Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

‌‘ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগতে পারে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো কারণে প্রথম তিন মাসে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চাইলে আরও তিন মাস সময় পাবেন। 


এ ছাড়া আদালতের নির্দেশনা নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের সুযোগ আছে বলে সংবিধানে বলা আছে।


এদিকে তিন মাসের মধ্যে নতুন সরকারের পক্ষে ভোট করা কঠিন। তাদেরকে ভোটের পরিবেশ তৈরি করার জন্য সময় দিতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।


 তবে কোনো কারণে প্রথম তিন মাসে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার চাইলে আরও তিন মাস সময় পাবেন। এছাড়াও আদালতের নির্দেশনা নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের সুযোগ আছে। আমরা যখন দায়িত্বে ছিলাম, তখন আদালত থেকে নির্দেশনা নিয়ে দুই বছর পার করেছিলাম। 


তিনি আরও বলেন, তিন মাসের মধ্যে নতুন সরকারের পক্ষে ভোট করা কঠিন। তাদেরকে ভোটের পরিবেশ তৈরি করার জন্য সময় দিতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।


সংবিধানের ১২৩(৩) (খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। 



৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে আরও ৯০ দিন সংবিধান অনুযায়ী সময় পাবে নির্বাচন কমিশন। তবে ১২৩(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান যদি সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।



সংবিধানের ছয় মাস সময়ের সঙ্গে একমত নন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে এটি বর্তমান বাস্তবতায় কঠিন হবে। এক্ষেত্রে দৈব-দুর্বিপাকের কারণে সংবিধানে যে আরো তিন মাসের কথা বলা হয়েছে সেটি প্রাকৃতিক সংকট তৈরি হলে। বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট, সেটি প্রাকৃতিক নয়। ফলে ওই বিধানটি প্রযোজ্য হবে না।


মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে না পারলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা নিতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশনা দেবেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন।


জানা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ায় আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সময় বাড়াতে পারবে।


 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা না থাকায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী এখন ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা চলে এসেছে। এই সময়ের মধ্যেই গঠন করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও।


আরও খবর



প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী দেখা গেছে : টোকিও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৬১জন দেখেছেন

Image

 জাপান মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। এটি বেইজিংয়ের দূরবর্তী এলাকায় সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। 

সোমবার, চীনের ‘শানদং’ রণতরী ও আরো চারটি যুদ্ধজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত ওকিনোটোরি প্রবালদ্বীপের কাছে জাপানের অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে জানায় জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজও রয়েছে। জাহাজগুলো থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানায়, শনিবার চীনের ওই পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের বহরকে তাইওয়ানের কাছে মিয়াকো দ্বীপ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্ব দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।

চীনের আরেকটি সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও তার বহরও গত সপ্তাহের শেষ দিকে জাপানের ইইজেড-এ প্রবেশ করেছিল। পরে তারা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে সেখানে থেকে বেরিয়ে যায়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার এএফপি’কে বলেছেন, প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরে একসাথে দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেল।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস, চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দূরবর্তী এলাকায় তাদের সামরিক কার্যক্ষমতা ও অভিযানের সক্ষমতা উন্নত করা।

চীনের এ ধরণের নৌ ও বিমান কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

জাপান ও মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, চীন চায় যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত  ‘প্রথম দ্বীপমালা’ অঞ্চল (জাপান থেকে শুরু করে ফিলিপাইন পর্যন্ত) থেকে সরিয়ে দিতে।

চূড়ান্তভাবে, চীনের লক্ষ্য হচ্ছে ‘দ্বিতীয় দ্বীপমালা’ অঞ্চলের পশ্চিমাংশে প্রভাব বিস্তার করা। যা জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের পর্যন্ত বিস্তৃত।

সম্প্রতি চীনের ‘লিয়াওনিং’ রণতরী দ্বিতীয় দ্বীপমালা পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাপান প্রথমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে  জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ।

গত সেপ্টেম্বরে, ওই রণতরী তাইওয়ানের নিকটবর্তী দু’টি জাপানি দ্বীপের মধ্য দিয়ে জাপানের সংলগ্ন জলসীমায় প্রবেশ করেছিল, যা উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।

টোকিও সেই সময় এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করে বেইজিংয়ের প্রতি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল।

আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কোনো রাষ্ট্র তার উপকূল থেকে ২শ’ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অধিকার রাখে।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬১জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর



গাইবান্ধায় পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকায় কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাগান থেকে আব্দুল খালেক মিয়া (৩৫) নামে এক পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুল খালেক মিয়া উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে পান ব্যবসা করেন। সকালে গাইবান্ধা-নাকাইহাট ভাইয়া গোবিন্দগঞ্জ সড়কের পাশের বাগানে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার হাটে যান আব্দুল খালেক। কিন্তু গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শুক্রবার সকালে নাকাইহাট বাজারের পাশের বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের বড় ভাই আলম মিয়া বলেন, আব্দুল খালেক শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরল প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর থেকে ক্রাইম টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে মারপিটে যুবক স্ত্রীসহ গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর  রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার। আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।



আরও খবর



সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. আবুল খায়েরসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতপূর্বক সরকারি বিধি বিধান এবং শেয়ার বাজার আইন লঙ্ঘনপূর্বক শত শত কোটি টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায় যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিধায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ একান্ত আবশ্যক। 

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়।


আরও খবর