

সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩
সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩
একজন মুমিনের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ অনুসরণীয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য করো, আশা করা যায়, তোমাদের প্রতি করুণা করা হবে।’ (সূরা আন নূর, আয়াত, ৫৬)
আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘হে নবী! লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।’ তাদেরকে বলো, ‘আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করো।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত, ৩১)
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিজ হাতে ইসলামের বিধি-বিধান শিখিয়েছেন। বিধি-নিষেধ ছাড়াও ব্যক্তি জীবনের সম্পর্ক, সম্পর্কের খুঁটিনাটিও শিখিয়েছেন তিনি। বাবা হিসেবে সন্তানের সঙ্গে একজন মানুষের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তাও শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হাদিসের গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাবা হিসেবে প্রতিদিন দুইবার করে মেয়ে ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে দেখতে যেতেন। কোনো সফরে বের হলে রওয়ানার আগে ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার সঙ্গে দেখা করে যেতেন এবং ফিরে এসেও তার সঙ্গে দেখা করতেন।
ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর ঘরে আসতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দরজা থেকে তাকে এগিয়ে নিয়ে আসতেন, বুকে জড়িয়ে নিতেন, হাতে, কপালে চুমু খেতেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একবার যুদ্ধের গণীমত হিসেবে অনেকগুলো গোলাম আসে। এতো গোলাম দেখে আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে গিয়ে বললেন, তোমার তো কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ গিয়ে একটি গোলাম নিয়ে এসো, এতে করে তোমার কাজ করতে সহজ হবে।
ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে দেখলেন তিনি অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। পরদিন তিনি আবার গেলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলন, ফাতেমা তোমার কী প্রয়োজন?
ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কিছু না বলে চুপ করে রইলেন। তা দেখে আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, চাক্কি ঘুরাতে ঘুরাতে ফাতেমার হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। কূপ থেকে পানি উঠাতে উঠাতে বুক ব্যথা হয়ে গেছে। ঘরদোর ঝাড়ু দিতে দিতে কাপড়-চোপর ময়লা হয়ে যায়। তাই আপনার কাছে একজন গোলাম চাইতে বলেছিলাম!
তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে তিনটি কথা বললেন-
১. আল্লাহকে ভয় করো।
২. আল্লাহর ইবাদত করো।
৩. নিজের ঘরের কাজ নিজেই করো।
আর যখন বিছানায় যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়বে। এই তাসবীহগুলো তোমার জন্য খাদেম উপেক্ষা উত্তম হবে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস, ২৯৮৮)
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওযাসাল্লাম শুধু সন্তানকে ভালোবাসতেন না, সন্তানের কল্যাণকামীও ছিলেন, তাদের আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধও করতেন।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
মহান রব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমের সুরাতুল ফুরকানে একজন খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, যারা কখনো মিথ্যা সাক্ষী দেন না। আল্লাহতায়ালা অন্যত্র বলেছেন, তোমরা মিথ্যা থেকে আত্মসংবরণ কর। সূরা হজ।
আমাদের প্রিয়নবী হজরত রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দান শিরকের সমান, (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনেমাজা, তাবারানি)। অপর হাদিসে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার জন্য জাহান্নামের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নিজের পা নাড়াতেও পারবে না। (ইবনে মাজাহ)।
অপর হাদিসে প্রিয়নবী ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কেননা সত্যের গন্তব্য হলো আলো এবং মিথ্যার গন্তব্য হলো অন্ধকার।
এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) বাল্যকালে যখন তিনি লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা থেকে বাইরে গমন করেন, তখন তাঁর মা ছোট্ট বালকের পকেটের ভিতরে সেলাই করে কিছু দিনার রেখেছিলেন এবং বলে দিলেন, প্রয়োজনে এগুলো বের করবে।আর বিশেষভাবে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, বাছা যতই বিপদে পড় না কেন, কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, পথিমধ্যে কাফেলাটি ডাকাতের কবলে পড়লে মুসাফিরদের সব মাল-সামানা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অবশেষে বালক আবদুল কাদির জিলানীকে জিজ্ঞেস করল, বালক তোমার কাছে কি কিছু আছে, তিনি বললেন- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে, আমার কাছে ছয়টি দিনার আছে, ডাকাতরা বলল, তা কোথায়? তিনি বললেন আমার পাঞ্জাবির আস্তিনের ভিতরে আমার মা সেলাই করে দিয়েছেন। ডাকাতরা চেক করে দেখল হ্যাঁ বাস্তবেই আছে। জিজ্ঞেস করল, বালক তুমি কেন সত্য কথা বললে, মিথ্যা কথা বললে তোমার টাকাটা বেঁচে যেত। তিনি বললেন, না মিথ্যা কথা বলব না। কেননা আমার মা নিষেধ করেছেন এবং মিথ্যা বলা মহাপাপ।
অতঃপর ডাকাত সরদার এই বালকের সত্যবাদিতা দেখে এবং মায়ের আদেশ পালনে অবিচলতা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল এবং নিজের দুর্বৃত্তপূর্ণ নোংরা জীবনের প্রতি অনুশোচনা এলো, কারণ তার মাও নিষেধ করেছিলেন এ জঘন্য অপরাধ না করার জন্য। অতঃপর সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা করল এবং খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল।
মূলত কোরআন ও হাদিসের আলোকে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা চারটি বড় গুনাহে লিপ্ত হয়ে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথমত, দুনিয়ার লোভে পড়ে অপরের ক্ষতি করার জন্য মনগড়া মিথ্যা অপবাদ দেয়। দ্বিতীয়ত, সে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তার ওপর জুলুম করে। তৃতীয়ত, সে যার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় তার ওপরেও জুলুম করে, কেননা সে তার জন্য হারাম সম্পদ ভোগে সহায়তা করে দেয়। ফলে তার জন্য জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। চতুর্থত, আল্লাহর বিধান সমাজের সুষ্ঠু সুবিচার থেকে মজলুমকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
এ মর্মে সহিহ বুখারি, মুসলিম, ও তিরমিজিতে বর্ণনায় রয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদের জঘন্যতম কবিরা গুনাহ কী কী বলব না? সাহাবাগণ আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ অবশ্যই বলবেন। তিনি বললেন : তাহলে শোন, তা হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া, আর সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
বিনোদন ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই টাইগার ৩ নিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউড ভাইজান খ্যাত অভিনেতা সালমান খান। কখনও সামনে উঠে আসছে তার ছবির বক্স অফিসের খবর, কখনও আবার সবার নজরের কেন্দ্রে তিনি। তবে ভাইজান এখন ব্যস্ত রয়েছেন নতুন ছবি নিয়ে। বিভিন্ন মহলেও প্রশংসিত হয়েছে নতুন ছবি।
ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি-৯ এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪০০ কোটি রুপি ঘরে তুলেছে টাইগার ৩। আর ভারতের বুকে তা ২৫০ কোটির দরজায়। তবে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের জুটির এই ছবি এখন চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে কেবলই তাদের অ্যাকশনের জন্য।
এদিকে গোয়া ৫৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গেছে বলিউড ভাইজানকে। সেখানে রেড কার্পেটে সালমান খানকে দেখা মাত্রই পাপারাৎজি থেকে শুরু করে এগিয়ে আসেন সংবাদকর্মীরাও। তবে বলিউডের এ ভাইজান একজনকে দেখে নিজেই এগিয়ে এলেন। এরপর সবার নজর ঘুরে যায় তার দিকে।
মূলত সালমান যার দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি একজন প্রবীণ সাংবাদিক। তাকে কাছে টেনে আদর করলেন ভাইজান। জড়িয়ে ধরে তার কপালেও চুমুও এঁটে দেন তিনি।
খবরে আরও জানানো হয়, এ সাংবাদিকের সঙ্গে সালমানের পরিচয় বহুদিনের। তাই ভিড়ের মধ্যেই তাকে চিনে ফেলেন ভাইজান। মজা করে চুমুও খেতে গেলেন তিনি। সাংবাদিকের সঙ্গে সালমান খানের এই খুনসুটির ভিডিও এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল। যার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন ভাইজান।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।
তিনি বিবিসিকে বলেন, 'এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।’
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১,০০০ বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। হামাসের ওই হামলার জবাবেই ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়।
হিজবুল্লাহর ওই নেতা বলেন, ‘বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে এবং বেশি সংখ্যায় নারী ও শিশুদের হত্যা করছে।’ তার কথায়, ‘এই অঞ্চলে আরও বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।
প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব দেবে হিজবুল্লাহ
গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত হিজবুল্লাহ শুধুমাত্র হুঁশিয়ারির মাত্রাই বাড়িয়েছে আর সতর্কভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। রবিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও তিন শিশুর মৃত্যুর পর হেজবুল্লাহ প্রথমবার গ্রাড রকেট ব্যবহার করে যাতে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।
হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হুমকি দিয়ে বলেছেন, লেবাননে প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব সীমান্তের ওপারেও দেওয়া হবে। তবে এখনো তিনি ইসরায়েলকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেননি। ‘সমস্ত বিকল্প পথই খোলা রয়েছে।’ এ কথায় জোর দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীটি মূলত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের মধ্যেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রেখেছে।
তাদের ৬০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাদের জায়গা নেওয়ার মতো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিজবুল্লাহ-র আরও বহু সমর্থক আছে। বৈরুতে এমন এক যোদ্ধাকে এই সপ্তাহে কবর দেওয়া হয়েছে, যাঁর পরিবারের সদস্যরা কয়েক প্রজন্ম ধরে হেজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর পরিবারের পঞ্চম সদস্য যিনি ওই গোষ্ঠীর হয়ে প্রাণ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
কাশির সঙ্গে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বা কফমিশ্রিত রক্ত, শুধুু রক্ত, পরিমাণ কম বা বেশি যা থাক না কেন তাকে মেডিকেলের ভাষায় হেমোপটাইসিস বলে। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে তার সঠিক ইতিহাস জানা এবং কারণ বের করা প্রয়োজন। কারণ কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে কখনো কখনো ফুসফুসের জটিল রোগ সন্দেহ করা হয়। যেমন- ফুসফুসে ক্যান্সার। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করে বেশির ভাগ রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল/ভালো করা সম্ভব। যেমন যক্ষ্মা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ছয় মাসের ওষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়। যেসব কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যায়- ব্রঙ্কাইটিস (শ্বাসনালির প্রদাহ), ফুসফুসে ক্যান্সার যক্ষ্মা, ব্রংকিয়েক্টেসিস (স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি), ফুসফুসে ফোঁড়া হার্টের বাল্বের সমস্যা যেমন- মাইট্রাল স্টেনোসিস, হার্ট ফেইলার। এছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন : বুকের আঘাতজনিত কারণে, বিভিন্ন ধরনের ভাসকুলাইটিস যেমন পালমোনারি ধমনী-শিরা প্রদাহজনিত জটিলতা, বিভিন্ন প্রকার রক্তের রোগ যেমন- ব্লাড ক্যান্সার। এছাড়া অনেক সময় কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধজনিত কারণে হতে পারে। এছাড়া কিছু বিরল কারণে যেমন- কখনো কখনো মহিলাদের প্রতিমাসে ঋতু স্রাবের সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
উৎস : কোন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে তার ইতিহাস থেকে রোগ নির্ণয় করা যায়। এজন্য চিকিৎসককে রোগীর ইতিহাস জানাতে হবে। যেমন নাক দিয়ে রক্ত আসা, গলা ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা থাকলে শ্বাসনালির উপরিভাগ ইনফেকশন সন্দেহ করা হয়। কালচে লাল রং, নোনতা লাগা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, আগে জন্ডিস ও মদ পানের ইতিহাস থাকলে বমির সঙ্গে রক্ত এসেছে বলে ধারণা করা হয়। যার উৎস খাদ্যনালি বা লিভার জনিত জটিলতার কারণে। তাই এন্ডোসকপি জাতীয় পরীক্ষা প্রয়োজন। কাশির সঙ্গে রক্তের রং দিয়ে বিভিন্ন অসুখ আলাদা করা যায়। যেমন- ফেনাযুক্ত কাশি, পরিষ্কার লাল রং শ্বাসনালি জনিত বা লিভার জনিত কারণে। কাশির সঙ্গে রক্তের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেও রোগ আলাদা করা যায়। যেমন- বেশি পরিমাণে রক্ত গেলে ফুসফুসে ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ফোঁড়া, স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি। কাশির সঙ্গে অল্প পরিমাণ রক্ত গেলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হৃদরোগের জটিলতা সন্দেহ করা হয়। হঠাৎ করে কারও কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া শুরু হলে হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে হতে পারে। ক্রমাগত কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে রক্ত যাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সার সন্দেহ করা হয়। আমরা অনেক সময় এসব কাশিকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে বা এরকম উপসর্গ প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩
বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩