Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

নিবন্ধন পেলো নুরের ‘গণ অধিকার পরিষদ’

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৪১২জন দেখেছেন

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল ‘গণ অধিকার পরিষদ’ ৫১তম রাজনৈতিক দল হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখা।

এর আগে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যায়। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন নুর। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করায় দলটিকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গণ অধিকার পরিষদ।

বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছিল গণ অধিকার পরিষদ। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন তাদের নেতাকর্মীরা। আন্দোলন শুরুর কয়েক দিন পর দলের সভাপতি নুরুল হক নুর গ্রেফতার হয়েছিলেন।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। এই বৈঠকটি রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলেও উল্লেখ করছেন তিনি।

আজ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি (ড. ইউনূস) যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক হবে।’

আগামী ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলোয় এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা (বৈঠক) আমরা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাবেন সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন থেকেই মোটামুটি একটু আলোচনা হচ্ছিল যে, সেখানে যেহেতু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন সেখানে একটা সাক্ষাৎ হতে পারে। 

এটা একটা সম্ভাবনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। এখন এটা পরিপর্ক্ক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির মিটিংও হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেছেন। তারেক রহমানকে ফরমালি দাওয়াত করা হয়েছে মিটিংয়ের জন্যে। ১৩ তারিখ ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত (লন্ডন স্থানীয় সময়) প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই সময়টা দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মিটিংয়ের জন্য আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

আমরা প্রত্যাশা করছি যে, এটা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে পজেটিভ ভূমিকা রাখতে পারে।’

অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিকে এই সময়ের বড় ‘পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক সুযোগও তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তিনি দেখা করবেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি দল চালাচ্ছেন এতোদিন ধরে। যিনি রাজনীতিতে প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হয়ে আছেন বাংলাদেশে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেও একটা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। 

তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়াটা আমি বড় ইভেন্ট বলে মনে করি। ‘ইটস এ মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট।’

তিনি বলেন,  আমার মনে হয় যে, এই সময়ের মধ্যে সবচাইতে ইম্পরটেন্ট ইভেন্ট, এই মিটিংয়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটা গুরুত্ব অনেক বেশি।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘আপনাদের পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকদের মধ্যে বহু আলোচনা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে। এর মধ্যে এই মিটিংটা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতৃবৃন্দের (মুহাম্মদ ইউনুস-তারেক রহমান) উপরে তারা কিভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথোরিটি দিয়েছি তার, সাফল্য প্রার্থনা করেছি।’

বৈঠকের স্থান কোথায় জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ লন্ডনে যে হোটেলটিতে (হোটেল ডোরচেস্টার) উনি প্রধান উপদেষ্টা আছেন সেটাতেই ভেন্যু। ওখানেই তার সঙ্গে ‘ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দি হাউজ’ দেখা করবেন তারেক রহমান সাহেবের বৈঠকের পরে। এরপরে অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন। 


আরও খবর



প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




শারজায় টাইগারদের লজ্জার হার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ হলো। এক ম্যাচ হারকে অঘটন বলা যায়। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে রীতিমতো নাকাল হলো বাংলাদেশ। বলেকয়ে এক ম্যাচ বাড়ানো যেন হিতে বিপরীত হলো টাইগারদের জন্য। শারজায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে অনায়াসেই হারিয়েছে আরব আমিরাত। সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে এটিই আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। অন্যদিকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হয়ে নিজের প্রথম সিরিজেই বিব্রতকর হার দেখলেন লিটন দাস। লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯। তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব। এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি। তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে টাইগাররা। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। শঙ্কা জেগেছিল একশর আগে অলআউট হওয়ার। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে। যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। এই ম্যাচে তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন। তানজিব সাকিব খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। তারপর শরিফুল আর হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। আরব আমিরাতের স্পিনার হায়দার আলি মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ও মাতিউল্লাহ খান পান ২টি করে উইকেট।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর