Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসির কর্মচারীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ৭২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধির স্বার্থে, বিএডিসি’কে রক্ষা করতে হবে“ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) বিএডিসি কৃষি ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমানের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর সংস্থাপন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. পলাশ হোসেন, বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মো. আলী হায়দার ফয়সাল , কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা, সিবিআই এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মো. রফিকুল ইসলাম সোহান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর অর্থ বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মো. মহাসিন লষ্কর প্রমূখ।


মানববন্ধনে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমান বলেন,  ১৯৯৮ সালে ‘কৃষি কমিশন’ কর্তৃক সুপারিশের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনক্রমে ৬৮০০ জনবল সম্বলিত বিএডিসির গেজেট প্রজ্ঞাপন ১৯.১০.১৯৯৮ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদক্রমে জারি হয়।

দেশের কৃষি আধুনিকীকরণ তথা মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা বৃদ্ধি, নন ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং আধুনিক সেচ সুবিধা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত ড. এ এম এম শওকত আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ২০১০ সালে বিএডিসির জনবল ১০১০০-তে উন্নীতকরণের সুপারিশ করেন। উক্ত সুপারিশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বিএডিসির পুনর্গঠনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন কেআইবি কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-০৫.১৫৭,০২৮,০১,০২,০২০,০৯ (২য় খন্ড), ২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক বিএডিসির জনবল কাঠামো ৯৩৫৫-তে পদ সৃজনের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

২০২১ সালে নভেম্বরে কৃষি মন্ত্রণালয় বিএডিসির ৬৮০০ কর্মচারীর অবসরোত্তর পেনশনের প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় জনবল ৩০১৭ জনে সংকোচনের নির্দেশনা জারি করে, যা মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারীকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনের সরাসরি লঙ্গন।

অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে বিএডিসি’র কর্মক্ষেত্র পঙ্গু হয়ে যাবে, দেশের কৃষিখাত নাজুক হয়ে পড়বে। তাই কৃষির প্রাণ বিএডিসিকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।


বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হায়দার ফয়সাল বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে নানান জটিলতা সম্মুখীন হবো।

মহা ব্যবস্থাপক/ প্রধান প্রকৌশলী পর্যায়ে ৬টি পদ, মাঠ পর্যায়ের ১২৯ টি অফিস প্রধানের পদসহ মোট ৩৭৮৩ টি পদ কম সৃজন করার ফলে প্রায় ১৩৫ টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বীজ উৎপাদন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং সেচ কার্যক্রম তথা ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে দেশের খাদ্য সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে।

সদস্য পরিচালকের ৪টি পদের (বিএডিসি আইন ২০১৮ কর্তৃক অনুমোদিত) বিপরীতে ২টি পদে সম্মতি প্রদান করায় বোর্ড অব ডাইরেক্টরস অসম্পূর্ণ থাকবে। এতে করে বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা ও পরিকল্পনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে এবং ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।

বিএডিসি মাত্র ১৩০০ মে. টন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ১৬৫০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন করছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ২০২৯-২০৩০ অনুযায়ী ২,০৫০০০ মে. টন এবং ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী ২০৪০-২০৪১ সালে ৩,০০,০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।

এছাড়াও সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বিএডিসিতে চলমান সেচযন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, বিদ্যুতায়নের ছাড়পত্র প্রদান এবং সেচস্কিম অনুমোদন ব্যাহত হবে।

ইতোমধ্যে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৬০০ পদে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা এই আদেশের প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হবে। এতে করে কৃষিবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অভিলক্ষ্য “ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করা এবং জনসাধারণের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা” রূপকল্প ব্যাহত হবে।

কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা  বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো ৬৮০০ হতে ৩০১৭ তে সংকোচিত করা হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষির উপরে এধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি ও কৃষকের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিএডিসিকে রক্ষার্থে ১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ৬৮০০ জনবল ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদন; ২. বিএডিসিতে পেনশন স্কিম চালুকরণ; ৩. জনপ্রশাসন কর্তৃক স্মারক নং-০৫.১৫৭.০২৮.০১.০২.০২০.০৯ (২য় খন্ড)-২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক সুপারিশকৃত ৯৩৫৫ জনবল কাঠামোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয় হস্তক্ষেপ কামণা করছি।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকে ১১টি শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা ইস্ট জোনের অধীন ১১টি শাখার গ্রাহকদের নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও কার্ড বিষয়ক গ্রাহক সমাবেশ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে।

ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মো. মতিউর রহমান।

এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



শো-রুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।

গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  


আরও খবর



কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা।

আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।

সোমবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার।

গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫-৪৮ টাকা।

আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১২-১৪ টাকা।


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শ্বাসরুদ্ধকর দুর্দান্ত ম্যাচে শেষ হাসি ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক:

              টার্গেট ছিল মাত্র ১২০ রানের। তাই অনেকে মনে করেছিল অনায়াসেই জয় পাবে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে এই অল্প রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।

দুর্দান্ত এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে পাক পেসারদের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

দলের পক্ষে রিশভ পন্থ করেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪২ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল করেন ১৮ বলে ২০ রান। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আমির নিয়েছেন ২টি উইকেট।

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাক ওপেনার। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ২৬ রানে ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন বাবর।

পাক অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা উসমানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ধীরগতিতে রানের চাকা সচল রাখে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৭ রানে উসমানকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখান অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উসমান।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। ফকর জামান ৮ বলে ১৩, রিজওয়ান ৪৪ বলে ৩১ ও শাদাব খান ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।

এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে দলীয় ১০২ রানে ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন ইফতিখার।

শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ ৩টি ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২টি উইকেট।


আরও খবর