Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ২৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র‌্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকালে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীণ আগানগর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আনুমানিক ৪,৯২,৫০০/- (চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ৯৮৫ (নয়শত পচাঁশি) পিস নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মোছাঃ আমেনা বেগম (৪৮), স্বামী-মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাং-নন্দীপুর, থানা-হাকিমপুর, জেলা-দিনাজপুর বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ২,৩২০/- (দুই হাজার তিনশত বিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সাধারণত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক হিসেবে শরীরে প্রয়োগ করায়। তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ নেশাদ্রব্য উপাদান মিশিয়ে মাদক হিসেবে এটি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সরাসরি ভেইনে নেয়া হয়। এই ভয়াবহ বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনটি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর শরীরে নেশার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বিশেষ করে প্যাথেডিন এবং হেরোইন নিয়েও যাদের কাজ হয় না, তারা এই ভয়াবহ মাদকটি ব্যবহার করে বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।


আরও খবর



এবার ঈদে শ্রোতাদের বাংলা ও হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

দর্শকদের এবারের ঈদেও একক গান শোনাবেন কণ্ঠশিল্পী ড. মাহফুজুর রহমান। এবারে ২ টি সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে আসছেন তিনি। সঙ্গীতের প্রতি তার রয়েছে অসম্ভব ভালোবাসা। আর তাইতো নিজেই যুক্ত হয়েছেন গানের ভুবনে। ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার হচ্ছে তার গাওয়া গান নিয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।

এ ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও তার গাওয়া একগুচ্ছ গান নিয়ে ঈদের দিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘আমার চোখের আলো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি হিন্দি গান। অ্যালবামে রয়েছে নীলে নীলে আম্বার, দিল দে দিয়া হ্যায়, হামে অর জিনে কি, জিনা ইয়াহান মারনা ইয়াহান, আমার চোখের আলো, তুমি তো জানো না প্রিয়, তোমার নিঃশ্বাসে বিষ ছিল, চুপ কেন তুমি চুপ কেন এবং প্রথম প্রেম শিরোনামের গান।

এছাড়া ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে দ্বৈত গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘ওয়াদা করো’। অনুষ্ঠানে থাকছে কেহেদু তুমছে, তুঝে দেখা তু ইয়ে, মুঝে দিলসে ভুলানা, মেরা দিল ভি কিতনা পাগল, ঢোলনা, তু চিজ বাড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত, ওয়াদা কারো, সাস মে তেরি, তু তু হ্যায় ওয়াহি দিলনে এবং কিতনি বেচেইন হোকে শিরোনামের গান। ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও তাহমিনা


আরও খবর



অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ  চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ ইমরান @ মাইকেল (৪৪), পিতা-মৃত আমির হামজা @ বাদল, সাং-বাগডাসা লেন, নয়াবাজার, থানা-বংশাল, ডিএমপি, ঢাকা সহ মোট ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম ২। মোঃ অনিক হাসান @ রানা (৩২), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, সাং-চুনকুটিয়া,থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৩। মোঃ সুমন মিয়া (৪২), পিতা-মৃত গেদা মিয়া, সাং-কদমতলী, তালগাছতলা, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৪। মোঃ আবুল খায়ের (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল বাতেন,সাং-রঘুনাথপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ৩,৩৮০/- (তিন হাজার তিনশত আশি) টাকা ও ০১ টি প্লাস্টিকের পাইপ এবং ০৩ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, কোতয়ালী, ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা।

আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।

সোমবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার।

গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫-৪৮ টাকা।

আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১২-১৪ টাকা।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর