Logo
আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

জমকালো কান চলচিত্র উৎসবে পর্দা উঠছে নবাগতা কিয়ারা আদভানির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image



বিডি বিনোদন ডেস্ক:


গতকাল জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের। 


প্রতিবছরই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাহারি পোশাকে রেড কার্পেট মাতান ভারতীয় তারকারা। সেই তালিকায় অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন দীপিকা পাডুকোন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, আনুশকা শর্মা, সোনম কাপুর, সারা আলী, অদিতি রাওসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী। 


এবার সেখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির নাম। এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে তাকে। 


জানা গেছে, চলতি আয়োজনে ‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন’-এর ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা ডিনার’-এ অংশ নেবেন কিয়ারা। এটি ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ দ্বারা আয়োজিত হবে। 


অনুষ্ঠানে সারাবিশ্ব থেকে ৬ জন প্রতিভাবান নারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা বিনোদন মহলে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃত।



তাছাড়া, ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বিশ্বে ছবি প্রযোজনা এবং চিত্রগ্রহণ সম্পর্কে ১৮ মে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কিয়ারা রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্যানেলে অংশগ্রহণ করবেন। 


তার প্রস্তুতিও এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশও করেছেন কিয়ারা। যা ভক্তদের মাঝে বেশ উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। 


অনেকেই তার কান অভিষেক নিয়ে কমেন্ট বক্সে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গতকাল শুরু হয়েছে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।


আরও খবর



শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার প্রত্যাশা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

23 ডিজিটাল ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকে এ প্রত্যাশা করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, ভারতের সিনিয়র মন্ত্রী, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং অন্যান্য সরকার ও রাষ্ট্রের প্রধানগণ এই নৈশভোজে যোগ দেন এবং সেখানে তাদের সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় হয়। এ সময় তারাও কুশল বিনিময় করেছেন।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক ইস্যু জড়িত। যেহেতু দুই সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তাই একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে।হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, আমাদের বহুমাত্রিক গভীর সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত ও সংহত হবে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।তথ্যসূত্র: বাসস।


আরও খবর



বছরে ক্ষতি প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।

সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।

প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।


আরও খবর



শো-রুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।

গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,  খামারবাড়ি, সিরাজগঞ্জ আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালকের কার্যালয়ে জনাব বাবুল কুমার সূত্রধর,  উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, সিরাজগঞ্জের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব গণপতি রায়,  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  সিরাজগঞ্জ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান বলেন, তেলজাতীয় ফসল সরিষা উৎপাদনে বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জ প্রথম এজন্য সিরাজগঞ্জের সকল কৃষকদের আন্তর্জাতিক ধন্যবাদ জানাই। সিরাজগঞ্জের উৎপাদিত সরিষা জেলার চাহিদা মিটিয়ে  ১০ ( দশ) হাজার মেট্রিক টন অন্য জেলার চাহিদা পূরণ করতে পারি।

অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখা কৃষকদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।



আরও খবর



অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ  চক্রের অন্যতম মূলহোতা ১। মোঃ ইমরান @ মাইকেল (৪৪), পিতা-মৃত আমির হামজা @ বাদল, সাং-বাগডাসা লেন, নয়াবাজার, থানা-বংশাল, ডিএমপি, ঢাকা সহ মোট ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম ২। মোঃ অনিক হাসান @ রানা (৩২), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, সাং-চুনকুটিয়া,থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৩। মোঃ সুমন মিয়া (৪২), পিতা-মৃত গেদা মিয়া, সাং-কদমতলী, তালগাছতলা, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা, ৪। মোঃ আবুল খায়ের (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল বাতেন,সাং-রঘুনাথপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ- ৩,৩৮০/- (তিন হাজার তিনশত আশি) টাকা ও ০১ টি প্লাস্টিকের পাইপ এবং ০৩ টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, কোতয়ালী, ও যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর