Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

প্রচন্ড দাবদাহের পর দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৩৫৮জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন, চীপ রিপোর্টার:


দীর্ঘ অসহনীয় অতি তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে সহনীয় হয়ে আসছে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার যশোর-চূয়াডাঙ্গা,ঈশ্বরদী এবং মংলা বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নীচে। 


বৃষ্টি হয়েছে অধিকাংশ অঞ্চলে। আজ থেকে বৃষ্টিপাতের আরো বিস্তৃতির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ হতে চলেছে খর বৈশাখ। মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও এপ্রিলের মত আর ভয়ংকর হবে না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অর্ধ শত বর্ষের রেকর্ড ভাঙা টানা ৩৩ দিনের তীব্র তাপদাহের প্রতিক্রিয়া-বিকীরন এবং আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র সক্রিয়তার প্রভাবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক অতি বৃষ্টিপাত এবং বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। 


দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতি বছর যে বন্যা হয়, এবার তা ব্যাপক আকারে রূপ নিতে পারে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ঘটেছে এবারের এপ্রিলে, যার গড় ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। 


১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবং দেশের শুষ্কতম মাসও ছিল এপ্রিল। সার্বিক গড়ে ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে গেল এপ্রিল মাসে। এই টানা বৃষ্টিহীনতা এবং বজ্রঝড় না থাকায় অতিমাত্রায় গরমে পুড়েছে দেশ।


জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। 


এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 


দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।



বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মধ্য ভূটানের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।


আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ জানায়,২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।


এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এবারের বর্ষায় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টিপাত যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।


এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।


 নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও হাওর এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। ৫ মে থেকে ৭ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বর্ষাকালের মতো একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। 


সিলেট ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা হচ্ছে। ৩০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের বেশিভাগ হাওর এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।


এদিকে আমাদের সিলেট অফিস থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে হঠাত্ই খরস্রোতা হয়ে উঠেছে সিলেটের নদীগুলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপতসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,এ আবস্থা থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। শুক্রবার  সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য নিশ্চিত করে। পাউবো জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১. ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


এদিকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাতে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলেও বাড়তে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এতে প্ল­াবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো নদী দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব কারণে কৃষকের  ফসলও ডুবতে বসেছে। তবে কৃষকেরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,  গত বৃহসপতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে।


 এদিকে কৃষি বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ঢল ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছে, কৃষকরা যেন দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে নিয়ে যান এবং খড় নিরাপদ উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বৃষ্টিতে ভেসে গেল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পানাগোডার আর্মি গ্রাউন্ডসে সিরিজের প্রথম আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নারী 'এ' দলের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী 'এ' দলের। তবে টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে দুপুরের পর ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের বাকি ম্যাচটি হবে আগামী মঙ্গলবার। কলম্বোর থ্রুস্টানে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। এই  ফরম্যাটের সবগুলো ম্যাচই হবে কলম্বোতে।

১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভেন্যু পি সারা ওভাল। ১৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। ১৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ থ্রুস্টান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কল্টসে।

আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা থাক‌ছে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ-বৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক কর‌তে নগদ টাকা উত্তোল‌নের সীমা বেঁধে দি‌য়ে‌ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব শেষ গত সপ্তাহ সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ পর্যন্ত তোলা যেত। তবে নতুন সপ্তা‌হের প্রথম কার্যদিবস রোববার থেকে এই সীমা থাকছে না। আগের মতোই ব্যাংক থেকে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মো. মুখপাত্র মেজবাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তি‌নি জানান, ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দি‌য়ে‌ছিল রোববার থেকে তা আর থাক‌ছে না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া অনেকেই ব্যাংক থেকে বেশি নগদ টাকা তুলে ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছিল। সে জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়। যদিও প্রতি সপ্তাহেই সীমা বাড়ানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ তোলা যেত। পরের সপ্তাহ তা বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়। পরের তিন সপ্তাহ তা আরও বাড়িয়ে যথাক্রমে তিন, চার ও পাঁচ লাখ করা হয়। অর্থাৎ পাঁচ সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হয়। তবে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকলেও গ্রাহকরা যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন।


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




১২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেল পাঠাও

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

ফিনটেক ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও।এর ফলে কোম্পানির মোট ‘ফান্ডরেইজ’ ৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলে শনিবার পাঠাও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কোম্পানি ভেঞ্চারসুকে নেতৃত্বে ‘প্রি-সিরিজ বি রাউন্ড’ থেকে এ বিনিয়োগ পেয়েছে পাঠাও, যাতে যুক্ত হয়েছে অ্যাঙ্কারলেস বাংলাদেশ, ওসাইরিস গ্রুপ, সাউথ এশিয়া টেক, ওপেনস্পেস ভেঞ্চারসসহ আরও বিনিয়োগকারীরা।

পাঠাওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গত দুই বছরে লাভজনক ও আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার পর পাঠাও এখন গ্রাহকদের ফিনটেক পরিষেবার মাধ্যমে আরও ভালোভাবে সেবার পরিকল্পনা করছে।”পাঠাওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও যেমন শহরের পরিবহন, লজিস্টিকস এবং ‘গিগ ইকোনোমি’ পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, সেভাবেই আমাদের ফিনটেক উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থিক দৃশ্যপটকেও নতুন করে গড়ে তুলবে।

“পাঠাও ফিনটেকেও অগ্রগতি করেছে। নিয়ে এসেছে ডিজিটাল ওয়ালেট ‘পাঠাও পে’ এবং দেশের প্রথম ও সবচেয়ে বড় ‘বাই নাউ পে লেটার’ সেবা ‘পাঠাও পে লেটার’। পাঠাওয়ের মেশিন লার্নিং পদ্ধতির কারণে ‘পে লেটার’ ইতোমধ্যেই লাভজনক হয়ে উঠেছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের প্রধান গ্রাহক হল দেশের ডিজিটাল যুগের তরুণরা। প্রচলিত ব্যাংকগুলো তাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর অন্যান্য ডিজিটাল ওয়ালেটগুলো মূলত ‘আনব্যানকড’ গ্রাহকদের দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমরা তরুণ পেশাজীবী এবং প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই।”


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




একনেকে বসতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ৪৩ দিন পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) করতে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রথম একনেকে মাত্র পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সবসময় একনেক সভার আগে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে হলেও এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রথম একনেক তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় সভা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেকে অনুমোদনের জন্য যেসব প্রকল্প উত্থাপন করা হবে: ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ‘ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ (১ম সংশোধিত)’, শিল্প ও শক্তি বিভাগের ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প (১ম সংশোধিত ‘, ‘২টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং ২টি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দরপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প’, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ‘মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত তথ্য আপা নামক প্রকল্প এবং কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

এছাড়া কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ‘লাঙ্গলবন্ধ মহাষ্টমী পূণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।



আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাকিস্তানের মাটিতে বাবরদের ধবলধোলাই, ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : কদিন আগেই ঘরের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্টে এমন নাজুক অবস্থা দেখে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে পেয়ে খানিকটা আনন্দিত হয়েছিল পাকিস্তান। সিরিজ শুরুর আগে পিসিবির সাবেক নির্বাচক বাসিত আলী তো বলেই বসেছিলেন, একমাত্র বৃষ্টিই পারে বাংলাদেশকে বাঁচাতে। 

১০ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় টেস্টে বৃষ্টির প্রার্থনায় বসা পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছে গোটা সিরিজটায়। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাই করে রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ।

জয়টা অবশ্য মিলতে পারত রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনেই। যদি না শেষ বিকালে জয়ের পথে থাকা বাংলাদেশের পথ আগলে দাঁড়াত বৃষ্টি। জয় থেকে তখন ১৪৩ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ, হাতে ১০ উইকেট। পঞ্চম দিনে বৃষ্টির প্রার্থনায় তাই পাকিস্তানকেই বসতে হয়েছিল। এরপরও নিশ্চিত হার যেনেও বোলারদের নিয়ে বড় গলা করে কথা বলেছিলেন দলটির কোচ জেসন গিলেস্পি। বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে বলে ছিলেন পঞ্চম দিনে তার বোলাররা আরও নির্মম হবে।

তবে বাংলাদেশি ব্যাটাররাও যে জবাবটা দিতে শিখে গেছে সেটা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন গিলেস্পি। প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ যে এই টেস্টে অন্তত হারছে না, সেটা বোধয় তখনও বুঝতে পারেননি এই অজি কিংবদন্তি। শেষ পর্যন্ত তাই হারই সঙ্গী হয়েছে তার। আঘাতটা বোধয় আর সবার চেয়ে একটু বেশিই পাবেন তিনি। কেননা, নিজের প্রথম অ্যাসানমেন্টেই যে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাই হতে হয়েছে তার দলের। এ কথা কি করে ভুলবেন তিনি।

প্রকৃতি নাকি সাহসীদের পক্ষে থাকে। এখানেও তাই। পঞ্চম দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়িয়েছে খেলা। ৪২ রানে পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ৪০ রানে থামেন জাকির। এরপর ৭০ রানে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। খুররম শেহজাদের বলে ২৪ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় সাদমানকে। এরপর অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেন। বাকি কাজটুকু দায়িত্ব নিয়ে শেষ করে এসেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। তাতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগে, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। পরে টসে জিতে বোলিং করতে নেমে পাকিস্তানকে ২৭২ রানে থামিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে হারায় ৬ উইকেট। লিটন দাস ও মিরাজ এসে হাল ধরে দলকে টেনে তুলেন। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৬২ রানে। লিটন-মিরাজের জুটিতেই জয়ের রসদ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। যেই রসদ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ১৮৫ রান তাড়া করে পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিদেশের মাটিতে যা বাংলাদেশের তৃতীয় টেস্ট সিরিজ জয়। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারের পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে লজ্জার মুখে পড়তে হলো পাকিস্তানকে।


আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪