Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

নতুন প্রকল্পে দিতে হত হাসিনা পরিবারকে বড় অঙ্কের কমিশন: রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৩৩১জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


রিমান্ডে সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, ‘নতুন নতুন প্রকল্প বের করার তাগাদা দিতেন শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা। 


নতুন প্রকল্প মানেই বড় অঙ্কের কমিশন। এর সবকিছুই জানতেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি কখনো তাতে না করেননি।’


এ ছাড়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেখানে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে এস আলম প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও উঠে এসেছে।


 পাচারের অর্ধেক টাকা শেখ রেহানা ও হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালমান এফ রহমান। 


সালমান এফ রহমানের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এস আলমের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া দেড় লাখ কোটি টাকার অর্ধেকই শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব অনিয়ম হয়। তবে এসব বিষয়ে কেউ কথা বলার সাহস পাননি। কেবল অর্থ পাচার নয়, দেশের ইস্টার্ন রিফাইনারি, চিনিকল হাতিয়ে নিলেও এস আলমের বিষয়ে সবাই নীরব ছিলেন।


গ্রেপ্তারের পর থেকেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন সালমান এফ রহমান। শেখ পরিবারের অতি লোভের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা শোচনীয় হয়েছে।


 তাতে সব সময়ই সায় দিতেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যক্তি। শেখ হাসিনাকে বোঝাতে গিয়ে অনেকে ছিটকে পড়েছেন। কারণ, তিনি সব সময়ই তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন বলে দাবি করেন সালমান এফ রহমান।



তদন্ত সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে লুটপাটের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। তাই নিজের পছন্দের মতো চেয়ারম্যান এবং এমডি নিয়োগ দিতেন। পছন্দ না হলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ব্যাংকে যোগদান করতে দিতেন না। 


কেউ যোগদান করে ফেললেও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তাকে বন্ড ছেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন। তিনি বারবার অসুস্থতার কথা বলে এড়িয়ে গেছেন বলে দাবি করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।


এ ছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, তাদের কাছে তথ্য এসেছে ‘সুকুক’ বন্ডের মাধ্যমে সালমান এফ রহমান তুলে নিয়েছেন দুই হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এই বন্ড কেনার জন্য ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করেছেন তিনি। প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করানো হয়, যাতে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগে বাধ্য হয়।


 তবে সালমান এফ রহমান বারবার নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।


গত ১৩ আগস্ট রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।




আরও খবর



কখন বুঝবেন আপনার উপর কোরবানি ওয়াজিব হয়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

কোরবানি তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। এতে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। কোরবানি শুরু হয়েছিল হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল থেকে। পরবর্তীতে কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পাথেয়। মহান আল্লাহর নামে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পশু জবাই করার নাম কোরবানি। পশু জবাই না করে এর মূল্য গরিবদের মধ্যে বণ্টন করলে কোরবানি আদায় হবে না। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন,

قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ অর্থ: বলো, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন-মরণ সমস্ত সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত।’ (সুরা আন‘আম: ১৬২)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছেন এবং প্রতিবছর কোরবানি দিয়েছেন। (তিরমিজি)

কোরবানি কখন দিতে হয়?

প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষ, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

 হিসাবযোগ্য পণ্য

কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব।

 কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হয়?

কোরবানির নেসাবের পরিমাণ হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে। সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনও একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। কত টাকা থাকলে এ বছর কোরবানি ওয়াজিব হবে- তা জানতে হলে আগে রুপার মূল্য জেনে নিতে হবে। গত বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫২ তোলা ২২ ক্যারেট রুপার দাম হলো ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৯ টাকা। সাড়ে ৫২ তোলা ২১ ক্যারেট রুপার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৪৩ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট রুপা সাড়ে বায়ান্ন তোলার দাম পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৩৫ টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপা সাড়ে ৫২ ভরির দাম ৯০ হাজার ৬৩০ টাকা। সুতরাং কোরবানির দিনগুলোতে কারো কাছে ন্যূনতম হিসাবে যদি সাড়ে ৯০ হাজার টাকা বা এর সমমূল্যের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে, তাকে কোরবানি দিতে হবে। তবে কোরবানি যেহেতু ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সময়ের মধ্যে ওয়াজিব হয়, সে সময়ের দাম হিসাব করতে হবে। কারণ ততদিনে রুপার দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কোরবানি ওয়াজিব হয় ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার যে দাম থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করে।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোরবানির দিনের আমলগুলোর মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে অন্য কোনও আমল মহান আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কোরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই মহান আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো। (তিরমিজি: ১৪৯৩)


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ঝরলো আরও ৮৫ প্রাণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

গাজায় ইসরায়েলি হামলা প্রতিনিয়ত চলছেই। এতে ঝরছে মৃত্যুর মিছিল। গেল কয়েকদিন আগেই ৫৩ হাজার মৃত্যু ছাড়িয়েছিল। দিন যত যাচ্ছে তা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। সম্প্রতি করা হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজায় অন্তত আরজ ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অনেকেই। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ১৯৭ জন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে ২৯ জন শিশু ও বৃদ্ধের মৃত্যুকে ‘অনাহার-সম্পর্কিত’ প্রাণহানি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখনও চরম খাদ্যসংকটে ভুগছেন এবং অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭টি লাশ হাসপাতালে পৌঁছেছে এবং ২৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে আহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৯৭ জনে। মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক লাশ ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ৩ হাজার ৬১৩ জনকে হত্যা করেছে এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। এতে করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত বাতিল হয়ে গেছে।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫




মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়নে গতি আনতে মাস্টারপ্ল্যানের তাগিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

উপকূলীয় মাতারবাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্রবন্দর, জ্বালানি কেন্দ্র এবং রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চল—এই লক্ষ্য সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ঘিরে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি (এমআইডিআই), যা এই অঞ্চলকে পরিণত করতে যাচ্ছে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ীকে বন্দর, উৎপাদন ও জ্বালানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি আনতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশনা দেন—মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে। পাশাপাশি সমুদ্রগামী বড় কনটেইনার জাহাজগুলোকে ধারণে সক্ষম টার্মিনাল গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

শুধু শিল্প নয়, শ্রমিকদের জন্যও পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন অপরিহার্য—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সফলভাবে প্রথম জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর, জাপান এখন মাতারবাড়ী-মহেশখালী অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেইআরএ এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ একাধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প এমআইডিআই উদ্যোগের মূলভিত্তি হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বুধবার (২৮ মে) শুরু হতে যাওয়া তার জাপান সফরে এমআইডিআই অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হবে। তিনি ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনায় মূলত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুসংহত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, মাতারবাড়ীকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনা ও রূপরেখা থাকা জরুরি।

এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। বৈঠকে এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।


আরও খবর



ভূমি মেলা শুরু ২৫ মে -তিন দিনব্যাপী মেলায় মিলবে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ আলামিন আলি, 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ভূমি মেলা-২০২৫’। এরই অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফিসের যৌথ উদ্যোগে।

মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে ২২ মে (মঙ্গলবার) সকালে উপজেলা হলরুমে এক প্রেস কনফারেন্সের  সভাপতিত্ব করেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী। বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেনসহ  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারি আবেদন গ্রহণ, রেজিস্ট্রেশন ও দাখিলা প্রিন্ট করার সুযোগ থাকবে। থাকবে সার্বক্ষণিক সেবাবুথ, যেখানে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দর্শনার্থীদের ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভূমি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা’ ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনানির ব্যবস্থাও থাকবে। জনসচেতনতায় লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি একটি বেসরকারি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রও থাকবে, যেখানে নির্ধারিত রেটে সেবা প্রদান করা হবে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




আরও খবর



সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভেসে যাচ্ছিল হরিণ শাবক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

স্টাফ রিপোর্টার 

ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র প্রভাবে পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র জলোচ্ছ্বাস। এতে বনাঞ্চলের বন্যপ্রাণীরাও পড়েছে চরম বিপদের মুখে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে ) সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের শেলারচর টহলফাঁড়ি এলাকায় একটি হরিণের শাবক পানির স্রোতে ভেসে যেতে থাকে। তবে বন বিভাগের তৎপরতায় শাবকটি প্রাণে বেঁচে যায়। বন বিভাগের টহলরত কর্মীরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনাঞ্চলের ভেতর থেকে একটি হরিণ শাবক ভেসে গিয়ে সাগরের দিকে চলে যাচ্ছিল। ঘটনাটি চোখে পড়ামাত্রই বনকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নামেন। জীবন ঝুঁকি নিয়ে চালানো এই অভিযানে তারা শাবকটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে শাবকটিকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে সুন্দরবনের একটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়। বন কর্মকর্তা মোমিন শরীফ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের প্রাণীরা চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। এই সময় আমাদের দায়িত্ব শুধু বন রক্ষা নয়, প্রতিটি প্রাণীর জীবন সুরক্ষা নিশ্চিত করাও। আমাদের কর্মীরা সেই দায়িত্ব দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে পালন করছেন। উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী বনকর্মীদের এই মানবিক উদ্যোগ ও সাহসিকতা স্থানীয়দের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে।


আরও খবর