Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৮০জন দেখেছেন

Image


আদালত  রিপোর্টারঃ


রাজধানীর উত্তরা থেকে ২০১৫ সালে এক আইনজীবীকে অপহরণ করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এ আদেশ দেন। এদিন দুপুরে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ভুক্তভোগী আইনজীবী সোহেল রানা।



বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‍্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শাহবাগে অবরোধ করেছে রিকশাচালকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১০১জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 


রিকশাচলকরা জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন। 



রিকশাচলকরা বলেন, অটোরিকশা চালকরা ১০০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা হলেই চলে যায়। তাদের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা যাত্রী পান না এবং ন্যায্য ভাড়া পান না। সারাদিন রিকশা চালিয়ে তারা পর্যাপ্ত টাকা উপার্জন করতে পারেন না। 


তারা আরও বলেন, অটোরিকশা চলার অনুমতি নেই ঢাকায়। তারপরও দেদারছে চলছে অটোরিকশা। পায়ের রিকশার বৈধতা আছে, নাম্বার আছে। এর জন্য প্রতি বছর ৩০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই শেখ হাসিনা অবৈধ অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিয়ে আমাদের বৈধ রিকশাকে অচল করে দিয়েছে। 


ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরে মোট তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে অটোরিকশার আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়। 




আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ২৩জন দেখেছেন

Image

চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে— শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এই কমিশনও বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ আর অবসরের জন্য ৫৯ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে।

এ ব্যাপারে সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করবে কিনা, তা এ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। মূল বিষয়টি হলো, জনগণকে সুশাসন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে এ কমিশন যদি মনে করে, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন, তারা সরকারকে সুপারিশ দেবে।

বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি কী— তাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ সমকালকে বলেন, দেশের জাতীয় যুবনীতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।  





আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডিএনসিসির ৫৪ ওয়ার্ডে মশক নিধন অভিযান

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আলু, পেঁয়াজ ও ডিমে শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৪জন দেখেছেন

Image

দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় কৃষিপণ্য ও পোলট্রিশিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদন। এ অবস্থায় বন্যা-পরবর্তী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে ডিম ও আলু আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে দেশে বছরে ৬-৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডিম ও আলু আমদানি তেমন হয় না বললেই চলে। বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫২-৬০ টাকা, ডিমের হালি ৫০-৫৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পণ্য তিনটির শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। সুপারিশে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। এসব শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিতে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে আসবে। এজন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে তিনটি পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোক্তা উপকৃত হবে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। তবে শুল্ক কমানো হলে ভোক্তার চেয়ে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন বেশি। তবে দেশে ডিম আমদানি হলে ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের দাম কমাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। এসব খাবার বড় কোম্পানি আমদানি করছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে শুল্ক কমানো হলেও রপ্তানিকারক দেশে দাম বাড়লে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে দাম বাড়িয়ে দিলে দেশের বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আলু আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আলু আমদানি হলে তা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পড়বে। খুচরা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব।


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কাছে ৬৮ হাজার ৯২৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদিশক মুদ্রার মজুত রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আরবিআই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যত বিদেশি মুদ্রা জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে করা হয়েছে এই হিসাব। আরও বলা হয়েছে, এর আগে কখনও ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এমন উচ্চতায় পৌঁছায়নি।

আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ডলার। তার আগের টানা তিন সপ্তাহে জমা হয়েছে মোট ১ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার।

ডলারের মজুত রেডর্ক পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রভাব পড়েছে ভারতের মুদ্রা রুপির ওপরেও। আরবিআইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৫ জুনের পর থেকে প্রতি সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে রুপির মান বাড়ছে শতকরা দশমিক ১ শতাংশ করে। এই মুহূর্তে ভারতে প্রতি এক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ৮৩ দশমিক আট আট রুপি।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৯৮জন দেখেছেন

Image

ধর্ম  ডেস্ক : মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)।

সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র। যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত।

প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল। রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার।

আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলেমদের মতামত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪