![Image](https://cdn.channel23.news/images/55fd09ce46f9a2097f961c4a952304ff.jpeg)
বশির আহম্মেদ মোল্লা, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়ার ইউনিয়নের কাটাখালটি দুই যুগেও খনন করা হয়নি। এতে ক্রমাগত পলি মাটি জমে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় পানি নির্ভর জমিগুলোতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের পানির অভাবে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সমস্যা সমাধানে দ্রুত খালটি খননের মাধ্যমে পানির প্রবাহ সচল রাখার দাবি জানান স্থানীয় কৃষকরা। শুষ্ক মৌসুমে খালে তেমন পানি নেই। ফলে ধানের জমি শুকিয়ে গেছে। অনেক জমি শুকিয়ে যাওয়ায় ধানের পাতায় হলুদ রং দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার বেশির ভাগ মানুষই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। জমিতে সেচের পানির জন্য কাটাখালের পানির ওপর নির্ভর করেই ওই এলাকার ৫০০ একর জমিতে বোরো ও ইরি চাষ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খালটিতে পলি মাটি জমে পানির প্রবাহ কমে গেছে। বিগত দিনে চর আড়ালিয়ার ২শতাধিক কৃষক কাটাখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। তাদের ৫০০ একর জমির জন্য ৮টি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। কিন্তু খালে পানি না থাকায় ধানক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পলি জমে কাটাখালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। দুই যুগেও খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহতসহ আর্থিক লোকসানের মুখে পড়ার আসঙ্কায় স্থানীয় কৃষকরা।
রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ায় কাটাখালের পানিপ্রবাহ কমে গেছে। এতে ফসল উৎপাদন কমবে। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) উপবিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শাহাবউদ্দিন আহমেদ জানান, ৬৪ জেলার খাল খনন প্রোগ্রামের মধ্যে কাটাখালটি দুই কিলোমিটার অংশ খনন প্রস্তাবনায় আছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে অনেকগুলো খাল খনন অনুমোদন পেয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুমোদনের অপেক্ষায় কাটাখাল।
টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ