Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

নেত্রকোণায় বিলুপ্তির পথে শীতল পাটি শিল্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৮৫৮জন দেখেছেন

Image
সোহেল খান দূর্জয় : নেত্রকোণার শীতল পাটির কদর এক সময় ছিলো দেশসেরা। এই শিল্পকে আবর্তিত করে গড়ে উঠেছিল পল্লী। জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামে। হাজার হাজার মানুষের জীবিকার অবলম্বন হয়ে উঠেছিল শীতল পাটি শিল্প। কালের বিবর্তনে এই শিল্প আজ ধূকছে। কিন্তু ঐতিহ্যের ধারায় আজও শীতল পাটির অবস্থান শীর্ষে।

শীতল পাটি বুননের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও নেত্রকোণা অঞ্চলের শিল্প সচেতন মানুষের আবিস্কার এই শীতল পাটি এনিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার লোক একসময় শীতল পাটি শিল্পের সাথে জড়িত ছিল।

নেত্রকোণা অঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় শীতল পাটি তৈরী হলেও জৈনপুরের শীতল পাটি-ই অনন্য। এক সময় এই উপজেলায় তৈরী শীতল পাটি শুধু নেত্রকোনাতেই বাজারজাত হতো না, তা দেশের বিভিন্ন স্থানেও রপ্তানি হতো। দেশের বাহিরে ও শীতল পাটির কদর ছিল ঈর্শনীয়। ভারত বর্ষে আগমনের প্রমাণ হিসাবে ভিনদেশীরা ঢাকার মসলিনের পাশাপাশি জৈনপুরের শীতল পাটি নিয়ে যেতেন স্মৃতি হিসেবে। প্রচলিত আছে, ব্রিটিশ আমলে রাণী ভেক্টোরীয়ার রাজপ্রসাদে স্থান লাভ করেছিল জৈনপুরের শীতল পাটি।

নেত্রকোণায় এই শিল্প গড়ে উঠার মূল কারন শীতলপাটি তৈরীর প্রধান উপকরণ মূর্তা গাছ। নেত্রকোনা অঞ্চলের মাঠি ও আবহাওয়া মূর্তা গাছের জন্য সহায়ক। এই গাছ থেকে আহরিত বেত দিয়ে তৈরী করা হয়ে থাকে শীতল পাটি। বিশেষ ধরণের এই গাছ বনাঞ্চলের স্যাতস্যাতে মাটি ও বাড়ির পাশ্ববর্তী ভেজা নীচু জমিতে হয়ে থাকে। ডুবা অথবা পুকুরের একপাশেও মূর্তা গাছ হয়।

আঞ্চলিকভাবে সহজলভ্যতা এই শিল্পকে করেছে ব্যাপক। তবে আধুনিকতা এই শিল্পের টুটি চেপে ধরেছে। আগে পাটির শীতলতা মানুষকে যেখানে প্রশান্তি দিতো, সেখানে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর শীতলতায় এখন স্বস্থি নিচ্ছে মানুষ। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত প্রায় প্রতিটি পরিবারেই শীতল পাটির কদর ছিলো, আছে। চাহিদার কারনেই শীতল পাটির রয়েছে হরেক রকম নাম। তবে নাম অনেক ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্য প্রস্থের উপরও নির্ভর করে।

বেতের প্রস্থের মাপে শীতল পাটির নাম করণ করা হয়ে থাকে সিকি, আধুলি, টাকা, সোনামুড়ি, নয়নতারা, আসমানতারা প্রভৃতি। একেকটি পাটি তৈরী করতে একজন দক্ষ শিল্পীর ৩-৪ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। যার ফলে বর্তমানে শীতল পাটির দাম অত্যধিক। এক একটি শীতল পাটি ২ হাজার থেকে ৮হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। শীতল পাটির বদৌলতে জৈনপুরের শিল্পীরা দেশে ব্যাপক সুনামও অর্জন করেছেন।

১৯০৬ সালে কলকাতায় কারু শিল্প প্রদর্শনীতে জৈনপুরের যাদুরাম দাস শীতল পাটির জন্য স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮২ সালে জাতীয় পর্যায়ে শীতল পাটির জন্য শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হন জৈনপুরের পবঞ্জয় দাস। ১

৯৯১ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্বের কারুশিল্প প্রদর্শনীতে জৈনপুরের মনিন্দ্র নাথ শীতল পাটি নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে পুরস্কার লাভ করেন। এক সময়কার বিখ্যাত এই শীতলপাটি শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। ৯০ দশক পর্যন্ত শীতলপাটি তৈরীর কাচামাল মূর্তাবেত সহজলভ্য ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যে যে জমিতে মূর্তা গাছ হতো তাতে মানুষ গড়ে তুলতে শুরু করে জনবসতি।

ফলে মূর্তা বাগান কমতে থাকে। বর্তমানে জৈনপুর সহ নেত্রকোনা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে মূর্তা বাগান থাকলেও তা এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে অনেক শিল্পীই নিজেদের আদি পেশা ছেড়ে অন্যান্য পেশার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। আর যারা বাপ-দাদার উত্তরাধিকার হিসেবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।

শীতল পাটি শিল্পের পুণজাগরণে প্রয়োজন বানিজ্যিক ভাবে মূর্তার চাষ এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য সরকারী সুযোগ সুবিধা, অনুদান। সরকারী পৃষ্টপোষকতাই এই শিল্পকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, অন্যথায় হয়তো যাদুঘর ছাড়া কোথাও খুজে পাওয়া যাবেনা এই ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি।


আরও খবর



আলভারেজের জোড়া গোলে ম্যান সিটির জয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৬১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা গ্রুপপর্ব শুরুর প্রথম দিনই মাঠে নেমেছে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল সার্বিয়ার ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেড। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটিতে দারুণ কামব্যাক করেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। গত মৌসুমের টপ স্কোরার আর্লিং হালান্ডের সুযোগ হাতছাড়ার দিনে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ। যার ওপর ভর করে ম্যানচেস্টার সিটি রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদে আতিথ্য দিয়েছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে তারা বিরতির আগমুহূর্তেই পিছিয়ে পড়েছিল। এরপর আলভারেজ ছাড়াও সিটির হয়ে জালের ছোঁয়া পেয়েছেন রদ্রি। যা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে সিটিকে শুভসূচনা এনে দিয়েছে।

ম্যাচজুড়েই দুই দলের স্পষ্ট পার্থক্য চোখে পড়েছিল। গত বারের ট্রেবলজয়ী সিটি ৭৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৩৭টি শট নিয়ে ১৬টি লক্ষ্যে রাখে। যদিও তাদের প্রথম গোলের দেখা পেতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। এজন্য অবশ্য প্রতিপক্ষের ইসরায়েলি গোলরক্ষক ওমরি গ্লেজারের দারুণ প্রচেষ্টা স্বীকার করতেই হবে। কেবল প্রথমার্ধেই তিনি ৯টি শট ঠেকিয়েছেন।

মাঝপথের বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে ৪৫তম মিনিটে মিরকো ইভানিচের পাস থেকে সিটিকে পিছিয়ে দেন  ওসমান বুকারি। গোলমুখে এটাই ছিল রেড স্টার বেলগ্রেডের প্রথম শট। যদিও শুরুতে সহকারী রেফারি সেটিকে অফসাইডের নির্দেশ করেন। তবে ভিএআরের সাহায্যে ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে লিড ধরে রাখে বেলগ্রেড। ঘরের মাঠে বেশ কঠিন অবস্থায় পড়ে যায় হালান্ড-আলভারেজরা। তবে এতে দায় বেশি নরওয়েজিয়ান তারকার। তার সামনে থেকে দুটি এবং ফিল ফোডেনও হাতছাড়া করেন একাধিক সুযোগ। যার ফলে হতাশার এক অর্ধ শেষে তাদের স্কোরলাইন ছিল ১-০।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধারায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। যার ফলও তারা হাতেনাতে-ই পেয়েছে। বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটেই স্কোরলাইনে সমতা আনেন আলভারেজ। হালান্ডের বাড়ানো বল পেয়ে তিনি বাইলাইনের কাছ থেকে ডান পায়ে কোণাকুণি শটে নিশানা ভেদ করেন। পাঁচ মিনিট পর লিডও নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা। তবে ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারের সেই গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়।

এরপরও লিড পেতে সময় নেয়নি সিটি। ৬০ মিনিটে আলভারেজের ফ্রি-কিক পাঞ্চ করার চেষ্টায় বলে ঠিকমতো হাত ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন গ্লেজার। ফলে ব্যক্তিগত ও দলের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর ম্যাচের বড় জয় নির্ধারক শেষ গোলটি আসে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির কল্যাণে। ইংলিশ মিডফিল্ডার ফোডেনের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়ালের ফাঁক গলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর কেউ গোল পায়নি। ফলে ৩-১ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা করল চলতি আসরেরও অন্যতম ফেভারিট সিটি।


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




রোহিঙ্গাদের তিন মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আর্থিক সাহায্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে ইউএনএইচসিআরের কাজকে জোরদার করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রতিনিধি (ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ) সু-জিন রি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের সর্বশেষ ঢলের পর ছয় বছর পার হয়েছে। আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট এখন একটি প্রলম্বিত পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, কোরিয়া সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পাওয়া এই অনুদানের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণে কাজ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তার এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবদান সত্যিই অমূল্য।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া রাষ্ট্রদূত পাক ইয়ং-শিক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।


আরও খবর



দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ জানালেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। যা দিয়ে আগামী প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংসদে সরকারি দলের সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, দেশে এ যাবৎ আবিষ্কৃত ২৯টি গ্যাসক্ষেত্রের প্রাথমিক মোট মজুত ৪০.৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮.৭৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২০.৩৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ফলে মজুত অবশিষ্ট রয়েছে ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের আওতায় বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নতুন কোনো গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত না হলে এবং বর্তমান হারে গ্যাস সরবরাহ করা হলে অবশিষ্ট মজুদ ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আগামী প্রায় ১১ বছর সরবরাহ করা সম্ভব হতে পারে।’

তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাস চাহিদা পূরণে সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি (অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার) কূপ খননের মাধ্যমে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ৭টি কূপ খনন কাজ শেষ হয়েছে এবং সম্প্রতি তিনটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে (টবগি-১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১)। ২টি কূপ (বিয়ানীবাজার-১ এবং তিতাস-২৪) ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশের সমুদ্র এলাকায় নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের লক্ষ্যে ২ডি মাল্টি ক্লায়েন্ট সাইসমিক জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া গত ৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি ২০২৩’ অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অফশোর এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য নতুন বিডিং রাউন্ড আহ্বানের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আরও খবর



সেপ্টেম্বরে ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ১০.১৪ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থার উদ্যোগে দুই মাস পর সেপ্টেম্বরে নেওয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার করিডোর ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতি ছয় মাসের গড় সুদহার হচ্ছে ‘স্মার্ট’ রেট। সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের ‘স্মার্ট’ সুদহার জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসের ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) তা ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফ-এর পরামর্শে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে গত জুলাই থেকে ‘স্মার্ট’ রেট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের জন্য প্রযোজ্য ‘স্মার্ট’ রেট ঘোষণা করে জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেপ্টেম্বর মাসে মাসে ঠিক করা ঋণের এ সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে না বাণিজ্যিক ব্যাংক। গত জুন ও জুলাই দুই মাসে ‘স্মার্ট’ রেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ৬ ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)।

মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরতে গত জুলাই মাস থেকে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক দেশেই প্রত্যাশার চেয়েও কমে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদেরও তা অনুসরণ করার পরামর্শ ছিল। সেই নীতিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রত্যাশা করছে, আমানতে সুদহার বাড়লে আমানতকারীদের মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা কিছুটা সহজ হওয়ার প্রত্যাশাও রয়েছে। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ব্যাংকেরেই আমানত সুদহার বাড়তে শুরু করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লিঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্মাট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে। এতে এ খাতের ঋণ সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।

অবশ্য কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক আরও এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করতে পারবে, তবে তা শুধু বছরে একবারের বেশি হবে না।

নতুন সুদহার নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলো স্থির বা পরিবর্তনশীল যেকোনো একটি নির্ধারণে গ্রাহকের সম্মতি অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংক চাইলে সর্বোচ্চ মার্জিনের মধ্যে যেকোনো একটি অঙ্কে সুদহার নির্ধারণ করে দিতে পারে।


আরও খবর



আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ। এই দিনে নবিজি (স.) শেষবারের মতো রোগ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করেছিলেন বলে প্রতিবছর মুসলমানরা শুকরিয়ার দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকেন।

এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোহা. বশিরুল আলম।

আখেরি চাহার শোম্বা মূলত ফার্সি পরিভাষা। ফার্সি শব্দ আখেরি অর্থ শেষ। চাহার অর্থ সফর মাস এবং শোম্বা অর্থ বুধবার। অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার শোম্বা।

এ বিষয়ে ইসলামী শরিয়তে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। জানা গেছে, ২৩ হিজরির শুরুতে হজরত মোহাম্মদ (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইমামতি পর্যন্ত করতে পারেননি। ২৮ সফর মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মাত্র কয়েক দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হজরত মোহাম্মদ (স.)।

পৃথিবীর সব মুসলিম যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এই দিনটি স্মরণ না করলেও বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা এই দিন বিশেষভাবে পালন করেন। পারসিক প্রভাবিত এই এলাকার ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় আখেরি চাহার শোম্বা। কারণ, এ অঞ্চলের সুফিরা এবং দিল্লির শাসকরা রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দিনটি পালন করতেন। ফলে ধীরে ধীরে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এই এলাকার মুসলিমদের ধর্মীয় জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।


আরও খবর