Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নেত্রকোণায় বিলুপ্তির পথে শীতল পাটি শিল্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০০২জন দেখেছেন

Image
সোহেল খান দূর্জয় : নেত্রকোণার শীতল পাটির কদর এক সময় ছিলো দেশসেরা। এই শিল্পকে আবর্তিত করে গড়ে উঠেছিল পল্লী। জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামে। হাজার হাজার মানুষের জীবিকার অবলম্বন হয়ে উঠেছিল শীতল পাটি শিল্প। কালের বিবর্তনে এই শিল্প আজ ধূকছে। কিন্তু ঐতিহ্যের ধারায় আজও শীতল পাটির অবস্থান শীর্ষে।

শীতল পাটি বুননের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও নেত্রকোণা অঞ্চলের শিল্প সচেতন মানুষের আবিস্কার এই শীতল পাটি এনিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক একসময় শীতল পাটি শিল্পের সাথে জড়িত ছিল।

নেত্রকোণা অঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় শীতল পাটি তৈরী হলেও জৈনপুরের শীতল পাটি-ই অনন্য। এক সময় এই উপজেলায় তৈরী শীতল পাটি শুধু নেত্রকোনাতেই বাজারজাত হতো না, তা দেশের বিভিন্ন স্থানেও রপ্তানি হতো। দেশের বাহিরে ও শীতল পাটির কদর ছিল ঈর্শনীয়। ভারত বর্ষে আগমনের প্রমাণ হিসাবে ভিনদেশীরা ঢাকার মসলিনের পাশাপাশি জৈনপুরের শীতল পাটি নিয়ে যেতেন স্মৃতি হিসেবে। প্রচলিত আছে, ব্রিটিশ আমলে রাণী ভেক্টোরীয়ার রাজপ্রসাদে স্থান লাভ করেছিল জৈনপুরের শীতল পাটি।

নেত্রকোণায় এই শিল্প গড়ে উঠার মূল কারন শীতলপাটি তৈরীর প্রধান উপকরণ মূর্তা গাছ। নেত্রকোনা অঞ্চলের মাঠি ও আবহাওয়া মূর্তা গাছের জন্য সহায়ক। এই গাছ থেকে আহরিত বেত দিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে শীতল পাটি। বিশেষ ধরণের এই গাছ বনাঞ্চলের স্যাতস্যাতে মাটি ও বাড়ির পাশ্ববর্তী ভেজা নীচু জমিতে হয়ে থাকে। ডুবা অথবা পুকুরের একপাশেও মূর্তা গাছ হয়।

আঞ্চলিকভাবে সহজলভ্যতা এই শিল্পকে করেছে ব্যাপক। তবে আধুনিকতা এই শিল্পের টুটি চেপে ধরেছে। আগে পাটির শীতলতা মানুষকে যেখানে প্রশান্তি দিতো, সেখানে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর শীতলতায় এখন স্বস্থি নিচ্ছে মানুষ। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত প্রায় প্রতিটি পরিবারেই শীতল পাটির কদর ছিলো, আছে। চাহিদার কারনেই শীতল পাটির রয়েছে হরেক রকম নাম। তবে নাম অনেক ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য প্রস্থের উপরও নির্ভর করে।

বেতের প্রস্থের মাপে শীতল পাটির নাম করণ করা হয়ে থাকে সিকি, আধুলি, টাকা, সোনামুড়ি, নয়নতারা, আসমানতারা প্রভৃতি। একেকটি পাটি তৈরী করতে একজন দক্ষ শিল্পীর ৩-৪ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। যার ফলে বর্তমানে শীতল পাটির দাম অত্যধিক। এক একটি শীতল পাটি ২ হাজার থেকে ৮হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। শীতল পাটির বদৌলতে জৈনপুরের শিল্পীরা দেশে ব্যাপক সুনামও অর্জন করেছেন।

১৯০৬ সালে কলকাতায় কারু শিল্প প্রদর্শনীতে জৈনপুরের যাদুরাম দাস শীতল পাটির জন্য স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮২ সালে জাতীয় পর্যায়ে শীতল পাটির জন্য শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হন জৈনপুরের পবঞ্জয় দাস। ১

৯৯১ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্বের কারুশিল্প প্রদর্শনীতে জৈনপুরের মনিন্দ্র নাথ শীতল পাটি নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে পুরস্কার লাভ করেন। এক সময়কার বিখ্যাত এই শীতলপাটি শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। ৯০ দশক পর্যন্ত শীতলপাটি তৈরীর কাচামাল মূর্তাবেত সহজলভ্য ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যে যে জমিতে মূর্তা গাছ হতো তাতে মানুষ গড়ে তুলতে শুরু করে জনবসতি।

ফলে মূর্তা বাগান কমতে থাকে। বর্তমানে জৈনপুর সহ নেত্রকোনা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে মূর্তা বাগান থাকলেও তা এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে অনেক শিল্পীই নিজেদের আদি পেশা ছেড়ে অন্যান্য পেশার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। আর যারা বাপ-দাদার উত্তরাধিকার হিসেবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।

শীতল পাটি শিল্পের পুণজাগরণে প্রয়োজন বানিজ্যিক ভাবে মূর্তার চাষ এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য সরকারী সুযোগ সুবিধা, অনুদান। সরকারী পৃষ্টপোষকতাই এই শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, অন্যথায় হয়তো যাদুঘর ছাড়া কোথাও খুজে পাওয়া যাবেনা এই ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি।


আরও খবর



রাজনীতির মাঠে বলিউড স্টার উর্বশী রাউতেলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

ভারতে নির্বাচনে পিছিয়ে নেই সিনেমার সেরা সব তারকারা। দীর্ঘদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন অনেকেই। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত ছিলেন এমজি রামচন্দ্রন, জয়ললিতা, বৈজন্তিমালা, শিবাজি গণেশন, কমল হাসান। আসছে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষের মতো অভিনেত্রীরাও। এবার শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাও।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উর্বশীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ভোটে দাঁড়ানোর কোনো প্রস্তাব কোনো দলের থেকে পেয়েছেন? অভিনেত্রী সহাস্যে জবাব দেন, হ্যা, টিকিট পেয়েছেন। তবে কোন দল, তা তিনি প্রকাশ করেননি। এ প্রসঙ্গে উর্বশী বলেন, ‘আমি টিকিট পেয়ে গিয়েছি। এবার আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি রাজনীতিতে নামব কি না। আমি এতদিন আমার ভক্তদের জন্য সব করেছি। এবারও তারাই বলুন, আমার কী করা উচিত। তবে রাজনীতিতে যোগ দিলে সৎ রাজনীতিক হব।’

উর্বশী প্রায়-ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনায়-সমালোচনায় থাকেন। কখনো তিন কোটি টাকার সোনার কেক কেটে, কখনো আবার ঋষভ পান্থের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনের কারণে।


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯৪জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গুলি, নিহত ১৯

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৯জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন।  ইসরায়েল এর আগেও গাজায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যদিও সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর সর্বশেষ এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভূখণ্ডটির মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজা শহরের দক্ষিণ-পূর্বে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি গণহত্যা চালিয়েছে। হাজার হাজার নাগরিক যখন আল-কুয়েত গোলচত্বরের কাছে আটা ও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন সেখানে হামলা চালিয়ে ১৯ জন হত্যা এবং আরও ২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে আহত করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং ট্যাংকগুলো মেশিনগান দিয়ে অভুক্ত লোকদের দিকে গুলি চালায় যারা আটা এবং সাহায্যের ব্যাগগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। সেটিও আবার এমন একটি জায়গায় যা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য কোনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারত না।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, “বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভারী গুলি চালানো হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার কারণে অনেককে বাইরে খোলা আকাশের নিচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন। বাস্তবতা দুঃখজনক, কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সাহায্যপ্রার্থী জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি সাহায্য নিতে আসা এসব মানুষের ওপর গুলি চালানোর খবর ‘ভুল’ বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।


আরও খবর



ভারত থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে রেলযোগে পেঁয়াজ আসবে: আহসানুল ইসলাম টিটু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯০জন দেখেছেন

Image

ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ভারতে যে পিঁয়াজ কেনা হয়েছে, সেগুলো তিন দিনের মধ্যে রেলযোগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিমন্ত্রী এবং এমপিদের সংবর্ধনা ও প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের পরিচিতি সভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার তার আপন গতিতেই চলবে। ৫/১০ টাকা বাড়লে সেটা নিয়ে কিছু না করা হলেও কেউ যদি মজুতদারি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিক বাজারে বেচা কেনায় কোনো রকম পুলিশি তৎপরতা বা ম্যাজিস্ট্রেট তৎপরতার প্রয়োজন নেই। তিনি মনে করেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পণ্যের সরবরাহ আছে এবং দামও যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ কারণে আরেক মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত থেকে পিঁয়াজ আজ কিংবা আগামীকাল ট্রেনে উঠবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। ভারত থেকে পিঁয়াজ আসা নিয়ে কোনো রকম সমম্যা আছে বলে আমার জানা নেই। ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। বাজার তার আপন গতিতে চলবে। বাজার আমাদের মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকবে। কোনো রকম যদি কেউ মজুতদারি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিক বাজারে কোনোরকম পুলিশি ও ম্যাজিস্ট্রেট তৎপরতার প্রয়োজন নেই। আমরা মনে করি বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ রয়েছে। দামও যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।


আরও খবর



তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৬জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলেন হানিফ মিয়া (৩৫)। বুধবার চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে (আনিছা বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারী আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই। 

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 


আরও খবর