Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় পাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার অফিস অবরুদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ৪৩০জন দেখেছেন

Image

হুমায়ন রাশেদ, পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর নানা অনিয়ম নিয়োগবাণিজ্য স্বজনপ্রীতি অভিযোগসহ বিশ্বাবিদ্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারি ১৭ দফা না মানায় রেজিস্ট্রার অফিস তালা দিয়েছে অফিসার্স এসোসিয়েশন।

আজ (২৬ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবিপ্রবি কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ১৭ দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি দিয়ে তারা কর্মসূচি পালন করছে। গত চার বছরে নানা আশ্বাস দিলেও ভিসি তা পালন না করায় কর্মকর্তারা এই কঠোর কর্মসূচি পালন করছে।

পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও সাধারণ সম্পাদক  মোঃ সোহাগ হোসেন জানান, ১৭ দফা দাবি কার্যকর না হওয়া পযর্ন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

উল্লেখ্য; গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা করার কথা থাকলেও ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে তা করতে পারেন নি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে তার ক্যাম্পাসে আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিচিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্সিণ করে। তারা স্লোগান দেয় ‘দুর্নীতবাজ ভিসির আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘নিয়োগবাণিজ্য করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’, ‘রুস্তমের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’। শিক্ষকরাও পরদিন দফায় দফায় বৈঠক করে তার গণনিয়োগ বন্ধের দাবি জানায়। কর্মকর্তারা বৈঠক করে শনিবার থেকে উপাচার্যেও কার্যালয় অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি দিলে আগের দিন ভোর পাঁচটা দিকে কাউকে না জানিয়ে উপাচার্য ক্যাম্পাস ছেড়ে  যান।



টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



৫২ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক         

গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালানসহ ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন দোহার ঘাটা এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে একই তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০২.৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল উক্ত ঘটনাস্থলে পৌছলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ী পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাবের নারী সদস্যের সহায়তায় উক্ত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর নাম সোনিয়া (৩৫), পিতা- শেখ শহীদ, সাং-বানাঘাটা, থানা-দোহার, জেলা-ঢাকা বলে জানা যায়। উক্ত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করার পর সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষে মাদকদ্রব্য গাঁজা রয়েছে। একপর্যায়ে তার কক্ষ হতে সবুজ রংয়ের পলিব্যাগে রক্ষিত ১০ (দশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত নারী মাদক ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষের সামনে থাকা মাইক্রোবাসে অবৈধ আরও মাদকদ্রব্য রয়েছে। এরপর মাইক্রোবাসে র‌্যাবের আভিযানিক দল তল্লাশী চালিয়ে মাইক্রোবাসের সিটের পাটাতনের নিচ হতে আরও ৪২(বিয়াল্লিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। র‌্যাবের উক্ত অভিযানে আনুমানিক ১৫,৬০,০০০/- (পনের লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যমানের মোট ৫২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তসে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দোহারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর



লালপুরে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক 

   নাটোরের লালপুরে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও অবৈধ ভাবে পুকুর কাটা বন্ধের  দাবিতে মানববন্ধন , বিক্ষোভ করেছে ভুমিহীনরা।
ভুমিহীন সংগঠনের আয়োজনে সোমবার ( ১০ জুন ) লালপুরের আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদের সামনে লালপুর ভূমিহীন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য রায়হান কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লালপুর ভূমিহীন আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনউদ্দিন ,প্রচার সম্পাদক তুহিন আলি , বাগাতিপাড়া ভূমিহীন আঞ্চলিক কমিটির ইসমাইল হোসেন, লালপুর ভূমিহীন জেন্ডার সহিংসতা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক জামেনা বেগম , নিজেরা করি বাগাতিপাড়া অঞ্চল সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ ।
জামেনা বেগম বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি , ভাত যদি না থাকে মাছ দিয়ে কি হবে। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে অবৈধভাবে পুকুর কাটা হচ্ছে। এদিকে যেমন আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে আবার আমরা রাতে ঘুমাতে পারছি না ,গাড়ির শব্দের কারণে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অসুবিধা হচ্ছে।রাতের অন্ধকারে পুকুর কাটা বন্ধ করতে প্রশাসন ও সর্বসাধারণের কামনা করেন।

আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকে ১১টি শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা ইস্ট জোনের অধীন ১১টি শাখার গ্রাহকদের নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও কার্ড বিষয়ক গ্রাহক সমাবেশ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে।

ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মো. মতিউর রহমান।

এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর