Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা।

আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।

সোমবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার।

গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫-৪৮ টাকা।

আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১২-১৪ টাকা।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকে ১১টি শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা ইস্ট জোনের অধীন ১১টি শাখার গ্রাহকদের নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও কার্ড বিষয়ক গ্রাহক সমাবেশ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে।

ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মো. মতিউর রহমান।

এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



ফুলবাড়ীতে পূর্বশত্রুতার জেরে ২০০টি চারা আমগাছ বিনষ্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধ  

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রেজাউল আলম নামে একজন চিকিৎসকের আম ও আনারস বাগানের প্রায় ২০০টি ফলজ আমের গাছ উপড়ানোসহ আনারস ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌরসভার তেতুলিয়া গ্রামে স্বপ্নপুরি রোডে। এই ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক রেজাউল আলমের ছোট ভাই মোঃ খাদিমুল ইসলাম ফুলবাড়ী থানায় বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
বাদী খাদেমুল ইসলাম জানান, তার ভাই রেজাউল আলম তেতুলিয়া মৌজার জে,এল ৫৪, খতিয়ান নং ২৮৯, ১২৬১ নং দাগের ৩৩ শতক ক্রয়কৃত জমিতে গত কয়েক বছর ধরে বাগান আকারে আম ও আনারসের চাষ করে আসতেছেন। তার ভাই পেশাগত কারনে রংপুরে থাকায় বাগানগুলো কাছে থেকে দেখাশুনা করা সম্ভব হয়না। গত দেড় বছর পূর্বে প্রায় ২০০ টি আমের গাছ সেখানে লাগানো হয়। বর্তমানে প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় আম ধরেছিল। কিন্তু গতকাল সকাল সাতটায় জমিতে গিয়ে দেখা যায় সব আমের গাছ উপড়ানো ও আনারসের  ক্ষেত লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। আম ও আনারসসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবেশী মোঃ খেরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রাকিব খান দীর্ঘদিন থেকে এই জমি ও বাগান নিয়ে শত্রুতা করে আসছিল বলে সে এই কাজটি করেছে বলে সন্দেহ পোষণ করছে ভুক্তভোগী। জানা যায়  ক্ষেতের পাশেই রাকিবের গোডাউন ঘর। সে প্রায় আমার ভাইয়ের জমির বেড়ার উপর মাটি দিয়ে আইল সরিয়ে দিত। এর প্রতিবাদে কিছু বলতে গেলে হুমকি দিত। যখন তখন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো। তাছাড়া ঘটনার আগের দিন রাতে সে তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সারারাত পিকনিক করে তার গোডাউন ঘরে। খাদিমুল ইসলাম এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ২০০ টি আম গাছ উপড়ানো ও আনারস ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বিএনপি এখন নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর জন্য মনোযোগী হচ্ছে। আর এই মনোযোগের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, স্থায়ী কমিটি যদি অকার্যকর হয়, তাহলে কোন আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ এখন খালি আছে। আর স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা অসুস্থ। ফলে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই কমিটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

দলের হাতে গোনা ৩-৪ জন নেতা ছাড়া কেউই কার্যকর নয়। এই অবস্থায় স্থায়ী কমিটিকে আরও সক্রিয় এবং সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুদিন ধরে লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ধারাবাহিকভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হল স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ।

বৃহষ্পতিবার এবং শুক্রবার তিনি দলের সাধারণ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন। আর এই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে কাদেরকে আনা যায় এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া তার নিজস্ব মতামত দেননি, তিনি শুধুমাত্র তাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, স্থায়ী কমিটিতে নতুন কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায়, এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তারেক জিয়ার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।

তবে কোন কোন বিষয়গুলো স্থায়ী কমিটির সদস্যপদের জন্য বিবেচনা করা উচিত, এ ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন বলেও জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলে যারা সক্রিয়, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে পাওয়া যায়, তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনাটা প্রয়োজন। এর ফলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং যারা ডিগবাজি খাবে না, আদর্শের প্রতি অটল- তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা গত ১৭ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরকে সামনে আনাটা জরুরি। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য কারা হতে পারেন এ ব্যাপারে কোন নাম, বিএনপির কোন নেতাই বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি পূরণ করা হয়, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি আছেন যারা স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন।

দলের সাধারণ কর্মীদের পছন্দ রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু তিনি তারেক জিয়ার পছন্দের ব্যক্তি নন বলেই সকলে জানে। আর এ কারণেই স্থায়ী কমিটিতে তার ঢোকাটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন মহল মনে করছেন যে, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো লড়াকু নেতৃবৃন্দদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, স্থায়ী কমিটিতে আনতে গেলে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দরকার।

সবকিছু মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন, না আসবেন তা নির্ভর করছে তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের উপর। খুব শীঘ্রই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,  খামারবাড়ি, সিরাজগঞ্জ আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালকের কার্যালয়ে জনাব বাবুল কুমার সূত্রধর,  উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি, সিরাজগঞ্জের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব গণপতি রায়,  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  সিরাজগঞ্জ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান বলেন, তেলজাতীয় ফসল সরিষা উৎপাদনে বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জ প্রথম এজন্য সিরাজগঞ্জের সকল কৃষকদের আন্তর্জাতিক ধন্যবাদ জানাই। সিরাজগঞ্জের উৎপাদিত সরিষা জেলার চাহিদা মিটিয়ে  ১০ ( দশ) হাজার মেট্রিক টন অন্য জেলার চাহিদা পূরণ করতে পারি।

অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখা কৃষকদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।



আরও খবর



বছরে ক্ষতি প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।

সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।

প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।


আরও খবর