Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম
আজ শেষ হলো ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

রূপালি ইলিশের সন্ধানে সমুদ্রে যাবার প্রস্তুতি জেলেদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৬১জন দেখেছেন

Image

মো.নাহিদুল হক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলেরা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে (২৩ জুলাই) শনিবার রাত ১২টায়। দীর্ঘ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাবে উপকূলীয় কলাপাড়ার কুয়াকাটাসহ লালুয়া, মহিপুর, আলিপুর, গঙ্গামতির মৎস্যজীবীরা। 

মৎস্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন বাড়াতে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার রাত ১২টার পরই মৎস্য শিকারীরা নেমে পড়বেন রূপালি ইলিশের সন্ধানে।

কুয়াকাটার জেলে দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা সব সময় সরকারি নির্দেশ মেনে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করি। সরকারি নির্দেশ মেনে ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য শিকার বন্ধ রাখি। তবে আশা করছি এ বছর সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে আমাদের জালে। 

আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আজ (শনিবার) রাত বারোটার পর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। জেলেদের মাঝে উৎসাহ বিরাজ করছে। দীর্ঘ দিন পর গভীর সমুদ্রে যাবে মৎস্য আহরনে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ভারতীয় এবং মায়ানমারের জেলেরা গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবাদে মৎস্য আহরন করে নিয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এলাকার জেলেদের দাবি পরবর্তী অবরোধ দেয়ার আগে তিন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের  বৈঠকের পর তিন দেশেই একত্রে অবরোধ দেয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে। 

মহিপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন,  দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর পুনঃরায় জেলেরা সাগরে যাচ্ছে। সাগরে যেতে জেলেদের ট্রলার, জাল মেরামতসহ অন্যান্য মালামাল জোগার করতে অধিকাংশ জেলেরা ধার-দেনা করেছে। আশ করছি জেলেরা গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরন করে তারা তাদের দেনা পরিশোধ করতে সক্ষম হবে। 

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কলাপাড়া উপজেলার জেলেরা সরকারি নির্দেশনা মেনে ৬৫ দিনের জন্য মৎস্য শিকার বন্ধ রেখেছে। তবে কিছু দুষ্ট জেলেরা নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৪৮ টি ট্রলার আটক করে ৬৪৮০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাদের কাছে পাওয়া সামুদ্রিক মাছ ১০৩০০০ টাকা নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। আবহাওয়ার সংকেত মেনে এবং বৈধ জাল দিয়ে মৎস্য আহরনের জন্য বলা হয়েছে।



আরও খবর



জওয়ানের নতুন রেকর্ড গদর ২-কে হারিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বক্স অফিসে জওয়ান-এর এবার একের পর এক রেকর্ড ভাঙার পালা। ১৩ দিনেই ভারতের বক্স অফিসে ৫০০ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলল শাহরুখ খানের সিনেমা। এবার শুরু সেরার মুকুট মাথায় পরার পালা। 

একটি রিপোর্ট বলছে, মঙ্গলবার জওয়ানের আয় হিন্দি, তামিল আর তেলুগু মিলিয়ে ১৪ কোটি। সোমবারেও তা ছিল ১৬.২৫ কোটি। কর্মব্যস্ত দিনে আবার দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে ১৪ কোটি কোনো অংশেই খারাপ নয়।  ১৩ দিনে ভারতের বাজার থেকে জওয়ানের মোট আয় ৫০৭.৮৮ কোটি। সোমবারেই ছবিটি টপকে গেছে কেজিএফ ২-কে। যা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ। তিনি লেখেন, ‘কেজিএফ২-কে টপকে গেল। এবার বাহুবলী ২-এর পালা। ভারতের আয়ের ভিত্তিতে বর্তমানে চতুর্থ হিন্দি সিনেমা। 

তবে জওয়ান ৫০০ কোটির ঘরে ঢোকার রেকর্ড পাওয়ায় খুশি শাহরুখভক্তরা। এর আগে সবচেয়ে কম সময় লেগেছিল সানি দেওলের গদর ২-এর, ২৪ দিন। পাঠানের লেগেছিল ২৮ দিন। সেখানে জওয়ান তার প্রায় অর্ধেক সময় অর্থাৎ ১৩ দিনে ঢুকে গেল ৫০০ কোটিতে। আর শুধু হিন্দির জন্য জওয়ানের আয় ১৩ দিনে ৪৬০ কোটি।


আরও খবর

দুই আসনে লড়তে চান মাহিয়া মাহি

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একদিন আগেই পাকিস্তান একাদশ ঘোষণা করলেও একাদশ ঘোষণা করতে কিছুটা বেগ পোহাতে হবে বাংলাদেশের। 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ছিটকে গেছেন। তবে সুস্থ হয়ে দলে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস। এ ছাড়া তিন পেসার নাকি পাকিস্তানের মতো চার পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ, সেটিও এখন আলোচনায়। 

পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ একই একাদশ নিয়ে খেলেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক পরিবর্তন নিয়ে একাদশ ঘোষণা করেছে দলটি। এতে স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজকে বাদ দিয়ে একাদশে নেওয়া হয়েছে পেস ওলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকে।

এদিকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকবাজ। সেখানে জায়গা পেয়েছে নাইম শেখ, সুস্থ হয়ে দলে ফেরা ওপেনার লিটন কুমার দাস, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম।


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




অনুপ্রবেশের দায়ে মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে একটি বাস টার্মিনাল থেকে ২০ বাংলাদেশিসহ ৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ৩০ আগস্ট বিকেলে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেছেন, আটকদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই বিদেশিরা কোটা বাহরু এক্সপ্রেস বাস স্টেশন থেকে কুয়ালালামপুরে এসেছেন। তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে বলে আমরা মনে করছি। খবর দি স্টার।

দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেন, অভিযানে অপারেশন টিম ইস্ট কোস্ট হাইওয়েতে এসব বিদেশি নাগরিককে বহনকারী তিনটি পৃথক এক্সপ্রেস বাসকে অনুসরণ করে। পরবর্তীতে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের কারো পাসপোর্টে কোনো বৈধ ইমিগ্রেশন বিভাগের স্ট্যাম্প ছিল না। এমনকি দেশটিতে প্রবেশের কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছিল না। এদের কয়েকজনের পাসপোর্টের অতীত রেকর্ডে দেখা গেছে, তারা মালয়েশিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, মানবপাচার চক্রের সদস্যরা অবৈধ পথে চোরাচালানের আগে প্রতিবেশী দেশগুলো দিয়ে তাদের নিজ দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। এরপর অভিবাসন বিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে তাদের অবৈধভাবে কাজ দেওয়া হয়।

মানবপাচার চক্রের সদস্যরা বিদেশিদের কাছে থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ১০ হাজার রিঙ্গিত করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

‘প্রিয়তমা’ যাচ্ছে পর্তুগালে

রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩




হংকংয়ে ১৪০ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা বৃষ্টিপাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের মুখে পড়েছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হংকং। ভারী এই বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরের বিভিন্ন রাস্তা, শপিং মল ও মেট্রো স্টেশন।

এমনকি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙেছে ১৪০ বছরের ইতিহাস। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টির পর হংকংয়ের বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি বৃষ্টির জেরে রাস্তা, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশনজুড়ে ব্যাপক রন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় হংকং কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং কর্মীদের বাড়িতে থাকতে বলেছে।

রয়টার্স বলছে, ১৪০ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের এই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরের পাহাড়ি এলাকায় পানির ব্যাপক স্রোত দেখা দিয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ ভূমিধসের ঝুঁকির সতর্কতা জারি করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বেশ কিছু ভিডিওতে মুষলধারে বৃষ্টির পর শহরের রাস্তাগুলো কার্যত জলস্রোতে পরিণত হতে দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, মেট্রো কর্মীরা একটি স্টেশনের নিচে রাস্তার স্তর থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহকে থামানোর চেষ্টা করছেন।

হংকং শহরের ক্রস হারবার টানেলও পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া শহরের চা ওয়ান এলাকায় জলাবদ্ধ শপিং সেন্টারের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। হংকং অবজারভেটরি স্থানীয় সময় রাত ১১ টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে।

এছাড়া আবহাওয়া ব্যুরো ভারী ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে এবং বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হংকংয়ের প্রধান দ্বীপ কাউলুন এবং শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, গত সপ্তাহে আছড়ে পড়া টাইফুন হাইকুইয়ের অবশিষ্টাংশের সাথে যুক্ত নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার থেকে চীনের গুয়াংডং উপকূলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে। আবহাওয়ার চরম এই পরিস্থিতি শুক্রবার অন্তত দুপুর পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই চলমান দুর্যোগ পরিস্থিতিতে হংকংয়ের স্টক এক্সচেঞ্জ শুক্রবার সকালে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি দুপুর নাগাদ ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা বহাল থাকলে বিকেলের সেশনেও এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

হংকং শহরের নেতা জন লি বলেছেন, ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে তিনি খুব উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত বিভাগকে ‘জোর প্রচেষ্টা’ দিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সরকার বলেছে, ‘বিস্তৃত বন্যা এবং যানবাহন চলাচলে গুরুতর ব্যাঘাতের কারণে শুক্রবার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।’


আরও খবর



মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ফায়ার সেফটি ছিল না

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষি মার্কেটে লাগা অগ্নিকাণ্ডস্থলে সাংবাদিকদের একথা বলেন ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর নতুন বাজারে (কৃষি মার্কেট) আগুন ধরার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। রাত ৩টা ৫২ মিনিট থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। আমরা সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।

তিনি বলেন, আগুন লাগা এই মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নেই। এই মার্কেটটিতে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি সেভাবে তারা সাড়া দেয়নি। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের। এখানে ভেতরে অনেক সাবওয়ে ছিল ছোট ছোট। কিন্তু ছোট ছোট এবং ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যে ছোট ছোট রাস্তা পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে রাস্তাটা বন্ধ করা ছিল। এবং পুরো মার্কেটটাই গেট দিয়ে আটকানো ছিল।

তাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন তারা বাইরে ছিলেন। তাদেরকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। তালা ভেঙে এবং কলাপসিবল গেট ভেঙে আমাদেরকে ভেতরে গিয়ে তারপর আগুন নির্বাপণের কাজ করতে হয়েছে। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল।

তিনি বলেন, দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা আসার পরই আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিনভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায় এবং আমরা চেষ্টা করি এই মার্কেটের ভেতরে যেন আগুনটা আবদ্ধ থাকে। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুনটাকে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে।

আমরা এখন যেটা করছি আগুনটা সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তবে নির্বাপণে কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে আগুন লেগেছিল, তখন কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি? জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহের শনিবার গণসংযোগ করি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মার্কেটের প্রতিনিধিদেরকে ডেকে আমরা অনেকবার আলোচনা করেছি, অনেক ওয়ার্কশপ করেছি। মার্কেটের যারা মালিকপক্ষ তাদেরকে ডেকে আমরা বুঝিয়েছি সচেতনতার প্রোগ্রাম আমরা কীভাবে করবো।

প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিং ওনাদেরকেই করতে হবে। এই মার্কেটে প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ইকুইপমেন্টই ছিল না। কোনো ধরনের পানির সোর্স ছিল না। আমরা সবচেয়ে বেশি বেগ পেয়েছি পানির সোর্স। এখানে বিভিন্ন ভবনে পানির সোর্স রয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। খুব দ্রুত আমাদের পানি শেষ হয়ে যায়। আমরা বিশেষ পানির গাড়ি এনে এবং অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো করি।

আগুন নেভানোর এত সময় লাগার আরও বড় কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগুন নেভানোর আরেকটি বড় কারণ ছিল মানুষের ভিড়। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের পুলিশ বিজিবি খুবই হিমশিম খেয়েছে। এই ভিড়ের কারণে আমাদের এত সময় লেগেছে। যদিও মানুষ চেষ্টা করতে চায় আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য কিন্তু আদৌ এটা আমাদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করবো জানার জন্য। তবে যতটুকু বুঝেছি মুদির দোকানের যেই অংশটি ছিল ওই অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যারা ছিল তাদের দুই একজন কিছুটা আহত হয়েছে। এর বাইরে কোনো বড় ধরনের হতাহতের তথ্য নেই।


আরও খবর