Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সালাত ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮৬জন দেখেছেন

Image

ইসলাম ধর্ম পাঁচটি ভিত্তির ওপর স্থাপিত। তার মধ্যে নামাজ বা সালাত শীর্ষে। সালাত এমন এক ইবাদত যার মাধ্যমে বান্দা ও তার প্রভুর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। যে বান্দা অত্যন্ত বিনয়, নম্রতা, ভক্তি ও আন্তরিকতার সঙ্গে পবিত্র অবস্থায় সালাত আদায় করে সেই তার মহান প্রভুর সান্নিধ্যে উপনীত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে।

একজন বান্দার জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন’ (সুরা বাকারা-১৫৩)।  আল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার স্মরণের জন্য সালাত আদায় করো’ (সুরা ত্বাহা-১৪)। রসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কারও ঘরের দরজার সামনে যদি কোনো নদী থাকে আর তাতে তোমরা যদি প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করো, এরপর তার শরীরে কি কোনো ময়লা থাকতে পারে? সাহাবিগণ উত্তরে বললেন, না তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না। নবী করিম (সা.) বললেন, ঠিক তেমনি যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পবিত্রতার সঙ্গে আদায় করল, আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার সমস্ত পাপ ঠিক তেমনি করে মোচন করে দেন’ (সহিহ মুসলিম) সুবহানাল্লাহ।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে আদায় করতে পারলে এর চেয়ে বড় সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে? সালাত একজন মুসলমানের জীবনের সবচেয়ে বড় নেয়ামত। হাদিসে এসেছে, ‘পরকালের হিসাব নিকাশ গ্রহণের সময় সর্বপ্রথম আল্লাহতায়ালা সালাতের হিসাব-নিকাশ গ্রহণ করবেন।’ (তাজিমু কাদরিস সালাত)।

‘বেহেশতের চাবিকাঠি হলো সালাত’ (তিরমিজি শরিফ)। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করতে হলে সালাতকে মনেপ্রাণে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরতে হবে এবং বিনয় ও ভক্তি সহকারে আল্লাহর প্রতি সালাতের মাধ্যমে আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে।

নামাজ আদায়ের শর্তসমূহ : পবিত্রতা অর্জন করা. নামাজ আদায়ের প্রথম শর্ত শরীর ও পরিধেয় কাপড় পবিত্র হওয়া। পাশাপাশি প্রয়োজন অন্তরের পবিত্রতা। কারণ অন্তর পবিত্র না হলে মূল পবিত্রতার প্রাণশক্তি নষ্ট হয়।

আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা পবিত্র বস্তুসামগ্রী আহার করো। যেগুলো তোমাদের আমি রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর যদি তোমরা তাঁর বান্দা হও’ (সুরা বাকারা-১৭২)। ছতর বা লজ্জা স্থান ঢেকে রাখা। সালাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিংবা সালাতের পরও লজ্জা স্থান ঢেকে রাখা ফরজ। একেই ইসলামী পরিভাষায় পর্দা বলা হয়। পর্দা নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরজ।

অন্তরে বিনয়ী হওয়া : নামাজ আদায়ের আগে মনকে দুনিয়ার যাবতীয় বিষয় থেকে মুক্ত করে পুরোপুরি বিনয় ও ভক্তির সঙ্গে উত্তমভাবে শরীরের অঙ্গসমূহের পূর্ণাঙ্গ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সালাত আদায় করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহর আনুগত্য লাভের উদ্দেশ্যই সালাত আদায় করছি যা আমার জন্য পরকালের সম্বল হিসেবে গণ্য হবে। সালাতের উদ্দেশ্যে মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে : সালাত আদায় করতে হবে খুশি মনে। আল্লাহ আমাকে দেখছেন এ কথাটি মনে রাখতে হবে।

সুতরাং বিনম্রচিত্তে প্রফুল্ল মন নিয়ে সালাত আদায় করতে হবে অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের এবং তোমার পরিবার পরিজনকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। যাতে নিয়োজিত রয়েছে কঠোর স্বভাব, পাষাণ হৃদয়ের ফেরেশতারা।

তারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয় তারা তাই করে’ (সুরা তাহরিম-৬)। সুতরাং দোজখের আগুনের ইন্ধন থেকে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে হলে বিনম্রচিত্তে সালাত আদায় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। 


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




পাপুয়া নিউগিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, নিহত ৫

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত পাঁচজন নিহত ও এক হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। 

ইস্ট সেপিকের গভর্নর অ্যালান বার্ড বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।’ ভোরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর আগেই দেশটির সেপিক নদীর তীরে অবস্থিত কয়েক ডজন গ্রাম বড় ধরনের বন্যার কবলে পড়ে।


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



ফুটবল খেলার ইচ্ছেটা কমে যাচ্ছে; কেন বললেন ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা লেফট উইঙ্গার বলা হলে ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নামটাই প্রথমে আসবে। কিন্তু সেই ভিনিসিয়ুস জানালেন, তার ফুটবল খেলার ইচ্ছেটাই দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর এজন্য অবশ্য নিজের বা ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো অভিযোগ তার নেই। বরং অভিযোগ এনেছেন বর্ণবাদের বিপক্ষে। 

স্পেন ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বর্ণবাদের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। নিজেই জানালেন, স্পেনে তাকে যেভাবে একের পর এক বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হচ্ছে, তাতে ফুটবল খেলার ইচ্ছাটাই ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস বেশ অনেকটা দিন ধরেই বর্ণবাদী আচরণের মুখে পড়েছেন। এমনকি স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচটাও খেলা হচ্ছে বর্ণবাদ বিরোধী সামাজিক বার্তা নিয়ে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটায় নিজ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই বর্ণবাদের বিপক্ষে খেলতে নামবেন ভিনি জুনিয়র। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জল ভেজা চোখে বললেন, ‘অনেক দিন ধরেই এটার (বর্ণবাদ) মুখোমুখি হচ্ছি। প্রতিবারই আরও বেশি দুঃখ লাগে। প্রতিবারই খেলার ইচ্ছাটা আরেকটু মরে যায়।’ যদিও এসবের কারণে স্প্যানিশ ফুটবল ছাড়তে তিনি রাজি নন। রিয়াল মাদ্রিদেই থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘বর্ণবাদীরা যা খুশি করতে পারে। আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবেই থাকব, যত বেশি সম্ভব গোল করব, সেটা তারা (বর্ণবাদী) যেন দেখে।’

ভিনিসিয়ুস অবশ্য সবকিছু বাদ দিয়ে লক্ষ্য রাখতে চান ফুটবলের দিকেই ‘ফুটবল খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই, কৃষ্ণাঙ্গরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক, সেটা নিশ্চিত হলে ক্লাবের হয়ে শুধু খেলাতেই মনোযোগ দিতে পারব।


আরও খবর



রমজানে দান-সদকার ফজিলত ও গুরুত্ব

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

ইসলাম ধর্মে দান সদাকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। আর রমজান মাসে দানের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমান। আর একটি ফরজ ইবাদত করলে সত্তর গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। 

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে মানুষের উপকার করে’ (তাবারানি)। রসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। আর রমজান মাসে তিনি সবচেয়ে বেশি দান সদাকা করতেন। জিবরাইল (আ.) এ সময়ে তাঁর কাছে আসতেন এবং পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। রসুল (সা.) তখন প্রবাহিত বাতাসের চেয়ে অধিক দান-খয়রাত করতেন (মুসলিম)। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি তোমাদের দানকে প্রকাশ করো ভালো কথা, তাতে কোনো দোষ নেই, তবে যদি তোমরা তা গোপন রাখো এবং চুপে চুপে তা অসহায়দের দিয়ে দাও, তবে তা হবে তোমাদের জন্য বেশি উত্তম। এ দানের কারণে আল্লাহ তোমাদের বহুবিধ গুনাহ খাতা মুছে দেবেন, আর তোমরা যাই কর না কেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত আছেন’ (সুরা বাকারা-২৭১)। সুবহানাল্লাহ। সুতরাং বেশি বেশি দান-খয়রাত করা আমাদের উচিত। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে। 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা যা দান-সদাকা কর তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর, কারণ তোমরা তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই খরচ কর। তোমরা আজ যা কিছু দান করবে আগামীকাল তার পুরোপুরি বিনিময় আদায় করে দেওয়া হবে (সুরা বাকারা-২৭২)।’ যারা দিন রাত গোপনে প্রকাশ্যে নিজেদের মাল সম্পদ ব্যয় করে তাদের মালিকের দরবারে তাদের এ দানের প্রতিফল সুরক্ষিত রয়েছে। তাদের ওপর কোনোরকম ভয়ভীতি থাকবে না, তারা সেদিন চিন্তিতও হবে না (সুরা বাকারা-২৭৪)। সাহায্য-সহযোগিতা দান-সদাকা করতে হবে দীন-দরিদ্র, ফকির-মিসকিন, এতিম, অন্ধ, বিধবা, অসহায় ও গরিব আত্মীয়স্বজনকে। রসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হলো দান সদাকার উপযুক্ত পাত্র কারা? 

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘তারা তোমার কাছে জানতে চাইবে তারা কি খাতে খরচ করবে? তুমি তাদের বলে দাও, যা কিছুই তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অসহায়, মিসকিন এবং মুসাফিরের জন্য খরচ করবে, তাই আল্লাহ গ্রহণ করবেন। যা ভালো তোমরা করবে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানতে পারবেন’ (সুরা বাকারা-২১৫)। অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে বিপুল সওয়াব লাভের শ্রেষ্ঠ সময় রমজান। আমাদের সমাজে অনেক গরিব-দুঃখী আছেন যারা দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাহরি ও ইফতারের সামান্য খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান। বছরের এই সময়ে তাদের জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে একটি বীজের মতো, যে বীজটি বপন করার পর তা থেকে সাতটি শিস বেরোলো, এর প্রতিটি শিষে রয়েছে ১০০ করে শস্যদানা, আল্লাহ যাকে চান তার জন্য এটাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন’ (সুরা বাকারা - ২৬১)। এই রমজানে গরিব আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিন, তাদের মধ্যে কেউ আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। আপনজনদের ভালোবাসুন। গরিবদের সম্মান করুন। রসুল (সা.) বলেছেন, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো, যে তোমার প্রতি অবিচার করে তাকে ক্ষমা কর’ (মুসলিম)। রহমত ও মাগফিরাতের মাসে দয়া ও ক্ষমার অনুশীলন করুন। এতিম, অসহায়, বিধবাদের খোঁজখবর নিন। তাদের মুক্তহস্তে দান করুন। তাহলে আল্লাহ খুশি হবেন। নাজাত পাওয়ার রাস্তা সহজ হবে। দান-খয়রাত সদাকা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হোন।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




ফয়েল পেপার আটকে একঘণ্টা বন্ধ মেট্রোরেল

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৭জন দেখেছেন

Image

ফয়েল পেপার আটকে রবিবার সকালে একঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।

আজ সকালে ঝড়ো বাতাসের সময় একটি ফয়েল পেপার উড়ে এসে বিজয় সরণি ও ফার্মগেট স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো এক জায়গায় ওভারহেড ক্যাটেনারিতে পড়ে। মেইনটেনেন্স টিম ওই সময় না থাকায় এক ঘণ্টার মতো সময় অতিবাহিত হয়েছে এটি সরাতে।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে মেট্রোরেলে এ বিভ্রাট দেখা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে যাত্রীদের স্টেশনে এসে অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকে আবার ভিন্ন উপায়ে গন্তব্যে গিয়েছেন।


আরও খবর