Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদকঃ


অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন।


বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৪ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করিলেন। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।'


সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর বুধবার (৭ আগস্ট) পদত্যাগ করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।


 আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এস কে) মোরসেদও পদত্যাগ করেছেন।


বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।


আরও খবর



আশুলিয়ায় পাইকারি বাজারে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
  • আব্দুল্লাহ আল মনির                                                                                                                                                                                            সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকার আশুলিয়ায় একটি বাজারে মশলা ও নিষিদ্ধ পলিথিনের পাইকারি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৮ টি দোকান পুড়ে গেছে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

    সোমবার (৩০ শে ডিসেম্বর  ২০২৪)  রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় রমজান আলী সুপার মার্কেটের একটি দোকানে আগুন লাগে। এসময় মার্কেটে থাকা আরও আটটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ দোকানে ছিল নিষিদ্ধ পলিথিন। 

    প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকবর হোসেন, বলেন  আমরা একটি দোকান থেকে ধোয়া বের হতে দেখি। পরে দোকানের শাটার ভেঙ্গে ফেলার পর ভেতরে আগুন দেখতে পাই৷ ওই দোকান থেকে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে  দোকানে পলিথিন ছিলো। 

    প্রত্যক্ষদর্শীরা  আরও জানান, এখানে বেশিরভাগ  দোকানগুলোতে ছিল পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যাগের দোকান। মসলা দোকান থাকলেও অধিকাংশ দোকানে পলিথিন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে। এজন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতেও দেরি হয়েছে। 

    আরো বলেন, প্রথমে একটি মসলার দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয় । পরবর্তীতে বিভিন্ন পলিথিণের দোকান, চায়ের দোকান  ও বিভিন্ন মসলার দোকানে আগুন লাগে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। 

    এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে আড়ৎ এর একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুনের মাত্রা বেশি থাকায় আশপাশের দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ডিইপিজেড স্টেশন থেকে প্রথমে তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্ত আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে  জিরাবো স্টেশন থেকে আরো তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    ফায়ার সার্ভিসের জোন-ফোর ডিএডি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন,  আমরা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে খবর পাই। তখন ডিইপিজেড স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে জিরাবো ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে যোগ দেয় । দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। কি কারণে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

     

আরও খবর



এটিএন বাংলা ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  এটিএন বাংলা ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটি এক উৎসবমুখর পরিবেশে এবং শিক্ষার্থীদের বিপুল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

 

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির প্রেসিডেন্ট হাসান আহমেদ কিরন।

 

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ফাতেমা তুজ জহুরা, তানভীর আহমেদ, কানিজ ফাতেমা রিতু, নাজমুল ইসলাম রতন এবং আবু নাসির আল রাকিব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করার জন্য অসামান্য বিতর্ক এবং দলগত দক্ষতা প্রদর্শন করে।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাসার খান, ডিবেটিং ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর এবং আইন বিভাগের প্রভাষক মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতা, ছাত্রকল্যাণ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর কে.এম. মনিরুল ইসলাম, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।

 

এ সাফল্য ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত যা বিতর্কে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিভা এবং নিষ্ঠার প্রতিফলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তাভাবনা এবং জনসমক্ষে বক্তৃতা করার দক্ষতা বিকাশের গুরুত্বকে তুলে ধরে।


আরও খবর



সাগর পাড়ের কলাপাড়ায় বইছে হিমেল বাতাস,নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৯জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: সাগর পাড়ের কলাপাড়ায় বইছে হিমেল বাতাস। সেই সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। সারা দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। হেডলাইটের আলো জ্বালিয়ে চলছে যানবহন। হাড় কাঁপানো তীব্র শীতে কাঁপছে উপক‚লবাসীর জনজীবন। কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর, গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ পড়েছেন বিপাকে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। 

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে জয়নাল জানান,প্রচন্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে সাগরের মধ্যে টিকে থাকা যায়না। অভাবের সংসার দিন আনি দিন খাই আনেক কষ্টে আছি।

অটোভ্যান চালক আ.জব্বার বলেন, ঠান্ডার কারণে হাত-পায়ের রগ জড়ো হয়ে যায়। হাত দিয়ে হ্যান্ডেলও ধরতে পারেন না। অটো চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। টানাটানির সংসারে বাধ্য হয়ে অটোভ্যান নিয়ে কাজের জন্য বের হয়েছি।

মালেক নামে এক দিনমজুর জানান, ঠান্ডার কারণে তারা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অতি কষ্টে দিন পাড় করছেন। 

খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো.জিল্লুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩ টা প্রযন্ত সর্বনিম্ন ১৮.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থা আরোও ৩দিন চলতে পারে।



আরও খবর



জামালপুরে বিজিবির কম্বল বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩০জন দেখেছেন

Image

জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থদের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। মঙ্গলবার  ৩৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান পিএসসি কম্বল বিতরণ কর্মসুচির উদ্বোধন করেন।

বিজিবির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শামসুল হক, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলে এলাহী মাকামসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি মাঠে জেলার বিভিন্ন বিওপি থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫শ জনকে কম্বল বিতরণের কথা ব্যক্ত করেছেন।


আরও খবর



সংবিধান প্রতিস্থাপন ও আ.লীগকে অপ্রাসঙ্গিক করা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ বর্তমান সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবেও উল্লেখ করেছে। এই ‘মুজিববাদী সংবিধান’ কীভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করেছে এবং ঠিক কীভাবে এর রিপ্লেসমেন্ট (প্রতিস্থাপন) করা হবে, সেটি ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে’ স্পষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


৩১ ডিসেম্বর (আগামীকাল মঙ্গলবার) বেলা তিনটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ঘোষণা সামনে রেখে গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার বাংলামোটরে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের’ মাধ্যমে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের ‘কবর’ রচিত হবে। পাশাপাশি এই ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে—এমনটি প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।



সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্টেই হওয়া উচিত ছিল। এটি না হওয়ার কারণে গণমাধ্যম, ‘বুদ্ধিজীবীপাড়া’সহ সব জায়গায় ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং এর লেজিটিমেসিকে (বৈধতা) প্রশ্ন করছে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুজিববাদী সংবিধানের বিপরীতে মানুষ যে অবস্থান নিয়েছে, তার একটি লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন (আইনগতভাবে নথিবদ্ধ রাখা) থাকা উচিত। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান ঘিরে তৈরি হওয়া গণ–আকাঙ্ক্ষা এবং বাহাত্তরের সংবিধানের বিপরীতে গিয়ে মানুষের রাস্তায় নামার প্রাতিষ্ঠানিক ও দালিলিক স্বীকৃতি ঘোষণা করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সেই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।


হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই বাহাত্তরের সংবিধান, মুজিববাদী চেতনা ও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের দাঁড়ানোকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ ঘোষণা করা হবে। যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক দফার (শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ) ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গা থেকে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হবে। আমরা প্রত্যাশা রাখছি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ঘোষণাপত্রে আমরা বিচার নিশ্চিতের ইশতেহার দেখতে চাই।’


পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতিগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের “ইনস্টলমেন্ট” (স্থাপন করা) হয়েছে। ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট করা হবে, মুজিববাদী সংবিধান কীভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করেছে এবং ঠিক কীভাবে আমরা এটার রিপ্লেসমেন্ট করতে চাই।’


জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ঘোষণা করার কোনো বিষয় আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) আইনগত বিষয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের বিষয়ে আমরা এখন যাচ্ছি না।’


এ সময় হাসনাতের পাশে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করব। সেটা সংবিধানে যুক্ত করে সেকেন্ড রিপাবলিক করার দায়িত্ব সরকারের।’


ঘোষণাপত্রের খসড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলের কাছে ঘোষণাপত্রের খসড়া পাঠানো হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রটি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের একটি লিখিত দলিল হিসেবে থাকবে। যে দলিল বিগত ব্যবস্থাগুলোকে বাতিল করে প্রত্যাশিত নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পথ দেখাবে। ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে যাঁরা বাংলাদেশের মানুষের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি একটি নির্দেশিকা হিসেবে থাকবে।


সারজিস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অনুযায়ী ঘোষণাপত্রটি সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা হচ্ছে।


৫ আগস্টের পুনর্মঞ্চায়নের পরিকল্পনা

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল, ৩১ ডিসেম্বর সেই ঘটনার একটা পুনর্মঞ্চায়ন করতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে যত বেশি সংখ্যক মানুষের সমাগম করতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা–কর্মী ও সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃস্থানীয়রা গত শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে ফেসবুকে ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে নানা আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণে কৌতূহলের জন্ম দেয়। ফেসবুকে অনেকে এমন প্রশ্নও করেন, এই উদ্যোগের (জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র) মধ্য দিয়ে বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না। কারও কারও প্রশ্ন ছিল, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে কি না। কেউ কেউ উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে হয়তো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকারে রূপ নিতে যাচ্ছে।


বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব আশঙ্কা বা ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। শহীদ মিনারে বড় জমায়েতের মাধ্যমে তাঁরা এই বার্তা সব পর্যায়ে পৌঁছাতে চান যে অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা মনে করেন, এর মাধ্যমে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।


নেতারা জানান, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগে ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সাল পার হয়ে গেলে এর প্রতীকী তাৎপর্য কমে যাবে। এ বছরের মধ্যেই ঘোষণাপত্র মানুষের সামনে নিয়ে আসা এবং নতুন করে আলোড়ন তৈরি করার জন্যই বছরের শেষ দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে কোনো দাবিদাওয়ার বিষয় থাকবে না। এতে মূলত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, আকাঙ্ক্ষা ও আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশের একটি চিত্র থাকবে।


আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে থাকা দলগুলো বাদে বাকি সব দলের নেতাদের ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তবে তাঁরা বলছেন, মঞ্চে রাজনৈতিক কোনো দলের নেতারা থাকবেন না। মঞ্চে থাকবেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গত ৩ আগস্ট ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিমের সদস্যরা। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন।


‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।


জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা পৃথক দুটি ঘোষণাপত্র শহীদ মিনারে পাঠ করা হবে।



‘বিএনপি নেতার প্রতিক্রিয়া’

সংবিধান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে গতকাল দুপুরে ঢাকায় দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনুরোধ করব, বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে ফেলব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব—এ সমস্ত কথা ভালো কথা নয়। এ ধরনের কথা ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে।’


‘সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই’

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এটিকে সরকার ‘প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ’ (বেসরকারি উদ্যোগ) হিসেবেই দেখতে চায়।


গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবেই দেখছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যাঁরা এটিকে সাপোর্ট করছেন, এটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট করছেন।’


এই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এটি আসলে যাঁরা ঘোষণা দেবেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তাঁরা কী ঘোষণা দেবেন, এ বিষয়ে সরকার আসলে তেমন অবগত নয়।’



আরও খবর