Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পরিবেশ নিয়ে সুজন হাজংয়ের লেখা গান গাইলেন মেহরীন ‘লিভ অন আর্থ’

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩৪৭জন দেখেছেন

Image
 নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ ‘টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে তৈরি গানে কণ্ঠ দিলেন মেহরীন। মাই হার্ট ইজ ব্রেকিং আপ লাইক দ্য মেল্টিং আইস অব দ্যা রিভার/হোয়েন আই সি দ্যা ফরেস্ট ইজ বার্নিং/হোয়েন আই সি দ্যাচার্পিং অব বার্ডস আর মিসিং— এমন কথার গানটি লিখেছেন সুজন হাজং।

বেলাল খানের সুর ও ওয়াহিদ শাহীনের সংগীতে পরিবেশ নিয়ে তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে গানটি বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বড় মগবাজারের একটি স্টুডিতে কণ্ঠ দেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মেহরীন।

পরিবেশ নিয়ে মেহরীনের এটিই প্রথম গাওয়া ইংরেজি গান। গানটি প্রসঙ্গে গীতিকার সুজন হাজং বলেন, সম্প্রতি পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজান বন পুড়ে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমার গানটি লেখা। গানটিতে আমি জলবায়ুপরিবর্তনের প্রভাব, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কথা বলেছি। আশা করি এই গানটির মাধ্যমে মানুষ পরিবেশ রক্ষায়সচেতন ভূমিকা পালন করার বার্তাটি খুঁজে পাবে।

সংগীতশিল্পী মেহরীন বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রম গান। পরিবেশ নিয়ে এরকম একটি ইংরেজি গান গাইতে পেরে আমি আনন্দিত। গানের কথা ও সুর খুব চমৎকার। আশা করি গানটি শ্রোতাদের ভীষণ ভালো লাগবে।

বেলাল খান বলেন, পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের থিম সং ‘লিভ অন আর্থ’ শিরোনামের গানটিতে সুর করতে পেরে আমি গর্বিত। ইংরেজি গানে এটি আমার প্রথম সুর করা। আশা করি গানটি শ্রোতারা গ্রহণ করবেন। 

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির আয়োজনে গানটি শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী সিনেট হলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থিম সং হিসেবে প্রচারিত হয়েছে। 

উল্লেখ্য ২০টি দেশের পরিবেশবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৯০জন দেখেছেন

Image

প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত প্রতিদান আছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ রোজার বিষয়ে আছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এক অনন্য ঘোষণা।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকির সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব।  বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’

(মুসলিম, হাদিস : ১১৫১) রোজাদারের জন্য জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, জান্নাতে রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, সাওম পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।

(বুখারি, হাদিস : ১৮৯৬)  বিশেষ ইবাদতের নামে জান্নাতে বিশেষ দরজা থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজা থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব, যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে, যে সাওম পালনকারী,   রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজাতাকে রাইয়্যান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সদকা দানকারী তাকে সদকা দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবু বকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান, সব দরজা থেকে কাউকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই, তবে কি কাউকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ। আমি আশা করি তুমি তাদের মধ্যে হবে। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৭) মহান আল্লাহ আমাদের জান্নাতের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার তাওফিক দান করুন।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




মোবাইল-ল্যাপটপ রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান হাফিজের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ মোবাইল-ল্যাপটপ রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা দলের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এ আহ্বান করেন।

মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, গণতন্ত্রের চেতনা আওয়ামী লীগের কখনো ছিলো না। এখনো নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়। এ সরকার বৈধ নয়। আমাদের কর্তব্য বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে আন্দোলন করছে না জানিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তা ব্যর্থ করেছে আওয়ামী। তাই মোবাইল ল্যাপটপ-রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। প্রস্তুত থাকুন বিজয় আমাদের। 


আরও খবর



নতুন কারিকুলামে ফিরছে প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০২জন দেখেছেন

Image

গত বছর চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে (কারিকুলাম) শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) পদ্ধতি নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

এনসিটিবি বলছে, স্কুল সময়ে (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা) প্রতিদিন একটি বিষয়ে মূল্যায়নের জন্য খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। এতে টানা পাঁচ ঘণ্টা বসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে বিষয়ভেদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি বিষয়ে মিডটার্ম ও বার্ষিক পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। পাঁচ ঘণ্টায় হবে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা। এই দুটি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ নিজ স্কুলে। সকাল ১০টা থেকে এই মূল্যায়ন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি থাকবে।

সোমবার এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘এগুলো এখনও আলোচনার পর্যায়ে আছে, চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা গতবার পরীক্ষা নিয়েছি তিন দিনে, নাম ছিল অ্যাসেসমেন্ট উৎসব। শিক্ষার্থীরা প্রথম দিন ইনস্ট্রাকশন পেয়েছে, দ্বিতীয় দিন ডেটা প্রসেস করেছে, তৃতীয় দিনে ফাইনাল রেজাল্ট দিয়েছে। তিনটি ভাগে কাজটি করেছে। প্রতিদিন ক্লাস রুটিন অনুযায়ী সেগুলো হয়। তবে পরে আমরা জানতে পারি, এক দিনে একাধিক বিষয়ের কাজ করা বেশ কঠিন হয়। তাই এখন আমরা বলেছি, এক দিনে একটি বিষয় নিয়ে কাজ হবে। সেদিন আর অন্য বিষয়ে কাজ হবে না।’

নতুন মূল্যায়ন প্রস্তাবনার ব্যাখ্যা দিয়ে এনসিটিবির এ সদস্য বলেন, ‘একটি এক্সপেরিমেন্ট দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টায় সেটি শুরু করবে। শেষ সময়ে এক ঘণ্টা বা বিষয় অনুযায়ী সোয়া ঘণ্টা এর একটি লিখিত অংশ থাকবে। বাদবাকি সময় তাদের কাজের মধ্যে যাবে। বিষয়টি আগের মতো, তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার মতো নয়।’

অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, স্কুল যেভাবে মূল্যায়ন করে সেভাবেই করবে। তবে পাবলিক পরীক্ষায় সেন্টারে যেতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় বাইরের মূল্যায়নকারী অর্থাৎ অন্য স্কুলের শিক্ষক থাকবেন। তিনি বলেন, গতবার ফাইনাল পরীক্ষা যেভাবে হয়েছে, আগামীতে সেভাবেই হবে এবং অবজারভেশন-চেকলিস্ট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। ফাইনালি তারা একটি লিখিত রূপ জমা দেবে। সেটি বোর্ডের খাতায় হবে।’

এনসিটিবির খসড়া প্রস্তাবনা অনুযায়ীু এসএসসি, এইচএসসিতে পাবলিক পরীক্ষা হলেও পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে হবে না। দশম শ্রেণির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। এরপর একাদশে ও দ্বাদশে একটি করে পরীক্ষা হবে। পুরোনো কারিকুলাম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হতো। আর পৃথক দিনে ব্যবহারিক পরীক্ষা হতো। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও ভিন্ন হচ্ছে। পরীক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়ে এই খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করার কথা জানিয়েছে এনসিটিবি। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবমে এবং ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে এটি চালু হবে। নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে।


আরও খবর



রোনালদোর ৬৪তম হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত আল তাই

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৪জন দেখেছেন

Image

দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো জ্বলে উঠলেন আবার। হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। বড় জয় পেল তার দল আল নাসের। সৌদি প্রো লিগে শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে ঘরের মাঠে আল তাইয়ের বিপক্ষে আল নাসেরের জয় ৫-১ গোলে। 

২০তম মিনিটে ওতাভিওর গোলে এগিয়ে যায় আল নাসের। দুই মিনিট পর সমতা টানেন আল তাইয়ের ভার্জিল। ৩৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ডাচ ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আব্দুল রাহমানের গোলে আবার এগিয়ে যায় আল নাসের।

৬৪তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পান রোনালদো। সাদিও মানের পাসে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ৬৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান তিনি। সতীর্থের প্রচেষ্টা পোস্টে লাগার পর কাছ থেকে শটে বল জালে পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার। আর ৮৭তম মিনিটে কাছ থেকে হেডে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাবেক রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৬৪তম হ্যাটট্রিক এটি। এর চারটি আল নাসেরের হয়ে, ৫৮ ম্যাচে। ৩০টি হ্যাটট্রিক করেন তিনি বয়স ৩০ হওয়ার আগে। আর বয়স ৩০ হওয়ার পর তার হ্যাটট্রিক হলো ৩৪টি।

চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আল নাসেরের হয়ে রোনালদোর গোল এখন ৩৩টি। ২৫ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় স্থানে আছে আল নাসের। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আল হিলাল।


আরও খবর



জমজমাট ঈদ কেনাকাটা, গরমে আরামে নজর ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৪জন দেখেছেন

Image
আর দুই সপ্তাহ পরেই ঈদ। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর ঈদ বাজার। মূলত গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রোদ ও গরম উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদামে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্তও চলছে কেনাবেচা। ফুটপাত ও ভ্যানগাড়িতে অস্থায়ীভাবে বসা দোকানেও কেনাকাটা চলছে পুরোদমে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। 

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, মহাখালী এসকেএসসহ বিভিন্ন শপিংমল ছিল লোকে লোকারণ্য। মানুষ নিজেদের সাধ্যমতো প্রিয়জনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন। এসব মার্কেটের ভিতরে ও আশপাশের রাস্তাগুলোতেও হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। সবখানেই ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা বাহারি রঙের সব পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন। কেউ পোশাক শরীরে ট্রায়াল দিচ্ছেন। কেউবা বাচ্চাদের পোশাক কেনায় ব্যস্ত। কেউবা শাড়ি, কসমেটিকস, গহনা, জুতার দোকানে ভিড় জমিয়েছেন। ছেলেদের পাঞ্জাবির দোকান গুলোতেও ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। থেমে নেই কেউ, সবাই ছুটছেন পছন্দের পোশাকের সন্ধানে। ভিড়ের কারণে ক্রেতার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলারও সুযোগ পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এর মধ্যেই পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। ছেলেরা বেশি কিনছেন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি। আর তরুণী ও নারীরা কিনছেন শাড়ি, থ্রি-পিস ও ফ্রক। এ ছাড়া জুতার দোকানেও বিক্রি বেড়েছে অনেক।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন কালেকশনের বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, নানা রঙের কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের নতুন পোশাক। নতুন সাজে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। ক্রেতারা বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে এক জায়গাতেই সব ধরনের সামগ্রী একসঙ্গে পাওয়া যায়। এ মার্কেট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকায় কেনাকাটাও আনন্দদায়ক। ফ্যাশন হাউস ইয়োলোর এক বিক্রয় কর্মী জানান, ঈদ এবং গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা এসব পোশাকের দাম রাখা হয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই। এ ছাড়াও বসুন্ধরা সিটির বিভিন্ন শো-রুম, নিপুণ, সৃষ্টি, সাদাকালো, দেশাল, রঙ বাংলাদেশ, কে-ক্রাফট, অঞ্জন্স, জ্যোতি, জেন্টস পয়েন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। পছন্দ হলেই কিনছেন ক্রেতারা। 

মহাখালী এসকেএস মার্কেটে দেখা যায়, ঈদকে ঘিরে নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে পাঞ্জাবি, পায়জামা, শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, কসমেটিকস, জুয়েলারিসহ সব ধরনের আইটেমই রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা কম থাকলেও বিকালের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড জিওর্দানোর বিক্রয়কর্মী নাসিমুল হক হৃদয় বলেন, আমাদের এখানে প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাকেনা চলছে। প্রত্যাশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরও বিক্রি বাড়বে। আমাদের এখানে ছেলেদের ইমপোর্ট করা সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। শার্টের জন্য বিখ্যাত আমাদের ব্র্যান্ড।

আরও খবর