Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নেত্রকোনায় ভরা মৌসুমে ইঁদুরের পেটে কৃষকের স্বপ্নের ফসল, মিলছে না কোনো প্রতিকার

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১৪জন দেখেছেন

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার সকল উপজেলার সকল অঞ্চলে বর্তমানে ইঁদুরের উৎপাতের কৃষকের স্বপ্ন এখন ভেস্তে গেছে। এখন চলছে আশ্বিন মাস। সবুজে সবুজে ভরে উঠছে পুরো নেত্রকোনা অঞ্চলের মাঠ। সেই সঙ্গে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সবুজ স্বপ্নের ছড়াছড়ি। এমন সময় আমনের শেষ মুহূর্তে ক্ষেতের কাঁচা ধান কেটে সাবাড় করে ফেলছে ইঁদুরের দল। ইঁদুরের আক্রমণে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন কৃষকরা। 

নেত্রকোনার কৃষকরা জানান, আমনের মাঝামাঝি সময়ে এসে গোড়া পচনসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে ভরপুর ছিল। অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে কিছুটা কমেছে। এরপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে শুরু হয়েছে ইঁদুরের অত্যাচার। ক্ষেতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিষমাখা টোপ, আতপ চালের টোপ কিংবা ফাঁদ পেতেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। ক্ষেত থেকে ইঁদুর দূর করতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের পুরনো পদ্ধতির পরামর্শে কোনো কাজ হচ্ছে না। 

তাই সরকারকে ইঁদুর দমনে নতুন প্রদ্ধতি আবিষ্কার করতে হবে। যেন সব কৃষক ঈঁদুর থেকে রক্ষা পান। তা না হলে ক্ষেতের অর্ধেক ফসল ইঁদুরের পেটে চলে যাবে। লোকসানে পড়বেন প্রান্তিক কৃষকরা।  

জেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, শুধু বিষটোপ নয়, কলাগাছ, লাঠি কিংবা বাঁশের কঞ্চিতে পলিথিন বেঁধে দিলে ও রাতে ফসলের ক্ষেতে টায়ার পোড়ানোর পদ্ধতি ব্যবহার করলে ইঁদুর কিছুটা ভয়ে ক্ষেত ছেড়ে চলে যাবে। কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ।

নেত্রকোনা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,  চলতি মৌসুমে নেত্রকোনায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। তবে কত হেক্টর জমিতে ইঁদুর লেগেছে তার কোনো তথ্য নেই কৃষি অফিসে। 

কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুরা ইউনিয়নের কৃষক আবু হেনা বলেন, আমার প্রায় পাঁচ বিঘা জমির কিছু কিছু জায়গায় পৃথকভাবে ইঁদুর ধান নষ্ট করেছে। আমার জমির মতো আমাদের গ্রামের কবির আলী, পাইকুরা গ্রামের সাদিকুল সারি জমিতে কাঁচা ধান কেটে ফেলছে ইঁদুরে। আমরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। 

পূর্বধলা উপজেলার ধলা গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, আমার জমিতে ধান কাটছে ইঁদুর। বিভিন্নভাবে পদ্ধতি অবলম্বন করছি ইঁদুর তাড়ানোর জন্য। ধলা গ্রামের আজগর আলী, রাব্বানী, মতিনসহ অনেক কুষক জমিতে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ। মাঠের প্রায় প্রত্যেক কৃষকের কিছু না কিছু জমির ধান ইঁদুরে কেটে ফেলেছে।  

ইঁদুরে ক্ষতিগস্ত কৃষক সাহতা গ্রামের মামুন, হেলুচিয়া কুমারপাড়া গ্রামের মিঠু বলেন, কর্তব্যরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ গ্রহণ করে ইঁদুর দমন করা যাচ্ছে না।  

ইঁদুরের এমন সমস্যা শুধু দুই-চারজন কৃষকের নয়, প্রায় জেলার সবার এই সমস্যা। কৃষকের কাঁচা-আধাপাকা ধান কেটে সাবাড় করে ফেলছে।

নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, ইঁদুর দমন করতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে কৃষকদের নিয়ে ইঁদুর দমনের পদ্ধতি শিখিয়ে দিচ্ছি। আমার একার পক্ষে তো সম্ভব নয়। সকল উপজেলার সকল কৃষি কর্মকর্তারাও অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে আমরা সফল হব ইঁদুর দমন করতে। কত হেক্টর জমিতে ইঁদুর লেগেছে এমন কোনো সঠিক তথ্য আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নেই।



আরও খবর



রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত প্রতিদান আছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।  বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’

(মুসলিম, হাদিস : ১১৫১) রোজাদারের জন্য জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, জান্নাতে রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, সাওম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।

(বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)  বিশেষ ইবাদতের নামে জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব, যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে, যে সাওম পালনকারী,   রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজাতাকে রাইয়্যান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সদকা দানকারী তাকে সদকা দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবু বকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান, সব দরজা থেকে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৭) মহান আল্লাহ আমাদের জান্নাতের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার তাওফিক দান করুন।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলে এবারও তাই করছে। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় কার্যালয়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

 বয়কট ইস্যুতে বিএনপি নেতাদের ঐক্য নেই দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বয়কট আন্দোলন করছে তারা। কিন্তু তাদের নিজেদের বক্তব্যে মিল নেই। হাফিজ বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা, মহাসচিব সিঙ্গাপুর থেকে বলে ভিন্ন কথা।

 ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে হিসেব করে যাত্রা বিবেচনায় টিকিট বিক্রি শুরুর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ।  

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা সময়ে বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আর দুপুর ২টায় পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।  

এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে। কালোবাজারি রোধে সহজ.কম যেন টিকিট ব্লক করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



বিএসএমএমইউতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৮জন দেখেছেন

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মিছিল-মিটিংসহ নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। এছাড়া চারজন চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।


আরও খবর