Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

মহানবী (সা.)’র সুমহান আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের সফলতা নিহিত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২২২জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ  (সা.)’র সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে শনিবার তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’ 

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন শান্তি, মুক্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য রাহমাতুল্লিল আ’লামীন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে। নবী করিম (সা.)-কে বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)- এর অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। 

তিনি বলেন, মহানবী (সা.)-এর শান্তিপূর্ণ ‘মক্কা বিজয়’ মানব ইতিহাসের এক চমকপ্রদ অধ্যায়। কার্যত তিনি বিনা যুদ্ধে, বিনা রক্তপাতে ও বিনা ধ্বংসে মক্কা জয় করেন। শত অত্যাচার-নির্যাতন ও যুদ্ধ করে আজীবন যে জাতি নবী করিম (সা.)-কে সীমাহীন কষ্ট দিয়েছে, সেসব জাতি ও গোত্রকে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি অতুলনীয় ক্ষমা প্রদর্শন করে এবং তাদের সঙ্গে উদার মনোভাব দেখিয়ে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষমা ও মহত্ত্বের দ্বারা মানুষের মন জয় করে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার এমন নজির বিশ্বে দুর্লভ। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিসহ আজকের দ্বন্ধ-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। 

তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। তাই ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর এই দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সা.)- এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ্ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন।



আরও খবর

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ভোটের পরিবেশ দেখতে খুলনা-রাজশাহী-সিলেট যাবেন তিন নির্বাচন কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩০জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটের পরিবেশ দেখতে তিন বিভাগে যাচ্ছেন তিন নির্বাচন কমিশনার। খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে সফর করবেন কমিশনাররা।

২১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগ সফর করবেন। ২৩ ও ২৪ নভেম্বর সিলেট ও মৌলভীবাজার সফর করবেন মো. আনিছুর রহমান। আর ২২ ও ২৩ নভেম্বর মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সফর করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। সফরকালে নির্বাচন কমিশনাররা জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।


আরও খবর

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




৭ দিনে রিজার্ভ কমল ১১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সংকট মেটাতে বাজারে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। ব্যাংকগুলো বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনায় মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর পেমেন্ট দেওয়ার পরও রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৭৮ কোটি ডলারে ওঠে। কিন্তু ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ আবারও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১৮ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ এখন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলারে।      

১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি (২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার। তবে  আইএমএফের শর্ত ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৬৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমকি ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

তবে বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নেমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।

কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে। বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত ৫২০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে। ফলে ধারাবাহিক ভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকতা কমছে।

দেশের বিভিন্ন খাতে শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখার কথা ছিল। কিন্তু পরে এসব শর্ত শিথিল করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিক ভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

আকু কী

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবশেষ গত ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১১১ কোটি ডলার পরিশোধ করে।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গু আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯১২ জন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) সারাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৯১২ জন রোগী। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৫৩ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৬৭৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ২ হাজার ৩২০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৫ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬০ জন। ঢাকায় ৯৯ হাজার ৭৯৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




পরকালে আল্লাহ যার ওপর দয়ার দৃষ্টি দেবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পোশাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়। পোশাকে প্রকাশ পায় মানুষের আর্থিক ও মানসিক দীনতা। অহংকার মানুষের মানসিক দীনতা ও মনোবৈকল্যের একটি লক্ষণ। ইসলাম পোশাক নিয়ে অহংকার করতে নিষেধ করেছে।

আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (দয়ার) দৃষ্টি দেবেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৮৩)

তবে ভালো পোশাক পরতে ইসলাম নিষেধ করেনি, বরং যারা সামর্থ্য থাকায় ভালো পোশাক পরে, কিন্তু তাদের মন আল্লাহর প্রতি বিনীত থাকে, তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কৃত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদমসন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে, আহার করবে ও পান করবে কিন্তু অপচয় করবে না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত : ৩১)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে আদমসন্তান! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদের পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং তাকওয়ার পরিচ্ছদ–এটাই সর্বোত্তম।

এটা আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৬)


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




শাড়িতে উষ্ণতা ছড়ালেন মিম

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দেশ পেরিয়ে কলকাতাতেও নিজের পরিচয় তুলে ধরছেন ঢালিউড অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভারতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘মানুষ’। ভারতে সিনেমা মুক্তি পেলেও দেশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

এত ব্যস্ততার মাঝেও অন্যান্য তারকাদের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় মিম। সিনেমার প্রচারে ভারতে না গেলেও ফেসবুকের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন নিজের সিনেমার কথা। এছাড়া প্রায় সময় ভক্তদের জন্য শেয়ার করেন নিজের ছবি। আর এরই মধ্যে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন নিজের নতুন ছবি।

গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন মিম। অফ হোয়াইট শাড়িতে মিমকে দেখা গেছে সাহসী রূপে।

মিমের সাহসী ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তার ভক্তদের মাঝে।

সকাল পর্যন্ত তার এই ছবিগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি অনুসারী। যা তার অন্যান্য পোস্টের তুলনায় অনেক বেশি।  

ছবিগুলোতে মন্তব্য করেছেন হাজারেরও বেশি অনুসারী। অনেকেই প্রিয় তারকার লুকের প্রশংসা করেছেন। এছাড়া এই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় আড়াইশ বার।

২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হন মিম। পরে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন।

মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ‘ব্ল্যাক’ ছবি দিয়ে। এরপর ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘সুলতান দ্য স্যাভিয়ার ’ও ‘থাই কারি’ নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কলকাতায় ‘মানুষ’ তাঁর পঞ্চম সিনেমা।


আরও খবর