Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কোটালীপাড়ার ৯হাজার দরিদ্র মানুষ পেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ৩১১জন দেখেছেন

Image
মাহবুব সুলতান কোটালীপাড়া প্রতিনিধি:  গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ৯ হাজার দরিদ্র মানুষ পেলো প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঈদ উপহার।
 
আজ রবিবার কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার ৩হাজার শাড়ি, ৩হাজার পাঞ্জাবি, ৫শত লুঙ্গি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদের হাতে তুলে দেন।
 একই সাথে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের ইফতারের জন্য ১১লক্ষ ৪০হাজার টাকা বিতরণ করেন। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে চাল, ডাল, সেমাই, চিনি, দুধ, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর ২৫শত প্যাকেট দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ। 

তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত দলীয় ভাবে ৯হাজার দরিদ্র মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। এছাড়াও সরকারি ভাবে দরিদ্র মানুষদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, শুধু কোটালীপাড়াই নয় সারা বাংলাদেশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে দরিদ্র মানুষদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের একটি মানুষও ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়নি। শুধু মুসলিম ধর্মের মানুষরাই নয় অন্যান্য ধর্মালম্বী মানুষরাও যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। 


আরও খবর



দীপিকা পাডুকোনকে ছেড়েই ক্রুজ পার্টিতে ভালোই ফুর্তিতে ছিলেন রণবীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের সেকেন্ড প্রি-ওয়েডিং উপলক্ষে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং।

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী দীপিকা পাডুকোনকে ছেড়েই ক্রুজ পার্টিতে ভালোই ফুর্তিতে ছিলেন রণবীর। তবে ইতালি থেকে ফেরা মাত্রই দীপিকাকে নিয়ে ডিনারে গিয়ে বিদেশে পার্টি করতে যাওয়ার খেসারত দিচ্ছেন অভিনেতা।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে দীপিকাকে নিয়ে ডিনারে গিয়েছিলেন রণবীর সিং। মুম্বাইয়ের একটি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তারা।

এসময় দেখা গেছে, দীপিকার হাত ধরে আগলে রেখেছেন রণবীর সিং। এ সময় অভিনেত্রীর পরনে ছিল স্ট্রাইপড লাল কুর্তা ও পাজামা। রণবীরের পরনে ছিল ছিমছাম টি-শার্ট। দুজনের চোখেই চশমা। এ সময় দীপিকার বেবিবাম্পটাও ঈষৎ দৃশ্যমান হয়েছিল

 

এদিন রণবীরের মা অঞ্জু ভাবনানি ও বাবা জগজিৎ সিং এবং শাশুরিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়েই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন রণবীর।

কয়েকদিন আগে বেবি বাম্প নিয়েই ‘সিংঘম’ সিনেমায় শ্যুটিং করেছিলেন দীপিকা। এছাড়াও ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বর রণবীরকে নিয়ে অসুস্থ শরীরেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

আগামী সেপ্টেম্বরেই তারকা দম্পতি দীপিকা-রণবীরের ঘর আলো করে আসছে তাদের নতুন অতিথি।


আরও খবর



ঈদে আজহা আসছে ‘জমজমাট পাঁচফোড়ন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের বিশেষ পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে নন্দিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।

অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পাঁচফোড়নের প্রতিটি আইটেম নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গত প্রায় দুই যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়ে আসছে।

ঈদ ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন আলাপন নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের উপস্থাপনায় সাজানো হয়েছে ঈদের বিশেষ এই পাঁচফোড়ন। তাদের বিভিন্ন আলাপনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোর্টিং।

পাঁচফোড়নের প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনার ঢং ভিন্নরকম যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক থাকে না। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা আবদুন নূর সজল ও সারিকা সাবরিন।

এবারের পাঁচফোড়নে গান থাকছে ৩টি। তিনটিই মিষ্টি প্রেমের গান এবং গেয়েছেন এ প্রজন্মের ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। একটি গেয়েছেন আধুনিক, দেশাত্মবোধক বা ফোক সব ধরনের গানেই সমান পারদর্শী কণ্ঠশিল্পী রাজিব।

গানটির কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে তার সঙ্গে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন মডেল মোনালিসা দীপা। উত্তরা ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে গানটি ধারণ করা হয়। আর একটি গান গেয়েছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা সানিয়া সুলতানা লিজা। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন গীতিকবি কবির বকুল।

এই গানটিও ব্যতিক্রমী লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর লিজা পাঁচফোড়নের মাধ্যমে আবারও পর্দায় এলেন। ‘তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে, মিলছে এখন খুবই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতানন্দিত সংগীত শিল্পী অয়ন চাকলাদার এবং আতিয়া আনিসা।

গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অয়ন চাকলাদার। মানিকগঞ্জের একটি মনোরম লোকেশনে গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়।

রয়েছে ‘ইত্যাদি’ খ্যাত জাদুকর ম্যাজিক রাজিকের পরিবেশনায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু। পেশায় প্রকৌশলী ও আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট রাজিক দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করার পর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশের কোন টেলিভিশন পর্দায় প্রথম জাদু দেখান।

শহর কিংবা গ্রামে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সব শ্রেণির মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে চা। তবে সেই চায়ের নেশা যদি গরুর পেয়ে বসে তাহলে কেমন হয়! চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেমনি একটি ‘চা খোর’ গরুর উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি আরো দেখানো হয়েছে দেশবিদেশের কিছু বিস্ময়কর গরু-ছাগল-ভেড়ার আশ্চর্য কিছু কর্মকাণ্ড।

ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এতদিন দেখা যেতো ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান। তবে আজকাল অনেক ছাদে গরুও দেখা যায়। ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা এমনি কিছু গরুর খামারের উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়ে পাঁচফোড়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক ও সচেতনতামূলক নাট্যাংশ থাকে।

এবারও কোরবানি ঈদের উপর রয়েছে বেশ ক’টি নাট্যাংশ। পাঁচফোড়ন এর বিভিন্ন নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, মুকিত জাকারিয়া, আনন্দ খালেদ, শাহেদ আলী, জাহিদ শিকদার, ইকবাল হোসেন, তারিক স্বপন, সিয়াম নাসির, সাদিয়া তানজিন, সুজাত শিমুল, বিলু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, শামীম আহমেদ, সাবরিনা নিসাসহ আরো অনেকে। পাঁচফোড়ন পরিবেশিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে।


আরও খবর



গাইবান্ধার ভূমিহীন আরও ৬৩০ পরিবারের মাঝে পাকাঘর হস্তান্তর করা হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

গাইবান্ধা প্রতিনিধ 

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধার গৃহ-ভূমিহীন আরও ৬৩০ পরিবারের মাঝে পাকাঘর হস্তান্তর করা হবে। ২ শতক জমিসহ এই সেমিপাকা ঘর পাবেন সুবিধাভোগিরা। এর আগেও ৭ হাজার ৭৮৪ পরিবারকে এই প্রকল্পে পূণর্বাসন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) গাইবান্ধা জেলা প্রশাকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে জেলার চার উপজেলায় ৪০৫ টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে ২২৫টিসহ মোট ৬৩০টি পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর হস্তান্তর করা হবে। একইদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।

জাহিদ হাসান সিদ্দিকী আরও বলেন, ইতোমধ্যে গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধ সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বা অন্য কোন বিশেষ কারণে অন্য কোন ব্যক্তি ভূমিহীন বা গৃহহীন হলে তাদেরকে দ্রুততার সাথে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলার ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৯টি। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে ৮৪৬টি, ২য় পর্যায়ে ১ হাজার ৪৩০টি, ৩য় পর্যায়ের ২ হাজার ৪১৬টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ৮৭২টি ও ৫ম পর্যায়ে (১ম ধাপ) ১৫৪টিসহ সর্বমোট ৬ হাজার ৭১৮টি একক গৃহে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য উপায়ে ব্যারাক ও গুচ্ছগ্রামে ১ হাজার ৬৬টি ‘ক’ শ্রেণির পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।


আরও খবর



শো-রুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।

গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  


আরও খবর



স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বিএনপি এখন নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর জন্য মনোযোগী হচ্ছে। আর এই মনোযোগের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, স্থায়ী কমিটি যদি অকার্যকর হয়, তাহলে কোন আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ এখন খালি আছে। আর স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা অসুস্থ। ফলে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই কমিটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

দলের হাতে গোনা ৩-৪ জন নেতা ছাড়া কেউই কার্যকর নয়। এই অবস্থায় স্থায়ী কমিটিকে আরও সক্রিয় এবং সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুদিন ধরে লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ধারাবাহিকভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হল স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ।

বৃহষ্পতিবার এবং শুক্রবার তিনি দলের সাধারণ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন। আর এই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে কাদেরকে আনা যায় এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া তার নিজস্ব মতামত দেননি, তিনি শুধুমাত্র তাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, স্থায়ী কমিটিতে নতুন কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায়, এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তারেক জিয়ার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।

তবে কোন কোন বিষয়গুলো স্থায়ী কমিটির সদস্যপদের জন্য বিবেচনা করা উচিত, এ ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন বলেও জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলে যারা সক্রিয়, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে পাওয়া যায়, তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনাটা প্রয়োজন। এর ফলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং যারা ডিগবাজি খাবে না, আদর্শের প্রতি অটল- তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা গত ১৭ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরকে সামনে আনাটা জরুরি। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য কারা হতে পারেন এ ব্যাপারে কোন নাম, বিএনপির কোন নেতাই বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি পূরণ করা হয়, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি আছেন যারা স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন।

দলের সাধারণ কর্মীদের পছন্দ রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু তিনি তারেক জিয়ার পছন্দের ব্যক্তি নন বলেই সকলে জানে। আর এ কারণেই স্থায়ী কমিটিতে তার ঢোকাটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন মহল মনে করছেন যে, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো লড়াকু নেতৃবৃন্দদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, স্থায়ী কমিটিতে আনতে গেলে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দরকার।

সবকিছু মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন, না আসবেন তা নির্ভর করছে তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের উপর। খুব শীঘ্রই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর