Logo
আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সন্তানের প্রতি নূহ (আ.)-এর শেষ উপদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৪জন দেখেছেন

Image

আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসে ছিলাম। এরই মধ্যে একজন ব্যক্তি আগমন করল, যার পরিধানে ছিল এক ধরনের মাছ রঙের জুব্বা। সে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাথা বরাবর দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার সঙ্গীরা আরোহীদের অবদমিত করছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তার জুব্বার বন্ধনস্থল ধরে বলেন, আমি কি তোমাকে নির্বোধের পোশাকে দেখছি না? অতঃপর তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নবী নূহ (আ.) মৃত্যুকালে স্বীয় পুত্রকে অসিয়ত করে বলেন, আমি একটি অসিয়তের মাধ্যমে তোমাকে দুটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি এবং দুটি বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি। 


নির্দেশ হলো তুমি বলবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কেননা আসমান ও জমিনের সব কিছু যদি এক হাতে বা পাল্লায় রাখা হয় এবং এটিকে যদি এক হাতে বা পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে এটিই ভারী প্রতিপন্ন হবে। সাত আসমান ও সাত জমিন যদি একটি জটিল গ্রন্থির রূপ ধারণ করে তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ তা ভেঙে দেবে। কেননা এটি সব বস্তুর তাসবিহ। এবং এর মাধ্যমেই সব সৃষ্টিকে রিজিক দেওয়া হয়।

আর আমি তোমাকে নিষেধ করে যাচ্ছি দুটি বস্তু থেকে : শিরক ও অহংকার। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! শিরক তো আমরা বুঝলাম। কিন্তু অহংকার কী? আমাদের কারো যদি সুন্দর পোশাক থাকে, আর সে তা পরিধান করে। তবে এতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কোনো ব্যক্তির যদি এক জোড়া সুন্দর জুতা থাকে এবং এর দুটি সুন্দর ফিতা থাকে। তা কি অহংকারের আওতায় পড়বে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কোনো ব্যক্তির যদি একটি বাহন জন্তু থাকে, যার ওপর সে আরোহণ করে। তাতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, তাহলে আমাদের কারো বন্ধু-বান্ধব রয়েছে, যাদের সঙ্গে সে ওঠা-বসা করে। এতে কি অহংকার হবে? তিনি বলেন, না। সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তাহলে অহংকার কী?। তিনি বলেন, অহংকার হলো, সত্যকে দম্ভভরে প্রত্যাখ্যান করা ও মানুষকে হেয় জ্ঞান করা। ’ (আদাবুল মুফরাদ হাদিস : ৫৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৫৮৩) 


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




আর্জেন্টিনা মেসিকে ছাড়াই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

কোপা আমেরিকা ও ইউরোর আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিকে ছাড়াই খেলতে নেমে প্রতিপক্ষ এল সালভাদরকে উড়িয়ে দিল আর্জেন্টিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এল সালভাদরকে ০-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে চোটের কারণে আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াডে ছিলেন না মেসি। গোল তিনটি করেছেনে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (১৬), এনজো ফার্নান্দেজ (৪২) এবং জিওভানি লো সেলসো (৫২)। 

ম্যাচটিতে বল দখল, আক্রমণ কিংবা সুযোগ তৈরি-কোথাও আর্জেন্টিনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি এল সালভাদর। প্রায় পুরোটা সময় আর্জেন্টিনার আক্রমণের ঝড়গুলো সামলে সময় পার করেছে তারা। আর্জেন্টিনার ৮০ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে এল সালভাদর দখলে বল ছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়। আর আর্জেন্টিনা যেখানে ২৪টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রেখেছে, এল সালভাদর সেখানে শটই নিতে পেরেছে মাত্র ২টি। 

আগামী ২৭ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসে আর্জেন্টিনা পরের ম্যাচ খেলবে কোস্টারিকার বিপক্ষে। কোপা আমেরিকার আগে এ প্রীতি ম্যাচগুলোকে নিজেদের পরখ করে নিচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

টানা সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরালো হলেও ইসরায়েল বিষয়টি গুরুত্ব না হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্তোনিও গুতেরেস শনিবার মিশর-গাজার মধ্যে অবস্থিত রাফাহ ক্রসিংয়ের মিশরীয় অংশে সফরে যান। আর সেখানেই গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে আহ্বান জানান জাতিসংঘের এই মহাসচিব। রাফাহ ক্রসিংয়ের মিশরীয় দিক থেকে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “বন্দুকগুলোকে নীরব করার সময় এসেছে। এসময় গাজা ভূখণ্ডজুড়ে মানবিক পণ্যের ‘সম্পূর্ণ, নিরবচ্ছিন্ন’ প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্যও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস।

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নে বলা হয়েছে, গাজার ১১ লাখ মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধা ও অনাহারের সাথে লড়াই করছে। এমনকি এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও এতে জানানো হয়েছে।

মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জীবন রক্ষাকারী সাহায্য দিয়ে গাজাকে সত্যিকার অর্থে প্লাবিত করার সময় এসেছে। পরিস্থিতি পরিষ্কার: হয় মানবিক সহায়তার সরবরাহ বাড়াতে হবে বা না হয় মানুষকে অনাহারে থাকতে হবে। সীমান্তের মিসরীয় অংশে ত্রাণবাহী ট্রাক অবরুদ্ধ করে রাখা নৈতিক নারকীয়তা। এসময় গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির আহ্বানও জানান গুতেরেস। তিনি বলেন, “আমি চাই গাজার ফিলিস্তিনিরা জানুক: আপনারা একা নন। এই ভূখণ্ডে যে ভয়াবহতা হচ্ছে, তা দেখে সারা বিশ্বের মানুষ ক্ষুব্ধ। গাজার ফিলিস্তিনিরা একটি বিরতিহীন দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছেন।”

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় রিপোর্ট পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ।b


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরাইলের হামলা, নিহত ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। রবিবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এর আগে ওই প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি দখলদাররা। সাহায্য চাওয়া ফিলিস্তিনিরা জানুয়ারি থেকেই ওই গোলচত্ত্বরে জড়ো হচ্ছেন এবং ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি চলন্ত ট্রাক থেকে খাবার পেতে চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় এবং এতে বহু লোক হতাহত হন। হামলার পর কিছু আহত লোক মাটিতেও পড়ে ছিল।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিক বার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবারেও কুয়েত গোলচত্ত্বরে হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। সেদিন ত্রাণের পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলি সেখানে জড়ো হয়েছিল। এটি দেখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখানে ভিড় জমায়। এরপর সাহায্য বিতরণের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।


আরও খবর



আর্জেন্টিনায় ফুটবলার ডি মারিয়া ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজের জন্মশহর রোজারিওতে হত্যার হুমকি পেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা ডি মারিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ডি মারিয়া রোজারিওতে ফিরলে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

এখন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় খেলা ডি মারিয়া গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। ওই ঘোষণার পরই হুমকি পেলেন ডি মারিয়া। সোমবার ভোরে ডি মারিয়ার বাড়িতে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুড়ে ফেলে যায় অচেনা কিছু মানুষ। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা সেই কাগজে ডি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নর ম্যাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারোও ডি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।

ঠিক কী হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, সেই বার্তা পুলিশের বরাত দিয়ে আর্জেন্টিনার নিউজ পোর্টাল ইনফোবে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। সে যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।


আরও খবর