Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

‘শুল্ক ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পণ্যের কর হার বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।



তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় মুহূর্ত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো- সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ পেতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার।


সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


এ সময় তিনি জানান, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে বাধা ও সুদের উচ্চহার, উচ্চ শুল্ক হার, ভ্যাট হার বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রভৃতি কারণে দেশের বেসরকারি খাত এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।


তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।


তিনি বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।


অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা প্রত্যাশা করছি।


তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন, সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে- যা মোটেই কাম্য নয়। ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, যা মোটেই কাম্য নয়।


এলডিসি উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছিলাম তবে কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা পরবর্তী পট-পরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।


তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই। তবে মনে রাখতে হবে, ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।


এমনিতেই আমাদের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এরূপ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের কোনো বিকল্প নেই বলে ডিসিসিআই সভাপতি মত প্রকাশ করেন এবং সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মতো প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

৬ দফায় কত বাড়ল স্বর্ণের দাম?

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নড়াইলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলায় ৩ দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সদর  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলার উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার, উপজেলাকৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সৌরভ দেবনাথ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিএম জাহিদ শাকিলসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষাণ-কৃষাণীরা।

কৃষি প্রযুক্তি মেলায় রিলে পদ্ধতিতে ফসল চাষ, আন্তঃফসল,ফসল আইলে লতানো সবজি চাষ, বস্তায় সবজি ও আদা চাষ, নিরাপদ সবজি চাষ, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা,পলিমালচ, বালাইনাশক প্রভৃতি স্টল প্রদর্শন করা হয়েছে। মেলা উদ্বোধনের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।


আরও খবর

সিলেটের চা বাগান গুলো প্রুনিং পদ্ধতি শুরু

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গাইবান্ধায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, গাইবান্ধা জেলা এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম, সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জোবায়ের আলী প্রমুখ।

বক্তারা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি, কাঁচা ও রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখি, সঠিকভাবে রান্না করি, নিরাপদ তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করি, নিরাপদ পানি ও খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করি সহ নিরাপদ খাদ্যের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন


আরও খবর



লোহাগড়ায় মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

লোহাগড়া প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের দিনমজুর আফসার উদ্দীন সরদারের মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মিমি আক্তারের পাশে দাড়িয়েছেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতি।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে নড়াইল জেলা সমিতি ঢাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে মিমি আক্তারের বাড়িতে গিয়ে মিমির হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক এস কে কায়ছার মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য অহিদুজ্জামান পিপিএম, আজীবন সদস্য জহুরুল ইসলাম, আজীবন সদস্য রিপন মন্ডলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দপ্তর সম্পাদক এসকে কায়ছার মাহমুদ বলেন, ভবিষ্যতে এরকম অসহায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে ঢাকাস্থ নড়াইল জেলা সমিতি থাকবে। যদিও এর আগেও আমরা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক মানবিক কাজে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসতেছি। এ সময় মিমি আক্তার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, 'আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন, আমি কখনই তাদের অবদানের কথা ভুলবো না। আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবো, এই সহযোগিতা আমাকে সেই স্বপ্ন পূরণের পথ এগিয়ে দিলো'।

উল্লখ্য, মিমি স্হানীয় নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। আর এবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মিমি উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে তার মেডিকেলে ভর্তিতে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয় এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষজন মেধাবী শিক্ষার্থী মিমি আক্তারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।


আরও খবর



অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে কার্যকর হয়েছে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি। বেশ কিছুটা বিলম্বের পর স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর, আল জাজিরার।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়ার আগে, এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য বন্দিদের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা বলেছেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আজ আমরা রোমি গোনেন (২৪), এমিলি দামারি (২৮) ও ডোরন শানবার খাইরকে (৩১) মুক্তি দিতে যাচ্ছি।

শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণায় পরিস্থিতি অনেকটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করেছিলেন কেউ কেউ। নেতানিয়াহুর বলা কথাগুলোকে অনেকে ফের যুদ্ধে লিপ্ত হবার আগাম বার্তা হিসেবেও ভেবে নিয়েছিলেন। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হামাস জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানায় ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, যতক্ষণ না হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করতে পারছে, ততক্ষণ গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না। হামাস অবশ্য দাবি করে, কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা সময় মতো ওই তিন নারী জিম্মির নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় এই যুদ্ধ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানু্যায়ী ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই সময়ে। তবে একাধিক গবেষণা ও পশ্চিমা গণমাধ্যমের তথ্য বলছে এই সংখ্যা আরও বেশি।


আরও খবর



শরণখোলায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু : শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে সরস্বতী পূজা উদযাপন হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপও দেখা যায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পূজা অর্চনা মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। সরস্বতীকে বলা হয় বিদ্যা ও সংগীতের দেবী। সরস্বতী পূজায় শিক্ষার্থীরা ভালো লেখাপড়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেই আশীর্বাদ করা হয়। শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সরস্বতী পূজায় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ ও তার সহধর্মিনী মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আলিম আল রেজা শোভন।

সরস্বতী পূজার আহবায়ক শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি প্রভাষক নিকূল চন্দ্র বিশ্বাস তিনি জানান শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল আলম ফকির স্যার প্রতিবছর শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সরস্বতী পূজা পালন করে। সরস্বতী পূজার পূজা অর্চনা পরিচালনা করেন শরণখোলা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং এর প্রভাষক সুপর্ণা রানী মিস্ত্রি।


আরও খবর