Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, ক্রিকেট মাঠে মহাযুদ্ধ আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৪১৪জন দেখেছেন

Image

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৫তম আসরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে আজ রবিবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এ দুই দেশের লড়াইটা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাকর হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে। এই মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে মুখিয়ে থাকে দু’দলই। তাই প্রতিবারই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারো এর ব্যতিক্রম নয়। টুর্নামেন্টে এ’ গ্রুপে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।

দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আবেদন যেন আরও বেড়েছে। বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপের মতো আসরে তাই ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই গোটা ক্রিকেট বিশ্বে বাড়তি রোমাঞ্চ। দুই দলের এবারের লড়াই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই ভেন্যুতে ব্যাটার ও বোলারদের ভারসাম্য থাকে প্রতিটি ম্যাচেই। বাউন্ডারি ছোট বলে ব্যাটাররা দ্রুত রান তোলার কথা ভাববেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে ছেড়ে কথা বলবেন না বোলাররাও। নতুন বলে পেসাররা গতি ও বাউন্স দিয়ে নাভিশ্বাস তুলতে পারেন ব্যাটারদের। আবার স্পিনাররা মাঝখানের ওভারগুলোতে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন যেকোনো দলের বিপক্ষে।

একাদশ সাজাতে তাই রোহিত শর্মা ও বাবর আজমের দলকে বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দলের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ভোগাবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকেই। চোটের কারণে ভারত এই ম্যাচে পাচ্ছে না পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে। একইভাবে পাকিস্তান পাচ্ছে না তাদের সেরা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে। দুই মূল হাতিয়ার ছাড়া কেমন হতে পারে দুই দলের একাদশ, তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা।

দুবাইয়ে ইতোমধ্যে মুহূর্তের অনুশীলন করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের ফাঁকে পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করছেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্রিকেটাররা। ইনজুরিতে শেষ মুহূর্তে এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ান বাঁহাতি পেসার শাহীন আফ্রিদি। বাঁহাতি পেসার না থাকায় পাকিস্তানের পেস অ্যাটাকের শক্তি কমেছে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু দলকে উৎসাহ দিতে দুবাইয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। অনুশীলন শেষে আফ্রিদি করমর্দনে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। শুধু আফ্রিদি নন, পাকিস্তানে অধিনায়ক বাবর আজম, লেগ স্পিনার শাদাব খানরাও শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটারকে।

তবে ভারত-পাকিস্তান লড়াইকে শুধুমাত্র একটি ‘ম্যাচ’ বলেই মনে করেন দুই দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা। তাদের মতে, এটি অন্যান্য ম্যাচের মতই। তবে চাপ অনুভব করেন দলে থাকা ক্রিকেটাররা। বাড়তি চাপ থাকায়, মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে মরিয়া ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, সকলেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। খুব চাপের ম্যাচ এটি, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে দলের পরিবেশ হালকা পরিবেশ রাখতে চাই। এই ম্যাচ নিয়ে খুব ভেবে নিজেদের চাপে ফেলতে চাই না। যারা কোনো দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেনি বা মাত্র একটি-দুটি ম্যাচে খেলেছে, তাদের ভালো করে এই ম্যাচের গুরুত্ব বোঝাতে চাই। আমরা পাকিস্তানকে অন্য যে কোনো সাধারণ বিপক্ষের মতোই দেখছি। তবে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য আমাদের।

রোহিতের সুরে কথা বলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও। তিনি বলেন, অন্যান্য ম্যাচের মত হলেও, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বাড়তি চাপ এমনতিতেই চলে আসে। এই চাপকে সামলেই লড়াই করতে হয় ক্রিকেটারদের। কারণ সকলেই জানে, এমন ম্যাচের গুরুত্ব কত বেশি। তাই জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকে ক্রিকেটাররা। এবারো আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামবো।

এদিকে, দুই ক্রিকেট পরাশক্তির টি-২০ ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে দুবাইসহ গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। এই ম্যাচ দিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মিশন শুরু হবে রোহিত শর্মার ভারত ও বাবর আজমের পাকিস্তানের। দুবাইয়ে দুই দল সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল গত অক্টোবরে। টি-২০ বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারতকে ১০ উইকেটের আকাশসমান ব্যবধানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে শাহীন শাহ আফ্রিদির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করেছিল ভারত। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭৯ ও বাবরের ৬৩ রানে ভর করে পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেছিল ১৩ বল হাতে রেখে। 

অবশ্য দুই দেশের পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে রোহিত শর্মার ভারত। ৯ ম্যাচের ৬টিতে জিতেছেন রোহিতরা এবং বাবরের পাকিস্তানের জয় ২টি। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে দুই দল প্রথম খেলেছিল টি-২০ ম্যাচ। ‘টাই’ ম্যাচটি ‘বোল আউট’ পদ্ধতিতে জিতেছিল ভারত। এশিয়া কাপে দুই দল একবার খেলেছে পরস্পরের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে মিরপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি ভারত জিতেছিল ৫ উইকেটে।

অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে আড়াল করে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন কোহলি। ছন্দহীন ভারতীয় ড্যাসিং ক্রিকেটার যেন রানে ফিরেন ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও চাইছেন। আফ্রিদি করমর্দন শেষে বলেন, ‘আপনি আবার রানে ফিরুন। এটাই প্রার্থনা করছি।’ পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খান বলেন, ‘বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করুন। তবে নিশ্চিত করে সেটা আমাদের বিপক্ষে নয়। অন্য দলের বিপক্ষে।’ 

আদিকে, আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে যদি আজ নামেন ভারতীয় সাবেক এই অধিনায়ক, তাহলে নতুন একটি মাইলফলক গড়বেন। অধিনায়ক রোহিতের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক গড়বেন তিনি। ১৩২ ম্যাচের ১২৪ ইনিংসে রোহিতের রান ৪ সেঞ্চুরি ও ২৭ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৪৮৭ রান। কোহলি ৯৯ ম্যাচের ৯১ ইনিংসে ৩০ হাফসেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৩৩০৮।   

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শনিবার (২৭ আগস্ট) শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ। অক্টোবর-নভেম্বর টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপের খেলাগুলো হচ্ছে টি-২০ ফরম্যাটে। 


আরও খবর



রমজানে দান-সদকার ফজিলত ও গুরুত্ব

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

ইসলাম ধর্মে দান সদাকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। আর রমজান মাসে দানের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমান। আর একটি ফরজ ইবাদত করলে সত্তর গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। 

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে মানুষের উপকার করে’ (তাবারানি)। রসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। আর রমজান মাসে তিনি সবচেয়ে বেশি দান সদাকা করতেন। জিবরাইল (আ.) এ সময়ে তাঁর কাছে আসতেন এবং পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। রসুল (সা.) তখন প্রবাহিত বাতাসের চেয়ে অধিক দান-খয়রাত করতেন (মুসলিম)। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি তোমাদের দানকে প্রকাশ করো ভালো কথা, তাতে কোনো দোষ নেই, তবে যদি তোমরা তা গোপন রাখো এবং চুপে চুপে তা অসহায়দের দিয়ে দাও, তবে তা হবে তোমাদের জন্য বেশি উত্তম। এ দানের কারণে আল্লাহ তোমাদের বহুবিধ গুনাহ খাতা মুছে দেবেন, আর তোমরা যাই কর না কেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত আছেন’ (সুরা বাকারা-২৭১)। সুবহানাল্লাহ। সুতরাং বেশি বেশি দান-খয়রাত করা আমাদের উচিত। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে। 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা যা দান-সদাকা কর তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর, কারণ তোমরা তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই খরচ কর। তোমরা আজ যা কিছু দান করবে আগামীকাল তার পুরোপুরি বিনিময় আদায় করে দেওয়া হবে (সুরা বাকারা-২৭২)।’ যারা দিন রাত গোপনে প্রকাশ্যে নিজেদের মাল সম্পদ ব্যয় করে তাদের মালিকের দরবারে তাদের এ দানের প্রতিফল সুরক্ষিত রয়েছে। তাদের ওপর কোনোরকম ভয়ভীতি থাকবে না, তারা সেদিন চিন্তিতও হবে না (সুরা বাকারা-২৭৪)। সাহায্য-সহযোগিতা দান-সদাকা করতে হবে দীন-দরিদ্র, ফকির-মিসকিন, এতিম, অন্ধ, বিধবা, অসহায় ও গরিব আত্মীয়স্বজনকে। রসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হলো দান সদাকার উপযুক্ত পাত্র কারা? 

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘তারা তোমার কাছে জানতে চাইবে তারা কি খাতে খরচ করবে? তুমি তাদের বলে দাও, যা কিছুই তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অসহায়, মিসকিন এবং মুসাফিরের জন্য খরচ করবে, তাই আল্লাহ গ্রহণ করবেন। যা ভালো তোমরা করবে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানতে পারবেন’ (সুরা বাকারা-২১৫)। অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে বিপুল সওয়াব লাভের শ্রেষ্ঠ সময় রমজান। আমাদের সমাজে অনেক গরিব-দুঃখী আছেন যারা দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাহরি ও ইফতারের সামান্য খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান। বছরের এই সময়ে তাদের জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে একটি বীজের মতো, যে বীজটি বপন করার পর তা থেকে সাতটি শিস বেরোলো, এর প্রতিটি শিষে রয়েছে ১০০ করে শস্যদানা, আল্লাহ যাকে চান তার জন্য এটাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন’ (সুরা বাকারা - ২৬১)। এই রমজানে গরিব আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিন, তাদের মধ্যে কেউ আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। আপনজনদের ভালোবাসুন। গরিবদের সম্মান করুন। রসুল (সা.) বলেছেন, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো, যে তোমার প্রতি অবিচার করে তাকে ক্ষমা কর’ (মুসলিম)। রহমত ও মাগফিরাতের মাসে দয়া ও ক্ষমার অনুশীলন করুন। এতিম, অসহায়, বিধবাদের খোঁজখবর নিন। তাদের মুক্তহস্তে দান করুন। তাহলে আল্লাহ খুশি হবেন। নাজাত পাওয়ার রাস্তা সহজ হবে। দান-খয়রাত সদাকা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হোন।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত প্রতিদান আছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।  বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’

(মুসলিম, হাদিস : ১১৫১) রোজাদারের জন্য জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, জান্নাতে রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, সাওম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।

(বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)  বিশেষ ইবাদতের নামে জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব, যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে, যে সাওম পালনকারী,   রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজাতাকে রাইয়্যান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সদকা দানকারী তাকে সদকা দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবু বকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান, সব দরজা থেকে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৭) মহান আল্লাহ আমাদের জান্নাতের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার তাওফিক দান করুন।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে হিসেব করে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ।  

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আর দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।  

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে। কালোবাজারি রোধে সহজ.কম যেন টিকিট ব্লক করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৫ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে নিহত সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। 

পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসিরউদ্দীন। 


আরও খবর



সোমবার ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

অন্যান্য বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী সোমবার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। এছাড়া ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। 

এছাড়া, স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা করা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর