![Image](https://cdn.channel23.news/images/0732483d8bca2fef69011e5b9a4f16e0.jpeg)
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সারাদেশে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখনও চলছে প্রকল্পের কাজ। কাজে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের।
সড়কের চাঁদমারী পর্যন্ত ছয়লেনের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আর্মি মার্কেট এলাকা থেকে চাষাঢ়া মোড় পর্যন্ত সড়ক ছয় লেন করার জন্য উচ্ছেদ কাজই শুরু হয়নি। ফলে শঙ্কা রয়ে গেছে এই অংশে আদৌ সড়ক প্রশস্ত হবে কিনা। কালক্ষেপণ হলেও প্রকৌশলী কিংবা স্থানীয় এমপি কেউই মুখ খুলছেন না।
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নতুন নামকরণ করা হয়েছে একেএম সামসুজ্জোহা সড়ক। তবে পুরনো লিংক রোড নামেই বেশি পরিচিত সড়কটি। সড়কের বেশির ভাগ অঞ্চল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে। আর তাই শামীম ওসমান তার বিভিন্ন বক্তব্যে তার নিজ অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে লিংক রোডকে ছয় লেন করার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কাজে ধীরগতি ও দীর্ঘ সংস্কার কাজের মধ্যেই সৃষ্ট খানাখন্দকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা। গত দেড় বছর ধরে এই সংস্কার কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। শুরুর দিকে সাইনবোর্ড, ভূইগড়ে ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিছুদিন আগে জালকুড়ি ও বর্তমানে শিবু মার্কেট এলাকাতেও খানাখন্দক ও যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে চাষাঢ়া থেকে চাঁদমারী অংশে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ভয়াবহ ভোগান্তির মুখে পরেছেন নগরবাসী। নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের হওয়ার পথটি এক লেন হয়ে যাওয়ায় যানজট দেখা দিয়েছে। তার ওপর এক লেনে থাকা সড়কটিও ভয়াবহ রকম খানাখন্দকে পরিপূর্ণ। মাঝেমধ্যেই সেখানে ঘটছে গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঘটনা। বিশেষ করে রাস্তাটিতে ত্রিচক্রযান চালানো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে পুরো নগরীর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার মুখে বের হওয়ার পথটি ছিল দুই লেনবিশিষ্ট। এখানে পঞ্চবটি থেকে চাষাঢ়ামুখী এক লেন, বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে চাষাঢ়া মুখে দুই লেন, খানপুর থেকে চাষাঢ়া মুখে দুই লেন এবং আরও কিছু শাখা রাস্তা মিলিয়ে মোট ছয় লেন ভর্তি যানবাহন ঢাকা অভিমুখে বের হয়। এতদিন সেই সড়কটি দুই লেনের থাকলেও এখন সংস্কার কাজের জন্য এক লেন হয়েছে। তার ওপর সেই লেনটিও ভাঙাচোরা। যার কারণে পুরো শহর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকছে।
চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন জরুরি সেবার প্রয়োজন এমন রোগীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে শহরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও বছরখানেক ধরে শ্লথ গতিতে চলা লিংক রোডের কাজ। কিন্তু বছরখানেক ধরে সংস্কার কাজের দুর্ভোগ যে কয়েক গুণ কষ্ট দিচ্ছে বাসিন্দাদের সেটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এখন শুধু একটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের- এই দুর্ভোগ কবে লাঘব হবে?