Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

ল’রিয়ালের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আলিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা। এড-এ-মাম্মা বলে নিজের একটি জামাকাপড়ের ব্র্যান্ড রয়েছে তার। যার পথচলা শুরু হয় ২০২০ সালে। এমনকি তিনি গুচির প্রথম ভারতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। এবার ল’রিয়াল প্যারিসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সোনম কাপুরের পর ল’রিয়াল প্যারিসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নেওয়া হল আলিয়াকে। ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিষয়টি জানানো হয়। পোস্টে ল’রিয়ালের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আলিয়াকে স্বাগত জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, ‘নারীরা ক্ষমতাশালী, এটা যেন তারা সবসময় বুঝতে পারে। আলিয়ার এই চিন্তাধারার সঙ্গে আমাদের লক্ষ্যে মিল পাওয়া যায়। অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা আপ্লুত।’ এদিকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য প্রায়শই বিভিন্ন স্কিনকেয়ার টিপস শেয়ার করেন তিনি। এবার আলিয়াকে ল’রিয়ালের বিজ্ঞাপনেও দেখা যাবে। ব্যক্তি জীবনে ২০২২ রণবীর কাপুরকে বিয়ে করেন আলিয়া ভাট। মুম্বাইয়ে খুব কাছের মানুষদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন এই জুটি। একই বছরের নভেম্বরে তাদের মেয়ে রাহার জন্ম হয়। 


আরও খবর



লুইস-হোপ-কার্টির তান্ডবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫২জন দেখেছেন

Image

 দুই ওপেনার এভিন লুইস ও অধিনায়ক শাই হোপের সাথে মিডল অর্ডারে কেসি কার্টির ব্যাটিং ঝড়ে শেষ ম্যাচের জয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গতরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬২ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

ব্রেডিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৪ বলে ১২২ রান তুলেন লুইস ও হোপ। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৪টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ৫১ রান করেন হোপ।

হোপ ফেরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা সচল রেখে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন লুইস। কিন্তু নাভার্স-নাইন্টিতে থামেন তিনি। ১৩তম ওভারে দলীয় ১৫১ রানে আউট হবার আগে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৯১ রান করেন লুইস।

শেষদিকে কেসি কার্টির ২২ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ক্যারিবীয়দের। ৪টি করে চার-ছক্কায় ইনিংস সাজিয়ে অপরাজিত থাকেন কার্টি।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ৮১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে লজ্জার রেকর্ডের মালিক হন লিয়াম ম্যাককার্থি। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে অভিষেক টি-টোয়েন্টি এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং স্পেল।

২৫৭ রানের টার্গেটে ১১তম ওভারে ১ উইকেটে ১১৪ রান তুলে লড়াইয়ে টিকে থাকে আয়ারল্যান্ড। এরপর ৪৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান করে ম্যাচ হারে আইরিশরা।

ওপেনার রস অ্যাডায়ার ৪৮ ও হ্যারি টেক্টর ৩৮ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার আকিল হোসেন ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন লুইস।

টি-টোয়েন্টির আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল দু’দল।


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

 স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বুধবার রাত ১১টা ১৭ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশ্য রওনা দেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তার গুলশানের বাসভবন থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান।

বেগম খালেদা জিয়ার হাসাপাতালে যাওয়াকে কেন্দ্র করে গুলশান থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পুরো রাস্তায় হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন। এসময় নেতা-কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো পরিবেশ।


আরও খবর



ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

 সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)’র উপকূলের কাছে ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে একটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লেগে যাওয়া ট্যাঙ্কার থেকে ২৪ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার ইউএই কোস্টগার্ড ও একটি শিপিং কোম্পানি এ তথ্য জানিয়েছে।

দুবাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান অ্যাম্ব্রে জানায়, সংঘর্ষের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। 

তবে এ ঘটনাটি ‘নিরাপত্তাজনিত নয়’ বলে জানিয়েছে তারা।

শিপিং কোম্পানি ফ্রন্টলাইন জানায়, সংঘর্ষের পর তাদের মালিকানাধীন ‘ফ্রন্ট ইগল’ ট্যাংকারে আগুন লাগার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এই ট্যাংকারটির সঙ্গে ‘আডালিন’ নামের অপর একটি তেলবাহী জাহাজের সংঘর্ষ হয়। 

উপসাগরীয় ওমান উপকূল থেকে প্রায় ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে এ সংঘর্ষ ঘটেছে।

কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সংঘর্ষের পর ‘আডালিন’ ট্যাংকারেও আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দূষণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোস্টগার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায়  জানায়, ওমান উপসাগরে দুটি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের পর তেলবাহী জাহাজ আডালিন-এর ২৪ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 

উল্লেখ্য, এই জলপথটি আরব উপদ্বীপ ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত এবং বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই পথ দিয়ে পরিবহন করা হয়।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬১জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর