নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঁদার টাকা পরিপূর্ণ না
দেওয়াই রাজধানীর কদমতলীতে নির্মানাধীন বাড়িতে হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির গেটে
তালা সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর
কদমতলী থানা দিন পূর্ব ধোলাইপাড় ২ নং গলির শেষ মাথায় ঢাকা সিটি জরিপের দাগ নং ১৯৬/১
সদ্য ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমির উপর খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের নির্মাণাধীন বাড়িতে এই ঘটনাটি
ঘটে।
হামলায় বাড়ির মালিক খন্দকার রাবেয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মুহাম্মদ মফিজুর
রহমান গুরুতর আহত হলে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাড়ির
মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিন (৫২) বাদী হয়ে কদমতলি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার
নং-৭, তারিখ ০৪-০৩-২০২৪ ।
কিন্তু বাদী পক্ষের অভিযোগ মামলা করার পর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের
লিডার শুভর নেতৃত্বে আসামিরা তাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা রকম ভয়-ভীতিসহ প্রাণ
নাশের হুমকি প্রদান করছে । এমনকি মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যকে মাদক
দিয়ে ফাসিয়ে মাদক মামলার দেয়ার ও হুমকি দেয়া হচ্ছে ।
মামলা সুত্রে জানা যায় , খন্দকার
রাবিয়া নাসরিনের ক্রয়কৃত জমির উপর ভবন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে । এবং নির্মান কাজ
শুরুর পর থেকেই স্থানীয় সন্ত্রাসী কিছু চাঁদাবাজ ক্রমাগত ভাবে ১০,০০০,০০ (দশ লক্ষ)
টাকা চাদা দাবি করে আসছে ।
চাদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে ভয় পেয়ে রাবিয়া
নাসরিন বিভিন্ন তারিখে তাদেরকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা দেয় । কিন্তু ঘটনার দিন ২৯-০২-২০২৪
বৃহস্পতিবার বাকি ৭,০০০,০০ (সাত লক্ষ) টাকা চাদার দাবিতে চাদাবাজ আলী আকবর উল্লাস
(৩৫)পিতা- হাজী জয়নাল আবেদীন, রাসেল আহমেদ বাবু- পিতা- মৃত এম এ মজিদ মিয়া, আবুল
হোসেন ওরফে আবুল, মোহাম্মদ রুবেলসহ আরও ৪/৫ জন আনুমানিক বিকেল তিনটার সময় নির্মানাধীন
বাড়ির ভিতরে ঢুকে রাজমিস্ত্রি ও হেল্পার কে এলো পাথাড়িভাবে মারধর করে তাদের যন্ত্রপাতি
ও গ্রেডিং মেশিন ছিনিয়ে নেয় ।
পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের উপর
হামলা চালালে তার স্বামী মোঃ মফিজুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় নির্মাণাধীন ভবন দেখাশোনার
দায়িত্বে থাকা খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মো: মফিজুর রহমান এগিয়ে
আসলে আলী আকবর উল্লাস পিস্তলের বাট দিয়ে মফিজের মাথার ডান পাশে আঘাত করার পর মাটিতে
লুটিয়ে পড়ে এবং মাটিতে পড়া অবস্থায় বাবু, উল্লাস, আবুল, রুবেল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী
চাঁদাবাজগণ এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি, কাঠের ঢাসা, ইট দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ির
বাইরে ফেলে দেয় ।
বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিনকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে
মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় থানা পুলিশ এসে উদ্ধার
করে বাসার মেন গেটের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বাসায় ঢোকার সুযোগ করে দেয় এবং মো: মফিজুর
রহমানকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে পাঠানো হয়
। এছাড়া সরোজমিনে খবর নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায়
একাধিক মামলা রয়েছে ।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিন বলেন, চাদার টাকা না দেওয়ার
জন্য তারা আমাদের উপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে, এবং এখন বিভিন্ন সময়ে নানা রকম হুমকি
দিচ্ছে আমি আমার স্বামী এবং আমার ছেলে মেয়ে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই আমি
আমার পরিবারের নিরাপত্তাসহ চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।