যে একেবারে হারিয়ে যাওয়া যায়। অনেক সেলফি তুলেছি।  

রনচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বলেন, ঐতিহ্যবাহী বাফলার বিল। এখানে সৌন্দর্য যেন অপরূপ মহিমা প্রকাশ করে। স্থানীয়রা এ বিলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শীতের সময়ে এখানে অতিথি পাখিদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে যায়। আর এখন শাপলা ফুলে বিলটির সৌন্দর্য আরও বেড়ে গেছে। বিলে স্থানীয়দের নৌকা আছে, কেউ ঘুরতে চায়লে মাঝিরা নৌকায় ঘোরায়। প্রত্যেকদিন কমবেশি অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। সরকারিভাবে বিলটিকে পর্যটনের উপযোগী করা দরকার এটিতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এখানকার সাদা শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য মন কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের। অনেকেই ফুলের সঙ্গে ছবি ফ্রেমবন্দি করতে ছুটে আসছেন।  

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমি হক বলেন, বিলটির সৌন্দর্য রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেটি করার চেষ্টা করবো। আমি নতুন এসেছি। এখানকার মানুষের জন্য কাজ করবো অবশ্যই।


আরও খবর



কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ২৬জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : সৃষ্টির ওপর স্রষ্টার মর্যাদা যেমন, সব বাণীর ওপর কোরআনের মর্যাদাও তেমন। তাই ঐশীবাণী পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াতের ফজিলত এবং মর্যাদাও সবচেয়ে বেশি। এতে রয়েছে অনেক সওয়াব, কল্যাণ, রহমত, বরকত, আত্মার প্রশান্তি ও ইমানি শক্তি। কোরআনের প্রতিটি আয়াতে যেমন রয়েছে বিশ্ব মানবতার হেদায়েত ও মুক্তির বার্তা, তেমনি কোরআন তেলাওয়াতে রয়েছে বিশ্ববাসীদের জন্য অফুরান সওয়াব ও পুরস্কারের ঘোষণা। কেননা বান্দার জন্য আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার একমাত্র মাধ্যম পবিত্র কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের বয়সের সময় ও শ্রম কম, কিন্তু তার সম্মান ও সওয়াব অনেক বেশি।

এ উম্মতকে আল্লাহতায়ালা কালামুল্লাহ বা আল কোরআন দান করেছেন, যা স্বয়ং আল্লাহর কথা। হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলতেন, তবে তা ছিল নির্ধারিত সময়ে। আর এ উম্মতের জন্য যখন খুশি তখন আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। হজরত আলী রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু বলেন, আমার যখন মন চাইত আল্লাহর সঙ্গে কথা বলব, তখন আমি কোরআন তেলাওয়াত শুরু করে দিতাম। রমজান মাস ছাড়া পবিত্র কোরআন শরিফ খতম করে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ইচ্ছে করলে নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে ও সকাল-বিকাল দু-চার পৃষ্ঠা করে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা যায়। তাতে দেখা যাবে প্রতি দুই মাস তিন মাসে একটি করে খতম হয়ে যাবে। এছাড়াও কাজের সময়ও মুখস্থ করা ছোট ছোট সুরাগুলো আমরা পড়তে পারি অথবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে থেকে দেখে দেখে তেলাওয়াত করতে পারি। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব নিয়মিত তেলাওয়াত করবে সেই ব্যক্তিকে যখন মৃত্যুর পর কবরে দাফন করা হয় তখন ফেরেশতারা মাথার দিক থেকে আজাব দেওয়ার জন্য এলে তখন কোরআন তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা সামনের দিক থেকে আসে তখন দান-সদকা তাকে বাধা দেয়, যখন ফেরেশতা পায়ের দিক থেকে আসে, তখন মসজিদে পায়ে হেঁটে যাওয়া তাকে বাধা দেয়। হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে মমিন ব্যক্তি কোরআন তেলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হলো কমলা লেবুর মতো, তার স্বাধও ভালো আবার ঘ্রাণও ভালো।

তেলাওয়াতবিহীন মুমিনের উদাহরণ হলো খেজুরের মতো, তার স্বাদ ভালো কিন্তু কোনো ঘ্রাণ নেই। আর কোরআন তেলাওয়াতকারী পাপী ব্যক্তির উদাহরণ হলো ফুলের মতো, ঘ্রাণ ভালো কিন্তু স্বাধ তিক্ত। আর যে কোরআন তেলাওয়াত করে না এমন পাপী মমিনের উদাহরণ হলো মাকালের মতো, যা দেখতেই সুন্দর, তবে স্বাধে তিক্ত, বিষাক্ত ও দুর্গন্ধময়। (বোখারি)। বিশ্বনবী প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোরআনের আয়াতের সংখ্যার পরিমাণ হবে জান্নাতের সিঁড়ি, আর কোরআনের পাঠককে বলা হবে তুমি যতটুকু কোরআন পড়েছ, ততটুকু সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাও। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কোরআন পড়েছে, সে আখেরাতে জান্নাতের সর্বশেষ ধাপে উঠে যাবে। আর যে ব্যক্তি কোরআনের কিছু অংশ পড়েছে, সে সমপরিমাণ ওপরে উঠতে পারবে।

আর তার কোরআন পড়ার সীমানা যেখানে শেষ হবে সেখানে তার সওয়াবের সীমানাও শেষ হবে। দুনিয়াতে কোরআন চর্চা তথা শিখা এবং শিখানোর ফজিলত সম্পর্কে প্রিয় নবী বলেন, তোমাদের মধ্যে সর্ব উত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শিখে অতঃপর অন্যকে শিখায়। (বুখারি)। প্রিয় নবী আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি  কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে একটি নেকি পাবে আর একটি নেকি ১০টি নেকির সমপরিমাণ। (তিরমিজি)। দয়ার নবী (সা.) ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন কোরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে- তুমি পবিত্র কোরআন পড় এবং জান্নাতের ওপরে উঠতে থাক, যেভাবে তুমি দুনিয়াতে সুন্দর ও সহিভাবে, তারতিলের সঙ্গে কোরআন পড়তে, সেভাবেই পড়। জেনে রাখ যেখানে তোমার আয়াত পাঠ করা শেষ হবে, জান্নাতের সেই সুউচ্চ স্থানই হবে তোমার চিরস্থায়ী সুখ শান্তিময় বাসস্থান। (তিরমিজি)।

প্রিয় নবী (সা.) আরও ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করবে, তা মুখস্থ করবে এবং তার বিধি বিধানের প্রতি যত্নবান হবে, সে উচ্চ মর্যাদার সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে জান্নাতে অবস্থান করবে, আর যে ব্যক্তি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কোরআন পাঠ করবে এবং তার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবে, সে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (বুখারি- মুসলিম)। নবীজি (সা.) আরও ইরশাদ করেন, তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর, কেননা কেয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হবে। 



আরও খবর

ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলেমদের মতামত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোরী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬২জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতে মামার সাথে দেখা করতে গিয়ে কুলাউড়া সীমান্তে   বিএসএফের গুলিতে জুড়ীর স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী  নিহত হয়েছেন। স্বর্ণা জুড়ী  উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনিগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়।

জানা গেছে, গত রোবরাব (১ সেপ্টেম্বর)  সকালে স্বর্ণা দাস তার মা  সনজিতা রানী দাসের সাথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শনিছড়া গ্রামের তার মামা কার্তিক দাসের সাথে দেখা করতে কুলাউড়া  উপজেলার লালার চক সীমান্তের দিকে রওনা দেন। সেখানে যাবার পর দালালদের খপ্পরে পড়েন।  দালালরা স্বর্ণা ও তার মাকে রোববার  রাতে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর  সময় বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা নিহত হয়।

স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস  জানান, রোববার মেয়েকে নিয়ে স্বর্ণার মা ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হন। সোমবার  ভারতে স্বর্ণার মামার বাড়িতে  যোগাযোগ করে জানতে পারেন স্বর্ণা ও তার মা সেখানে যাননি। পরে তিনি অনেক খোঁজাখুঁজির পর  এক সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে শমসেরনগরে এক দালালের বাড়ি থেকে  স্বর্ণার মাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সোমবার বিজিবির মাধ্যমে তার মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি পুরোপুরি  নিশ্চিত হন। মেয়েকে ফেরত গেতে তিনি সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।

স্বর্ণার মা সনজিতা রানী জানান, রোববার গভীর রাতে  দালালরা জোরপূর্বক  তার মেয়েসহ তাকে  ভারতে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিএসএফ গুলি করলে তার মেয়ের গায়ে গুলি লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মেয়েকে বাংলাদেশের দিকে টেনে নিয়ে আসার  চেষ্টা করেও আনতে পারেননি। মেয়ের শোকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি।  নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাস জানান স্বর্ণা দাস ওই বিদ্যালয়ের  অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এভাবে তারা ভারতে যাবেন  জানলে বাধা দিতেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মদনমোহন দাস বলেন, সোমবার বর্ডার গার্ড বিজিবির  মাধ্যমে স্বর্ণার মৃত্যু সংবাদ জানতে পারেন। তিনি দুই দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের দাবি জানান।

বিজিবি লালারচক ক্যাম্প  কমান্ডার নায়েক  ওবায়েদ জানান,অবৈধ  ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় বিএসএফের গুলিতে কিশোরী  স্বর্ণার মৃত্যু হয়েছে। পতাকা বৈঠকের পর মঙ্গলবার বিকেল  বিএসএফের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করে পরিবারের কাছে  হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪