Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:  দীর্ঘ আন্দোলনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দেশে থাকলেও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তাঁর উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের মনোবল সব সময় চাঙা রাখত। এমন সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে অবস্থান করছেন যখন তাঁর দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি করলেও সরকারঘনিষ্ঠ অনেকেই আগে সংস্কার পরে নির্বাচনের কথা বলছেন। দলের নেতা-কর্মীসহ জনমনে প্রশ্ন উঠছে খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কিনা। আবার অনেকে মনে করছেন, উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরবেন। সঙ্গে আসবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিও দীর্ঘদিন দেশের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে দলে স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই রয়েছে।


জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে মানুষ এমনটা চিন্তা করছে। কিন্তু ভীত হওয়ার কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় এবং কারাগারে থাকার সময়েও রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যেত না। তখন হাজার মাইল দূর থেকে তারেক রহমানই এই দলকে সুসংগঠিত রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এখনো সেভাবে দল এগিয়ে যাবে।


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় আমরা বারবার আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়ায় আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন, এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।’


বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠিয়ে নির্যাতন করেছিল। তাঁকে চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করেইনি বরং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট করকারের বিদায়ের পর দেশনেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে দেশবাসী স্বস্তি অনুভব করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত দেশে ফিরবেন, ইনশাল্লাহ।’


বিএনপিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে চার মাস কেন সময় নিলেন, তা নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। তবে ২ জানুয়ারি রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসভবনে দেখতে গেলে তখনই বলা হয় যে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাবেন। সে কারণেই সেনাপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেনাপ্রধান ৪০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন। 


তবে চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া ছাড়া আর কিছুই তখন জানানো হয়নি বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কবে ফিরবেন তা সুস্পষ্ট নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারবেন তা-ও এখনো অনিশ্চিত। কারণ মামলাগুলো চলছে ধীরগতিতে। 


তাঁরা বলছেন, ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন রাজনীতিতে ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা আলোচনায় ছিল এবং দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবার জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। এবারও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ‘মাইনাস টু’র বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। 


তবে খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবেন কি না, এমন নানা আলোচনা ডালপালা মেললেও এসবের কোনো ভিত্তি নেই বলেই মনে করেন বিএনপির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।


আরও খবর



দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : চার দিনের সরকারি সফর শেষে সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, সুইজারল্যান্ড সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

জানা গেছে, এই সফরে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভা এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টের সময় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা।‌ এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এর মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ৪টি, মন্ত্রী পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ৪টি, জাতিসংঘ বা এ জাতীয় সংস্থার প্রধান বা শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে ১০টি, সিইও বা উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের সঙ্গে ১০টি, ডব্লিউইএফ আয়োজিত অনুষ্ঠান ৯টি (যার মধ্যে আনুষ্ঠানিক রাতের খাবার ও মধ্যাহ্নভোজ ৪টি), গণমাধ্যমে অংশগ্রহণ ৮টি ও অন্যান্য ২টি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। পুরো সফরেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূশ বেশ ব্যস্ত সময় কাটান।

গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ড. ইউনূস। পরদিন মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

শফিকুল হক শাকিল : তারুণ্যের উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সমরাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আমির আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,  সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল মতিন, জেলা জামায়েত ইসলামের আমীর গোলাম ফারুক প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের তরুণ সমাজরা হচ্ছে আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে।  


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো আরো পাঁচ টন মসুর ডাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শফিকুল হক শাকিল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো পাঁচটন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আজ বৃহস্পতিবার এসব ডাল বন্দর থেকে খালাস হয়েছে। প্রতি কেজি ১০৮ টাকা দরে মসুর ডাল আমদানি করা হয়। এর আগের মঙ্গলবার  প্রথমবারের মতো পাঁচ টন মসুর ডাল আমদানি হয় ভারত থেকে ২৪ ঘন্টা পার না হতেই ২য় চালান ঢুকে বাংলাদশে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে আরো ডালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল টন প্রতি ৯০০ ডলারে এসব ডাল আমদানি করেছে। সিএন্ডএফ ছিল আখাউড়ার মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। রপ্তানিকারক হলো, ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড।

মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন জানান, দুই দফায় ত্রিপুরার স্থানীয় বাজার থেকে ডাল আমদানি করা হয়।


আরও খবর



তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি: যা বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিবৃতি দেয়।

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। এই মর্মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। সেজন্য আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করা হলো। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সরকার সব সময় সচেতন ও সহানুভূতিশীল রয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি সরকার মেনে নিলেও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘তিতুমীর বিশ্বদ্যিালয়’ নামে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।


আরও খবর



ভারতের কুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত কুম্ভ মেলায় পদদলনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে পবিত্র স্নান করতে আসা লাখ লাখ পূণ্যার্থীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। শোকাবহ এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন, তবে এখনও সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানানো হয়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হাজার হাজার পূণ্যার্থী গঙ্গাস্নান করতে নদীর তীরে জড়ো হয়েছিলেন। পরদিন সূর্যোদয়ের আগেই তারা স্নান করতে এগিয়ে যান, কিন্তু ভিড়ের চাপে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা। উপাসকদের মধ্যে কেউ কেউ স্নান করার জন্য অগ্রসর হচ্ছিলেন, তখনই আচমকা ধাক্কায় উপাসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় নদীর তীরে বসে থাকা মানুষের ওপর পড়েন অনেকেই এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়াবহ পদদলনের ঘটনা ঘটে।

প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, হাসপাতালের মর্গে আরও ২৫টি মরদেহ আনা হয়। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে থাকা এক চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫ জন নিহত হলেও পরে জানা গেছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জনে পৌঁছেছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভিড় করছে।

এ ঘটনায় কুম্ভ মেলার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় রাত ২টার দিকে ১২ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কাছে এই পদদলনের ঘটনা ঘটে। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। পুলিশ বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে, তবে ভিড়ের চাপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পদদলনের পর ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের জামাকাপড়, জুতা, কম্বল ও ব্যাগ। সারা দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ, যেখানে মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী শ্বেতা ত্রিপাঠী বলেন, "আমরা দেখেছি মানুষ পড়ে যাচ্ছে, চারপাশে কাপড়, ব্যাগ ছড়িয়ে পড়েছিল। এমন ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছিল যে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।"

প্রসঙ্গত, কুম্ভ মেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি ১২ বছর পরপর কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে পরিচিত। ১৪৪ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় মহাকুম্ভ মেলা, যা প্রায় ৮০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এবারের কুম্ভ মেলায় ৪০ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মেলায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ পূণ্যার্থী বিশ্বাস করেন, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করে তারা অশেষ পুণ্য লাভ করেন। তবে এই স্নান উৎসবের মাঝে অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যা সবার হৃদয়ে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।


আরও খবর