Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

ওজন কমাতে ভরসা রাখুন মশলায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৯৪৯জন দেখেছেন

Image

কিছুতেই ওজন বাগে আনতে পারছেন না?  জানেন কি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে রান্নাঘরের কিছু মশলা। রান্নার কাজে ব্যবহৃত মশলা দিয়েই ঝরে যাবে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ। চলুন জেনে নেই কি করে:  

দারুচিনি
দারুচিনির ব্যবহার প্রায় সকল প্রকারের তরকারিতে হয়ে থাকে। এটি তরকারির স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয়। ওজন কমাতে এই সুস্বাদু দারুচিনি বেশ উপকারী এবং সেই সাথে খুব দ্রুতই ওজন কমাতে সক্ষম। তাই যারা শত চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারছেন না তারা দারুচিনি ফুটানো পানি পান করুন নিয়মিত। ওজন কমবে চোখের পলকেই। এক লিটার পরিমাণ পানি নিয়ে সাথে একটা বড় দারুচিনি নিয়ে অথবা (আপনি চাইলে দারুচিনির গুঁড়া ও ব্যবহার করতে পারেন) গরম করে আধা লিটার করে নিন। পানি ঠাণ্ডা করে ছাকনি দিয়ে ছেকে বোতলে রেখে দিন ফ্রিজ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ করে পান করবেন এই পানি। 

মেথি
মেথি ও সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রান্নার কাজে। মেথি চুল, ত্বক, শরীর সব কিছুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন রাতে আধা চা চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে মেথি পানি থেকে আলাদা করে ছেকে নিতে হবে। পরে খাকি পেটে এই মেথির পানি পান করবেন। ওজন কমতে বাধ্য হবে এই মেথি পানি পান করলে।

জিরা
রান্নার কাজে জিরা বেশ উপকারী সেই সাথে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই জিরা।ওজন কমাতে জিরা পানির ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। তাই যারা ওজন কমাতে চটজলদি সমাধান চান, তারা পান করুন জিরা পানি। রাতে আধা চা চামচ জিরা নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন সকালে পানি ছেকে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন এই জিরা পানি।

এই ৩ টি পদ্ধতিই বেশ উপকারী এবং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে। তাই যারা চটজলদি ওজন কমিয়ে ফেলতে চাইছেন, তারা চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। 



সূত্রঃ ইত্তেফাক


আরও খবর

কাঁচা মরিচের উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কমলাপুর থেকে ভাঙ্গায় প্রথম ট্রেন নিয়ে ছুটবেন এনামুল ও হোসেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলের ট্রায়াল রান শুরু হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমোটিভ মাস্টার এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার এম এ হোসেন। ট্রেন পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এই দুই লোকোমাস্টারই সাক্ষী হয়েছেন অনেক ঘটনার। তবে আজকের এই ট্রেনযাত্রাকে কর্ম জীবনের বিশেষ দিন মনে করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের এমন অনুভূতির কথা জানান তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করে রাখা হয়েছে ট্রেন। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে সব যন্ত্রাংশ। ট্রেন ঘিরে সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের জমজমাট উপস্থিতি।

লোকোমাস্টার এনামুল হক জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দীর্ঘ ১৯ বছরের কর্মজীবন চলছে তার। দীর্ঘ এই সময় জুড়ে প্রায় ৪ হাজার ট্রেন যাত্রা পরিচালনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ রেলওয়ের অসংখ্য নতুন কোচ উদ্বোধন হয়েছে তার হাত ধরেই। তবে আজকের অবিজ্ঞতা ভিন্ন।

তিনি বলেন, আজকের এই যাত্রায় নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমাদের গর্ব এবং গৌরবের পদ্মা সেতুতে আমিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ট্রেন নিয়ে উঠছি। এটি অনেক বড় পাওয়া। অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।
সহকারী লোকোমাস্টার এম এ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ট্রেন পরিচালনা করছি। অনেক ঘটনা আর সাক্ষী হয়েছি তবে আজকের এই ভিন্ন ধরনের। আমেরিকান ইঞ্জিন ৬৬২৩ বিইপি—৩২ নিয়ে পদ্মা সেতুতে আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান শুরু হবে। আমি এই যাত্রায় সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

জানা গেছে, দেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতুতের রেললাইনই প্রথম ব্যালাস্টলেস বা পাথরবিহীন রেলপথ। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনটি ভাগে চলেছে এই নির্মাণ কাজ। ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। যার মধ্যে মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশ রয়েছে পদ্মা সেতু।


আরও খবর



সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পর্যটন শিল্পের প্রসারে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর্যটন শিল্পের যথাযথ গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই শিল্পের প্রসারে কাজ করছে। 

তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করা হয়েছে - যাতে টেকসই পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম, কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম, দায়িত্বশীল পর্যটনকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের কার্যকর উন্নয়ন দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।’   প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষ্যে  এক বাণীতে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী  মনে করেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটন শিল্পের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে এই পৃথিবীর টেকসই অবকাঠামো এবং সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলেই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসবে। টেকসই পর্যটন উন্নয়ন ধারণা অনুসরণে জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, স্থানীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির পরিবর্তন না ঘটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তা এবং জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের পর্যটনের বিকাশে সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

পর্যটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের সড়ক, রেল, বিমান ও নৌ যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়-পর্বত, গহীণ অরণ্য, জীব-বৈচিত্র্য, সমুদ্র-সৈকত, নদ-নদী, বৈচিত্রময় আদিবাসী সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ ও গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনসমূহ, অতিথিপরায়ণ মানুষ অর্থাৎ বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কোন পর্যটককে আকৃষ্ট করার মত সকল উপকরণই বাংলাদেশে বিদ্যমান। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে স্থানীয় জনসাধারণকে পর্যটন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে টেকসই পর্যটন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর



সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা লভ্যাংশ বাবাদ এ মুনাফা দেওয়া হবে। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের শেয়ার প্রতি ৯ টাকা করে মুনাফা দেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ টাকা আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে বছর শেয়ার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১১ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৯১ পয়সা।

২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ‍্যা ৩০ কোটি ২৯লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। বৃহস্পতিবার সেই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়।


আরও খবর



সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩২ বেসামরিক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা এলাকায় এই গোলাবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর এই ধরনের হামলার ঘটনায় রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, যদিও আরএসএফ খার্তুম এবং ওমদুরমান ও খার্তুম নর্থ শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই দখল করে রেখেছে, তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল জানিয়েছে। অবশ্য আরএসএফ-এর কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববার ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওম্বাদা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে গেছে। অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বাড়িঘরের ক্ষতি করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকাগুলোতে লুটপাট ও দখলের বিষয়েও অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স বলছে, ‘বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ এলাকায় ভারী এবং হালকা কামান ব্যবহার করাটা যুদ্ধাপরাধ ... এই বিষয়টি মানুষের জীবনের প্রতি তাদের অবজ্ঞাকেই প্রতিফলিত করে।’

তারা বলেছে, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য বুধবার আরএসএফ-এর উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেও সংঘাতরত উভয় পক্ষের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষকে।

রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরএসএফের সেনাদের দখলে। আর তাদের লক্ষ্য করেই মাঝে মাঝে বিমান হামলাসহ কামানের গোলাবর্ষণ করে থাকে সুদানের সেনাবাহিনী।


আরও খবর



ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।

ভূমিকম্প : ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্প ও তার জেরে ২ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যুতে আগামী ৩ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে মরক্কো। শনিবার রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পর মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ৬ এই ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজার কার্যালয় থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতির বরাত দিয়ে মরক্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এমএপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩ দিন জাতীয় পর্যায়ে শোক পালন করা হবে। এ সময়ে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’
শুক্রবার রাত ১১ টা ১১ মিনিটে মরক্কোয় আঘাত হানে প্রথম ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। প্রথমটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন (পরাঘাত) হয়। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

মরক্কোর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে উচ্চ অ্যাটলাস পর্বতমালা ঘেঁষা প্রদেশ আল হাউজের পার্বত্য শহর ইঘিলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। মরক্কোর প্রধান পর্যটন শহর মারাকেশ থেকে ইঘিলের দূরত্ব ৭১ কিলোমিটার।

বৈশ্বিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে ২ হাজার ১০০টিরও বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ হাজার ৫৯ জনকে।
এমএপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য জরুরিভিত্তিতে একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬। উপদ্রুতদের সহায়তা হিসেবে অস্থায়ী আশ্রয় হিসেবে তাঁবু, খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বণ্টনে যে ত্রুটি না ঘটে— সেজন্য কমিশনকে দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা।

উপদ্রুতদের মধ্যে এতিম এবং দরিদ্র ও অসহায়দের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজা মোহাম্মেদ ৬।


আরও খবর