Logo
আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | ৩৬৯জন দেখেছেন

Image
আরিফুল ইসলাম আরিফঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭  বালক এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১২ মে বিকাল চারটায় ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার  সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে পতাকা উত্তোলন শেষে খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার।

উদ্বোধনী খেলায় বড়ভিটা ইউনিয়ন ফুটবল দল বনাম শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন ফুটবল দল মুখোমুখি হন। ৯০ মিনিটে দুই দলের ১-১ গোলের সমতা থাকায়, ট্রাইবেকারে বড়ভিটা ইউনিয়ন ফুটবল দল জয় লাভ করেন।

উদ্বোধনী খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুমন দাস, সহকারী কমিশনার ভূমি বিমল চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল হুদা দুলাল,  ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান, ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতি বেগম, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আহমদ আলী পোদ্দার রতন সহ আরো অনেকে।

খেলা শেষে বড়ভিটা ইউনিয়ন ফুটবল দলের গোলকিপার লেবু কে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার প্রদান করা হয়।



টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৬০জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো টাকা সাদা করেছেন সাইফুর রহমান (সাবেক অর্থমন্ত্রী)। বেগম খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন। সাইফুর রহমান - তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, তার কথা বলতে চাই না, তারাও কি তাহলে দুর্বৃত্ত? এবারের কাজেট করা হয়েছে রাঘোব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য।রোববার (৯ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।দুর্নীতি করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে ছাড় দেয় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তারাও ছাড় পাবেন না।

আজিজ-বেনজীররা আওয়ামী লীগের কেউ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি করে কেউ কোনো ছাড় পাবে না। আজিজ-বেনজীর আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা দুর্নীতি করেছে। তাদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগকে পালানোর হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেরাই পালিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেজন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। বিএনপি যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন হাসি পায়। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে নিজেরাই পল্টন থেকে পালিয়ে যায়। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি অফিসে কোরাল মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে কোথায় যে চলে গেলেন।চালু করা হচ্ছে না।


আরও খবর



বছরে ক্ষতি প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।

সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।

প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।


আরও খবর



ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলের রিডিংরুমের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক আবাসিক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে।    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস। মৃত ছাত্রীর নাম শেফা নূর ইবাদি (২৪)। তিনি ববির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার সহপাঠীরা জানান, শেফাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর দ্রুত তাকে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেফা ব্যক্তিগত কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আরও একবার আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস বলেন, রিডিং রুমের বারান্দা থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শ্বাসরুদ্ধকর দুর্দান্ত ম্যাচে শেষ হাসি ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৬০জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক:

              টার্গেট ছিল মাত্র ১২০ রানের। তাই অনেকে মনে করেছিল অনায়াসেই জয় পাবে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে এই অল্প রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।

দুর্দান্ত এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে পাক পেসারদের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

দলের পক্ষে রিশভ পন্থ করেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪২ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল করেন ১৮ বলে ২০ রান। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আমির নিয়েছেন ২টি উইকেট।

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাক ওপেনার। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ২৬ রানে ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন বাবর।

পাক অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা উসমানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ধীরগতিতে রানের চাকা সচল রাখে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৭ রানে উসমানকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখান অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উসমান।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। ফকর জামান ৮ বলে ১৩, রিজওয়ান ৪৪ বলে ৩১ ও শাদাব খান ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।

এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে দলীয় ১০২ রানে ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন ইফতিখার।

শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ ৩টি ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২টি উইকেট।


আরও খবর



শো-রুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫৪জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।

গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  


আরও খবর