Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

নতুন প্রকল্পে দিতে হত হাসিনা পরিবারকে বড় অঙ্কের কমিশন: রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১০০জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


রিমান্ডে সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, ‘নতুন নতুন প্রকল্প বের করার তাগাদা দিতেন শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা। 


নতুন প্রকল্প মানেই বড় অঙ্কের কমিশন। এর সবকিছুই জানতেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি কখনো তাতে না করেননি।’


এ ছাড়া রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সেখানে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে এস আলম প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচারের তথ্যও উঠে এসেছে।


 পাচারের অর্ধেক টাকা শেখ রেহানা ও হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালমান এফ রহমান। 


সালমান এফ রহমানের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এস আলমের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া দেড় লাখ কোটি টাকার অর্ধেকই শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব অনিয়ম হয়। তবে এসব বিষয়ে কেউ কথা বলার সাহস পাননি। কেবল অর্থ পাচার নয়, দেশের ইস্টার্ন রিফাইনারি, চিনিকল হাতিয়ে নিলেও এস আলমের বিষয়ে সবাই নীরব ছিলেন।


গ্রেপ্তারের পর থেকেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন সালমান এফ রহমান। শেখ পরিবারের অতি লোভের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা শোচনীয় হয়েছে।


 তাতে সব সময়ই সায় দিতেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যক্তি। শেখ হাসিনাকে বোঝাতে গিয়ে অনেকে ছিটকে পড়েছেন। কারণ, তিনি সব সময়ই তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন বলে দাবি করেন সালমান এফ রহমান।



তদন্ত সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে লুটপাটের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। তাই নিজের পছন্দের মতো চেয়ারম্যান এবং এমডি নিয়োগ দিতেন। পছন্দ না হলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ব্যাংকে যোগদান করতে দিতেন না। 


কেউ যোগদান করে ফেললেও অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্টরা তাকে বন্ড ছেড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন। তিনি বারবার অসুস্থতার কথা বলে এড়িয়ে গেছেন বলে দাবি করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।


এ ছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, তাদের কাছে তথ্য এসেছে ‘সুকুক’ বন্ডের মাধ্যমে সালমান এফ রহমান তুলে নিয়েছেন দুই হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এই বন্ড কেনার জন্য ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করেছেন তিনি। প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করানো হয়, যাতে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগে বাধ্য হয়।


 তবে সালমান এফ রহমান বারবার নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।


গত ১৩ আগস্ট রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।




আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২ কোটিতে ভিসি পদ বিক্রি করতেন দীপু মনি

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদিদোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। 


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানীর বারিধারা থেকে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 


গত ১১ বছরে পররাষ্ট্র, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে।


দীপু মনির দুর্নীতি-অনিয়ম সম্পর্কে জানলেও ভয়ে মুখ খোলেননি তার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। অনেকে বলছেন, মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত তার হাত ছিল। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের জন্য দুই কোটি এবং কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন। তার সময়ে শিক্ষা খাতে এটি ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : গুগল তাদের জিমেইল পরিষেবা ব্যবহারকীদের ১৫ জিবি স্পেস ফ্রি দেয়। যা দ্রুত ফুল হয়ে যায়। তখন জিমেইল ইনবক্সে নতুন করে ই-মেইল আসে না। এছাড়াও গুগল ড্রাইভে ছবি, ফাইল স্টোরেজ করা যায় না। স্টোরেজ পরিচালনা করা দক্ষ ই-মেইল যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। গুগল জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটোজ জুড়ে সীমিত বিনামূল্যের সঞ্চয়স্থান অফার করলেও নিজেদের অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্টোরেজ খালি করলে জিমেইল চালনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো ডিলিট করা, সংযুক্তিগুলো পরিচালনা করা এবং মূল্যবান সঞ্চয়স্থান পুনরুদ্ধার করতে গুগলের অন্তর্নির্মিত সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করাসহ জিমেইল অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে।


জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস : 

অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল ডিলিট: আর প্রয়োজন নেই, এমন -ইমেইলগুলো ডিলিট দিয়ে শুরু করতে হবে। বড় বার্তা বা পুরনো থ্রেডগুলোতে মনোযোগ করতে হবে, যা আর কোনো উদ্দেশ্য পূরণ করে না। আকার বা সময় অনুসারে ই-মেইলগুলো খুঁজে পেতে এবং সেগুলোকে প্রচুর পরিমাণে ডিলিট করার জন্য জিমেইলের সার্চ ফাংশন ব্যবহার করতে হবে।

ট্র্যাশ এবং স্প্যাম ফোল্ডার খালি: মুছে ফেলা ই-মেইলগুলো ট্র্যাশ ফোল্ডারে সরানো হয়, যা এখনও ইউজারদের সঞ্চয়স্থান কোটার সঙ্গে গণনা করা হয়। নিজেদের ট্র্যাশ ফোল্ডারটি নিয়মিত খালি করতে হবে। এছাড়াও, অবাঞ্ছিত বার্তাগুলো স্থান দখল করছে কি না, তা নিশ্চিত করতে স্প্যাম ফোল্ডারটি খালি করতে হবে।

অ্যাটাচমেন্ট পরিচালনা: অ্যাটাচমেন্ট প্রায়ই উল্লেখযোগ্য স্থান গ্রহণ করে। বড় অ্যাটাচমেন্টসহ ই-মেইলগুলো শনাক্ত করতে সার্চ বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো পর্যালোচনা করতে হবে কিংবা ডিলিট করতে হবে। গুগল ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাটাচমেন্ট সেভ এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে সেগুলো সরানোর কথা বিবেচনা করতে হবে।

গুগলের স্টোরেজ ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার: গুগল স্টোরেজ পরিচালনার জন্য অন্তর্নির্মিত সরঞ্জাম সরবরাহ করে। কোন পরিষেবাগুলো সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যবহার করছে, তা দেখার জন্য গুগল ওয়ান স্টোরেজ ম্যানেজার (নিজেদের গুগল অ্যাকাউন্ট সেটিংসে উপলব্ধ) অ্যাক্সেস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সেগুলো পরিচালনা করা প্রয়োজন।

পুরনো ই-মেইল স্টোরেজ: মুছে ফেলার পরিবর্তে, পুরনো ইমেলগুলোকে ইনবক্সে এলোমেলো না রেখে অ্যাক্সেসযোগ্য করতে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্টোরেজ করার সময় এটি একটি পরিষ্কার, আরও সংগঠিত ই-মেইল পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে।

অবাঞ্ছিত নিউজলেটার আনসাবস্ক্রাইব: নিয়মিত নিউজলেটার বা মেইলিং তালিকা আনসাবস্ক্রাইব করতে হবে। এটি ইনকামিং ইমেলের ভলিউম কমাবে এবং ভবিষ্যতে স্টোরেজ সমস্যা প্রতিরোধ করবে।

স্টোরেজ আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা: কেউ যদি দেখেন যে, বিনামূল্যে পাওয়া যায়, তার তুলনায় আরও বেশি জায়গার প্রয়োজন, তাহলে তিনি একটি পেইড গুগল প্ল্যানে আপগ্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এটি সমস্ত গুগল পরিষেবা জুড়ে অতিরিক্ত স্টোরেজ প্রদান করে।


আরও খবর

মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এআই ফিচার নিয়ে এলো অপো রেনো১২ এফ ৫জি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে এ কে এম সহিদের নিয়োগ স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠতম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবিলম্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ কে এম সহিদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ সেপ্টেম্বর রুলসহ এই আদেশ দেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের আদেশটি নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো ওই পদে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও তাকসিমকে একই পদে দীর্ঘ সময় রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০০৯ সালের পর থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ে ১৬ বার।

গত ১৫ বছরে ঢাকা ওয়াসায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাকসিম এ খান। ওয়াসার আইন অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে পরিচালনা করেছেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে। এতে তাকসিমের কিছুই হয়নি। বরং তার অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ায় সরে যেতে হয় সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে। ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন ছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছিল পৌনে দুই লাখ টাকা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তাকসিম। পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসায় কর্মরত জ্যেষ্ঠতম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সব দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে হিসেবে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান শাহীন খান। এ রিটে প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।

এ কে এম সহিদ উদ্দিন ২০১৬ সালে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে তাকে দুই বছরের চুক্তিতে পরিচালক (কারিগরি) হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন এমডি তাকসিম এ খান। অথচ ঢাকা ওয়াসার জনবলকাঠামোয় এমন কোনো পদ নেই। তাকসিম খান নিজ ক্ষমতাবলে এ পদ সৃষ্টি করে সহিদ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওয়াসার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর।



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৪৭জন দেখেছেন

Image

এক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে কলকাতার পরিচালক অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করেছে ডিরেক্টর্স গিল্ড। গত কয়েক বছরে একাধিক অভিনেত্রী অবশ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করে এসেছেন পরিচালক। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অরিন্দমের দীর্ঘ দিনের সহকর্মী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ইন্ডাস্ট্রিতে হেনস্তা হতে হয়েছে তাকেও। অরিন্দমের বিরুদ্ধে যে অভিনেত্রী মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাকে প্রথমেই অভিবাদন জানিয়েছেন সুদীপ্তা।

পাশাপাশি অরিন্দমের সঙ্গে একাধিক কাজ করলেও কখনও তার সঙ্গে হেনস্তার অভিজ্ঞতা ঘটেনি বলেই জানান তিনি। যদিও বহু বছর ধরে অন্য নারীদের অভিযোগের কথা যে কানে এসেছে, সে কথা জানালেন সুদীপ্তা। ভারতীয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, ‘অরিন্দমদার সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছি। আমার সরাসরি তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু প্রচুর মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা শুনেছি। এটা আমার ভুল যে এর বিরুদ্ধে সরব হইনি। তবে ওই মেয়েটিকে অভিবাদন জানায়, যিনি মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেছেন।’অরিন্দম নিজের ভুল স্বীকার করেছেন জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা জেনে ভাল লেগেছে যে, অরিন্দমদা নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। ‘ডিরেক্টর্স গিল্ড’ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেটাও সাধুবাদ জানানোর মতো। অভিনন্দন জানাব ওই মেয়েটিকে। অন্য মেয়েদের বলব কাজ হারানো টাকা না পাওয়ার ভয় কাটিয়ে প্রকাশ্যে আসতে এবং তারা সেটা করছেন। এগুলো নিয়ে যে কথা হচ্ছে, সেটা খুব ভালো বিষয়।’

অভিনেত্রীর কথায়, ‘একজন মেয়েকে অশালীন ভাবে ছোঁয়ার বিষয় নয়। এখানে মেয়েদের শরীর নিয়ে কথা বলা হয়। মহিলাদের হেয় করা হয়। নোংরা গালাগালি দেওয়া হয়। শুনি, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এই গালিগালাজ করাটাই প্রথা। কত ছোট ছোট মেয়েরা কাজ করে, তাদের অভিভাবকরা এসব দেখে ভয় পেয়ে যান! এবার এই কালচারটা বন্ধ হওয়ার সময় এসেছে।’


আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ক্ষমতাচ্যুতরা চুপচাপ বসে থাকবে না : ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

তিনি বলেন, ‘এতদিন চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিলো। তাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীরা ভেঙে দিয়েছে। তারা কী এখন চুপচাপ বসে থাকবে? মোটেও না। খুব চেষ্টা করবে তোমাদেরকে যেন দুঃস্বপ্নের লুকিয়ে দেওয়ার। তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না। যেটা শুরু করছো সেই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে বেরিয়ে যেও না।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই তাকাতে কষ্ট হয়। একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি?

‘কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কি নৃশংসতা ছিল।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪