মাসুদ রানা: বাহ্! পুলিশ চমৎকার ধর্ষকের পাহারাদার প্ল্যাকার্ড হাতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ইপিজেড কর্মী অপো রানী রায়ের (২৩) ধর্ষণ করে হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয়বারের মতো মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এ লিখা ছিল চলো যাই যুদ্ধে ধর্ষকের বিরুদ্ধে, আমি লজ্জিত ধর্ষকরা ঘুরে বেড়ায় প্রশাসন ঘুমায়, শিশু নির্যাতনের ফাঁসি চাই, জাগো বাহে কোনঠে সবায় ধর্ষকের ফাঁসি চায়, ঊঘউ জঅচঊ ঈটখঞটজঊ, বিভিন্ন স্লোগান।
এছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারক লিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টায় খানসামা উপজেলা পরিষদ চত্তরের ডাকবাংলো এর সামনে টংগুয়া কুমারপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে উপজেলার হাজারো নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী,ব্যাবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে প্রায় দেড় ঘন্টা খানসামা-দারোয়ানী আঞ্চলিক মহাসড়ক রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল খানসামার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ এসে শেষে হয়। মিছিলে শেষে পরিবারের লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসে একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, দিনাজপুর জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন সিং,খানসামা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান চন্দ্র দাস,ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য নুরায়না বেগম নূরি, সাবেক ইউপি সদস্য শ্রী মানিক চন্দ্র সরকারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, অপো রানি হত্যাকাণ্ডের আজ ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি বরং তারা এটাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পায়তারা চালাচ্ছেন। এটা খানসামা উপজেলাবাসীর জন্য অত্যান্ত লজ্জাজনক। আমরা আজকে এই মানব বন্ধন থেকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আপনারা এই হত্যাকান্ড কে ধামাচাপা না দিয়ে হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন আর তা না হলে আমরা এই রাজপথ ছেড়ে দেবো না। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ ফাঁসির দাবী জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধান ক্ষেতে দুই কন্যা সন্তানের জননী অপো রানী রায়ের লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় পথচারীরা দেখতে পায়। পাশেই নিহতের সাথে ১০ বছরের মেয়ে বিপাশা রাণী রায়কে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায় ৷ পরে পথচারীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আর অজ্ঞান শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।