Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পাংশায় কবি আব্দুল মান্নন এর বহুব্রীহি গ্রন্থ এর মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ৪৫৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদ আলী বাদশা,পাংশা ( রাজবাড়ী) প্রতিনিধিঃ পাংশা সাহিত্য উন্নয়ন পরিষদ এর আয়োজনে মুহাম্মদ ফিরোজ হায়দার এর সভাপতিত্বে প্রায়ত কবি আব্দুল মান্নন এর কবিতা গ্রন্থ ‘‘ বহুব্রীহি’’ এর মোড়ক উম্মেচন ও আলোচনা সভা আনুষ্ঠিত হয়েছে। 

৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় সাহিত্য উন্নয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু , প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ মনিরুল ইসলাম কর্মকর্তা শাহ্ জালাল ইসলামী ব্যাংক ফরিদপুর, কবি সাহেদ বিল্পব, অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র বসু ।

উল্লেখ্য কবি আব্দুল মান্নান ১৯৩৫ সালে বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার চরপাতুরিয়া গ্রামে ২ এপ্রিল জন্ম গ্রহন করেন।  ব্যাক্তি জীবনে সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহন করেন। তিনি বাংলা একাডেমির সদস্য ছিলেন, সনেট, ছড়া, শিশুতোষ কবিতা লিখে খ্যাতি লাভ করেন।তার প্রকাশিত গ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে ‘ সনেট ও অন্যান্য কবিতা’ ‘ প্রদোষ তীর্থে রঙধনু’ একগুচ্ছ ছনেট, সনেট পংক্তিমালা। কবি আব্দুল মান্নন ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারী বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন। 

মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি বেনজির আহম্মেদ, কবি মোল্লা মাজেদ,শেখ ইবাদত আলী,রোকেয়া রহিম, সন্ধ্যা রানী কুন্ডু, ষড়জিৎ বিঞ্চু শ্যাম,  সুমি খন্দকার , হিমাংশু কুন্ডু রকেট, উত্তম মিত্র ও প্রায়ত কবি আব্দুল মান্নন এর পরিবারের সদস্য বৃন্দ। অনুষ্ঠান সজ্ঞালনা করেন শেখ মুহাম্মদ সবুর উদ্দিন।


 

টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ



আরও খবর



খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো টাকা সাদা করেছেন সাইফুর রহমান (সাবেক অর্থমন্ত্রী)। বেগম খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন। সাইফুর রহমান - তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, তার কথা বলতে চাই না, তারাও কি তাহলে দুর্বৃত্ত? এবারের কাজেট করা হয়েছে রাঘোব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য।রোববার (৯ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।দুর্নীতি করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে ছাড় দেয় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তারাও ছাড় পাবেন না।

আজিজ-বেনজীররা আওয়ামী লীগের কেউ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি করে কেউ কোনো ছাড় পাবে না। আজিজ-বেনজীর আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা দুর্নীতি করেছে। তাদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগকে পালানোর হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেরাই পালিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেজন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। বিএনপি যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন হাসি পায়। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে নিজেরাই পল্টন থেকে পালিয়ে যায়। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি অফিসে কোরাল মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে কোথায় যে চলে গেলেন।চালু করা হচ্ছে না।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



৫২ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক         

গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালানসহ ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন দোহার ঘাটা এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে একই তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০২.৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল উক্ত ঘটনাস্থলে পৌছলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ী পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাবের নারী সদস্যের সহায়তায় উক্ত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর নাম সোনিয়া (৩৫), পিতা- শেখ শহীদ, সাং-বানাঘাটা, থানা-দোহার, জেলা-ঢাকা বলে জানা যায়। উক্ত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করার পর সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষে মাদকদ্রব্য গাঁজা রয়েছে। একপর্যায়ে তার কক্ষ হতে সবুজ রংয়ের পলিব্যাগে রক্ষিত ১০ (দশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষের সামনে থাকা মাইক্রোবাসে অবৈধ আরও মাদকদ্রব্য রয়েছে। এরপর মাইক্রোবাসে র‌্যাবের আভিযানিক দল তল্লাশী চালিয়ে মাইক্রোবাসের সিটের পাটাতনের নিচ হতে আরও ৪২(বিয়াল্লিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। র‌্যাবের উক্ত অভিযানে আনুমানিক ১৫,৬০,০০০/- (পনের লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যমানের মোট ৫২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তসে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দোহারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



এবার ঈদে শ্রোতাদের বাংলা ও হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

দর্শকদের এবারের ঈদেও একক গান শোনাবেন কণ্ঠশিল্পী ড. মাহফুজুর রহমান। এবারে ২ টি সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে আসছেন তিনি। সঙ্গীতের প্রতি তার রয়েছে অসম্ভব ভালোবাসা। আর তাইতো নিজেই যুক্ত হয়েছেন গানের ভুবনে। ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার হচ্ছে তার গাওয়া গান নিয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।

এ ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও তার গাওয়া একগুচ্ছ গান নিয়ে ঈদের দিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘আমার চোখের আলো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি হিন্দি গান। অ্যালবামে রয়েছে নীলে নীলে আম্বার, দিল দে দিয়া হ্যায়, হামে অর জিনে কি, জিনা ইয়াহান মারনা ইয়াহান, আমার চোখের আলো, তুমি তো জানো না প্রিয়, তোমার নিঃশ্বাসে বিষ ছিল, চুপ কেন তুমি চুপ কেন এবং প্রথম প্রেম শিরোনামের গান।

এছাড়া ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে দ্বৈত গানের সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘ওয়াদা করো’। অনুষ্ঠানে থাকছে কেহেদু তুমছে, তুঝে দেখা তু ইয়ে, মুঝে দিলসে ভুলানা, মেরা দিল ভি কিতনা পাগল, ঢোলনা, তু চিজ বাড়ি হ্যায় মাস্ত মাস্ত, ওয়াদা কারো, সাস মে তেরি, তু তু হ্যায় ওয়াহি দিলনে এবং কিতনি বেচেইন হোকে শিরোনামের গান। ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও তাহমিনা


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর