Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

ত্বকী হত্যা মামলার আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

 তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার সদর থানাধীন চাষাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ইয়ার মোহাম্মদ পারভেজ (৫০) ওই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ইয়ার মোহাম্মদ পারভেজকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত ৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে সাফায়েত হোসেন শিপন ও কালীরবাজার এলাকা থেকে মামুন মিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থেকে কাজল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আরেক আসামি আজমেরী ওসমানের সাবেক গাড়িচালক জামশেদ শেখকে। জামশেদ শেখ এখনো র‌্যাবের রিমান্ডে রয়েছেন।



আরও খবর



শপথ ছাড়াই নগর পরিচালনায় ইশরাক, সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্যারালাল প্রশাসনের’ অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

 মেয়র হিসেবে শপথ না নেওয়া সত্ত্বেও নাগরিক সেবার অচলাবস্থা কাটাতে কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আদালতের রায় অনুযায়ী নিজেকে বৈধ মেয়র দাবি করে তিনি বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে তাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না। একইসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা ও জন্ম-মৃত্যুসনদ প্রদানসহ জরুরি সেবা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ জুন) নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘আন্দোলন চলবে, তবে জনগণের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে, সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।’’ এদিন তিনি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এটাই ছিল নগর ভবনে তার প্রথম সভা, যার ব্যানারে ‘মাননীয় মেয়র’ উপাধি ব্যবহার করা হয়।

ইশরাক বলেন, ‘‘ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও আমাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না সরকার। আন্দোলন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আলোচনা বা যোগাযোগ হয়নি।’’

তিনি অভিযোগ করেন, “এই অচলাবস্থার জন্য পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দায়ী। সরকার তার পছন্দের প্রশাসক বসিয়ে ‘অবৈধ সুযোগ সুবিধা’ নিতে চায়।”

ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সেবার অচলাবস্থা না টানতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ইতিমধ্যে তিনি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।

আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই বৈঠকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ নাগরিক সেবাগুলো সচিবদের মাধ্যমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান ইশরাক।

তিনি বলেন, “আমরা জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সেবা কার্যক্রম চালু রাখছি, তবে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নগর ভবনের ফটকে তালা থাকবে—এটাই আন্দোলনের প্রতীক।”

এদিকে নগর ভবনে ইশরাকের এই তৎপরতা ঘিরে সরকারি পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে চলমান পরিস্থিতিতে নগর ভবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু ২৭ মার্চ, ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফল বাতিল করে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’র অজুহাত দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখে। ফলে ইশরাক সমর্থকরা ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও যোগ দেয়।

ইশরাক দাবি করেন, আদালতের রায় কার্যকর না করে সরকার ‘প্যারালাল প্রশাসন’ চালাচ্ছে এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। তিনি সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়র হিসেবে তাকে শপথ করানোর আহ্বান জানান, অন্যথায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ার করেন।


আরও খবর



সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. আবুল খায়েরসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতপূর্বক সরকারি বিধি বিধান এবং শেয়ার বাজার আইন লঙ্ঘনপূর্বক শত শত কোটি টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায় যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিধায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ একান্ত আবশ্যক। 

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর



সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

 জেলায় আজ সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি ও ঔষধ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

আজ মঙ্গলবার দিনভর সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার পদ্মশাখরা, গাজীপুর, কালিয়ানী, কুশখালী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, সুলতানপুর ও হিজলদী বিওপির আওতাধীন বিভিন্ন সীমান্ত থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়। 

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা বিওপি’র বিশেষ অভিযানিক দল পদ্মশাখরা সীমান্ত থেকে ভারতীয় শাড়ি ও ওষুধ, গাজীপুর বিওপি’র বিশেষ অভিযানিক দল বোস্তানের ঘের নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ, কালিয়ানী বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল ছয়ঘরিয়া নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ, কুশখালী বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল ছয়ঘরিয়া নামক স্থান হতে ভারতীয় শাড়ি, তলুইগাছা বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল কমারপোতা মাঠ ও কেড়াগাছি নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ এবং ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের বিশেষ অভিযানিক দল রামেরডাঙ্গা নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ জব্দ করে। 

এছাড়া, কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল ভাদিয়ালী ও কেড়াগাছি নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ, সুলতানপুর বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল কাঁঠাল বাগান নামক স্থান হতে ভারতীয় ওষুধ এবং হিজলদী বিওপির বিশেষ অভিযানিক দল বড়ালী আমবাগান নামক স্থান হতে ভারতীয় শাড়ি জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট বাজারমূল্য আনুমানিক নয় লাখ ৯০ হাজার ৫ শ’ টাকা। 

সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চোরাকারবারিরা এসব মালামাল অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করার সময় তা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর