![Image](https://cdn.channel23.news/images/4a16c2103a433b5982b9effc449925a4.jpeg)
বদরুল আলম দুলাল,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : "দেশের প্রচলিত আইনে কোন স্ত্রীকে নির্যাতন করলে স্বামীর বিরদ্ধে মামলা হয়,শাস্তি হয় " কিন্তু কোন স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতিত হলে তার সঠিক বিচার পাবে কোন জায়গায় "।সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর অবৈধ্য কার্য্যকলপে অতিষ্ঠ এক অসহায় স্বামী তার স্ত্রীর বিরদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তার শ্বাশুড়ি ও রপার মা সালেহা খাতুন (৬০) এবং ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সিরাজগঞ্জে স্রীর অবৈধ্য কার্য্যকলপে অতিষ্ঠ ও নির্যাতিত একজন পরিবহন শ্রমিক শহরের কান্দাপাড়া নিবাসী মৃত্যু মনসুর আলী মন্ডলের পুত্র অসহায় স্বামী আব্দুল্লাহ শেখ তার স্ত্রীর বিরদ্ধে এহেন কর্মকাণ্ডে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে।গত কাল বিকেলে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পরিবহন শ্রমিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াতকালে ঢাকা রামপুরা এলাকার মৃত্যু গোলাম মোস্তফার কন্যা ফাতেমা আক্তার ওরফে র“পা (৩৩) এর সাথে পরিচয়ের সুত্রধরে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়েই মন দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আব্দুল্লাহ শেখ ফাতেমা আক্তার রুপাকে বিবাহ করেন। বিবাহের কিছুদিন পর জানতে পারে রুপার পূর্বেও ঢাকায় রামপুরা ফকিরতলী এলাকার সাহেদ আলী নামে একজনের সাথে বিবাহ হয়েছিল এবং তাদের ঘরে রাহুল (১২) নামে একটি ছেলেও রয়েছে।আব্দুল্লাহ শেখ মেনেও নিয়েছিল ওই ছেলেকে।এভাবেই চলতে চলতে আব্দুল্লাহ শেখ গাড়িতে পেশাগত কাজ শেষে বাড়িতে এসে মাঝে মধ্যেই দেখতে পায় রুপা বাড়িতে নেই,নিরুদ্দেশ ।অনেক খোজাখুজির দুইদিন বা তিনদিন পর রুপা বাড়ি ফিরে। এতে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুপাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গোপনে শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলে জানাগেছে সে মায়ের বাড়িতে যায়নি।মাঝে মধ্যে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারে বহিরাগত লোকের সাথে অনৈতিক কাজেও লিপ্ত হয় এই রুপা । এবং বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ব্লাইং চেক দিয়ে টাকা নিয়েছে বলেও জানাগেছে।এরই একপর্যায়ে শ্রমিক আব্দুল্লাহ শেখ কাজের ফাঁকে স্ত্রী রুপার মোবাইলে মাঝে মধ্যেই কল করলে বুঝতে পাড়েন রুপা মোবাইলে ব্যস্ত। এভাবে চলতে হঠাৎ আব্দুল্লাহ শেখ কাজে না গিয়ে চুপিসারে বাড়িতে এলে রুপার আসল চেহারা ধরা পরে। স্ত্রী রুপা বিভিন্ন বাজিকর- জুয়ারির সাথে মোবাইলে চ্যাট করাসহ জুনায়েদ গ্রুপে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছে।এছাড়াও সৌদি আরব, মালয়েশিয়া,সিঙ্গাপুর, দুবাই সহ বিভিন্ন ¯স্থান থেকে রুপার মোবাইলে নিয়মিত কল আসে। এতে স্বামী আব্দুল্লাহ শেখের সন্দেহ হয়। এবং স্ত্রী রুপাকে মোবাইলে জুয়া খেলা ও দেশ-বিদেশের কলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনরূপ সদুত্তর না দিয়ে স্বামীকে নানা ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করতো।এরই একপর্যায়ে গত (১৫ জানুয়ারী ২০২৩) তারিখে রুপা হঠাৎ স্বর্নলংকার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে স্বামী আব্দুল্লাহ শেখের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এতে স্বামী আব্দুল্লাহ শেখ মোবাইল ফোনে রুপার সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টাসহ নানা ভাবে খোজাখুজি করেও রুপার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। হঠাৎ অপরিচিত লোকের ফোনদিয়ে রুপা অনলাইনে স্বামী আব্দুল্লাহকে নানা ভাবে হুমকি প্রদর্শন করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ শেখ,শ্বাশুড়ি ও রুপার মা সালেহা খাতুন (৬০) এবং ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।মেয়ে ফাতেমা আক্তার রুপার মা সালেহা খাতুন (৬০) কে জিজ্ঞেস করা হলে মেয়ের এমন কর্মকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।এসময় আব্দুল্লাহ শেখ সহ তার পরিবারের লোকেরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে।