Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

এবারো ডিজিটাল লটারিতে সরকারি স্কুলে ভর্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ২৮৪জন দেখেছেন

Image

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার প্রকাশিত এ নীতিমালায় বলা হয়েছে- এ বছরও আগের মতোই ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এন্ট্রি বা প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি ধরে শ্রেণি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে বয়স নির্ধারণ করতে হবে।

একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। একই বিদ্যালয়ের দুটি শিফট পছন্দক্রমে রাখলে সেটি দুটি পছন্দক্রম হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রতি শ্রেণি শাখায় ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। আসন শূন্য থাকলে পরবর্তী অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে বলা হয়েছে নীতিমালায়।

প্রতি শ্রেণিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ভাই-বোনের জন্য ৫ শতাংশ, বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরতদের সন্তানদের জন্য মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের বিদ্যালয়ে ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, সংরক্ষিত আসনে আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের আগে নির্বাচিত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুত করা সফটওয়্যারের যথার্থতা সরকার স্বীকৃত অন্য একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি করতে হবে। ভর্তি কমিটির নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। শিক্ষাবর্ষের কোনো সময়ে আসন শূন্য হলে প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ভর্তি করে আসন পূরণ করতে হবে।

যৌক্তিক কোনো কারণে সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বিএনপি এখন নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর জন্য মনোযোগী হচ্ছে। আর এই মনোযোগের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, স্থায়ী কমিটি যদি অকার্যকর হয়, তাহলে কোন আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ এখন খালি আছে। আর স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা অসুস্থ। ফলে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই কমিটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

দলের হাতে গোনা ৩-৪ জন নেতা ছাড়া কেউই কার্যকর নয়। এই অবস্থায় স্থায়ী কমিটিকে আরও সক্রিয় এবং সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুদিন ধরে লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ধারাবাহিকভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হল স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ।

বৃহষ্পতিবার এবং শুক্রবার তিনি দলের সাধারণ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন। আর এই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে কাদেরকে আনা যায় এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া তার নিজস্ব মতামত দেননি, তিনি শুধুমাত্র তাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, স্থায়ী কমিটিতে নতুন কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায়, এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তারেক জিয়ার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।

তবে কোন কোন বিষয়গুলো স্থায়ী কমিটির সদস্যপদের জন্য বিবেচনা করা উচিত, এ ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন বলেও জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলে যারা সক্রিয়, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে পাওয়া যায়, তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনাটা প্রয়োজন। এর ফলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং যারা ডিগবাজি খাবে না, আদর্শের প্রতি অটল- তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা গত ১৭ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরকে সামনে আনাটা জরুরি। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য কারা হতে পারেন এ ব্যাপারে কোন নাম, বিএনপির কোন নেতাই বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি পূরণ করা হয়, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি আছেন যারা স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন।

দলের সাধারণ কর্মীদের পছন্দ রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু তিনি তারেক জিয়ার পছন্দের ব্যক্তি নন বলেই সকলে জানে। আর এ কারণেই স্থায়ী কমিটিতে তার ঢোকাটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন মহল মনে করছেন যে, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো লড়াকু নেতৃবৃন্দদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, স্থায়ী কমিটিতে আনতে গেলে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দরকার।

সবকিছু মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন, না আসবেন তা নির্ভর করছে তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের উপর। খুব শীঘ্রই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর



দীপিকা পাডুকোনকে ছেড়েই ক্রুজ পার্টিতে ভালোই ফুর্তিতে ছিলেন রণবীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের সেকেন্ড প্রি-ওয়েডিং উপলক্ষে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং।

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দীপিকা পাডুকোনকে ছেড়েই ক্রুজ পার্টিতে ভালোই ফুর্তিতে ছিলেন রণবীর। তবে ইতালি থেকে ফেরা মাত্রই দীপিকাকে নিয়ে ডিনারে গিয়ে বিদেশে পার্টি করতে যাওয়ার খেসারত দিচ্ছেন অভিনেতা।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে দীপিকাকে নিয়ে ডিনারে গিয়েছিলেন রণবীর সিং। মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তারা।

এসময় দেখা গেছে, দীপিকার হাত ধরে আগলে রেখেছেন রণবীর সিং। এ সময় অভিনেত্রীর পরনে ছিল স্ট্রাইপড লাল কুর্তা ও পাজামা। রণবীরের পরনে ছিল ছিমছাম টি-শার্ট। দুজনের চোখেই চশমা। এ সময় দীপিকার বেবিবাম্পটাও ঈষৎ দৃশ্যমান হয়েছিল

 

এদিন রণবীরের মা অঞ্জু ভাবনানি ও বাবা জগজিৎ সিং এবং শাশুরিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়েই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন রণবীর।

কয়েকদিন আগে বেবি বাম্প নিয়েই ‘সিংঘম’ সিনেমায় শ্যুটিং করেছিলেন দীপিকা। এছাড়াও ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বর রণবীরকে নিয়ে অসুস্থ শরীরেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

আগামী সেপ্টেম্বরেই তারকা দম্পতি দীপিকা-রণবীরের ঘর আলো করে আসছে তাদের নতুন অতিথি।


আরও খবর



বছরে ক্ষতি প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।

সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।

প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।


আরও খবর