Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১০৫জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


ফরিদপুরের নগরকান্দায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহীদুল ইসলামের সমর্থক কবির ভূঁইয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে (৫২) আসামি করে মামলা করা হয়েছে।


শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ১টার দিকে নগরকান্দা থানায় নিহত কবির ভূঁইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪) বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।



নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, নিহত কবির ভূইয়ার স্ত্রী মোনজিলা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ আগস্ট) এ বিষয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।


 এ ছাড়া নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন বকুল, কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান তৈয়ব, হেলালউদ্দীন হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শরিফসহ মোট ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।



বুধবার (২১ আগস্ট) কৃষক দল নেতা শহীদুল ইসলামের মোটর শোভাযাত্রা করে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা চৌরাস্তা হয়ে নগরকান্দা উপজেলা সদর ও তালমার মোড় হয়ে ফরিদপুর শহরে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নগরকান্দা সদরে শামা ওবায়েদের সমর্থকরা শহীদুল ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলা করে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় এবং বাজারে সশস্ত্র মহড়া দেয়।


 এ হামলায় শহীদুল ইসলামের সমর্থক নগরকান্দা পৌরসভার ছাগলদী মহল্লার বাসিন্দা কবির ভূঁইয়া নিহত হন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলি, এই খুনের নির্দেশদাতা শামা ওবায়েদ ইসলাম। স্পষ্টভাবে আমি এ কথা বলছি। তিনিই খুনের মদদদাতা, নির্দেশদাতা।’


এ প্রেক্ষাপটে বুধবার (২১ আগস্ট) রাতেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা দুই পত্রে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ শহীদুল ও শামা ওবায়েদের সকল পদ স্থগিত করেন। 


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬১জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর



গাইবান্ধায় পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকায় কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাগান থেকে আব্দুল খালেক মিয়া (৩৫) নামে এক পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুল খালেক মিয়া উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে পান ব্যবসা করেন। সকালে গাইবান্ধা-নাকাইহাট ভাইয়া গোবিন্দগঞ্জ সড়কের পাশের বাগানে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার হাটে যান আব্দুল খালেক। কিন্তু গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শুক্রবার সকালে নাকাইহাট বাজারের পাশের বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের বড় ভাই আলম মিয়া বলেন, আব্দুল খালেক শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরল প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর থেকে ক্রাইম টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তায় দেশে-বিদেশে নৌবাহিনীর অংশগ্রহণ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।

সেনাবাহিনী প্রধান রোববার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫-এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২-বি ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫-এ ব্যাচের ৮জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।

উল্লেখ্য, কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।  কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা,(এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।

মিডশিপম্যান মো. মেহেরাব হক তনি, (এক্স), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত, (শিক্ষা), বিএন কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। এছাড়াও, মিডশিপম্যান্ট আবুহোরাইরা এলবাদাউয়ি আহমেদ আবদেলনাইম, (এক্স) এসইউডি (সুদান আর্মি) সেরা চৌকস বিদেশি মিডশিপম্যান হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শপথ ছাড়াই নগর পরিচালনায় ইশরাক, সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্যারালাল প্রশাসনের’ অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

 মেয়র হিসেবে শপথ না নেওয়া সত্ত্বেও নাগরিক সেবার অচলাবস্থা কাটাতে কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আদালতের রায় অনুযায়ী নিজেকে বৈধ মেয়র দাবি করে তিনি বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে তাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না। একইসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা ও জন্ম-মৃত্যুসনদ প্রদানসহ জরুরি সেবা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ জুন) নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘আন্দোলন চলবে, তবে জনগণের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে, সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।’’ এদিন তিনি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এটাই ছিল নগর ভবনে তার প্রথম সভা, যার ব্যানারে ‘মাননীয় মেয়র’ উপাধি ব্যবহার করা হয়।

ইশরাক বলেন, ‘‘ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও আমাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না সরকার। আন্দোলন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আলোচনা বা যোগাযোগ হয়নি।’’

তিনি অভিযোগ করেন, “এই অচলাবস্থার জন্য পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দায়ী। সরকার তার পছন্দের প্রশাসক বসিয়ে ‘অবৈধ সুযোগ সুবিধা’ নিতে চায়।”

ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সেবার অচলাবস্থা না টানতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ইতিমধ্যে তিনি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।

আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই বৈঠকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ নাগরিক সেবাগুলো সচিবদের মাধ্যমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান ইশরাক।

তিনি বলেন, “আমরা জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সেবা কার্যক্রম চালু রাখছি, তবে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নগর ভবনের ফটকে তালা থাকবে—এটাই আন্দোলনের প্রতীক।”

এদিকে নগর ভবনে ইশরাকের এই তৎপরতা ঘিরে সরকারি পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে চলমান পরিস্থিতিতে নগর ভবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু ২৭ মার্চ, ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফল বাতিল করে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’র অজুহাত দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখে। ফলে ইশরাক সমর্থকরা ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও যোগ দেয়।

ইশরাক দাবি করেন, আদালতের রায় কার্যকর না করে সরকার ‘প্যারালাল প্রশাসন’ চালাচ্ছে এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। তিনি সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়র হিসেবে তাকে শপথ করানোর আহ্বান জানান, অন্যথায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ার করেন।


আরও খবর



সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু :স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের

                      নিরাপদ ও টেকসই বেড়িবাঁধ চাই এই স্লোগানকে সামনে রেখে  ৪নং সাউথখালী ইউনিয়ন সিএসও কমিটির পক্ষ থেকে সিএসও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন ব্যাপী প্রচারণা শেষে সাউথখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড গাবতলা বাজারে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে সাউথখালী ইউনিয়ন সিএসও কমিটির বিভিন্ন নদী ভাঙ্গনের বিভিন্ন স্লোগান ও দাবি দাওয়া এবং তাদের পরিচিত  প্লেকার্ডের মাধ্যমে তারা জানান দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সাউথখালী ইউনিয়ন সিএসও কমিটির প্রায় সকল সদস্য, সিবিও ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ, সাংবাদিক গন অংশ গ্রহন করেন।এ সময় উপস্থিত সিএসও, সিবিও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। 



আরও খবর