ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানসমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কমান্ডার কাতাইব হিজবুল্লাহ নামে এক গোষ্ঠীর নেতা। ড্রোন হামলায় তার দুজন রক্ষীও নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় হামলা মার্কিন বাহিনী এ হামলা চালায়। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলার সময় কাতাইব হিজবুল্লাহর এই নেতা তার দুজন রক্ষীসহ গাড়িতে ছিলেন। হামলায় তাদের তিনজনই মারা যান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এই অঞ্চলে আমেরিকান বাহিনীর ওপর হামলা পরিচালনার জন্য ওই কমান্ডার দায়ী ছিলেন। এ ছাড়া সম্প্রতি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার সঙ্গে এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের সেই হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন।
সেই হামলার পর কাতাইব হিজবুল্লাহ বলেছিল, তারা ইরাকি সরকারের কাছে ‘বিব্রত’ হওয়া রোধ করতে আমেরিকান সেনাদের ওপর হামলা স্থগিত করছে।
বিবিসি বলছে, বুধবার রাতের এই ড্রোন হামলাটি বাগদাদের মাশতাল এলাকার আশপাশে হয়। হামলার জেরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটে। মূলত ব্যস্ত রাস্তায় একটি চলন্ত গাড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট এই হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী এবং এতে করে গাড়িটি জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
নিহতদের মধ্যে একজন আবু বাকির আল-সাদি। তিনি কাতাইব হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার হিসেবে পরিচিত।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় হামলাটি চালানো হয় এবং এর মাধ্যমে ‘এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার সরাসরি পরিকল্পনা ও অংশ নেওয়ার জন্য দায়ী কমান্ডারকে’ হত্যা করা হয়েছে।
সেন্টকম বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘হামলায় বেসামরিক হতাহতের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।
এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।
গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।
ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালানসহ ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন দোহার ঘাটা এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে একই তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০২.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল উক্ত ঘটনাস্থলে পৌছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ী পালানোর চেষ্টা করলে র্যাবের নারী সদস্যের সহায়তায় উক্ত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর নাম সোনিয়া (৩৫), পিতা- শেখ শহীদ, সাং-বানাঘাটা, থানা-দোহার, জেলা-ঢাকা বলে জানা যায়। উক্ত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করার পর সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষে মাদকদ্রব্য গাঁজা রয়েছে। একপর্যায়ে তার কক্ষ হতে সবুজ রংয়ের পলিব্যাগে রক্ষিত ১০ (দশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষের সামনে থাকা মাইক্রোবাসে অবৈধ আরও মাদকদ্রব্য রয়েছে। এরপর মাইক্রোবাসে র্যাবের আভিযানিক দল তল্লাশী চালিয়ে মাইক্রোবাসের সিটের পাটাতনের নিচ হতে আরও ৪২(বিয়াল্লিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। র্যাবের উক্ত অভিযানে আনুমানিক ১৫,৬০,০০০/- (পনের লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যমানের মোট ৫২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তসে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দোহারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।
সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।
সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।
প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা ইস্ট জোনের অধীন ১১টি শাখার গ্রাহকদের নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও কার্ড বিষয়ক গ্রাহক সমাবেশ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে।
ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মো. মতিউর রহমান।
এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের বিশেষ পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে নন্দিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।
অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পাঁচফোড়নের প্রতিটি আইটেম নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গত প্রায় দুই যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়ে আসছে।
ঈদ ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন আলাপন নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের উপস্থাপনায় সাজানো হয়েছে ঈদের বিশেষ এই পাঁচফোড়ন। তাদের বিভিন্ন আলাপনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোর্টিং।
পাঁচফোড়নের প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনার ঢং ভিন্নরকম যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক থাকে না। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা আবদুন নূর সজল ও সারিকা সাবরিন।
এবারের পাঁচফোড়নে গান থাকছে ৩টি। তিনটিই মিষ্টি প্রেমের গান এবং গেয়েছেন এ প্রজন্মের ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। একটি গেয়েছেন আধুনিক, দেশাত্মবোধক বা ফোক সব ধরনের গানেই সমান পারদর্শী কণ্ঠশিল্পী রাজিব।
গানটির কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে তার সঙ্গে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন মডেল মোনালিসা দীপা। উত্তরা ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে গানটি ধারণ করা হয়। আর একটি গান গেয়েছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা সানিয়া সুলতানা লিজা। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন গীতিকবি কবির বকুল।
এই গানটিও ব্যতিক্রমী লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর লিজা পাঁচফোড়নের মাধ্যমে আবারও পর্দায় এলেন। ‘তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে, মিলছে এখন খুবই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতানন্দিত সংগীত শিল্পী অয়ন চাকলাদার এবং আতিয়া আনিসা।
গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অয়ন চাকলাদার। মানিকগঞ্জের একটি মনোরম লোকেশনে গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়।
রয়েছে ‘ইত্যাদি’ খ্যাত জাদুকর ম্যাজিক রাজিকের পরিবেশনায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু। পেশায় প্রকৌশলী ও আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট রাজিক দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করার পর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশের কোন টেলিভিশন পর্দায় প্রথম জাদু দেখান।
শহর কিংবা গ্রামে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সব শ্রেণির মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে চা। তবে সেই চায়ের নেশা যদি গরুর পেয়ে বসে তাহলে কেমন হয়! চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেমনি একটি ‘চা খোর’ গরুর উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি আরো দেখানো হয়েছে দেশবিদেশের কিছু বিস্ময়কর গরু-ছাগল-ভেড়ার আশ্চর্য কিছু কর্মকাণ্ড।
ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এতদিন দেখা যেতো ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান। তবে আজকাল অনেক ছাদে গরুও দেখা যায়। ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা এমনি কিছু গরুর খামারের উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়ে পাঁচফোড়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক ও সচেতনতামূলক নাট্যাংশ থাকে।
এবারও কোরবানি ঈদের উপর রয়েছে বেশ ক’টি নাট্যাংশ। পাঁচফোড়ন এর বিভিন্ন নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, মুকিত জাকারিয়া, আনন্দ খালেদ, শাহেদ আলী, জাহিদ শিকদার, ইকবাল হোসেন, তারিক স্বপন, সিয়াম নাসির, সাদিয়া তানজিন, সুজাত শিমুল, বিলু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, শামীম আহমেদ, সাবরিনা নিসাসহ আরো অনেকে। পাঁচফোড়ন পরিবেশিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে।