Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিবেদক: প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর জামিনের মুক্ত হলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তারা।


মুক্তি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, মাগুরার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ ও ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সালাউদ্দিন। প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান তারা।


আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত বলেন, ‘আসামিরা কেউ রাষ্ট্রবিরোধী নয় বরং রাষ্ট্রের পক্ষেই আন্দোলন করেছে। যে ধারায় এই মামলাটি করা হয়েছে সেই ধারায় এই মামলাটি চলে না। মূলত একটি মহলের ইন্ধনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলাটি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির মধ্যে পেশাগত বৈষম্য, বোর্ডের সরবরাহ করা নিম্নমানের মালামাল ও দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে কথা বলাতেই রোষানালে পড়তে হয়েছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের। একটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়েই তাদের এই পরিণতি হয়েছে। যা নতুন বাংলাদেশে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’


আনোয়ার শাহাদাত বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করতে হলে যেই ধরনের ফৌজধারী কার্যবিধি ও প্রসিডিউর অনুসরণ করতে হয় এই মামলার ক্ষেত্রে তা প্রতিপালন করা হয়নি। এই মামলার কোনো মেরিট নেই মিনিং লিস্ট একটি মামলা। আদালত বিষয়টি অনুধাবন করে আসামিদের জামিন দিয়েছেন।’


এর আগে ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়।


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমসংস্কার করে বোর্ড ও সমিতিকে একীভূত করণ এবং অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের যৌক্তিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় সরকার একাধিক কমিটিও করে দিয়েছিল। সেই কমিটি আলোচনার জন্য একাধিক মিটিংও করেছে।


হঠাৎ করেই সরকার পরিবর্তনের পর কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি মেনে না নিতে নানা ধরনের হয়রানিমূলক পদক্ষেপ নেয় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এরপর সমিতির ২৪ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অন্যান্য শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংযুক্ত ও স্ট্যান রিলিজ, হয়রানিমূলক বদলীসহ একেরপর এক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে। শুধু তাই নয় বোর্ডের এমন পদক্ষেপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ খাত। একপর্যায়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, সাইবার নিরাপত্তা আইনে পৃথক তিনটি মামলা করে বোর্ড। এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আড়াই মাস পর কর্মকর্তারা জামিন লাভ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


আরও খবর



উত্তরণের একসেস প্রকল্পের ইউনিয়ন পর্যায়ের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু   :স্টাফ রিপোর্টার;

রায়েন্দায় উত্তরণের একসেস প্রকল্পের ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২১ মে, ২০২৫) সকাল ১০ টায় রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উত্তরণ সংস্থার বাস্তবায়নে একসেসপ্রকল্পের আওতায় প্রকল্প অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডি আর-আর এন্ড ওয়াশ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ইমন। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুর আলম, মনিরুজ্জামান তালুকদার, ইউপি সদস্য মোাঃ কাওসার হোসেন,  ইউপি সদস্য মাফিয়া বেগম, ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম এবং স্থানীয় পর্যায়ের পেশাজীবি এবং প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের এগ্রিকালচার এন্ড লাইভলিহুড কর্মকর্তা অভিক রঞ্জন মন্ডল, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা অনিত কুমার দাস এবং রুহুল আমিন। প্রকল্পের কর্মকর্তা বৃন্দ প্রকল্প নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন, পাশাপাশি সভার অংশগ্রহনকারীরা এলাকায় কাজের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

উত্তরণের এই প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্যোগ ঝুঁকি নিরসণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও জীবিকায়ন, স্থানান্তরিত মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যকর পরিষেবা বিষয়ক কাজের পরিকল্পনা রয়েছে।


আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলো, জানুন নতুন মূল্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১২১জন দেখেছেন

Image

সরকার সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে নতুন ‘এক দেশ, এক রেট’ নীতি ঘোষণা করেছে, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিরাট সান্ত্বনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবাদাতারা (আইএসপি) নির্দিষ্ট গতিতে একই রকম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবেন, যাতে গ্রাহকরা সারাদেশে একই মূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেতে পারেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)  রোববার (১৮ মে) নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করে। নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, পাঁচ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড (৫ এমবিপিএস) গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে চারশত টাকা, যা আগে ছিল পাঁচশত টাকা। একইভাবে, দশ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ডের (১০ এমবিপিএস) ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে সাতশত টাকা এবং বিশ মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড (২০ এমবিপিএস) গতির ইন্টারনেটের মূল্য এক হাজার একশত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে এই দামগুলো যথাক্রমে ছিল পাঁচশত, আটশত ও এক হাজার দুইশত টাকা।

ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি জানায়, নতুন ট্যারিফ কার্যকর হলেও, ইতিমধ্যে কিছু সেবা প্রদানকারী কম দামে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছেন। তবে সরকার সব সেবাদাতাদের জন্য এই ট্যারিফ বাধ্যতামূলক করেছে।

নতুন ট্যারিফ আগামী জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে এবং প্রথম ধাপে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, পরবর্তীতে বাজারের চাহিদা ও গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় এই ট্যারিফ প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যেতে পারে।

নির্ধারিত ট্যারিফের শর্তাবলী অনুযায়ী:

১. বিটিআরসির লাইসেন্সধারী সব সরকারি ও বেসরকারি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এই ট্যারিফ অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবেন।

২. গ্রাহক সেবার মান ও পরিষেবার নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’ এর মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রেড এ, বি ও সি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইএসপি গুলো এই মান বজায় রাখবে।

৩. পাঁচ দিন ধরে অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে গ্রাহক মাসিক বিলের পঞ্চাশ শতাংশ, দশ দিন হলে পঁচিশ শতাংশ এবং পনেরো দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে মাসিক বিল দিতে হবে না।

৪. সরকারের অনুমোদিত সর্বনিম্ন ইন্টারনেট স্পিড হবে ৫ এমবিপিএস এবং সংযোগ রেশিও ১.৮ আনুপাতিক হারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫. অনুমোদিত ট্যারিফ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং ট্যারিফের বাইরে অন্য কোনো সেবা বা মূল্য গ্রহণযোগ্য নয়।

৬. অনুমোদন ছাড়া ট্যারিফের বাইরে সেবা প্রদান করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই নতুন উদ্যোগ গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সেবাকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে এবং সারাদেশে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




ঢাকা জেলার দোহারে গণধর্ষণ মামলার আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 ভিকটিম তার খালাতো বোন এর সাথে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন জয়পাড়া কালেমা চত্বর হোটেলে রাতের খাবার খেতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে জয়পাড়া কলেজে পৌছালে আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিম ও তার খালাতো বোনকে ডাক দিয়ে তাদেরকে জুস খেতে দেয়। পরবর্তীতে আসামীগণ তাদেরকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুই মোটরসাইকেলে দুইজনকে উঠাইয়া ভিকটিমদের বাসার দিকে নিয়ে যায়। আসামীগণ ভিকটিমদেরকে তাদের বাড়ির সামনে না নামিয়ে দ্রæত মোটরসাইকেল যোগে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় ভিকটিমের খালাতো বোন মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। ভিকটিমের খালাতো বোনের কাছ থেকে ভিকটিমের বাবা নাঈম হোসেন (৩৮) ঘটনার বিস্তারিত শুনতে পেরে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে আসে। ভিকটিমের নিকট হতে তার বাবা জানতে পারে যে, আসামী সিফাত হোসেন @ মনিসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমকে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন খাড়াকান্দা পালবাড়ী ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গিয়ে গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ অনুমান ২২.৩০ ঘটিকা হতে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আসামীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ঢাকা জেলার দোহার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১৬/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত/২০২০) এর ৯(৩)। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২), পিতা- খোকা মিয়া, সাং- উত্তর জয়পাড়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর



গাজা যুদ্ধ: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা চাপ ও নেতানিয়াহুর জবাব

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ভয়াবহতা এবং তাতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করা হতে পারে। একইসঙ্গে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারাও সরাসরি ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে টালমাটাল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক আবহাওয়া।

সোমবার (১৯ মে) ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, “ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই দাবিকে “হাস্যকর” ও “অমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মতপার্থক্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসরায়েলকে ত্যাগ করবে না।” ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও এই বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে চান। তিনি বলেন, “মানুষ সেখানে অনাহারে মরছে, ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান।”

এর আগেও গোপন আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্ত করে এনেছে। এই আলোচনায় ইসরায়েলকে সম্পৃক্ত না করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেতানিয়াহু সরকারের ভেতরেও।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও ত্রাণপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে। তারা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।”

এই তিন দেশ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবাহের দাবি জানায়।

তবে এই বক্তব্যের জবাবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর হামলার পর ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে। এভাবে তারা ভবিষ্যতের আরও রক্তপাতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যতক্ষণ না পূর্ণ বিজয় অর্জন করছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। আমরা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং সব জিম্মির মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।”

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় গাজার সব বাসিন্দা।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর চাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সঙ্কটের দায়ে ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটছে অনেক পশ্চিমা দেশ। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘটনাগুলো বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫