Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহর ভয়াবহ দাবানলে গত ছয় দিন ধরে পুড়ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নিলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। পুড়ে ছারখার হচ্ছে একের পর এক এলাকা। এই আগুনে বাড়ি পুড়েছে বিনোদন জগতের অনেক তারকার। যেই তালিকায় আছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার। সম্প্রতি নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এমনটাই জানিয়েছেন এই নায়িকা। খবর : রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড


শুরুতেই প্রীতি লিখেছেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি এমন একটি দিন দেখতে পাব। লস অ্যাঞ্জেলস শহরটি আগুনে জ্বলছে। আমাদের আশপাশের এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে গছে। এখান থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা নিরাপদ আছি। কিন্তু আগুন ঝর থেকে কখনও আমি ভাবিনি বাঁচব। এমন মুহূর্তের সম্মুখীন হয়েছিলাম।’



এরপর সে খানকার ভয়ংকর দৃশ্যের কথা শেয়ার করে প্রীতি আরও লিখেছেন, ‘গোটা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আকাশে বরফের মতো ছাই উড়ছে। বাতাসের বেগ অনেক বেশি। আমার সন্তান ও আত্মীয়দের নিয়ে ঘর ছেরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হয়েছে। বাড়ি পুড়ে গেছে। চারপাশের ধ্বংসলীলায় আমি মর্মাহত এবং ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমরা এখন পর্যন্ত নিরাপদ। যারা বাস্তুচ্যুত এবং এই আগুনে সবকিছু হারিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করি। আশা করি শীঘ্রই বাতাস কমে যাবে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। সবাই নিরাপদে থাকুন। অনুমান করা হচ্ছে, আগুনে এখন পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দাবানলে সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি। আগুনে মানুষের প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। এরই মধ্যে হলিউডের বহু তারকার বাড়ি পুড়ে গেছে।



আরও খবর

সাইফ সুস্থ হতেই শুটিংয়ে কারিনা কাপুর

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাসুল (সা.) স্বপ্নের কথা বলা নিয়ে যা বলেছেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১১জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মানুষের স্বভাব হলো, তারা কোনো স্বপ্ন দেখলে প্রিয়জনের কাছে তা বলে বেড়ায়। আবার অনেকে অন্যান্যের খুশি করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্ন বর্ণনা করে। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্যের সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর রাসুলুল্লাহ (সা.) যা বলেননি, তা তাঁর সম্পর্কে বলে বেড়ানো।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৫০৯)। তাই সবার কাছে স্বপ্নের কথা বলে দেওয়া উচিত নয়। যদি কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, তাহলে তিনটি কাজ করবে-

এক. আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলবে।

দুই. এটা অন্যকে সুসংবাদ হিসেবে জানাবে।

তিন. স্বপ্ন এমন ব্যক্তিকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা তার ভালো লাগে, তাহলে সে বুঝে নেবে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। সে এ স্বপ্নের জন্য আল্লাহর প্রশংসা করবে আর অন্যকে এ ব্যাপারে জানাবে। আর যদি এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তাহলে বুঝে নেবে, এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। তখন সে এ স্বপ্নের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। আর কাউকে এ স্বপ্নের কথা বলবে না। মনে রাখবে, এ স্বপ্ন তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

যদি কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখে, তাহলে ভয়ের কিছু নেই। ভয়ের স্বপ্নে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে এ কাজগুলো করবে-

এক. এই স্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)। এ ক্ষেত্রে এই দোয়াও পড়া যায় : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রুইয়া।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ চাই।

দুই. বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)

তিন. যে কাতে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, তা পরিবর্তন করে অন্য কাতে শুতে হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)। অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।

চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)

পাঁচ. স্বপ্ন দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)


আরও খবর

ইসলাম শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাতের অন্ধকারে কৃষকের গোয়াল ঘরে আগুন -পাঁচটি গরুর চারটি পুড়ে দগ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু : বাগেরহাটের শরণখোলার ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের ৩নং উত্তর তাফালবাড়ি ওয়ার্ডের কৃষক হাকিম মুন্সির গোয়ালঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটার দিকে ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনায় গোয়ালে থাকা পাঁচটি গরুর মধ্যে চারটি দগ্ধ হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, শরণখোলা থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বলেন এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি। ঘটনার খবর পেয়ে আমার থানার সাব ইন্সপেক্টর ছুটে যান ঘটনাস্থলে। ঘটনার সত্যতা পান।

প্রথমে কুডারখড় থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দীর্ঘ সময় আগুন জ্বলার পরে। গোয়াল ঘরে আগুন লাগে। গভীর রাতে ঘটনার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ করে কেউ প্রসাব করতে উঠলে। আগুন জ্বলতে দেখে। তাৎক্ষণিক দৌড়ে গিয়ে। গরুগুলিকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।

পাঁচটি গরুর মধ্যে দুইটি গরু বেশি দগ্ধ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন। তাদের কোন শত্রু নাই। রাতের অন্ধকারে যদি কেউ শত্রুতামূলক অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে কিনা তা আমরা দেখিনি। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সাধারণ ডায়েরি অথবা অভিযোগ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের নিরপেক্ষ তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি কাউকে যদি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। 


আরও খবর



নির্বাচনই জনগণের অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায় : তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বললেন, নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপি অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে, রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন তাহলে জনগণ মেনে নেবে না। 

তারেক রহমান বলেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার থাকা উচিৎ। দেশের সংকট মোকাবেলায় নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। 

বিএনপির এ নেতা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সব কিছু পালিত হয়। সুতরাং কোনো কিছুকে শুদ্ধ রাখার জন্য রাজনীতির বাইরে রাখা বা ঊর্ধ্বে রাখা এটি না করে বরং রাজনীতিটাই আমাদের শুদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজনীতিটা শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের রায় পেয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা কমিশন গঠনসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা পদক্ষেপে নেওয়া হবে।


আরও খবর



স্বদেশের প্রয়োজনে বাঁচি তারুণ্য উত্থানে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান : স্বদেশের প্রয়োজনে, বাঁচি তারুণ্যউত্থানে- স্লোগানে রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মিলনে সাংবাদিকরা যে কোনো পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেন। শহরের কাচারি বাজারে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব চত্বরে সকালে জাতীয় পতাকা, সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ এবং সম্মানীয় অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ.কে. এম হেদায়েতুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষে সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুল করিম সরকার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মওলানা জহুরুল হক সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্কব্য দেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা। প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য কায়সার রহমান রোমেলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা কে. এম রেজাউল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জোবায়ের আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রোকনুজ্জামান। 

অনুষ্ঠানে কৃতী আলোকচিত্র সাংবাদিক কুদ্দুস আলম এবং জুলাই বিপ্লবে সাহসী ভূমিকা রাখায় জাভেদ হোসেন, নূর আলম আকন্দ রিপন ও সুমন মিয়াকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তান হিসেবে খালেদ হোসেনের মেয়ে আরিফা খাতুন, কায়সার রহমান রোমেলের ছেলে আদ্রিত কায়সার আত্ম ও মিজানুর রহমান রাজুর মেয়ে ফাতিমা রহমান রুমাইয়াকে সংবর্ধিত করা হয়। শেষে র‌্যাফেল ড্র ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।



আরও খবর



আল জাজিরায় প্রতিবেদন: যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা অপকর্ম নিয়ে ২০২১ সালে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’—শিরোনামে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনের পর বেশ আলোচনা তৈরি হয় দেশে। প্রতিবেদনটিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের নানা কীর্তি ও তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পোক্ত করার নানা ঘটনা উঠে আসে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, চাঞ্চল্যকর ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে থাকা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সেসময় ব্রিটেনের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার ডেসমন্ড ব্রাউন কেসি’র পরামর্শ নিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা মানহানি মামলার বিশেষজ্ঞ ব্রাউনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার সাবেক বাসভবন গণভবন থেকে একটি দুমড়ানো-মুচড়ানো নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে সম্মত হন ব্রাউন। পরে তাদেরকে একজন সলিসিটরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই সলিসিটর ব্রিটিশ আদালতে মামলা শুরু করতে পারতেন। সাক্ষাতের পরের মাসে এই দুজন শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

এই বৈঠকের কয়েকদিন আগেই আল-জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিটি প্রচার করেছিল। তাতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ভাই প্রকাশ্যে গর্ব করে বলেন, তিনি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের উঠিয়ে নিতে পারেন এবং ঘুষ নিয়েই কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারেন।

এই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর জেনারেল আজিজ ও তার ভাইয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ইউটিউবে প্রায় দশ মিলিয়ন (এক কোটি) ভিউ পাওয়া ওই ডকুমেন্টারি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জেতে। শেখ হাসিনার শাসনামলের সর্বব্যাপী দুর্নীতির প্রমাণ উঠে আসে প্রতিবেদনটিতে। কিন্তু হাসিনার প্রশাসন ওই ডকুমেন্টারিকে প্রকাশ্যে ‘মিথ্যা, মানহানিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে দাবি করে।

ডকুমেন্টারিটি প্রচারের পরপরই প্রতিবেদনের প্রধান হুইসেলব্লোয়ার জুলকারনাইন সায়ের খানের ভাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ডকুমেন্টারির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন দেশ ছাড়তেও বাধ্য হন।

ঢাকায় শেখ হাসিনার বাড়িতে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, ওই ডকুমেন্টারিতে অবদান রাখা ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করছিল তার সরকার।

এই নথির তথ্য বলছে, হাসিনা সরকারের ‘লাইবেল ট্যুরিজম’, অর্থাৎ মানহানির জন্য বিদেশি আদালত ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছিল। এ পদ্ধতিতে বিদেশি বাদীরা ব্রিটিশ আদালতকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের বাইরে অবস্থিত ব্যক্তি বা প্রকাশনার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। অনেকেই মনে করেন, ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা বাদীর প্রতি সহানুভূতিশীল, তাই দেশটির আদালতের মাধ্যমে অস্বস্তিকর তথ্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ ঠেকানো সম্ভব। তবে হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, এ ধরনের কাজ ঠেকানোর জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এর প্রভাব খুবই সীমিত।

সানডে টাইমস জানায়, শেখ হাসিনার পরিত্যক্ত বাসভবনে অপ্রয়োজনীয় উপকরণের ভাণ্ডারের মধ্যে উদ্ধার নথিগুলি ইঙ্গিত দেয়, হাই কমিশন আল জাজিরা এবং ব্রিটিশ তদন্তকারী প্রতিবেদক ডেভিড বার্গম্যানসহ অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ব্রাউনের সহযোগিতায় চেয়েছিল।

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ব্রাউন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের একজন আইনজীবী রাখার পরামর্শ দেন, যিনি তাকে মানহানির মামলা এগিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিতে পারেন। তিনি রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ আইনজীবী জেরেমি ক্লার্ক-উইলিয়ামসকে সুপারিশ করেছিলেন। জেরেমি আল জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখে পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের সাথে দেখাও করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কর্মকর্তারা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের বিকল্প বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করেছিলেন। এমনকি তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে মামলা দায়েরের জন্য তৃতীয় পক্ষকে ব্যবহার করার কথাও বিবেচনা করেছিল।

উদ্ধার হওয়া নথিগুলোকে উদ্ধৃত করে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে বার্গম্যানকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা ছিল। তাকে এই তথ্যচিত্রটি সাজানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বার্গম্যান এর আগে বাংলাদেশে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি দ্য সানডে টাইমসকে বলেন, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে পতনের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রেফতার হতে পারেন এমন কোনো তথ্য তার কাছে ছিল না।

তবে ব্যারিস্টার ব্রাউন তার সংক্ষিপ্ত সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেন, তিনি বা ক্লার্ক-উইলিয়ামস কেউই প্রাথমিক পরামর্শের বাইরে আর কোনও পদক্ষেপ নেননি। এ বিষয়ে ক্লার্ক-উইলিয়ামসের মন্তব্য জানতে চেয়ে দ্য সানডে টাইমসের তরফ থেকে একাধিকবার ফোন ও ইমেইল করা করেও সাড়া পায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকার পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। আল জাজিরার তথ্যচিত্রটি অপসারণের জন্য ইউটিউব এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দেন। তবে সেখানেও তিনি ব্যর্থ হন। ঢাকায় উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও, ইউটিউব ও মেটা উভয় প্ল্যাটফর্মই তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তথ্যচিত্রটি বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে যায়।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যচিত্রটির ফলাফল সুদূরপ্রসারী পরিণতি এনেছিল। আজিজ আহমেদ এবং তার ভাই বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিলেন। অন্যদিকে হুইসেলব্লোয়ার এবং প্রতিবেদনটিতে যারা অবদান রাখে তাদেরকে হুমকি, সহিংসতা এবং নির্বাসন সহ্য করতে হয়েছিল।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫