Logo
আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কাশিয়ানীতে সন্ধ্যার পর বাইরে আড্ডা দেওয়ায় ২৬ শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারী 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | ৪৮৪জন দেখেছেন

Image

পরশ উজির:- সন্ধ্যার পর পড়ালেখা ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একযায়গায় বসে শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেমিংসহ বিভিন্ন আড্ডা দেওয়ায় ২৬ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়৷  

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান জানান, গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা (বিপিএম, পিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশে রাত ৮টার পরে পাড়া-মহল্লার রাস্তায় কোনো শিক্ষার্থীকে পেলেই আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরে তাদের আবার আটক করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।


টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫২জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর



শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার প্রত্যাশা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

23 ডিজিটাল ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকে এ প্রত্যাশা করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আয়োজিত ভোজসভায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, ভারতের সিনিয়র মন্ত্রী, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং অন্যান্য সরকার ও রাষ্ট্রের প্রধানগণ এই নৈশভোজে যোগ দেন এবং সেখানে তাদের সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় হয়। এ সময় তারাও কুশল বিনিময় করেছেন।

ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক ইস্যু জড়িত। যেহেতু দুই সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তাই একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে।হাছান মাহমুদ আশা প্রকাশ করেন, আমাদের বহুমাত্রিক গভীর সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত ও সংহত হবে।

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।তথ্যসূত্র: বাসস।


আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



ঈদে আজহা আসছে ‘জমজমাট পাঁচফোড়ন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের বিশেষ পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে নন্দিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।

অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পাঁচফোড়নের প্রতিটি আইটেম নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গত প্রায় দুই যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়ে আসছে।

ঈদ ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন আলাপন নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের উপস্থাপনায় সাজানো হয়েছে ঈদের বিশেষ এই পাঁচফোড়ন। তাদের বিভিন্ন আলাপনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোর্টিং।

পাঁচফোড়নের প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনার ঢং ভিন্নরকম যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক থাকে না। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা আবদুন নূর সজল ও সারিকা সাবরিন।

এবারের পাঁচফোড়নে গান থাকছে ৩টি। তিনটিই মিষ্টি প্রেমের গান এবং গেয়েছেন এ প্রজন্মের ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। একটি গেয়েছেন আধুনিক, দেশাত্মবোধক বা ফোক সব ধরনের গানেই সমান পারদর্শী কণ্ঠশিল্পী রাজিব।

গানটির কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে তার সঙ্গে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন মডেল মোনালিসা দীপা। উত্তরা ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে গানটি ধারণ করা হয়। আর একটি গান গেয়েছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা সানিয়া সুলতানা লিজা। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন গীতিকবি কবির বকুল।

এই গানটিও ব্যতিক্রমী লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর লিজা পাঁচফোড়নের মাধ্যমে আবারও পর্দায় এলেন। ‘তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে, মিলছে এখন খুবই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতানন্দিত সংগীত শিল্পী অয়ন চাকলাদার এবং আতিয়া আনিসা।

গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অয়ন চাকলাদার। মানিকগঞ্জের একটি মনোরম লোকেশনে গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়।

রয়েছে ‘ইত্যাদি’ খ্যাত জাদুকর ম্যাজিক রাজিকের পরিবেশনায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু। পেশায় প্রকৌশলী ও আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট রাজিক দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করার পর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশের কোন টেলিভিশন পর্দায় প্রথম জাদু দেখান।

শহর কিংবা গ্রামে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সব শ্রেণির মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে চা। তবে সেই চায়ের নেশা যদি গরুর পেয়ে বসে তাহলে কেমন হয়! চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেমনি একটি ‘চা খোর’ গরুর উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি আরো দেখানো হয়েছে দেশবিদেশের কিছু বিস্ময়কর গরু-ছাগল-ভেড়ার আশ্চর্য কিছু কর্মকাণ্ড।

ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এতদিন দেখা যেতো ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান। তবে আজকাল অনেক ছাদে গরুও দেখা যায়। ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা এমনি কিছু গরুর খামারের উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়ে পাঁচফোড়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক ও সচেতনতামূলক নাট্যাংশ থাকে।

এবারও কোরবানি ঈদের উপর রয়েছে বেশ ক’টি নাট্যাংশ। পাঁচফোড়ন এর বিভিন্ন নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, মুকিত জাকারিয়া, আনন্দ খালেদ, শাহেদ আলী, জাহিদ শিকদার, ইকবাল হোসেন, তারিক স্বপন, সিয়াম নাসির, সাদিয়া তানজিন, সুজাত শিমুল, বিলু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, শামীম আহমেদ, সাবরিনা নিসাসহ আরো অনেকে। পাঁচফোড়ন পরিবেশিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শ্বাসরুদ্ধকর দুর্দান্ত ম্যাচে শেষ হাসি ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৬০জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক:

              টার্গেট ছিল মাত্র ১২০ রানের। তাই অনেকে মনে করেছিল অনায়াসেই জয় পাবে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে এই অল্প রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।

দুর্দান্ত এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে পাক পেসারদের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

দলের পক্ষে রিশভ পন্থ করেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪২ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল করেন ১৮ বলে ২০ রান। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আমির নিয়েছেন ২টি উইকেট।

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাক ওপেনার। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ২৬ রানে ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন বাবর।

পাক অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা উসমানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ধীরগতিতে রানের চাকা সচল রাখে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৭ রানে উসমানকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখান অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উসমান।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। ফকর জামান ৮ বলে ১৩, রিজওয়ান ৪৪ বলে ৩১ ও শাদাব খান ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।

এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে দলীয় ১০২ রানে ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন ইফতিখার।

শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ ৩টি ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২টি উইকেট।


আরও খবর