Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম
বাণিজ্যিকভাব আনারস চাষ

স্বপ্ন দখছে পটুয়াখালীর চাষীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৩৩জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১০ একর পতিত জমিতে আনারস চাষ শুরু হয়েছে। ফলে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে উপজেলার চাষীরা। 

জানা যায়, উপজলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় আনারস চাষে হয়েছে যা দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে কেউ কেউ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করছে। চলতি বছর উপজলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০ একর পতিত জমিতে আনারস চাষ হয়েছে।  

উপজলার কয়েকজন চাষীদের বাণিজ্যিক ভাবে আনারস চাষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাশে দাড়িয়েছে বাংলাদশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতন্ত গবেষণা কেন্দ্র ও দশমিনা উপজলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তর। 

জানা যায়, লেবুখালীত অবস্থিত বাংলাদশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবষণা কেদ্র চাষীদর মাঝে বিনামূল্য জায়ট কিউ ও জল ডুবি প্রজাতির আনারস চারা সরবরাহ করেছে। 

উপজলার রণগাপালদী ইউনিয়নর মধ্য রণগাপালদী গ্রামের চাষী শাহ আলম জমাদ্দার জানান, আমি অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নার্সারী ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদন করি। আনারস চাষ সঠিক ফলন আর ফল খরচের চেয়ে প্রায় তিন-চার গুন লাভ বেশি হয়। তাই আমি এ বছর উপজলা কষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে আনারসর চাষ করছি।

জলা লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতন্ত গবেষণা কেন্দ্র থেকে আমার লাগানো সকল আনারস চারা বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। আমি প্রায় অর্ধ একর পতিত জমিতে আনারস চাষ করেছি। আশা করি অনেক ভালো ফলন পাবো। আর উপজলা কষি অধিদপ্তর নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন।  

উপজলার বহরমপুর ইউনিয়নর দক্ষিন আদমপুর গ্রামের চাষী সুলতান সরদার জানান, জলার লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতন্ত গবেষণা কন্দ্র থেকে বিনামূল্যে জায়ট কিউ ও জলডুবি প্রজাতির দুই হাজার আনারসর চারা পেয়ে আমার অর্ধ একর পতিত জমিতে চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি আমি অনেক লাভবান হবো। 

এ বিষয়ে উপজলা কষি অফিসার মো. জাফর আহামদ জানান, আনারস চাষের জন্য বাড়তি জমির প্রয়াজন হয় না। উপজলার পতিত জমি চাষর আওতায় আনার পরিকল্পনা হিসেবে আনারস চাষে চাষীদরক উদ্ধুদ্ধকরণ করা হচ্ছে।  আনারস উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার মূল্য বেশি থাকায় উপজলার কৃষকদের মাঝে আনারস চাষ আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর

দিনাজপুরে মৌপালন প্রশিক্ষণ

মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩




বেঁধে দেওয়া দামে এখনো বিক্রি হচ্ছে না ডিম, পেঁয়াজ ও আলু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকারের এই দাম নির্ধারণের একদিন পর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। নতুন দামের নির্দেশনা ব্যবসায়ীরা পেলেও, মানছে না কেউই।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করা দামে আমরা কিনেও আনতে পারিনি, তাহলে ওই দামে বিক্রি করবো কী করে?

মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যথারীতি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা করে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে, যেখানে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়াও ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৫ টাকা করে, যেখানে সরকারি নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা।

আলুর দাম প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মো. নাহিদ হোসেন বলেন, আলু বর্তমানে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারি দরেই কিনে আনতে হয়েছে। ৪৪-৪৫ টাকার নিচে কিনতে পারাই কঠিন, তাহলে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা করে বিক্রি করবো কী করে? আমরা কি লস দিয়ে বিক্রি করবো? আমরা যদি কমে কিনতে পারি তাহলে অবশ্যই কমে বিক্রি করবো।

তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের তালিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমরা যদি ওই দামে কিনতে পারি তাহলে তো বেশি দামি বিক্রি করার কোনো মানে হয় না। দাম কম থাকলে বরং বিক্রি আরও বেশি হয়।

অন্যান্য দ্রব্যের দাম প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেন, আজকের বাজারে বেগুন এক কেজি ১০০ টাকা, করলার কেজি ৬০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শসা কেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি পিস ৩০ টাকা, বাঁধাকপি পিস ৩০ টাকা। বাজারের দামটা মোটামুটি স্বাভাবিকই বলা যায়। তবে শুধুমাত্র বেগুনের দামটা বেড়েছে। ৬০ টাকা ৭০ টাকা ছিল সেটি এখন ১০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম প্রসঙ্গে আপনারা অবগত কি না? জানতে চাইলে সেলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই অবগত। বিষয় হলো সরকার নির্ধারিত এই দাম আমাদের কাছে আসতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। সরকার নির্ধারিত যে পেঁয়াজের দাম, সে দামে আমরা আজকে কিনেও আনতে পারিনি। তাহলে কীভাবে সেই দামে বিক্রি করবো?

‘আলুর যে সিন্ডিকেট, ভোক্তা পর্যায়ে আসার আগেই দামের পাঁচটি স্তর রয়েছে। ৩০ টাকার আলু যদি এই পাঁচটি স্তরে ২ টাকা করেও লাভ করা হয়, তারপরও ১০ টাকা বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হবে।’

কোনো কিছুর দাম বাড়লে খুচরা বাজারে সঙ্গে সঙ্গেই দাম বেড়ে যায়, দাম কমার ক্ষেত্রে তাহলে কেন ধীরগতি? -এবিষয়ে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, আমাদের খুচরা বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম আড়তের সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রি করতে হয়। আড়ৎ যদি রাতারাতি দাম কমিয়ে দেয়, তাহলে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারি। আবার আরও যদি রাতারাতি দাম বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। দামটা আসলে সরাসরি আড়তের সঙ্গে নির্ধারিত।

ডিম বিক্রেতা মো. আলী হোসেন বলেন, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ টাকা করে, হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা করে। সরকারের নতুন দাম নির্ধারণ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমরা যদি কমদামে কিনে আনতে পারি, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে খুচরা বাজারে তদারকি করার আগে পাইকারি বাজার এবং আড়ৎগুলোতে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি আপনাদের দেখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি সরকার আলু পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাজারে এসে তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। যেখানে আলু বিক্রি করতে বলা হয়েছে ৩৫ টাকা করে, সেখানে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। এখনও দামের কতটুকু পার্থক্য ভাবাই যায় না। আজকে যদি দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো হতো, তাহলে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হয়ে যেত। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের চরিত্রটাই এমন হয়ে গেছে।

এই ডিম বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কেউ কারও নির্দেশনা মানে না। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়াচ্ছে, আর বিক্রি করছে। মানুষ তাদের কাছে অনেকটাই জিম্মি।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাহবুবুর রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। মানুষের আয়-ইনকাম কমে গেছে। অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছে। এই অবস্থায় বাজার যদি এমন উর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে আমরা বাজার করবো কী করে? আমাদের সংসার চলবে কী করে?


আরও খবর



হালকা ব্যায়ামে দূর হয় বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্বাস্থ্য টিপস : বয়স কম হলেও আজকাল অনেককেই পেয়ে বসে বাতের ব্যথা। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, শরীরচর্চা না করা, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণে এই ব্যথা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। 

এ ছাড়া ওজন বাড়লে হাঁটু ও কোমরের ব্যথাও বাড়ছে। তাই জীবনযাপনে খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানাচ্ছে বাতের ব্যথায় সুস্থ থাকতে কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ম করে করা জরুরি। কোন ব্যায়ামে কমবে বাতের ব্যথা?

• দাঁড়িয়ে হাত দু’টি সামনের দিকে তুলে রাখুন, চাইলে মুঠোও করতে পারেন। এ বার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এ ভাবে অন্তত ১০টি সেট করতে হবে। এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়। তবে কারও ব্যথা হলেও তা প্রাথমিক। নিয়মিত অভ্যাস করলে স্কোয়াট বা হাফ স্কোয়াটে ব্যথা হবে না। 

• টানটান হয়ে শুয়ে দু’হাতের তালু মেঝের ওপরে রাখুন। তারপর বাম পা আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে পাঁচ সেকেন্ড তুলে রাখুন। তার পরে ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। একইভাবে ডান পা ওপরে ওঠান ও নামান। 

• মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে ধরুন। কনুই ভাঁজ করে এক বার মাটির কাছাকাছি আবার কনুই সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যান। শুরুতে অসুবিধা হলে দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম।


আরও খবর

খেলেই বদহজম? ডিসপেপসিয়া কি না সতর্ক হোন

বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




অনুপ্রবেশের দায়ে মালয়েশিয়ায় ২০ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

প্রবাস ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে একটি বাস টার্মিনাল থেকে ২০ বাংলাদেশিসহ ৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। ৩০ আগস্ট বিকেলে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেছেন, আটকদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই বিদেশিরা কোটা বাহরু এক্সপ্রেস বাস স্টেশন থেকে কুয়ালালামপুরে এসেছেন। তারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে বলে আমরা মনে করছি। খবর দি স্টার।

দাতুক রাসলিন জুসোহ বলেন, অভিযানে অপারেশন টিম ইস্ট কোস্ট হাইওয়েতে এসব বিদেশি নাগরিককে বহনকারী তিনটি পৃথক এক্সপ্রেস বাসকে অনুসরণ করে। পরবর্তীতে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি এবং ১৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পাসপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাদের কারো পাসপোর্টে কোনো বৈধ ইমিগ্রেশন বিভাগের স্ট্যাম্প ছিল না। এমনকি দেশটিতে প্রবেশের কোনো ট্রাভেল ডকুমেন্ট ছিল না। এদের কয়েকজনের পাসপোর্টের অতীত রেকর্ডে দেখা গেছে, তারা মালয়েশিয়ায় কালো তালিকাভুক্ত ছিলেন।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানান, মানবপাচার চক্রের সদস্যরা অবৈধ পথে চোরাচালানের আগে প্রতিবেশী দেশগুলো দিয়ে তাদের নিজ দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে। এরপর অভিবাসন বিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গণপরিবহন ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে তাদের অবৈধভাবে কাজ দেওয়া হয়।

মানবপাচার চক্রের সদস্যরা বিদেশিদের কাছে থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ১০ হাজার রিঙ্গিত করে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর

‘প্রিয়তমা’ যাচ্ছে পর্তুগালে

রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩




সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩২ বেসামরিক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও হামলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর আর্টিলারি হামলায় অন্তত ৩২ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশটির পশ্চিম ওমদুরমানের ওম্বাদা এলাকায় এই গোলাবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

অধিকারকর্মী এবং বাসিন্দারা বলেছেন, দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) জনবহুল এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর এই ধরনের হামলার ঘটনায় রাজধানী খার্তুম এবং অন্যান্য শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, যদিও আরএসএফ খার্তুম এবং ওমদুরমান ও খার্তুম নর্থ শহরগুলোর বেশিরভাগ অংশই দখল করে রেখেছে, তারপরও সুদানের সেনাবাহিনীর কাছে ভারী কামান এবং বিমান বাহিনীর শক্তি রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার আদেশ দিয়ে একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেছেন বলে ক্ষমতাসীন সার্বভৌম কাউন্সিল জানিয়েছে। অবশ্য আরএসএফ-এর কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদানের সেনাবাহিনী ওমদুরমানে প্রচুর সংখ্যক স্থল সেনা মোতায়েন করে বলে সামরিক সূত্র জানিয়েছিল। মূলত দারফুর অঞ্চল থেকে রাজধানীতে আরএসএফ-এর প্রধান সরবরাহ রুটটি বন্ধ করার জন্য বড় অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, গত রোববার ওম্বাদাতে সেনা অভিযানে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার ওম্বাদা এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোক পালিয়ে গেছে। অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বাড়িঘরের ক্ষতি করার পাশাপাশি বেসামরিক এলাকাগুলোতে লুটপাট ও দখলের বিষয়েও অ্যাক্টিভিস্ট এবং বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।

অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ইমার্জেন্সি লইয়ার্স বলছে, ‘বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ এলাকায় ভারী এবং হালকা কামান ব্যবহার করাটা যুদ্ধাপরাধ ... এই বিষয়টি মানুষের জীবনের প্রতি তাদের অবজ্ঞাকেই প্রতিফলিত করে।’

তারা বলেছে, সেনাবাহিনী এবং আরএসএফকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য বুধবার আরএসএফ-এর উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর আগেও সংঘাতরত উভয় পক্ষের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে আরও হাজার হাজার মানুষকে।

রাজধানী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরএসএফের সেনাদের দখলে। আর তাদের লক্ষ্য করেই মাঝে মাঝে বিমান হামলাসহ কামানের গোলাবর্ষণ করে থাকে সুদানের সেনাবাহিনী।


আরও খবর



সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে যে প্রতিপক্ষ পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে এশিয়া কাপে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাটে-বলে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতেছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপের অন্য এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে চোখ রাখতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং আর দ্বিতীয় ম্যাচের বড় জয়, এই দুয়ের কারণে নেট রানরেটের সুবিধা পাবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সমীকরণ যাইই হোক, সুপারফোরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় থাকছে না। 

সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে অবশ্য বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে টাইগারদের। পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এক্ষেত্রে। কারণ খেলাটা হবে তাদেরই হোম গ্রাউন্ড লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। আফগানদের হারানোর পর তাই এখন পাকিস্তানে অবস্থান করবে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপের হাইব্রিড ফরম্যাট করা হয়েছিল ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে। রোহিত শর্মাদের পাকিস্তান না যাওয়ার সুযোগ করে দিতে আগেই নির্ধারিত ছিল গ্রুপ অবস্থান। র‍্যাংকিং বা পয়েন্ট যাইই হোক না কেন, বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাবে বি-২ দল হিসেবে। আর শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশ কোয়ালিফাই না করলে সেক্ষেত্রে যাবে আফগানিস্তান। যেহেতু, বাংলাদেশ এরইমাঝে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাই বি-২ হিসেবে বাংলাদেশের সুপার ফোর খেলা নিশ্চিত। 

অন্যদিকে গ্রুপ 'এ' থেকে পাকিস্তান খেলবে এ-১ দল হিসেবে। ভারত যাবে এ-২ দল হয়ে। নেপাল যদি অঘটন ঘটিয়েই ফেলে, তবে ভারতের এ-২ স্থানটি দখল করবে তারা।   

সূচি অনুযায়ী, সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে এ-১ এবং বি-২। বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। এ-১ হিসেবে পাকিস্তান এরইমাঝে ফিরে এসেছে নিজ দেশে। আর গতকালের ম্যাচশেষে বাংলাদেশ থাকছে লাহোরেই।


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩