Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
আজ শেষ হলো ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

রূপালি ইলিশের সন্ধানে সমুদ্রে যাবার প্রস্তুতি জেলেদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪২৬জন দেখেছেন

Image

মো.নাহিদুল হক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলেরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে (২৩ জুলাই) শনিবার রাত ১২টায়। দীর্ঘ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাবে উপকূলীয় কলাপাড়ার কুয়াকাটাসহ লালুয়া, মহিপুর, আলিপুর, গঙ্গামতির মৎস্যজীবীরা। 

মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন বাড়াতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার রাত ১২টার পরই মৎস্য শিকারীরা নেমে পড়বেন রূপালি ইলিশের সন্ধানে।

কুয়াকাটার জেলে দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা সব সময় সরকারি নির্দেশ মেনে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করি। সরকারি নির্দেশ মেনে ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য শিকার বন্ধ রাখি। তবে আশা করছি এ বছর সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে আমাদের জালে। 

আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আজ (শনিবার) রাত বারোটার পর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। জেলেদের মাঝে উৎসাহ বিরাজ করছে। দীর্ঘ দিন পর গভীর সমুদ্রে যাবে মৎস্য আহরনে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ভারতীয় এবং মায়ানমারের জেলেরা গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবাদে মৎস্য আহরন করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এলাকার জেলেদের দাবি পরবর্তী অবরোধ দেয়ার আগে তিন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের  বৈঠকের পর তিন দেশেই একত্রে অবরোধ দেয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে। 

মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন,  দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর পুনঃরায় জেলেরা সাগরে যাচ্ছে। সাগরে যেতে জেলেদের ট্রলার, জাল মেরামতসহ অন্যান্য মালামাল জোগার করতে অধিকাংশ জেলেরা ধার-দেনা করেছে। আশ করছি জেলেরা গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরন করে তারা তাদের দেনা পরিশোধ করতে সক্ষম হবে। 

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কলাপাড়া উপজেলার জেলেরা সরকারি নির্দেশনা মেনে ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য শিকার বন্ধ রেখেছে। তবে কিছু দুষ্ট জেলেরা নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৪৮ টি ট্রলার আটক করে ৬৪৮০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের কাছে পাওয়া সামুদ্রিক মাছ ১০৩০০০ টাকা নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়ার সংকেত মেনে এবং বৈধ জাল দিয়ে মৎস্য আহরনের জন্য বলা হয়েছে।



আরও খবর



প্রথমবার সাগর পথে একটি বার্জ থেকে ত্রাণ সামগ্রী নামানো হল গাজা উপকূলে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

প্রথমবারের মতো সাগর পথে যাওয়া একটি বার্জ থেকে ত্রাণ সামগ্রী নামানো হয়েছে গাজা উপকূলে। গাজার বিপন্ন মানুষদের জন্য স্প্যানিশ জাহাজ ওপেন আমস ২০০ টন খাদ্য সহায়তা নিয়ে মঙ্গলবার সাইপ্রাস ছেড়েছিল। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই সতর্ক করে বলেছে গাজা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বার্জ থেকে ক্রেনে করে খাদ্যবাহী ক্রেটগুলো টেনে লরিতে তোলা হচ্ছে। মূলত সড়কপথে ও বিমানযোগে ত্রাণ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ায় সাগর পথে নেওয়াটা কার্যকর হয় কি-না সেটিই দেখা শুরু হলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) চাল, গম, সবজি, প্যাকেটজাত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বহনকারী কার্গো নিয়ে এ মিশন পরিচালনা করছে। গাজায় সচল কোনো বন্দর নেই। সে কারণে ডব্লিউসিকে উপকূলে একটি জেটি তৈরি করতে হয়েছে। তবে কীভাবে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ডব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা সেলেব্রিটি শেফ হোসে আন্দ্রেজ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন বার্জগুলো থেকে সব খাবার ১২টি লরিতে তোলা হয়েছে। আমরা এটা করেছি”-লিখেছেন তিনি। একই সাথে বলেছেন, পরবর্তী শিপমেন্টে আরও সহায়তা আনা যায় কি না এটি ছিল তারই একটি পরীক্ষা-‘সপ্তাহে হাজার হাজার টন’। ওদিকে, ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, ওপেন আমস নৌযান ও এর কার্গো সাইপ্রাসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং উপকূলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

দা ওপেন আমস চ্যারিটি জাহাজটি পরিচালনা করছে। তারা শুক্রবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, তাদের টিম রাতভর কাজ করছে ত্রাণসহায়তা স্থলভাগে নেওয়ার জন্য। মঙ্গলবার জাহাজটি লারনাকার বন্দর ছাড়ার পর থেকেই ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টি প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। সাগর পথের এ অভিযান সফল হলে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও সহায়তা একইভাবে গাজায় আসার কথা রয়েছে।

এসব জাহাজ ওই অঞ্চলে সরাসরি যাওয়ার জন্য নতুন একটি রুট চালু করা হয়েছে সাগর পথে। এছাড়া সাগর পথে উপকূলে আরও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র একটি ভাসমান ডক তৈরির পরিকল্পনা করছে। একটি সামরিক নৌযান ভাসমান ডক বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে রওয়ানা দিলেও অন্যান্য উপকরণগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।

সামরিক অভিযান এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার মতো ঘটনা ত্রাণ বিতরণে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। অন্যদিকে, গাজার নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। বেকারি ও কারখানাগুলো হয় ধ্বংস হয়ে গেছে কিংবা যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সহজে ও দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ পথ ছিলো সড়ক পথে। কিন্তু ইসরায়েলি নানা বিধিনিষেধের কারণে ত্রাণ নিয়ে গাজায় যাওয়া নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। ওদিকে নিজেদের কনভয়ে গুলি ও লুটপাটের পর ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

প্যারাসুট ছিঁড়ে মালামাল পড়ে কয়েকজন নিহত হওয়ার পর বিমান থেকেও খাদ্য ছুঁড়ে দেয়ার কার্যক্রম বিপজ্জনক হয়ে গেছে। দ্রুত সহায়তা না দিলে গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অবশ্যম্ভাবী’ বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মানবিক বিপর্যয় তৈরির জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছেন।

ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে গাজার দক্ষিণের ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে তারা। এদিকে, শুক্রবারের আলোচনাতেও হামাসের সবশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। হামাস জানিয়েছে যে তারা মধ্যস্থতাকারীদের হাতে যুদ্ধবিরতির একটি পূর্ণাঙ্গ ভিশন তুলে দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এটি ‘অবাস্তব’ আখ্যায়িত করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গিয়ে হামাস যোদ্ধারা হামলা চালালে যুদ্ধের সূচনা হয়। ওই সময় ১২শ’ মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও ২৫৩ ইসরায়েলি হামাসের হাতে জিম্মি হয়। জবাবে ইসরায়েলের অভিযানে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


আরও খবর



২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাট নিয়ে লম্বা সময় ধরে আলোচনা হচ্ছে। এবার সেটি চূড়ান্ত করেছে উয়েফা। ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে খেলবে দলগুলো। যেখানে থাকছে না কোনো গ্রুপপর্ব। ৩৬ দল অংশগ্রহণ করবে প্রতিযোগিতায়।

গতকাল উয়েফার ওয়েবসাইটে নতুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফরম্যাটের বিস্তারিত জানানো হয়। যেখানে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিটি দল আটটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর শুরু হবে নকআউট পর্ব। বর্তমানে গ্রুপপর্বে খেলা হলেও আগামী মৌসুম থেকে থাকছে না এই পর্ব।  

নতুন ফরম্যাটে প্রাথমিক র‌্যাংকিং অনুযায়ী চারটি পটের প্রতিটিতে ৯টি করে দল জায়গা পাবে। এরপর ড্রয়ের ভিত্তিতে প্রতিটি পট থেকে একটি দলের দুটি করে প্রতিপক্ষ নির্বাচন করা হবে এবং প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হবে ওই দল; এই আট ম্যাচের চারটি তারা খেলবে ঘরের মাঠে এবং অন্য চারটি প্রতিপক্ষের মাঠে।

যদিও পয়েন্ট হিসেব থাকছে আগের মতোই। প্রতিটি ম্যাচে জয়ী দল ৩ পয়েন্ট করে পাবে। আর ড্র হলে পাবে ১ পয়েন্ট। প্রাথমিক পর্বে পয়েন্ট তালিকার প্রথম আট দল সরাসরি শেষ ষোলোয় কোয়ালিফাই করবে। আর টেবিলের ৯ থেকে ২৪ নম্বরে থাকা দলগুলোর মধ্যে হোম-অ্যাওয়ে দুই লেগের প্লে-অফ লড়াই শেষে আটটি দল পাবে শেষ ষোলোর বাকি আটটি টিকেট। বর্তমান ফরম্যাটের মতো শেষ ষোলো থেকে ফাইনাল পর্যন্ত খেলে যাবে দলগুলো।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

প্রথম ওয়ানডেতে অসহায় আত্মসমর্পন করা মেয়েদের সামনে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ নেমেছে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই। অপরসিকে, অস্ট্রেলিয়ার একাদশে ঘটেছে এক পরিবর্তন। একাদশে এসেছেন সোফি মালিনিউ বাদ পড়েন কিম গ্রাথ। 

বাংলাদেশ একাদশ : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, ফারজানা হক পিংকি, সোবহানা মোস্তারি, মুরশিদা খাতুন, রিতু মণি, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার ও সুলতানা খাতুন।  

অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড : অ্যালিসা হিলি, ফোবে লিচফোর্ড, এলিসা পেরি, বেথ মুনি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, জর্জিয়া ওয়্যারহাম, অ্যালানা কিং, সোফি মলিনিউ ও মেগান শ্যুট।


আরও খবর



এবারের ফিতরা কত, জানা যাবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার নির্ধারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন বেলা ১১টায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। সভায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমগণের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা। বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



রমজানে ওমরাহর বিশেষ সওয়াব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

পবিত্র রমজান মাস আসন্ন। সিয়াম সাধনার এই মাসে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বহু নিয়ামত দান করেন, তাদের বহু গুনাহ ক্ষমা করেন। এবং ইবাদতের প্রতিদান বাড়িয়ে দেন। প্রত্যেক মুমিনের উচিত, পবিত্র রমজান মাসের ফজিলতগুলো অর্জনে চেষ্টা করা।

রমজানের একটি আর্থিক ইবাদত রয়েছে, যা দিয়ে মুমিন অফুরন্ত সওয়াব অর্জন করতে পারে। আর তা হলো—রমজানের ওমরাহ। কোনো সামর্থ্যবান মুসলিম যদি এই সুযোগ লুফে নিতে পারেন, তবে তাঁর জন্য কল্যাণকর হবে। কেননা নবীজি (সা.)-এর হাদিসে এসেছে, রমজানে ওমরাহ পালন করলে হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) এক আনসারি মহিলাকে বলেন, আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? ইবনে আব্বাস (রা.) মহিলার নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। মহিলা বলল, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল, কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তাঁর পুত্র (অর্থাৎ মহিলার স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন। আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দ্বারা আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী (সা.) বলেন, আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিও। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য। অথবা এরূপ কোনো কথা তিনি বলেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭৮২)

সুবহানাল্লাহ, কোনো বর্ণনায় তো এমনও পাওয়া যায় যে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার সঙ্গে হজ করার সমতুল্য। কবুল হজ এমন একটি ইবাদত, যার প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা হজ ও ওমরাহ পরপর একত্রে আদায় করো।

কেননা, এই হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে দেয়, লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা যেমনভাবে হাপরের আগুনে দূর হয়। একটি কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)

তবে এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে রমজানে ওমরাহ করলে হজের সওয়াব মানে এই নয় যে কেউ রমজানে ওরমাহ করে নিলে তাকে আর ফরজ হজ করতে হবে না; বরং যাদের ওপর হজ ফরজ হয়েছে, তাদের অবশ্যই ফরজ হজ আদায় করতে হবে। রমজানের ওমরাহর দ্বারা ফরজ হজ আদায় হবে না।


আরও খবর