Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
খানসামায় চিকিৎসা

অব্যবস্থাপনার কারনে নবজাতকের মৃত্যু; নার্স বদলী

প্রকাশিত:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬৬জন দেখেছেন

Image

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; হাসপাতাল হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল । সেই আশ্রয়স্থল বা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মানুষের হয় মৃত্যু।  এমনি এক ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের খানসামা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আমতলী এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী ফতেজা বেগম (৩৭) এর প্রসব বেদনা উঠলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ ঘটিকায়। রাত ১০ ঘটিকায় অনেক বেশি ব্যথা উঠলে রোগীর পরিবারের লোকজন কর্মরত নার্সের কাছে উন্নত চিকিৎসা জন্য আমার বোনকে রিলিজ বা বদলী দেন আমরা অন্যত্র নিয়ে যাব। কর্মরত নার্স বলেন, সমস্যা নাই এখানেই ডেলিভারি করা যাবে। এরপর একটি ইনজেকশন পুশ করা প্রসূতি মহিলাকে। আনুমানিক রাত ১ টায় ভূমিষ্ঠ হয় নবজাতক। কিছুক্ষণ পর নবজাতক কালো হওয়া শুরু হয় এবং পরে কর্মরত নার্স নবজাতকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণেই ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের মৃত্যু হয়।

প্রসূতির বোন বলেন, কেন্দ্রের নার্স আমাকে জানান জরায়ু নরম আছে নরমাল ডেলিভারি হবে। কিন্তু আমি বলি আমার বোনের বয়স বেশি, আমরা রিস্ক নিতে চাই না। যদি না পারেন তাহলে ছেড়ে দেন। আমরা ডাক্তার চাইছি কিন্তু নার্স বলেন আমরাই পারব। রাত সাড়ে দশটায় ডেলিভারি রুমে ঢুকানো হয়। আমাদের দুই বোনকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ওই রুমে। মাত্র এক নার্স ও এক আয়া দায়িত্বে থাকেন। কিছুক্ষণ পর পর ডেলিভারি রুমে বাহির করে আর ঢুকানো হয়। আমরা তারপরও বলি যে, আমাদেরকে ছেড়ে দেন আমরা এত রিস্ক নিতে চাই না। তারপরও নার্স বলে আমরাই পারব। আমার বোন প্রসব  ব্যথাতে অনেক চিৎকার করতে থাকে। এরপর একটি ইনজেকশন দেয়। এই ইনজেকশন দেওয়ার পরে পরেই ব্যথা আরো বাড়তে থাকে। রাত ১টার দিক নার্স বলে আল্লাহ আল্লাহ কর বাচ্চা হয়ে যাবে। আমরা সবাই আল্লাহ আল্লাহ করতেই থাকি এরপর বাচ্চা হয়। আমরা দেখি বাচ্চার মুখে কি যেন পাইপ দিয়ে হাওয়া দিচ্ছে।  তারপর পেটে ডলাডলি করতে থাকে। আমার বোন তারপর বুঝতে পারে যে তার ছেলে সন্তান হয়েছে। তারপর  নার্স বলল গাড়ি ঠিক করেন দিনাজপুর নিয়ে যাইতে হবে। কিছুক্ষণ পর বলে যে তোমাদের মৃত বাচ্চা হইছে। কিন্তু আমি দেখছিলাম বাচ্চাটি জীবিত ছিল আর পেটটা শুধু দুক দুক করছিল। আমার অভিযোগ হইল বাচ্চাটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই, আমার বোনের ক্ষতি করছে নার্সরা। আমি চাই এই নার্স যেন দিনাজপুর জেলায় না থাকে।

আরো জানা যায়, এই কেন্দ্রে শুরু থেকেই কোন ডাক্তার ছিল না। একজন নার্স ও একজন আয়া দিয়ে পরিচালনা হয়ে আসছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, প্রসবের আগেই শিশু মারা যায়। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা এই নার্সকে বদলি করলাম। কোথায় বদলি করানো হল এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আজ থেকে এই হাসপাতালে প্রসূতি মহিলাদের চেক আপ করানো হবে আপাততঃ ডেলিভারি সেবা দেওয়া বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে কতৃপক্ষ নবজাতক শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।



আরও খবর



স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। তিনি বলেন, আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে এতো বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ– বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ। 

তিনি জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী হতে খুলনাগামী তেলের খালি ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন রওনা করলে তা ঈশ্বরদী লেভেল ক্রসিং গেইট অতিক্রম করে বিপরীত দিক থেকে পুশিং এ আসা মালবাহী শানটিং ওয়াগনে আঘাত করে। এতে মালবাহী ২টি ওয়াগনের ৮ চাকা এবং লোকোমোটিভের সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন প্রথমে মালবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করা হয়। এখন সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগির ৮ চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর



নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলেন-বিবি ফাতেমা বেগম (৭) ও তার ছোট ভাই আবিদ হোসেন (৪)। তারা একই গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়ির আব্দুল হাইয়ের সন্তান। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু।

স্থানীয়রা জানান, দুই ভাই-বোন সকাল ৮টার দিকে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে অন্যজন তাকে উদ্ধার করতে পানিতে নামে। পরে দু’জনেই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ান কবির বলেন, হাত-মুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এডিবি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৭জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিন।

আজ সকালে গণভবনে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এসময় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে এডিবি কর্তৃক প্রকাশিত 'বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভলপমেন্ট হাইলাইটস' বইটি তুলে দেন। 

এশীয় উন্নয়ন ব্যাকের (এডিবি) একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল এসময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রাক্তন-বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে আরবাজ, হঠাৎ কেন এক হলেন তারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সুরা খানের সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন মালাইকা আরোরার সাবেক স্বামী আরবাজ খান। সুরাকে বিয়ে করার পর মালাইকাকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করেছেন তিনি। 

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই নিজের নামের পাশ থেকে ‘খান’ পদবি সরিয়েছেন মালাইকা। কিন্তু শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁয় দেখা গেল একেবারে অন্য এক চিত্র। বর্তমান স্ত্রী সুরার হাত ধরে এলেন আরবাজ। পিছু পিছু এলেন মালাইকা। 

১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় আরবাজ-মালাইকার। যদিও সন্তান আরহানের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা। আর সন্তানের জন্যই ফের কাছাকাছি এলেন এই সাবেক দম্পতি। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শো শুরু করেছেন আরহান। তারই উদযাপনের খাওয়া দওয়া ছিল। ছেলের কথা ভেবেই এদিন এক হলেন আরোরা ও খান পরিবার।

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১২ বছরের ছোট অর্জুন কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মালাইকা। প্রথম দিকে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে মুখ না খুললেও এখন আর কোনও লুকোচুরি নেই। তবে আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে নানা ভাবে সামাজিক হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে মালাইকাকে।

কিন্তু ছেলের বিশেষ দিনে আরহানের মা-বাবা ছাড়াও ছিলেন আরবাজের বাবা সেলিম খান, মালাইকার মা জয়েস, বোন অমৃতাসহ অন্যরা। গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে আরহানে পডকাস্ট ‘দম বিরিয়ানি’র টিজার। সেখানে খান পরিবারের সকল সদস্যের দেখা মিলেছে। সালমান খানও উৎসাহ দিয়েছেন ভাতিজাকে।


আরও খবর